গল্পঃ কাঠের সেনাপতি

আব্বার সাথে রাশেদের আজ আশ্চর্য শত্রুতা। আজ সারাদিন, দিনমান। ছোট্ট চায়ের টেবলের দু’পাশে ওরা দু’জন ঠিক দুই যুযুধানের মতন দাবার গুটি নিয়ে বসে আছে সকাল থেকে। কখনও গালে হাত, কখনও বাঁকানো ভ্রু, কখনও চুপচাপ।
আব্বার অফিস ছুটি আজ, রাশেদের ইশকুলও তাই। ওদের সারা ঘরে ছুটির আমেজ এলিয়ে আছে, বসার ঘর থেকে রান্নাঘর, সেখান থেকে বারান্দায়, সবখানে। আপাতত শুধু ছুটি নেই দুজনের মাথার ভেতর, তুমুল তান্ডব তাতে, যুদ্ধ পরিকল্পনায় ব্যস্ত, আর বাইরে তবু বেশ নিরাবেগ, অথবা ভঙ্গিটা সেরকমই, খাঁজ কাটা সুন্দর কাঠের সাদা কালো সৈন্যদের ওরা লেলিয়ে দেয় একে অপরের দিকে। একটা অদ্ভুত দৃশ্য যেন টুপ করে বসে পড়ে টেবলের চারপাশ ঘিরে, যেন ঢাল-তলোয়ার হাতে দুই সৈন্য, যুদ্ধের ময়দানে পরস্পরের মুখোমুখি।

দাবা, আসলে বুদ্ধিরই খেলা, দু’জনের কেউই তাই হার মানতে রাজি নয়। কেউ কেউ জানে, কেউ জানে না, দাবার ছক কাটা বর্গাকার ঘরগুলোকে পেরিয়ে যেতেও বাস্তবিক, যোদ্ধাসুলভ একটা দক্ষতার খুব প্রয়োজন হয়। আব্বার সাদা গুটি হয়ত পেছন থেকে তাড়া করে আসতে থাকে রাশেদের কালোর দিকে, আর রাশেদ তখন তার অলক্ষ্যে কাগজের ময়দানের অন্য কোন পার্শ্বে হয়তো তার অন্য কোন গুটি মেরে ফেলার তীব্র ষড়যন্ত্রে টগবগ করছে!

তাদের এই লড়াইয়ের মূল দর্শক রাশেদের আম্মা। দু’জনের ঠিক পাশেই একটা ইজি চেয়ারে আম্মা শুয়ে-বসে পা দুলিয়ে দুলিয়ে চা খাচ্ছে। পা দোলানো এবং চা খাওয়া, এই দুটো কাজ একসাথে কী করে হয় এই নিয়ে অনেক ভেবেছে রাশেদ, কিন্তু কোন কূল কিনারা পায়নি, যেমন পায়নি খেলার সময় আব্বার ক্রমশ কঠিন হয়ে ওঠা মুখের কারণও।

আম্মাকে জিজ্ঞেস করে রাশেদ, আম্মা, তুমি কার দলে, আমার না আব্বার?
আম্মা চা খাবার ফাঁকে ফিক ফিক করে হাসে। বলে, ইশ, আসছে রে আমার সোহরাব আর রুস্তম!

ঘরের পাশটিতেই একটা লম্বা ছাতিম গাছ। লম্বা মানে উঁচু, অনেক উঁচু; মোটামুটি চারপাশের সবাইকে ছাড়িয়ে সোজা ওপরে উড়াল দেবার চিন্তায় মশগুল সে। বাইরে থেকে বাউন্ডুলে হাওয়ারা মাঝে মাঝে ছাতিম গাছটার কাছ থেকে তীব্র কিছু গন্ধ ধার করে নিয়ে আসে ঘরে। সেই গন্ধ বাপ-ব্যাটার এই যুদ্ধক্ষেত্রে বারুদের গন্ধ হয়ে ভেসে বেড়ায়। দুয়েকটা পথভোলা চড়ুই যখন ঘরে ঢুকে পড়ে বেরুবার আর জায়গা পায় না, তারপর অস্থির হয়ে এ দেয়াল থেকে ও দেয়ালে ছুটে বেড়ায়, রাশেদের মনে হয়, ওরা যেন গুপ্তচরের মত টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে শত্রুপক্ষের খবর নিতে।

