২০০৯ সালের প্রথমটা আমার ভালই চলছিল। প্রথমে ভিপি স্যার ভ্যাকেশনে ফোন করলেন যে ৯ তারিখ প্রথম আলোর ম্যাথ অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে। স্যার কই থাকব???উনি বললেন কেনো নিজ ব্যবস্থায়। তখন আমি বললাম স্যার তাহলে যাবো না। তারপর তিনি আব্বুকে ফোন করলেন। আব্বু বলল ঠিক আছে আমি নিয়ে যাবো। কিন্ত তারপর আমার বন্ধু নাদিম ফোন করল যে ও আমার রেজিস্ট্রেশন করাইসে আর আমি যাতে ওর বাসায় থাকি।
বিস্তারিত»বন্ধু কী খবর বল!
তানভীরটা কেমন যেন অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছে। আগে সারাদিন সিসিবিতে বসে বসে ‘দিনের সর্বোচ্চ মন্তব্যকারী’ হবার জন্যে কম্পিটিশন করতো আমার আর টিটো’র সাথে। এখন কালে ভদ্রে দেখা যায়। মাউস টিপে ইমো দিয়ে চলে যায়। ফোনে জিজ্ঞেস করলে বলে, ‘অফিসে এতো কাজের চাপ রে দোস্ত …… সময় পাই না।’ আমি সারাদিন অন প্যারেডে বসে বসে ভাবি তানভীর কবে আবার অফিসের কাজের চাপ থেকে ফ্রি হবে ! কবে আমরা আবার পোস্ট ভর্তি কমেন্ট করবো !!
বিস্তারিত»ভ্যাকেশনঃছুটি গল্পের ক্যাডেট কলেজ ভার্সন-২
ভ্যাকেশনঃছুটি গল্পের ক্যাডেট কলেজ ভার্সন-১
এইভাবে একদিন কাটিয়া গেল!ফটিক সারাবেলা মন মরা হইয়া ছিল!খুবই চুপচাপ যাহা তাহার চরিত্রের পুরোপুরি ব্যতিক্রম!ক্লাসমেটরা সকলেই কাহিনী জানিত তাই কেহ তাহাকে ঘাটাইতে গেল না।পরের রাত্রিতে প্রেপ হইতে আসিবার পথে ফটিককে হাউজ বেয়ারা খবর দিল,আপনাকে স্যার ডাকছেন!ফটিক রুমে আসিয়া টাই খুলিয়া বিষণ্ণ মনে হাউজ অফিস পানে চলিল!হাউজ অফিসে তখন অন্য সব হাউজ টিউটররা উপস্থিত!সকলেই কৌতুহলী চোখে ফটিকের দিকে চাহিয়া আছে!ফটিক গিয়া হাউজ মাস্টার স্যারের সামনে দাড়াইল!হাউজ অফিসে তখন পিনপতন নীরবতা!শেষ পর্যন্ত হাউজ মাস্টার স্যারই মুখ খুলিলেন,বলিলেন,আমরা তোমার সব কাজ পর্যবেক্ষন করে দেখলাম,তুমি রুম লিডার হওয়ার অযোগ্য!ছোটদের সাথে থাকার যোগ্য তুমি নও!তাদের তোমার কাছ থেকে শিখার কিছুই নেই!তাই তোমাকে সিনিয়রদের রুমে পাঠানো হচ্ছে!সেখানে থেকে তুমি সিনিয়রদের থেকে কিছু শিখতে পারো কিনা দেখো!
বিস্তারিত»১ টাকার কুপন
ক্যাডেট কলেজের অভিজ্ঞতা আমার ৬ ভাগের ৪ ভাগ। কারন আমি এস, এস, সি দিয়ে চলে আসছি।অনেকদিন পর সি সি বি র কিছু ব্লগ পরে আমি স্রিতিকাতর হয়ে পরি।তাই লিখতে বস্লাম। আমি ভাল লিখতে পারি না। সব সময় আমি বাংলায় সব থেকে কম নাম্বার পাইতাম।তাই আগেই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলাম।
আমার কাহিনী আমার এক বন্ধুকে নিয়ে লেখা। তখন আমরা ক্লাস সেভেন এ নতুন আসছি।
আজ কাজলের বিয়ে ………
সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরন – প্রায় কাল্পনিক।
——————————————-
আগের গল্প ——-
একজন অসুস্থ মানুষ
ও, আমি এবং আমরা ……
যেদিন আমার মৃত্যু হলো ……………
বলতে চাই … তোমাকেই চাই
তুমি আজ ভালোবাসোনি ………
—————————————————————-
সকাল থেকেই পিসির সামনে বসে আছি, পিসির এডিটরে খোলা একটা কোড আর আমার মাথার মধ্যে খোলা কয়েক হাজার রকমের চিন্তার ফাইল।
বিস্তারিত»একদা ঈদে
হিমেল বিলেতীবসন্তের শ্বেতচাদরাবৃত পার্কে
সেদিন ছিলাম তোমার কোলে নত আমি
ভোরবেলাকার মন্দিরের অদ্বিতীয় পূজারী হয়ে,
নিঃসঙ্গ তারা
জানালার পর্দাটা সরিয়ে
রাতের আকাশের পানে তাকাই
একটি মিটিমিটি তারা জ্বলে একাকী
তুমিহীনতায় নিবুনিবু আলোয়।
ভ্যাকেশনঃছুটি গল্পের ক্যাডেট কলেজ ভার্সন!
বালকদিগের সর্দার ক্যাডেট ফটিকের মাথায় চট করিয়া এক নতুন ভাবোদয় হইল!কক্ষে সপ্তম শ্রেণীর এক কনিষ্ঠ ক্যাডেট তাহার অধীনে ছিল;স্থির হইল,তাহাকে অভিনব কৌশলে শাস্তি দেওয়া হইবে!
ক্যাডেট কলেজে কনিষ্ঠদেরকে শাস্তি প্রদানের বিচিত্রসব কৌশল বিরাজমান!তাহার উদ্ভাবিত এই নতুন ধরণের শাস্তির আতিশয্যে উক্ত কনিষ্ঠের যে কতখানি বিরক্তিবোধ হইবে তাহা উপলব্ধি করিয়া ফটিক শিহরিত হইতে লাগিল!
প্রেপ হইতে ফিরিয়া ফটিক অপেক্ষা করিতে লাগিল!কিয়ৎকাল পরে মাখন নামের সেই কনিষ্ঠ বালক কক্ষে প্রবেশের অনুমতি চাইবার জন্যে দ্বারে আসিয়া দাড়াইয়া কহিল,মে আই কাম ইন প্লিজ!ফটিকের নেত্র উজ্জ্বল হইল,প্রবেশের অনুমতি দিয়া সে বালককে তাহার নিকটে আসিতে বলিল!বালক এমনিতেই ফটিকের নিদারুন অত্যাচারে জড়োসড়ো হইয়া থাকিত,তথাপি তাহার এইরূপ ডাকে এবং ফটিকের ঠোঁটের কোণে কেমন হাসি খেলা করিতেছে লক্ষ্য করিয়া আরো ভীত কাচুমাচু হইয়া ফটিকের সামনে আসিয়া দাড়াইল!ফটিকের হাসি মুছিয়া সেখানে গম্ভীর থমথমে ভাব চলিয়া আসিল!গলাটুকু আরো গম্ভীর করিয়া সে কহিল,আজ প্রেপে যাবার সময় রুম থেকে বেরোবার পারমিশন নাওনি কেন?মাখন হতভম্ব হইয়া গেল।মাগরিবের পর হাউজে আসিয়া অতিশয় দ্রুততার সহিত পোশাক পরিবর্তন করিয়া বাঁশি পড়িবার পূর্বের তাহাদের ফলইনে চলিয়া যাইতে হয়!গত সপ্তাহে এই নিয়ে ১০ মিনিট লং আপ আর ৫০ টা পুশ আপ দেবার পর আর কোনদিন অনুমতি নিতে ভুলে নাই!আজ এই ভুল করার প্রশ্নই আসে না!তাহার স্পষ্ট মনে আছে,আজো ইহার ব্যতিক্রম হয় নাই!কিন্তু ভাবিয়া দেখিল তর্ক করা বৃথা।অতএব চুপ থাকাকেই শ্রেয় ভাবিয়া অধোমুখে পদযুগলের পানে চাহিয়া রহিল!ফটিক আবার জিজ্ঞাসা করিল,পারমিশন নাও নি কেন?বালক এবারও চুপ!ফটিক আর নিজেকে ঢরিয়া রাখিতে পারিল না,মাখনের চুপ থাকাকে তাহার উপহাসের মতন বিঁধিল!অতএব তাহার গন্ডদেশে চপেটাঘাত করিয়া এইরূপ উদ্ধত আচরণের উপযুক্ত শাস্তি দিয়া দিল!চড় খাইয়া মাখন এইবার মুখ খুলিল,বলিল,ভাইয়া,আমি তো পারমিশন নিয়েছিলাম!ফটিক দেখিল অবস্থা বেগতিক,মাখন সত্যই বলিতেছে,চড় দেওয়া উচিত হয় নাই!আবার মনে ভাবিলসে তো পারমিশন না নেওয়ার জন্য শাস্তি দেয় নাই,তাহার প্রশ্নে নিরুত্তর থাকিয়া তাহাকে অধৈর্য্য করিবার অপরাধে অমন শাস্তি!
কাঠাঁল পাড়ার ঘটনা
ক্লাস এইটে ওঠার পরেই কলেজের আম পাড়তে শুরু করি । মিল্কব্রেক টাইমে জুনিয়রদের ফল ইনের সাথে আগে আগে চলে আসতাম আর আম গাছ থেকে আম পাড়তাম । পাড়ার পর তা পাশের ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে রাখতাম আর লাঞ্চের পর হসপিটালে যেতাম । যখন সবাই ডাইনিং হল থেকে নেমে যেত তখন ঐ ঝোপ থেকে আম গুলা নিয়া আসতাম । হাউসে এন্টিকাটার ছিল আর ডাইনিং হল থেকে লবণ নিয়ে আসতাম ।
বিস্তারিত»চাঁদনী পহর রাতে
চাঁদনী পহর নিঝুম রাতে আজি
সঙ্গী তুমি হও যদি আজ রাজি
যাবো মোরা দূর মধুবনে
বসবো আমি বিভোর তোমার সনে
গাইবো আমি গলা ছেড়ে গান
তোমার কাছে
তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখি
তোমাকে নিয়ে গল্প
নিয়েছি তোমায় করে আপন
করে অল্প অল্প।
হাসো তুমি মিস্টি সুরে
কথা বলো স্বল্প
হৃদয় আমার জুড়ে আছো
জুড়ে আমার কল্প।
ফাঁকি
মানিক কিংবা বুদ্ধদেবের মতো যারা,-সকলে
পড়ে আছে ভাঙ্গা কাঠের বাক্সে,অবহেলে-
দুই মলাটের ভাজে!-পোকারা তাদের
বুক চিঁড়ে খুজে পেয়েছে পথ-স্বাদের!
একদিন আমিও খুঁজেছিনু পথ,ও পথে
পেয়েছি কত বোধ-প্রবোধ-সৎ বিজ্ঞাতা;সেই হতে
কত দর্শনে ভারাক্রান্ত হয়েছে হৃদয়,
এখন সেইসব কেবল ফাঁকি বলে মনে হয়!
গল্পঃ কাঠের সেনাপতি
আব্বার সাথে রাশেদের আজ আশ্চর্য শত্রুতা। আজ সারাদিন, দিনমান। ছোট্ট চায়ের টেবলের দু’পাশে ওরা দু’জন ঠিক দুই যুযুধানের মতন দাবার গুটি নিয়ে বসে আছে সকাল থেকে। কখনও গালে হাত, কখনও বাঁকানো ভ্রু, কখনও চুপচাপ।
আব্বার অফিস ছুটি আজ, রাশেদের ইশকুলও তাই। ওদের সারা ঘরে ছুটির আমেজ এলিয়ে আছে, বসার ঘর থেকে রান্নাঘর, সেখান থেকে বারান্দায়, সবখানে। আপাতত শুধু ছুটি নেই দুজনের মাথার ভেতর, তুমুল তান্ডব তাতে,
যদি পাইতাম- ০২
যদি পাইতাম- [১]
ছবিগুলো নিউ ইয়র্ক কার শো,এপ্রিল ২০০৯ এর। জানি না গাড়ি নিয়ে কার আগ্রহ কেমন। ভালো লাগতেও পারে। না লাগলে আমার ব্যান চাই।
অন্বেষণঃএকটি সামুদ্রিক কবিতা
কতদিন ধরে কাঠের জাহাজে ভেসে ভেসে
চলেছি লোনা সাগরের অফুরান নীল জল ঘেঁষে
দু’পাশে দু’হাত ছড়িয়ে,হাওয়ায় রেখে বুক-
পেয়েছি অবিরল সুখ,
চারিদিকে তরলের ভীড়ে শাদা ফেনার মতন,
উচ্ছ্বাসে উথলে উঠেছে মন!