১.
খুব সম্ভবত ক্লাস নাইনের ঘটনা। আমাদের পছন্দের বাংলার এক ম্যাডাম ক্লাসে এসে আমাদেরকে একটা দরখাস্ত লিখতে বললেন। বিষয়- গ্রামে একটা দাতব্য হাসপাতাল স্থাপনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন । খুব ভালো কথা, আমিও ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে দরখাস্ত লিখতে বসে গেলাম। আমাদের গ্রামেই কেন লোকজনের দাঁতে খুব ব্যথা হয় এবং এই ব্যথা উপশমের জন্য কেন হাসপাতাল স্থাপন করা খুব জরুরী- এই সংক্রান্ত অনেক চাপাবাজী এক পৃষ্ঠার মধ্যে লিখে (দরখাস্ত এক পৃষ্ঠার মধ্যে লেখার নিয়ম ছিল) ম্যাডামের কাছে জমা দিয়ে দিলাম।
অসংলগ্ন ভাবনাচিন্তা ……… বয়েস এবং পেশা পর্ব
অনেক প্রস্তুতি নেয়া সত্ত্বেও ম্যাচটা মিস করলাম। একেবারে ঠিক খেলা শুরু হবার ত্রিশ মিনিট আগে টেরও পেলাম না কখন ঘুমিয়ে পড়েছি। সাড়ে বারোটার পরে ঘুম থেকে উঠে দুরুদুরু বুকে লাইভস্কোরের ওয়েব সাইটটা খুলে দেখি ব্রাজিল জিতেছে। কলেজে থাকতে দেড়টা বিশ্বকাপ পেয়েছিলাম। ৯৪ সালেরটা গোটাটাই কলেজে দেখেছি, ৯৮ সালেরটাতে, সম্ভবত, কোয়ার্টার ফাইনালের সময় আমরা এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি চলে যাই। ২০০২ এর সময় বুয়েট বন্ধ থাকার কারনে খেলাগুলো দেখেছিলাম আকিকের বাসায়।
বিস্তারিত»ভালোবাসার বন্ধুত্ব- ১৪
আমার কষ্টগুলো ……
আমিই তো তোর সব চিনি!
আমি তোর সব চিনি,তোর মেখলা হাসা
ঠোঁট ফুলিয়ে মান করা,ফের ভালোবাসা!
তোর গালে কি ছোট্ট কালো তিল আছে?
অন্ধকারের মতন কালো চুলের খোঁপায়
আলতো করে গুঁজে দেওয়া রক্তজবা
আজো আমার চোখে যেন বিঁধে আছে!
আমাদের রসায়ন শিক্ষা
স্যার এর নামটা বললাম না।তবে যারা বেশি কৌতুহলি তাদের জন্য একটু সহজ করে দিলাম। ইংরেজিতে স্যার এর নাম দাঁড়ায় cowboy catch the moon. কেউ যদি চিনে ফেলেন তার জন্য আমি দায়ী নই।যাই হোক কাজের কথায় আসি।স্যার পড়ান খুবই চমৎকার।ওনার পড়ানোর ধরনটা তবে একটু ভিন্নধর্মী।অনেকের হয়ত মনে আছে এসএসসির বইতে অধাতুর একটা অধ্যায় ছিল।তার একটা বিশাল অংশ জুড়ে ছিল সালফার।সেই সালফার স্যার আমাদের এমন ভাবে পড়িয়েছেন যে আজো ভুলিনি।তাই স্যার এর মত করেই আজকে শিখব-
‘‘আজকে আমরা পড়বো সালফার।তোরা জানিস ইহা অধাতু ।তবে ইহার চরিত্র মোটে ও ভালনা।
পাঠকের ডায়েরীঃ ঘর ভরতি মানুষ অথবা নৈঃশব্দ
বাংলা সাহিত্যের এখন যারা লিখছেন মানে নবীন লেখক তাদের কাজের সাথে আমার সেই অর্থে কোন পরিচয় নেই। মাঝে মাঝে কোন সাহিত্য সাময়িকীতে বা ঈদ সংখ্যায় হয়ত তাদের দুই একজনের লেখা পড়া হয়েছে। কিন্তু কোন লেখকের পূর্ণ একটা বই পড়া সেই অর্থে কোন নবীন লেখকদের সাথেই পরিচয় হয় নি। তাই আহমাদ মোস্তফা কামালের ঘর ভরতি মানুষ অথবা নৈঃশব্দ বইটা যখন পড়ার জন্য হাতে তুলে নেই তখন সেই অর্থে কোন উচ্চাশা মনে ছিল না,
বিস্তারিত»অন্তরে আয় অন্তরা
অন্তরে আয় অন্তরা
বুকের মৃদ্যু রক্ত স্রোতে আন ত্বরা
দুলিয়ে বাতাস সুবাস মাখা মন্থরা!
আমারে বল ঊষা রাঙা রোদ কোথা!
কোথায় নদী শুকিয়ে ধূলোর রূক্ষতা?
আমায় শোনা তোর ও বুকের দুঃখতা!