বসার ঘরে, এই দুই অসমবয়েসী সেনাপতির গম্ভীর যুদ্ধের আর একজন দর্শকও আছেন। দৃশ্যপটে উপস্থিত তিনি, তবে এক পাশে, মানে বাম দিকের দেয়ালে তিনি বসে, একটা আঙুল শূণ্যে উঁচিয়ে অনেকগুলো মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। একটা কালো কোট পরণে তাঁর, একটা চারকোণা ফ্রেমের কালো চশমা, কাঁচা পাকা গোঁফ। সামনের মানুষগুলোর মুখ স্পষ্ট নয়, রাশেদ তবু যতবার এই ছবির দিকে তাকায়, মনে হয়, প্রত্যেকেই কেমন যেন ঘোরের মধ্যে আছে তারা। একটা সম্মোহনী দৃষ্টি নিয়ে তারা তাকিয়ে আছে সবাই কালো কোটের দিকে। বাঁশী নেই হাতে, তবু শৈশবের অনেকগুলো দিন রাশেদ ভেবে এসেছে, এই ছবির লোকটাই হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালা।

এই ছবিটা আব্বার খুব প্রিয়। এরকমই জানে রাশেদ, তবু মাঝে মাঝে খানিকটা গোলমেলে লাগে ওর কাছে। যখন কোন কোন রাতে খুব শ্রান্ত হয়ে আব্বা বাড়ি ফিরে, এবং হয়ত দাপ্তরিক কোন কাজে তার ভীষণ বিরক্তি এসেছে, হয়তো কোন কারণে খুব ক্ষিপ্ত কারও ওপর, আব্বা কাপড় না বদলেই সোজা ঐ ছবিটার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, অনেকক্ষণ অপলক তাকিয়ে থাকে ছবিটার দিকে, নির্নিমেষ, চোখে অভিমান, তাই কী? রাশেদ নিশ্চিত নয়।

বারুদের গন্ধ চারপাশে, যুদ্ধের ময়দান, ফুরসত নেই, তবু দাবার বোর্ড থেকে মাঝে মাঝে চোখ সরিয়ে নিয়ে রাশেদ দেখে, ছবির ভেতরকার সেই সুদর্শন মানুষটার মুখের ভাবের কোন পরিবর্তন হয় না, অবিচল একই ভাবে আঙুল উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি, আর ছবির বাকি মানুষেরাও একই ভাবে মন্ত্রমুগ্ধের মতন তাকিয়ে থাকে সেই আঙুলের দিকে, যেন নড়ে উঠলেই, একটা খুব গভীর কিছু হয়ে যাবে, একটা ভীষণ ওলট পালট কিছু।

আব্বা খুব সময় নিচ্ছে আজ প্রতি চালে, মাথা একটু ঝুঁকিয়ে বোর্ডের দিকে তাকিয়ে আছে সারাক্ষণ। রাশেদ একটু অস্থির হয়ে ওঠে। ও গলায় তাড়া এনে বলে, আব্বা, চাল দাও।
টিভিতে তখন অনেক পুরনো দিনের ছবি দেখাচ্ছে, অগণিত সাদা কালো মানুষের ছড়াছড়ি; অনেক চীৎকার, সবাই খুব দৌড়ুচ্ছে দিকবিদিক, মাঝে মাঝে গুলির শব্দও। আব্বা তার মাঝ থেকেই মাথা ঝাঁকিয়ে ওঠে, হুম, দিচ্ছি।

মজার ব্যাপার হলো, ও নাকি পড়তে চাইতো না ছোটবেলায়, কিন্তু কি আশ্চর্য, বড় হতে হতে রাশেদ ক্রমশ উইপোকা বনে যায়। একেকটা বই হাতে পেলে দিন রাত ভুলে গিয়ে সারাদিন শুধু পড়তে থাকে। আম্মা খানিকটা বকা ঝকা করে এই নিয়ে, কিন্তু আব্বা খুব খুশি।
পড়তে পড়তে, কোন একদিন, সম্ভবত সেদিন ছাতিমের গন্ধ আবারও ভুল করে ঢুকে পড়েছিলো ওদের ঘরে, দুয়েকটা চড়ুইয়ের ডানায় চেপে। আর রাশেদ সেদিন, ওর আশপাশে চড়ুইয়ের মতই উড়তে থাকা অনেকগুলো ওলটপালট শব্দকে ধরে ধরে খাতায় বসিয়ে দিয়েছিলো। বিকেল হলে আব্বা যখন বাড়ি ফিরে, রাশেদ ভীষণ সংকোচে সেই সার-বাঁধা চড়ুইগুলো নিয়ে আব্বার সামনে হাজির হয়, আর আব্বা সেদিকে এক পলক তাকিয়েই বলে ওঠে, ওরে বাবা, কী সর্বনাশ, তুই কবিতা লিখে ফেলেছিস!

তারপরে একটা কান্ড হলো, রাশেদকে প্রায়শই লজ্জায় ফেলে দিয়ে আব্বা ওদের বাসায় বেড়াতে আসা সব অতিথিদের একদম ঢাক বাজিয়ে জানিয়ে দিতো যে ও ইদানিং কবিতা লিখে। কী লজ্জা কী লজ্জা! একবার শীলু খালাদের বাসায় ওরা বিকেলে বেড়াতে গেছে, চা খেতে খেতে আব্বা ঠিক ফুটবল রেফারীর তীব্র বাঁশীর মত করে ঘোষণা দিয়ে বসলেন, শীলু, আমাদের রাশেদ তো খুব সুন্দর কবিতা লিখে।
রাশেদ তখন কেবলই একটা মজার বিস্কুট মুখে তুলেছে, সেখানেই ওর হাতটা আটকে যায়। শীলু খালা উচ্ছ্বসিত গলায় বলে, তাই নাকি রে রাশেদ, সত্যি?
ও কিছু বলার আগেই আব্বা বলে ওঠে, হ্যাঁ তো, এই রাশেদ, এক্ষুণি একটা কবিতা লিখে দে তো।
ওর রীতিমত কান্না পেয়েছিলো তখন। আব্বাটা এমন বোকা কেন? এরকম হুট করে যে কবিতা লেখা যায় না এটা আব্বা জানে না!
শীলু খালা ঠিক বুঝতে পারে, বলে, থাক থাক, এখুনি লিখবে কি? সময় লাগে না ওসবে? পরে লিখে আমাকে দেখালেই হবে।

এই সব ভাবতে ভাবতে কালো ঘরের হাতিটাকে আব্বার নৌকার কোনাকুনি তিন ঘর পেছনে এনে বসায় রাশেদ। একটা শুষ্ক হুমকির মতন ওটা সেখানে বসে থাকে। রাশেদ আড়চোখে তাকিয়ে দেখে, আব্বার মাথার চুল এমনিতেই সব এলোমেলো হয়ে আছে, আর এবারের চাল দেবার পরে চোখ একবার ছোট হয়ে যাচ্ছে, আবার বড়ো। চালটা তাহলে বেশ ভাল হয়েছে, ভাবতে থাকে সে।

রাশেদের কবিতারা আজকাল যত্নে গড়া একেকটা পাখির বাসার রূপ নিচ্ছে প্রায়শই। একদম আনাড়ি বা পাখিদের ওড়াওড়ি আপাতত নেই আর ওগুলোয়। তারচেয়ে বরং বেশ আরামপ্রদ চেহারা পাচ্ছে কবিতাগুলো, পড়তেও প্রশান্তিবোধ হয়, আব্বার ভাল লাগে। সেগুলো পড়বার সময় আব্বার ক্রমশ উজ্জ্বল হয়ে আসা চোখের দিকে তাকিয়ে রাশেদ মনে মনে ভাবে, একদিন কোনদিন রাশেদ আব্বার যুদ্ধজীবনের গল্প নিয়েও এরকমই পাখির বাসা বানাবে, নিশ্চয়ই।

দু’জনের মাথায়ই নির্ঘাত এরকম বিচ্ছিন্ন ভাবনারা নাগরদোলার মতন দুলতে থাকে, কিন্তু তার বহিঃপ্রকাশ নেই একদম। বরং দ্বৈরথ ক্রমশ জমে ওঠে। যুদ্ধ পরিকল্পনা বদলে বদলে যায়। অদৃশ্য বর্মের আড়ালে দুজনের দৃশ্যমান ঘাম আম্মাকে বেশ আনন্দ দেয়। আম্মা আরেক কাপ চা আনতে ভেতরে যায় তখন।

