জীবনটা তেজপাতা

জীবনটা কেমন জানি তেজপাতা হয়ে যাচ্ছে। একই লুপ এ আটকা পড়ে গেছি। ~x(

সকাল এ ঘুম থেকে উঠে অফিস। অফিসে এ সারাদিন একি কাজ।দুপুর ২ টায় লাঞ্চ। প্রতি ঘন্টায় সিগারেট।
তারপর সন্ধায় অফিস শেষ করে বাসায় ফিরে ঘন্টাখানেক রিমোট নিয়ে টিভি এর চ্যানেল পালটানো। তারপর রাতের খাবার খেয়ে নেট এ কিছুক্ষন। তারপর আবার ঘুম, আবার সকাল এ অফিস…… x-(
শুক্র, শনি বন্ধ।তাতেও শান্তি নাই।

বিস্তারিত»

প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-৭ (শেষ পর্ব)

আগের পর্বগুলো –

পরদিন থেকে আমার চির পরিচিত দৈনন্দিন জীবন কেমন যেন পাল্টে যেতে শুরু করল। রাতে বিছানায় শুয়ে পড়ি তাড়াতাড়ি, সেই আগের সময়টাতেই। কিন্তু, চোখের পাতা দুটি যেন এক হতেই চায় না! জানালার পাশ দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকি আর ছাইপাশ চিন্তা করি। গভীর রাতে হয়ত ঘুমিয়ে পড়ি,

বিস্তারিত»

বৃষ্টিমুখর মিষ্টি ক্ষণে…

১.
রওশন বেগম শুয়ে পড়েছিলেন, হঠাৎ ঘুম ভাঙলো ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটায়। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, বেশি জোরে নয়, তবে খোলা জানালা গলে সবেগে ঢুকে পড়ছে দক্ষিনা বাতাস। পায়ের কাছ থেকে কাঁথাটা টেনে নিলেন গায়ে, হাল্কা শীত শীত লাগছে তাঁর, জানালাটা বন্ধ করা দরকার।
রওশন বেগম মশারী থেকে বেরিয়ে এলেন, লাইট জ্বালিয়ে জানালা আটকালেন। দেয়াল ঘড়িতে সবে ১টা বাজে, ছোট ছেলেটা হয়তো এখনো ঘুমোয়নি, বউদের রুমেও দেখে আসা দরকার।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট নাম্বার ৭৫৭

এই মাত্র সদস্য সংখ্যা হলো ৭৫৭। আমার ক্যাডেট নাম্বারও এটা। গত কয়েকদিন থেকেই অপেক্ষা করতেছিলাম কখন সদস্য ৭৫৭ হবে।সালেকীন (২০০২-২০০৮) হলো সিসিবি এর সদস্য নাম্বার ৭৫৭।

সব ক্যাডেট এর মতো আমারো সেই প্রথম দিন থেকেই জীবনের সব জায়গায় এই নাম্বার পাকাপোক্ত ভাবে লেগে আছে।

কোথায় নাই এই নাম্বার? মেইল এর ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এর অংশ , ওয়েব ডমেইন, এমনকি যখন আমি অফিস বা ভার্সিটি তে খেলার জার্সি নিতে যাই,

বিস্তারিত»

তানভীর বন্দনা

সিসিবি’র এক অনন্য প্রতিভাধর সদস্য তানভীর ভাই। :-B কুমিল্লার বিখ্যাত ১৫তম ব্যাচের (৯৪-০০) একজন স্বনামধন্য এক্স-ক্যাডেট, এরপর বুয়েটেও। পড়াশুনায় তার আগে কেউ ছিলনা কখনোই। বোর্ডের উভয় পরীক্ষায় স্ট্যান্ড, গোমতীর এসিস্ট্যান্ট হাউস প্রিফেক্ট, বর্তমানে জিপিতে। :boss:

আমার বড় সৌভাগ্য ছিল তার সাথে একই সময়ে একই কলেজে একই হাউসে থাকার। :guitar: বোধকরি ক্লাস এইটে উঠতেই ওনি আমার নজর কেড়ে নেন, কিন্তু সিনিয়রতো, কেবল দূর থেকে তাকে ফলো করি আমি,

