আর কিছুদিন পরেই আসছে ৩রা জুন।আমাদের ব্যাচের(৯৯-০৫) জন্মদিন।১৯৯৯ সালের এইদিনেই কতিপয় বালক ও কিছু বালিকা তাদের বাসা থেকে বিতাড়িত হয়েছিল।সেদিন তাদের মন ছিল কষ্টে ভারাক্রান্ত।চোখের কোণা ছিল জলে ভরা।সেদিন তাদের কান্নার ১০ম বছর পার হতে যাচ্ছে।এরই মধ্যে তাদের জীবন নদীতে বয়ে গেছে অনেক জল-ধারা।কিন্তু তাদের আবেগে একবিন্দু ও ঘোলা হয়নি এত বছর পরেও।সেদিন তারা জানতো না,বুঝতেও পারেনি কেউ যে, জীবনের সবচাইতে মজার সময়টা তারা কাটাতে যাচ্ছে।
বিস্তারিত»জরুরি ঘোষনা……
কুমিল্লার যারা যারা এইখানে বড় ভাই,ছোটো ভাই…সবাইকে অনুরোধ করছি যেন নিচের লিঙ্ক এ গিয়ে সবাই registration করে এই পোস্ট পড়ার সাথে সাথে…।খুব জরুরি……
“www.acocdirectory.info”
বিস্তারিত»পুরনো প্রেমিকাদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে-
উহুঁ, আলাদা ফিস-টিস নেই
চাইলে, হাতে লেখা সাদা কাগজের একটা
ফরম দিতে পারি।
সেখানে নাম-ধাম লিখে-
সাথে পিতার বৈষয়িক বৃত্তান্ত,
এবং নীল না পেলে না হয় সাদা খামে পুরেই
আমার বুক পকেটে ফেলে যেও মেয়ে।
এলোমেলো-৩: বান্দরবান
রাজশাহী থেকে ঘুরে আসছি মাত্র দুই দিন হল- এমন সময়ে জনি বলল, “চল, এই উইকএন্ডে বান্দরবান ঘুরে আসি”। আমার যদি অনেক টাকা থাকত তাহলে আমি সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়াতাম। আফসোস্, এত টাকা তো আমার নাই! তারপরও আল্লাহ যা দিছেন তা দিয়ে আমার মত একলা মানুষের মোটামুটি দেশের এমাথা-ওমাথা ঘুরে আসা যায়। ফলাফল- জনির প্রস্তাবে আমি সাথে সাথে রাজী। অফিস থেকে বৃহস্পতিবার ছুটি নিতে হবে। বুধবার রাতে রওনা দিব,
বিস্তারিত»লাইভ ফ্রম কলেজ-১
ভ্যাকেশন শেষে কলেজে জয়েন করলাম আজ এক সপ্তাহ হল!এরইমধ্যে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কলেজ।অথচ হাপিয়ে উঠেছি এই ক’দিনেই।আরো প্রায় ৮৭ দিনের মত বাকি।ইদানিং এমন শুরু হয়েছে-একেকটা টার্ম তিনমাসেরও বেশী।আগে এটা দেখিনি,এ বছরই প্রথম।নতুন ক্লাস সেভেনের এটাই ফার্স্ট টার্ম।আমরা ক্লাস টুয়েলভই যদি বিরক্ত হয়ে উঠি সেখানে ওদের যে কী হবে!
অনেকগুলো কম্পিটিশন হয়ে গেছে।বাংলা স্পেলিং হল সোমবারে,বৃহস্পতিবার ইংলিশ স্পেলিং ২৫ তারিখ থেকে ভলিবল।সেই অজুহাতে সকালে পিটি করতে হয় না,প্লেয়ার বলে বেঁচে যাই!
