এই বৃষ্টিতে আমি কোনদিকে যাবো?
কার কাছে যাবো?
ঝাপসা উত্তর,পূর্বের কুয়াশা
পশ্চিম দৃষ্টি সীমানায় খরস্রোতা
দক্ষিণে ঘিরে আসে বিক্ষুব্ধ হাওয়া
অজগরের তুমুল হা
বিদ্যুতের চাবুক,বারবার কেঁপে উঠে
পৃথিবীর সব ভয়ার্ত হরিণেরা
এই অন্ধকারে আমি
কোন দিকে যাবো
কার কাছে যাবো তোমাকে ছাড়া?
আমাদের যূথবদ্ধতার কথা জেনে সহসা বৈরী যারা
আমাদের বিচ্ছেদে তাদের উল্লাস
অবিশ্বাস ছড়ানো চন্দ্রড্রাগনেরা
এই দুর্যোগে আমি
কার হাত ছোঁবো
কার ওম নেবো তোমাকে ছাড়া?
আবু জাহলের ছেলে ইকরামাঃ ইনিই কি সেই লোকটি?
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাহাবা হবার সৌভাগ্য যারা লাভ করেছেন কুরআনে বর্ণিত আয়াতের প্রেক্ষিতে তাদের নামের সাথে একটি বিশেষণ তৎপরবর্তি কালের স্কলারগণ যুক্ত করেছেন যা হলো ‘রাদিআল্লাহু আনহু’, যে কথাটার অর্থ হলো আল্লাহ্ যার উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন। এই বিশেষণটি যে একদিন ইকরামার জন্য প্রযোজ্য হবে তা ছিল অসম্ভব কল্পনার মতো। তার বাবার নাম হলো আবু জাহল্, যে লোকটি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলো ইসলামের প্রধান শত্রু। বাবার মতোই ইসলাম ও মুসলিমদের সাথে শত্রুতায় আর সকলের চেয়েই অগ্রগামী ছিলো ইকরামা (কিংবা ইকরিমা,
বিস্তারিত»গত ৭ দিনের ৭ কবিতা
১.
রাত বেড়েছে,রাতের সাথে কালো-
মেঘের ছায়া ছুটছে চাঁদের পিছে
তোমার গায়ে পরপুরুষের শ্বাস
কাঁপছো তুমি নিওন আলোর নিচে।
শঙ্খ বাজে দূর সাগরের পাড়ে
মধ্যরাতে চোখ মেলে ফুলকুড়ি
তোমার দেহে অন্যলোকের চোখ
তাতেও তোমার স্পষ্ট বাহাদুরি।
মাদক লাগা হাসনাহেনার ঝাড়ে
পেঁচিয়ে থাকে মোহগ্রস্থ সাপ
অন্ধকারে সে ঠিকই পায় টের
তোমার দেহে পরপুরুষের ছাপ!
বিদায় বন্ধু ! বিদায়…
সময়টা ঠিক বিকাল নয়, আবার সন্ধ্যাও নয়,
শেষ বিকেলের রোদ প্রায় ম্রিয়মাণ
চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে –
বারান্দায় বসে আবীরের রঙ দেখছি,
সন্ধ্যা নামছে ধীরলয়ে।
বিস্তর মনোনিবেশে আগামীদিনের কর্মব্যস্ততা –
একটু সাজিয়ে নেবার চেষ্টা ; হঠাৎই ছেদ পড়ল তাতে।
হ্যালো ! অপর প্রান্তে বন্ধুর উদ্বেগাক্রান্ত গলা,
কথাগুলো কেমন যেন জড়িয়ে আসছিলো।
বিস্তারিত»সাহাবী আবদুল্লাহ বিন হুজাফাহ আস সাহমীঃ “প্রতিপালক, শুধু তোমার কাছেই আমি মাথা নুইয়েছি”
১
রাসুলুল্লাহ সাঃ যখন ইসলামের প্রচার শুরু করেছেন, তখন পৃথিবীর পূর্বাঞ্চলে দুটি সুপার পাওয়ার কর্তৃত্বরত ছিলো। এর একটি ছিলো বাইজেন্টাইন রোমান সাম্রাজ্য আরেকটি হলো পারস্য সাম্রাজ্য। সে সময় বাইজেন্টাইন সম্রাট হলেন হিরাক্লিয়াস আর পারস্য সম্রাট খসরু পারভেজ (আরবীতে বাইজেন্টাইন সম্রাটকে বলা হতো কাইসার আর পারস্য সম্রাটকে কিসরা)। দীর্ঘ সময় ধরে এই দুটি প্রতিবেশী সাম্রাজ্য যুগপত বিস্তার করে চলছিলো তাদের রাজ্যের সীমানা। একই সাথে পরস্পরের সাথে অব্যাহত বিরোধে প্রতিনিয়ত মারা পড়ত তাদের হাজার হাজার সেনাদল।
পুতুল নাচের ইতিকথা -মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়-বিষাদ ভরা উপন্যাসটি