বিস্তারিত»

রঙ পেন্সিল

মেঘে মেঘে নিকষ কালো দুপুর,
আলতা মেখে ফড়িং ওড়ে,
বৃষ্টি টাপুর টুপুর।

বৃষ্টি পড়ে উইপোকাদের গায়,
সূর্যমূখীর বুকের ভেতর
স্বপ্ন বাড়ি যায়।

আকাশ বেয়ে নামলো একটা পরী,
রূপনদীতে ডুবে ডুবে
কী করি, কী করি!

থাকুক না হয়, এমন করেই, যা-হোক,
আকাশ নদী মেঘ পরী আর
ছোট্ট একটা ডাহুক।

এমনি করেই,

বিস্তারিত»

যদি পাইতাম-০১

জানি না সিসিবি এর কারো গাড়ি নিয়ে আগ্রহ কেমন। আমার আবার ভালোই লাগে। তাই গাড়ি নিয়ে একটি সিরিজ করলে কেমন হয়?
নিচের ছবিগুলো শিকাগো কার শো, ২০০৯ এর। যেটা শুরু হয়েছিলো ১১ই ফেভ্রুয়ারী।

বিস্তারিত»

নিলামে উঠছে দেশ…

মোনাজাত উদ্দিনের কথা হয়ত অনেকেই ভুলে গেছেন। মফস্বল সংবাদের অগ্রপথিক এক সাংবাদিক। এখনও হয়ত মাঝে মাঝে তার মৃত্যুবার্ষিকীতে কোন কোন দৈনিক কাগজের ভিতরের কোন এক পৃষ্ঠায় ছোট্ট এক কোনে তার স্মরণে ছোট্ট করে সাংবাদিকতার দায় সারতে কেউ কেউ খবর ছাপিয়ে থাকেন। অনেক ছোট বেলায় তার দুই একটা বই পড়ার দুঃসাহস করেছিলাম, কলেজে থাকতেই। ‘লক্ষ্মীটারি’ তেমনি একটা বই।

ওই বয়সে অনেক কিছুই বুঝতাম না,

বিস্তারিত»

মন খারাপ গল্প

জলে ভেজা একখন্ড কাগজ। তার কীবা দাম এই জীবন-সংসারে? কাগজটির গায়ে লিখে থাকা এককালের বিখ্যাত কোনো কাব্য-গল্প কেউ এখন তুলে দেখে না। পথিকের পদভারে দলিত হয়, অবহেলায় মুষড়ে পড়ে। দক্ষিনা হাওয়া এসে যদিবা উড়িয়ে নিয়ে যায়- এ প্রত্যাশায় বুক বাঁধে সে, কিন্তু তার ডাকে বন্ধুবেশে আসেনা কেউই। রোদের ঝলকে কিছুটা শুকিয়ে আসতেই আবার বৃষ্টির বৈরিতা নেমে আসে তার উপর। আবারো সে জলে ভেজা কাগজ, আবারো বর্জ্যের জীবন।

বিস্তারিত»

সারপ্রাইজ

“স্যার,আজকে আর পড়ব না।”-মাথার দুইপাশে বেণী দুটো দুলিয়ে রিনরিনে গলায় বলে ওঠে তিশা।
রোহান তখন গোবেচারার মত তাকিয়ে বলে,” কিন্তু আরেকটা সরল যে বাকি ছিল।”
“ওটা আজকে থাক স্যার প্লিইইইজ।”
এবার হার মানল রোহান।ছাত্রীকে ছুটি দিয়ে দিল।উঠতে গিয়েও আবার বসে পড়ল।বলা ঠিক হবে কিনা বুঝে উঠতে পারছে না। আন্টি আবার কি মনে করে।ওর চেহারা দেখে স্মার্ট ছাত্রী বলে উঠল, “স্যার কি কিছু বলবেন?”

বিস্তারিত»

মাজহারের স্মরণে… ফটোব্লগ

বেশ কিছুদিন ধরে সিসিবিতে কিছু লিখব ভাবছি। কিন্তু ভিতর থেকে কোন লেখা আসছে না। বারবার ঘুরেফিরে মাজহারের স্মৃতিগুলো মনের মধ্যে ভেসে উঠে…

ক্যাম্পে একা থাকি, গল্প করার মানুষও নাই। তাই নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারছিনা। স্মৃতিগুলো তাই কুড়ে কুড়ে খায় আমাকে…

1-mazhar-in-92

ক্লাস সেভেনের মাজহার

বিস্তারিত»

যেভাবে আমি একটি বাংলা প্রবাদ বুঝলাম

চোরের দশদিন,গৃহস্তের একদিন-একটি বাংলা প্রবাদ

তখন আমি ছোট
ঠিক যতটুকু ছোট হলে একটি ছেলে একটি বাংলা প্রবাদ বুঝেনা।

বিস্তারিত»

যে পরিবারের বন্ধনকে কোনদিন সংজ্ঞায়িত করা যাবেনা

আমি খুব ঘরকুনো একটা ছেলে…গত কয়েকবছর থেকে মারাত্মক ঘুমকুনোও।এতটাই যে,কলেজ থেকে বের হওয়ার পরে রিইউনিয়ন ছাড়া আর কোন গেটটুগেদারেই আমি যাই নাই!প্রয়োজন ছাড়া কোনজায়গায় তো নয়ই।তাই আমার চেনাজানা মানুষের গন্ডিও খুব সীমিত।এতই সীমিত যে সীমিত শব্দটাকেও অপর্যাপ্ত মনে হচ্ছে।ভাগ্য ভাল যে পরিবারপ্রথা নামক একটা জিনিস পৃথিবীতে চালু আছে…নাইলে আমি আছি কি মরে গেসি এইটা নিয়া মাথা ঘামানোর কোন লোক পাওয়া যাইত না।তাই সবাই যখন নিত্যদিনই বোনের ননদ,ভাইর বন্ধুর ফুফার বাড়ি,খালাতো ভাইর তালতো শ্বশুর এর বাড়ি ইত্যাদি নতুন নতুন পরিবারের সদস্য হচ্ছে,সেখানে হাফডজন ভাইবোন হওয়া সত্ত্বেও আমি এখনও খালি আমার আব্বা-আম্মারই আছি…

বিস্তারিত»

মাজহার আমাকে তুই মাফ করে দিস রে ভাই…

মাজহার,

আমার দোয়া নিস। আশা করি জান্নাতে ভাল আছিস। ২৪ তারিখের প্যারেডের সময় তোর সাথে শেষ দেখা হবার পর থেকে মনটা কেমন জানি করে। তোর জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে রে ভাই। প্যারেডের পেছনের দর্শক সারি থেকে পালিয়ে আমি, তুই, জুনায়েদ আর জাহাঙ্গীর গেলাম সিগারেট খেতে। ওখানে আমার কোরের নন-স্মোকার আসাদও আসল। ওর সাথে মনের সুখে ঠিকমতো কথা বলতে পারলাম না তোদেরই জন্য।

তোকে জিজ্ঞেস করলাম,

বিস্তারিত»

বন্ধু…তোকে মনে পড়ে – ১

গত কদিন ধরে অনেকবার সিসিবিতে এসেছি, কমেন্ট করতে অথবা কিছু লিখতে… কিন্তু পারিনি। আমার হাত চলেনি… মন টানেনি। নিজের সাথে যুদ্ধ করে পরাস্ত হয়ে বার বার ফিরে গিয়েছি… যতবার সিসিবিতে আসি বারবার চোখ ভিজে উঠে, মনিটর ঝাপসা হয়ে আসে… লিখতে না পেরে উঠে চলে যাই… আবার আসি, পড়ি, আবার ঝাপসা দেখি…বারবার ভাবি লিখব কিন্তু লেখা আর হয়ে উঠেনা…

এ কদিন অনেক কেঁদেছি…অনেক…। আমি কোনদিনও এভাবে কাঁদিনি,

বিস্তারিত»