না বলা কথন…
আমি যা লিখতে যাচ্ছি তা নিয়ে শত লেখা শত সহস্র জন লিখেছেন।আমি জানি আমার এই লেখার বিন্দুমাত্র মূল্য নাই।এই লেখা কিছুই করতে পারবে না।তবু পাগলের প্রলাপ হিসেবেই লিখছি।
সেদিন সকালে খাবার সময় পত্রিকায় সুন্দর একটা ছবি ছেপেছে রাহুল গান্ধির।ছবিটা দেখেই আব্বা বল্ল,”কত বিচক্ষন ছেলে!আর আমার দেশে আছে দুইজন নায়ক;দেখলেই মন ভাল হয়ে যায়।একজন তো সততার পরীক্ষায় প্রথম আরেকজন দেশের বাইরে থেকে দেশের মঙ্গলের জন্য পথ বাতলে দিচ্ছেন।হ্যা,আমি ভদ্রলোক তারেক জিয়া আর gentleman সজীব ওয়াজেদ জয় এর কথাই বলছি।
বিস্তারিত»দ্বিতীয় জন্ম
একদিন বাবা এসে জিজ্ঞেস করলেন, ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেব কিনা। ওই সময় ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারনা ছিলো না। শুধু এইটাই জানতাম, এটা এক ধরনের আবাসিক স্কুল। বছরে আট-নয় মাসের মতন বাসার বাইরে থাকতে হবে চিন্তা করতে ভালো লাগেনি। তারপরেও কি ভেবে রাজী হয়ে গেলাম, পরীক্ষা দিতে তো কোন সমস্যা নেই। কত তারিখে পরীক্ষা হয়েছিলো ভুলে গিয়েছি, শুধু মনে আছে মারাত্বক মাথা ব্যাথা নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলাম।
বিস্তারিত»এলোমেলো-২: ওয়ার্কশপ ও অন্যান্য
১.
অনেক বেসরকারী কোম্পানীতেই ওয়ার্কশপ বলে একটা ব্যবস্থা চালু আছে। সবাই মিলে অফিসের বাইরে একটা জায়গায় গিয়ে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে। আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে এইবার সিদ্ধান্ত নেয়া হল গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ব্র্যাক সেন্টারে ওয়ার্কশপ করা হবে (জায়গাটাকে BCDM বলে, কিন্তু এইটা মানে যে কি, তা আর জানা হলো না)। আলোচনার বিষয়বস্তু- আমাদের ডিপার্টমেন্টের পজিটিভ, নেগেটিভ দিকগুলো খুঁজে বের করা, কিভাবে নিজেদের আরও উন্নত করা যায়-এইসব হাবিজাবি আরও কত কি!
কুড়ানী —— মণীশ ঘটক
ফয়েজ ভাইয়ের আদেশ শিরোধার্য করে, মণীশ ঘটকের লেখা আমার খুবই প্রিয় একটা কবিতা, কুড়ানী দিয়ে দিলাম। এই কবিতাটি আমি পড়েছিলাম ক্লাস এইটের শেষ দিকে, সেই থেকে আমার খুবই প্রিয় একটা ফ্যান্টাসি —
বন্ধুত্ব ……… প্রনয় ……… পরিণয় ………
১
স্ফীত নাসারন্ধ্র. দু’টি ঠোঁট ফোলে রোষে,
নয়নে আগুন জ্বলে। তর্জিলা আক্রোশে
অষ্টমবর্ষীয়া গৌরী ঘাড় বাঁকাইয়া,
“খট্টাইশ, বান্দর, তরে করুম না বিয়া।”
দূরত্ব-
দূরত্ব
———
দুয়েকটা মাছরাঙার গলা টিপে দিতে মন চায়।
জানালা খুলে নির্নিমেষ চেয়ে থাকি।
চারটে বনভূমি পেরিয়ে- কোন এক বোকা মানবীর
অশ্রু ঝুলে থাকে মাকড়সার জালে;
আমি তাকে মধু ভেবে খেয়ে নিই।
আমি ছুয়ে দিতে গেলে-
সরে সরে যায় শুধু মেঘ।
আহা রঙধনু, তোমাকে মাখিয়ে মুখে
সুখ নিতে চাই, তাই, আকাশের সাথে
বাড়ে আমার শত্রুতা।
আজ ছেলেটার জন্মদিন