মানিকের অন্যান্য লেখার তুলনায় ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ পড়তে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল আমার।পড়ার জন্য তাগাদা দিয়েছিলেন কাজী স্যার।স্যার প্রায়ই এই বইটির কথা ক্লাসে বলতেন,আর আমার আগে রফিক বইটি পড়ে ফেলেছিল তাই আমিও পড়তে লাগলাম।
বইয়ের শুরুটা অভিনব ও চমৎকার-
‘খালের ধারে প্রকাণ্ড বটগাছের গুঁড়িতে ঠেস দিয়া হারু ঘোষ দাঁড়াইয়া ছিল। আকাশের দেবতা সেইখানে তাহার দিকে চাহিয়া কটাক্ষ করিলেন। …স্থানটিতে ওজনের ঝাঁজালো সামুদ্রিক গন্ধ ক্রমে মিলাইয়া আসিল।
বিস্তারিত»আজকে তোর ঘন ঘন নিঃশ্বাসে মনে পড়ে
আজকে তোর ঘন ঘন নিঃশ্বাসে মনে পড়ে
রোদবেলার দিনগুলো।
মাঝদুপুর মেঘসাগর একলা চিল একলা চিল
দুই পাখায় ডুবসাতার,একলা চিল কোথায় যায়
মনে পড়ে রাতের পর রাত জেগে অপেক্ষা
ইয়াহুতে অনর্থক বসে থাকা
ফেসবুকে সুখ খোঁজা,নিদ্রাহীন মুখ খোঁজা-আপন মুখ
মনে পড়ে রূপকথার কঠিন শ্লোক
রাজকুমার,পঙ্খীরাজ,গোলপুকুর,কৌটাতে
কঠিন প্রাণ দৈত্যদের খুন করার মিথগুলো
পারদ হয়,আয়না হয় তাই আবার তাই আবার
একটিবার ফোন পাবার গোপন লোভ মনে মনে
ছিপ ফেলে তোর নদীয়
তবুও তুই চুপ থাকিস,কী ভীষণ অবহেলায়
চুপ থাকিস
তাইতো ভোর তোর গুমর দেখতে এসে ভুল করে
ভুল করে লাল সিদুঁর ছড়িয়ে দেয় কপালময়
সংসারী লোকটাকেও পথ দেখায় বিষন্ন সন্ন্যাসী
তোর উরুয় শ্বাস রাখার ইচ্ছেতে হরিণটা দৌড়ে যায়
দৌড়ে যায় এক নিমেষ,মুহুর্তেই চাঁদ উধাও।
আবু জর আল গিফারীঃ ডাকাত থেকে সাহাবী
মক্কা যে গিরিপথের মাধ্যমে বাকী পৃথিবীর সাথে যুক্ত ছিল সেটা ছিল ওয়াদান ভ্যালী এবং সেখানেই ছিল গিফার গোত্রের বাস। অত্যন্ত দুর্ধর্ষ এই জাতি মক্কা এবং সিরিয়ার মধ্যে যে সকল বানিজ্য বহর চলাচল করত তাদের জিম্মি করে চাঁদবাজী করত । বানিজ্য কাফেলা তাদের দাবী পূরণে ব্যর্থ হলে তারা মালামাল আর ধনসম্পদ লুন্ঠন করত । জুনদুব ইবন্ জুনাদা নামে এই গোত্রের ভয়ংকর এবং ক্ষিপ্র একজন নেতা ছিল,
বিস্তারিত»পরিবর্তন
চারপাশে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে । একটা সময় ছিল যখন বৃষ্টি খুব ভালো লাগত। এখন আর অতটা লাগে না , ঘোর বৃষ্টিতেও মাঝে মাঝে টেরই পাইনা যে বৃষ্টি হচ্ছে।
বিস্তারিত»বৃষ্টি আর জল কাদার বিরুদ্ধে
বৃষ্টি আর জল কাদার বিরুদ্ধে
এই সকল জোৎস্ন্যাদল,ফুল-পাখি
এই সকল চৈত্র আর শীত কুয়াশা
রাত জেগে প্রার্থনায়
ভাঙা বেড়া,ছাদ ফুটো ঘরের সব
শিশু এবং কিশোরীদের ভেজা স্তন
নিংড়ে নেয় মাঠপোড়া রৌদ্রালোক
বই ভিজে,ঘর ভিজে-
আর ভিজে গৃহস্থালী,গরীব লোকের সংসার আর
রান্নাঘর
তাই আষাঢ়,বর্ষা আর সব রকম জল কাদার
বিরুদ্ধে
এই সকল সূর্যদিন,দূর্বাদল,গাছ-পাখির বসন্ত
শিউলি আর হেমন্তের রাজপথে শোকসভা
নদীর দুকূল উপচানো নিষ্ঠুর এ প্লাবনে,বন্যাতে
ঘর ভাসে,দোর ভাসে-
আর ভাসে ফসল আর কৃষকের সুখের ঘর
ছাপোষা কেরানী আর মাস্টারের মফস্বল
বেচারীদের দুর্দিনের মাইনেতে ভাগবসায়
বর্ধমান মূল্যস্তর,খারাপ আর অসৎ সব ব্যবসায়ী
তাই এসব খারাপ আর সব রকম অসৎ লোকের বিরুদ্ধে
আমার এই কবিতা হোক আগ্রাসন
হুমকি আর হোক শ্লোগান
মন্দ লোক ধ্বংস হোক,তাদের সব
সঙ্গীরা,সঙ্গীদের নষ্ট মন,পায় ঘৃণা!