প্রসঙ্গঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং কিছু অগোছালো চিন্তাভাবনা
ক্রিকেট খেলায় আমি কতটুকু পারদর্শী, তা নিয়ে আমার ২য় ব্লগে অনেকটা লিখেছিলাম। যারা এই ব্লগের পুরাতন সদস্য তারা হয়তো মনে রেখেছেন। কিন্তু তারপরও আমি কিন্তু ক্রিকেট খেলা দেখতে খুব এনজয় করি। আমি যেখানে থাকি সেখানে মোবাইল এবং ইন্টারনেট না থাকলেও আমাদের নিজস্ব ডিস টিভি থাকার কল্যানে এবারকার বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলাগুলো দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। তাই ছোট্ট এই ছুটিতে এসে ভাবলাম, এই ক্রিকেট নিয়েই কিছু একটা লিখে ফেলি।
বিস্তারিত»ফ্যান্টাসী লীগ- সিসিবি ম্যানেজারদের আমলনামা ০৩
চলে গেল ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের আরেকটি সপ্তাহ, সাথে আমাদের ফ্যান্টাসী লীগেরও। এইটা নিয়ে কেন, কোন কিছু নিয়েই লেখা দেয়ার কোন ইচ্ছা আপাততঃ আমার ছিল না [আমি কাইয়ূম ভাইয়ের সেমিস্টার সিস্টেমে লেখা দেয়ার স্টাইল ফলো করছি কিনা ;;; ]। কিন্তু, আমার দুস্ত কামরুলের অনুরোধ ফেলতে পারলাম না, বসে পড়লাম লিখতে। যদিও দূর্জনেরা বলতে পারেন যে পরপর দুই সপ্তাহে প্রথমে থেকে ব্যাপক উৎসাহে লিখতে বসেছি, কিন্তু মনীষীরা বলে গেছেন দূর্জনের কথায় কান না দিতে।
বিস্তারিত»আমার কাল অক্ষরের নায়িকারা
০।
আপনি প্রথম কখন প্রেমে পড়েছিলেন? আমি কিন্তু পড়েছিলাম অনেক ছোট থাকতেই, এই ধরুন গিয়ে ক্লাস ফোর। বয়সটা অবশ্য তখন বেজায় ছোট কিন্তু তাতে কী। মন তো আর তাতে বসে থাকে না। শান্ত শিষ্ট আমাকে বালিকারা বরাবরই ভাল পায় না কিন্তু তাতে কী মন তো তাও পাত্তা দেয় না। তাই অনেক আগে ক্লাস ফোরে, ১৯৯৬ সালের কোন এক সকাল অথবা বিকাল বা দুপুর কিংবা রাতের বেলায় আমি প্রেমে পড়ে গেলাম।
দিনলিপি ০৫: হাবিজাবি
১।
সিসিবি ইদানিং খুব জমে উঠেছে। নতুন নতুন লেখক, বিভিন্ন ধরনের লেখা, জমজমাট কবিতার পোষ্ট, সানা ভাই এর অসাধারন ক্যাপশন সহ ছবিব্লগ ইত্যাদি পাচ্ছি প্রতিদিন। কোন পোষ্টের কমেন্টে যেনো দেখলাম রকিবের চায়ের দোকানেও নাকি ভালো আড্ডা হয়। কোনো কারন ছাড়া আমাদের অফিস থেকে আমি, তানভীর, টুম্পা কেউই চায়ের দোকানে আসতে পারি না। আরো জমে উঠেছে ফ্যান্টাসী লীগ। প্রথম সপ্তাহে দেখলাম নয়া জামাই খুব চমকের সাথে ১ম পজিশনে,
গল্পের খোঁজে
খটখট-খটাখট, কী-বোর্ডে আঙ্গুল চলছে বারবার। চারিদিকে আর কোন শব্দ নেই, আর কেউ নেই। সব ঘুম,
জেগে আছি শুধু আমি। লেখাটা আজকেই শেষ করতে হবে। কিন্তু সামনে এগোচ্ছে না কিছুই। যতই কী-বোর্ডে ঝড় তুলছি ততই বেকস্পেসে চাপ পরছে। কালকেই ম্যাগজিনের জন্য গল্প জমা দেবার শেষ তারিখ। বুঝে উঠতে পারছি না কিছুই কারণ রাত শেষ হতে বেশী বাকী নেই কিন্তু গল্পের এখনো অনেক বাকী।
সন্ধ্যায় মাথায় আসা গল্পের প্লটটা দারুন।
বিস্তারিত»রূপবিলাস (শেষ)
৭.
টেবিলটা খালি পরে আছে, সাথে চেয়ারটাও। মানুষটা নেই। সকাল থেকে ফোনগুলো সৌরভ-ই
ধরছে। বিরক্তিকর কাজ। বারকয়েক তার ইচ্ছে হয়েছে ফোনটা ছুড়ে ফেলে দিতে কিংবা তার ছিঁড়ে
ফেলতে। দীঘি এত ধৈর্য্য কোথায় পায় বুঝে না সৌরভ। দীঘি আজ আসেনি, ফোন করেছিল অসুস্থ । সেদিনও কত চটপটে ছিল, এক রাতের মধ্যেই কি এমন হয়ে গেল!
পেত্নী আছর…!!
…অয়োময় ও যাভিয়েরকে….
১.
শ্যাওড়া গাছের পেত্নী কয়
আয় কাছে আয় অয়োময়
করমু তোরে বিয়া,
অবাক পোলা চাইয়্যা রয়
পেত্নী হলেও মন্দ নয়
দেখতে বড়ই “ইয়া”.. :shy: :shy: