ঘৃণা

আমি তোমাকে ঘৃণা করি………হ্যাঁ, আমি তোমাকেই ঘৃণা করি……।। ঘৃণা করি তোমাকে………কারন তুমি আমার জীবনে এসেছ। ঘৃণা করি তোমাকে………কেননা আমার জীবনকে সুন্দর করে সাজাতে চেয়েছ তুমি।

 

আমার জীবনটা কখনই খুব সুন্দর ছিল না। আমি ছোট থেকে বড় হয়েছি নিজের একগাদা দুঃখ-কষ্ট নিজের মাঝে জমিয়ে রেখে। নিজের সব কষ্টগুলো সবসময় নিজের মাঝেই রাখতাম আমি। মাঝে মাঝে খুব কষ্ট হলে একা একা অন্ধকার ঘরে বসে কাঁদি।

বিস্তারিত»

বন্ধুর পরিচয়ঃ ৯৬-০২ ব্যাচের ক্যাডেট

ক্যাডেট কলেজের প্রথম দিনের কথা খুব ১ টা মনে পড়েনা। সৃতি কেমন যেন ঝাপসা হয়ে গেছে। যেদিন প্রথম যাব কলেজে সেইদিন ছিল জুনের ৪ তারিখ, সাল ১৯৯৬। আজ থেকে ঠিক ১৬ বছর আগে জুনের ৩ তারিখ ১৯৯৬ সাল, এই দিনে রংপুরের আশে পাশে আমার এক মামার বাসায় উঠেছিলাম একটি অজানা ভবিষ্যতের মধ্যে প্রবেশ করার জন্য। বৃষ্টিতে ভিজে রিক্সায় করে কলেজের সামনে নেমেছিলাম। বৃষ্টির কারনে আমার সাদা জামার হাতায় দাগ পরে গিয়েছিল এটা মনে আছে।

বিস্তারিত»

ডিডিপি’র জিডিপি

ফাইয়াদ, তুই কি ডিডিপি তে গেছস এইবার?
না, যাই নাই। ডিডিপি মানে কি ক আগে।
জানিনা। দোস্ত, তুই এইবার বিতর্কে যাবি হাউস থেকা।
মজা করিস না।
আমারে বাঁচা, আর কাউরে খুইজা পাইতাছিনা।
তাই বইলা আমারে?
না করিস না, তুই না ভালো। হাউস মাস্টার আমারে জ্বালাইতাসে নামের লাইগা। সবাই কোন না কোনডাতে গেসে, খালি তুইই বাকী।

আমি ছয় দাগ ক্যাডেটের কাছে ডাবল স্টার হাউস প্রিফেক্টের এই হলো আবেদন।

বিস্তারিত»

দূরত্ব

তুমি আর আমি

এখন দুজন দুগ্রহের বাসিন্দা,

কেটে গেছে অনেক দিন, কিন্তু

কমেনি আমাদের মাঝের দূরত্ব;

তারপরও জানি

আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি।

 

চলে গেছে সে ক্ষণ, যখন

তোমার ছায়াকে অনুসরণ করত আমার পদচ্ছাপ,

এখন চলে যায় দিনের পর দিন, তবুও

আমার হৃদয় পায় না তোমার কোমল স্পর্শ;

বিস্তারিত»

আমার লেখাটা একটু পড়বেন কি?

যাবার কয়েকদিন আগে, প্রিন্সিপাল বাংলোর ল্যাম্ব রোস্টের গন্ধে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম যে, ২ দিন পরে কলেজ থেকে চলে যাবো। চেতনা ফিরলো যখন রানা ভাই এসে একটা হাঁক ছাড়লেন, ভাই কাপড় জমা দেন, কাপড়। হায়রে ক্যাডেট লাইফ। আমার এক ফ্রেন্ডকে প্রায়ই বলতে শুনতাম,”যৌবনের তেজ আর জোরে চাপা ছোটো বাথরুম দুইটাই ক্ষণস্থায়ী। ” সে যদিও হিন্দিতে বলতো আমি একটু অনুবাদ করে দিলাম আর কি! আরে, আর কি লিখতে গিয়ে মনে পড়লো আমাদের আর্কিমিডিস স্যারের কথা মানে ভূগোলের মকবুল স্যারের কথা।