প্রলাপঃ প্রেমিকাকে ফেলে এসেছি শেয়ালভরা বনে ও বাঁশিওয়ালা সিরিজ
১.
বলতো আমি কেন আর লিখবো?আমার কি লেখা উচিত?
তুমি যতদিন ছিলে,লিখবার পর মনে হত এ কবিতার একটা উদ্দেশ্য অন্তত তুমি।এখন,লিখতে গেলে যদি কোন দুঃখ ঢুকে পড়ে,লোকে একে ভুল বুঝে ভেবে নেয় এটি তুমিহীনতার নিজস্ব দুখগাঁথা।
এখন বলোতো কেন আমি নিজের এই একান্ত ব্যক্তিগত বিষন্নতা অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেবো?আমার কি লেখা উচিত?
আজকাল খুব সহজেই তোমার খোঁপায় একটি প্রজাপতি কিংবা তোমার বিছানায় পা ছড়িয়ে বসে থাকবার একটি আনন্দময় দৃশ্যের চিত্রকল্প লিখে ফেলার চেয়ে একটি ভাঙা ব্রীজের পাশে শীতের সন্ধ্যায় তোমার নিঃসঙ্গ বসে থাকবার মনখারাপ একটা ছবি এঁকে ফেলতে বেশী ইচ্ছে হয়।নৌকায় করে একে একে চলে যায় তোমার পক্ষের ক্লাউনেরা।আমরা পাড়ে বসে এসব দেখে হেসে হেসে লিখে ফেলি শত পৃষ্ঠার প্রলাপ সিরিজ।দায়সারা বৃদ্ধকে বলি,
অতসীদের বাসায় আরেকদিন
অতসীদের পরিবারের সাথে আমার সম্পর্কটা এখন বেশ সহজ। তার বাবা বাদে ফ্যামিলির সবাই আমার সম্পর্কে জানে। তবে তার বাবা জানলে আমার অবস্থা যে কি হবে, সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউই জানে না। আমার নিজের উচ্চতা ছয় ফিট (গর্ব করতাছি না…), সেজন্য মনে হয় আমার থেকে কম উচ্চতার মানুষদের দেখে কখনও ভয় পাব না আমি। কিন্তু এই পাঁচ ফিট দশ ইঞ্চি মানুষটাকে দেখে কেন জানি আমার গলা শুকিয়ে যায়,
বিস্তারিত»আঠারো জুনের কবিতা
সাগর থেকে মেঘের পরী
এই শহরে এলো
আমরা তখন সিঁড়ির কাছে
ভীষণ ব্যস্ত ঠোঁটে
মাঝ দুপুরের নির্জনতা
শব্দ করে ফোটে
নিচের থেকে দ্বারপ্রহরী
এলো কী কুক্ষণে
বিদায় বেলায় এসব কথা
কেউ রাখে না মনে!
সেদিন কত আর্দ্র রাত্রি
বৃষ্টিতে মন্থর
যাদুকরের মন্ত্রে ছোটে
বজ্র হিবিজিবি
দুর্যোগে তার তন্দ্রা ছোটএ
বিস্মিত পৃথিবী
হরিণ যত দৌড়ে পালায়
প্রাচীন মায়াবনে
আজকে সেসব মিথ্যে কথা
কেউ রাখে না মনে।
ভাত খেতে পায়না তো কি হয়েছে, বার্গার খাবে
২০০৪ সালের দিকে পেশাগত কাজে মিরপুর মাজার রোডে প্রতিদিনই আমার যেতে হতো। যেদিন সন্ধ্যাবেলায় যেতাম, এক নাম্বার গোল চত্বরের কাছে নির্দিষ্ট একটি যায়গায় প্রতিদিন কিছু লোকের জটলা দেখতাম। একদিন কৌতুহলে উঁকি দিয়ে দেখলাম দুজন লোক একটি কাপড় দিয়ে ঢাকা বালতির ভেতর থেকে ছোট ছোট প্লেটে কিছু তুলে তুলে মানুষকে দিচ্ছে। এবার একটু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলাম-একি? এ যে খাবারের উচ্ছিষ্ট, এ কি করে সম্ভব?
বিস্তারিত»হে বীর, তোমায় সালাম
সময়টা ১৯৭১ সালের মার্চ মাস। আইয়ুব ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেই বা কি, অনেকেই বাড়ি ফিরে যায় নি। অনেকেই বলতে অনেক সাহসী ক্যাডেট। দেশমাতৃকার এই চরম দুর্দিনে বাড়ি গিয়ে আরামে ঘুমাবে কি করে? চারঘাটের ছেলে আব্দুল মান্নাফও এর ব্যাতিক্রম নয়। এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। কোথায় কবে অপারেশন হবে তার সবকিছুই বলতে গেলে মান্নাফ জানে।
বিস্তারিত»