এখন ফেসবুকের যুগ, চাই কিংবা না চাই সবার জন্মদিনের কথা মনিটরের কোনায় ভেসে উঠবেই। তাই প্রতিদিন চেনা, আধাচেনা কিংবা অপরিচিত অনেককেই নেটের বিভিন্ন প্রান্তে শুভেচ্ছা জানিয়ে যাই অবিরাম। তবে এদের মাঝে অনেককেই আলাদা ভাবে শুভেচ্ছা জানাতে ইচ্ছে করে কিন্তু সবসময় কেন জানি হয়ে উঠে না।
এই ছেলেটা কে আমি চিনি নেটের মাধ্যমে আর ভাল করে বললে ব্লগ পাড়ার এক ব্লগ থেকে। তখন তার গুরুগম্ভীর লেখা-জোকা পড়ে আমার ধারানা হয়েছিল এইটা বিরাট কেউকেটা কেও একজন হবে।
বিস্তারিত»দিনলিপি ০২:আমি ইহাকে পাইলাম
ইদানিং সকাল থেকে দুপুরের মাঝে অচেনা পিএসটিএন নাম্বার থেকে ফোন পেলেই আতংকে থাকি। অচেনা নাম্বার থেকে ফোন করে সুমিষ্ঠ কন্ঠে বিভিন্ন ব্যাংকের বিভিন্ন অফার নিয়ে মিষ্টি, মিষ্টি কথা।বিরক্তিকর। স্যর ক্রেডিট কার্ড নেন, আমাদের এই লোন টা নেন, এই অফার টা আপনার জন্য বেষ্ট ইত্যাদি। অসহ্য হয়ে গেছি ইদানিং এইসব নিয়ে।
তাই ইদানিং পিএসটিএন থেকে কল আসলে পারতপক্ষে ধরি না।আজকে সকাল এ তেমনি ঘুম থেকেই উঠেই দেখি এক অচেনা নাম্বার থেকে ফোন এসেছিলো।
শেষ বিদায়ের ক্ষণে!
দেখতে দেখতে ভ্যাকেশনটা শেষ হয়ে গেক!২৭ দিন বাসায় ছিলাম!এখন শেষ মুহুর্তে মনটা কেমন যেন করে উঠছে!বুকের ভেতর ফাকা ফাকা! কেমন একটা হাহাকার!সব ফেলে যেন চলে যাচ্ছি,আমার খুব দামী কিছু একটা রয়ে যাচ্ছে এখানে!
প্রতিবার এই অনুভূতিগুলো হয়!উপেক্ষা করতে পারি না এই পরিচিত অনুভবকে!কাল রাতে লিস্ট হাতে নিয়ে আব্বু আম্মু ব্যাগ গুছিয়ে দিয়েছে!এখন খাকিড্রেস পড়ে আমিও রেডি…এক্ষুনি ব্যাগ হাতে করে আব্বুর সাথে বেরিয়ে যাবো!
অনেক কিছু ফেলে যাচ্ছি বাসায়!স্বাধীনতা মনে হয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণটা!সিসিবিতে লেখা একটা গল্প বাকি রয়ে গেছে…অসমাপ্ত।সময়ের অভাবে লেখা শেষ হয় নি!চেষ্টা করবো কলেজে গিয়ে করতে!
সরি মা
হঠাত আজকে মাকে খুব মিস করছি। মা তুমি কেমন আছো? দুনিয়ার সব মায়েরাই এতো ভালো কেনো? এই প্রথম বাংলালিঙ্কের কোনো এড আমার ভালো লেগেছে। যেনো একেবারে আমার মনের কথা। সরি মা। তোমাকে সবসময় কষ্ট দেয়ার জন্য, সরি তুমি সবকিছু সহ্য করে হাসি মুখে আশীর্বাদ করার জন্য।
মনে আছে কলেজে যখন চান্স পেলাম, বাবা বলেছিলো যাওয়া না যাওয়া তোমার ইচ্ছা। তুমি চান্স পেয়ে প্রমান করেছো,
এলোমেলো-১: আমার জানালা
আমার জানালাটা খুলে দিলেই আকাশটাকে স্পষ্ট দেখা যায়। সেই জানালাতে রাতের তারাগুলো উজ্জ্বল হয়ে জ্বলতে থাকে খুব কাছে। M কিংবা W আকৃতির ক্যাসিওপিয়াটাকে দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। তার একদম মাঝের তারা বরাবর তাকিয়ে আমি খুঁজতে থাকি ধ্রুবতারাটাকে। প্রশ্নবোধক চিহ্নের মত সাতটি তারার সপ্তর্ষিমন্ডলটাকেও চিনে ফেলি অনায়াসে। কিংবা মাঝে তিনটা উজ্জ্বল তারার বেল্ট পরা শিকারী কালপুরুষকে আমি লক্ষ্য করতে থাকি একদৃষ্টিতে। কালপুরুষের ছুড়ে দেয়া তীরটা ছুটে যেতে থাকে অনন্তের দিকে।
বিস্তারিত»