সপ্তাহের মাঝামাঝি এরকম আলটপকা ছুটির দিনগুলো কীরকম ছটফটে ভালোলাগায় কেটে কেটে যায়। পাড়ার মাইকে আজ সারাদিনই গমগমে কন্ঠের বক্তৃতা বাজছে, চলতি বাংলায় কেউ একজন প্রাণোচ্ছ্বল ভঙ্গিতে কথা বলে যাচ্ছেন। আর সোফার অন্য পাশে বসে রাশেদ দেখতে পাচ্ছিলো দেয়ালের ওই লোকটাই কেমন করে যেন টিভির ভেতরে আজ ঢুকে পড়েছেন, প্রায় সারাক্ষণই ঘুরে ফিরে তাঁকেই দেখা যাচ্ছে পর্দায়। মাঝে মাঝে সাথের মানুষদেরও। ওখানে উনি হাত নেড়ে নেড়ে কথা বলছেন, আর এক সমুদ্র মানুষ সেখানে তাঁর সাথে সাথে সাড়া দিচ্ছে।

ঠিক সামনে বসেই খেলছে আব্বা, তবু যেন মাঝে মাঝে সেই জনসমুদ্রের মাঝখান থেকে তাকে তুলে আনছিলো রাশেদ। ও বুঝতে পারে, আনমনা হয়ে থাকা আব্বার আজ খেলায় একদমই মন নেই, এর মাঝে একটা ভুল চাল দিয়ে ফেলেছে, এবং অন্য যে কোন দিনের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে আব্বা সেটা এখনও টের পায়নি। যখন মৃদু স্বরে রাশেদ ডাকছিলো মাঝে মাঝে, আব্বা তখন যেন ঠিক দেয়ালের ওপাশ থেকে সাড়া দিচ্ছিলো।
ক্রমশ খেলা জমে ওঠে। যুদ্ধ থামে না ওদের, বরং চাল পাল্টা চালে সেটা দৃপ্ত ভঙ্গিতে এগুতে থাকে। রাশেদদের বসার ঘরে ছাতিমের গন্ধ, আর টিভির ভেতরে একটা মানুষ, হাজার মানুষ, লাখো মানুষ নড়ে চড়ে যায়।

টিভি পর্দায় হুট করে একটু আলোড়ন হয়। সেই চশমা পড়া লোকটাকে দেখা যায় একটা ধবধবে সাদা রঙের বিমান থেকে নামছেন। আব্বা এবারে ঘাড় ফিরিয়ে টিভির দিকে তাকিয়ে থাকে, সেই কালো কোট আর চারকোণা চশমার দিকে। রাশেদ টের পায়, হুট করেই আব্বার মন সরে গেছে যেন, সাদা রঙের মন্ত্রীটা দুম করে খেয়ে ফেলে সে, কিন্তু কোন ভাবান্তর দেখে না প্রতিপক্ষের, তার চোখ তখনো অপলক টিভি পর্দার সাদা-কালো ছায়ার দিকে।

চারপাশ খানিক দেখে শুনে নিয়ে রাশেদ তার ঘোড়া এগিয়ে দেয় আব্বার সাদা রাজার দিকে। ঘোড়ার সঙ্গী হয় রাশেদের মন্ত্রী, অন্যপাশে রাজার পিছুবার পথ জুড়ে দাঁড়িয়ে একটা শুটকো পটকা হাতি। আব্বা একবার চোখ ফিরিয়ে তাকায় সেদিকে, ভুরু বেঁকে যায়। রাশেদ একটা মুচকি হাসি দেয়, এটা একেবারে মোক্ষম একটা চাল। আব্বা একটু ঝুঁকে আসে দাবা বোর্ডের দিকে, আব্বাকে কেমন গুটিয়ে পড়া লাগে রাশেদের কাছে, কেমন ছোট হয়ে আছে যেন। কিন্তু সেটা কেবল এক পলকের জন্যে, আব্বা আবারও চোখ ঘুরিয়ে নেয় টিভির দিকে, পর্দায় তখন দেয়ালের ওই লোকটার ছবি। রাশেদ দেখে আব্বা কেমন হাঁসফাস করে ওঠে, তখুনি হঠাৎ পর্দার ছবি বদলে যায়, এতক্ষণের প্রাণোচ্ছল ছবির লোকটাকে হঠাৎই দেখা যায় সিঁড়ির ওপর অদ্ভুত ভঙ্গিতে বসে আছে, চিরকালীন কালো ফ্রেমের চশমা নেই চোখে, চোখ দুটো বোজা, চুল এলোমেলো। দেয়াল ধরে উড়তে থাকা চড়ুইগুলো কখন যেন থেমে গেছে, ছাতিমের গন্ধটা ঘরের মাঝামাঝি কোথাও মেঝে অব্দি ঝুলে আছে ছাদ থেকে। আব্বার থমথমে মুখ খেয়াল করে না রাশেদ, ও অস্থির হয়ে ওঠে, কিস্তি মাতের চাল, তবু দেখছে না কেন! ও বলে ওঠে, আব্বা, তোমার রাজা বাঁচাও!
আব্বা হঠাৎই সম্বিত ফিরে পায়, চকিতে টিভি থেকে চোখ সরিয়ে দাবার বোর্ডের দিকে কেমন অচেনা দৃষ্টিতে তাকায়। দু’বার বিড়বিড় করে রাশেদের কথার প্রতিধ্বনি করে ওঠে আব্বা, রাজা বাঁচাও, রাজা বাঁচাও!
অকস্মাৎ কী হয় তার, সোজা দাঁড়িয়ে আব্বা অস্ফুট একটা চিৎকার দেয়, আর হাতের এক জোরালো ঝাপটায় মেঝেতে উল্টে দেয় দাবার বোর্ড!

বিমূঢ় হয়ে রাশেদ সেদিকে তাকিয়ে থাকে, মেঝেতে এক পাশে উল্টে পড়ে আছে সাদা রঙের রাজা। চারপাশে কেউ নেই, কিছু নেই, তবু যেন কিছু ছোপ ছোপ রক্ত।

—————–
মু. নূরুল হাসান
২০ এপ্রিল, ২০০৯

( গুরুচন্ডা৯ পত্রিকায় প্রকাশিত , সিসিবির পাঠকদের সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্যে এখানে দিলাম।)

৫,৭৭৫ বার দেখা হয়েছে

৪৫ টি মন্তব্য : “গল্পঃ কাঠের সেনাপতি”

  1. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    বখতিয়ারের সপ্তদশ অশ্বারোহীর মত বলশালী হয়েছে।
    এরকম আর কয়েকটা গল্প লিখলেই ইলিয়াসের ২৮ টি গল্পের মতো তোরও গল্প সঙ্কলন হয়ে যাবে।

    তোর পাঁচতারা ফেরত দিয়া গেলাম।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
    • তারেক (৯৪ - ০০)

      তোর মুখে ফুলচন্দন পড়ুক।
      কিন্তু মুশকিল হচ্ছে নিজের লেখা বার কয়েক পড়লে আমার অভক্তি চলে আসে, মনে হয় এসব কি আজেবাজে জিনিস লিখছি!
      এই গল্পটায়ও এখন অনেক অনেক ভুল চোখে পড়ছে, এজন্যে মেজাজ খারাঅ লাগছে।
      আর, সংকলন করে কী হবে? তুই কি কিনবি? 😀


      www.tareqnurulhasan.com

      জবাব দিন
  2. শাহরিয়ার (২০০৪-২০১০)

    আগেই পড়েছিলাম...আসধারণ!কাঠামোটা জ়োশ!!!!কিন্তু আগে জানতাম না এইটা ক্যাডেটের কাজ...এখন জেনে আরো বেশী ভালো লাগলো! :boss: :boss: এত চিন্তা করে লিখেন কেমনে???


    People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.

    জবাব দিন
  3. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    তোমারে কইছিলাম তো মেইলে। তোমার কথাও পড়লাম। তাও কই সমান্তরাল কে যদি বেঞ্চমার্ক ধরি তাইলে এর কাছাকাছি হইছে এই গল্পটা, সমান হয় নাই।

    লাগে রহো মুন্না ভাই।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  4. তাইফুর (৯২-৯৮)

    আগেই পড়ছি ... ওইখানে কমেন্টাই নাই ... অন্য লোকের বাড়ি গিয়া আমি কথা কম কই।

    তোর জন্মস্থান, তারিখ, বাপের নাম, মায়ের নাম ... বিত্তান্ত, ডিটেইলস পাঠা ... "আমার প্রিয় লেখক" রচনা লিখব।


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  5. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    "রাজা বাঁচাও, রাজা বাঁচাও, রাজা বাঁচাও, রাজা বাঁচাও, রাজা.........।" তুমি তো আমাকে এলোমেলো করে দিলে ভাই! মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল।

    এরপরে লেইট করে আসলে এক্সকিউজ চিট নিয়াসবা। বুঝছো?

    আমারো লাগবো মনে হয়! বিষয়, ভাষা, কাঠামো- সবটাতেই এ+ তারেক।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।