বিস্তারিত»

মোবাইলে পর্নোগ্রাফি, বর্তমান প্রজন্ম ও বাবা-মা

(অন্য ব্লগে আমার এ লেখাটি এসেছে। ক্যাডেটদের জন্য এখানে আবার দিলাম)।

ঢাকার একটি পরিচিত চেইন রেস্টুরেন্টে বউ-বাচ্চাদের নিয়ে খেতে গিয়েছি। আমাদের টেবিলের পাশে দু-তিনটি টেবিল একসাথে করে দশ-বারোজন অল্পবয়স্ক স্টুডেন্টদের একটি গ্রুপও বসেছে। রুরো গ্রুপে বোধ হয় তিনিটি মেয়ে ছিলো। আমরা বসতে না বসতেই অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম ছেলেমেয়েগুলো নিঃসংকোচে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছে। ওদের কোন লজ্জার চিহ্ন নেই, এদিকে আমরাই যেন লজ্জায় মরে যাচ্ছিলাম।

বিস্তারিত»

প্রলাপঃ১৮

ফুটপাথ ধরে হেটে যাওয়া লোক-সংযত হোক
সংসারী আর ব্যাস্ত লোকেরা-সংযত হোক
দাড়িওয়ালা বুড়ো,ট্রাফিক পুলিশ-সংযত হোক
কাঁধে ভারী ব্যাগ ছোট যত খোকা-বেঁধে রাখো চোখ

খোলা পিঠ আর নিটোল বাহু-দেখাবে তোমাকে
মৃদু মেদ আর মসৃণ ভাঁজ-দেখাবে তোমাকে
সুগভীর নাভী,দুলকী কোমর-দেখাবে তোমাকে
কেবল প্রাচীন কথাগুলো আজ পিছে পড়ে থাকে

বিস্তারিত»

ঘুমোবার আগে মরে যাওয়া প্রেমে সোডিয়াম আলো

00

ঘুমোবার আগে মরে যাওয়া প্রেমে সোডিয়াম আলো
চোখ পোড়ালো,চোখ পোড়ালো!
আততায়ী ঘোড়া সওয়ারী হয়ে মেঘেদের ঝাঁক
কষ্ট পাক,কষ্ট পাক!
আমাদের প্রেমে নিবেদিত রোদ
ছেঁড়া চটব্যাগ গাঢ় প্রতিশোধ
সুখতলা ক্ষয়া জুতো,রেণু ঘাম
জেনো রাঙা মেঘ আমিও ছিলাম।
লেখার টেবিল,ভাঙা বুকশেলফ ছাইদানী মুখ
জেনে রাখুক,জেনে রাখুক!
কত শীত রাত একা জেগে থাকা এই দুই চোখ
অন্ধ হোক,অন্ধ হোক!

বিস্তারিত»

আজ চলে গেলে…আমি আটকাতে পারি নি

আজ চলে গেলে
পেছনে রয়ে গেল ১৭ টি রাত্রে নিহত বালক
জোৎস্নার ছুরি…ও স্বর্গের অভিশাপ
‘সুখ পাবে না,সুখ পাবে না তুমি।’
আহত চোখ নিহত চোখ
সব পিছে ফেলে সোজা চলে গেলে তুমি সুর্যের কাছে
খোড়া বটগাছে
হরিয়াল,টিয়া কাঠঠোকরা…একটি অচেনা লোক
বারবার ফিরে আসে।
তবু তুমি চলে গেলে
যেন শেষরাতে চাঁদ মরে গেলে
নিশাচর প্রাণীটির শেষ শিকার যদি ছুটে যায়
তবু তার গর্তে পালানো
এর মত তোমার প্রস্থান
শুকতারা জ্বলজ্বলে চোখে সাক্ষী রইলো!

বিস্তারিত»

তূর্ণা!তূর্ণা!!

তূর্ণা!তূর্ণা!!
ফুল ফুটে মৌতাত,
তার মদে চূর না!

জানি তুই আকাশের পরীদের ছোটবোন!
কি জানি কী খেয়ালেতে পৃথিবীর ঘাসবন
মাড়াতেই এসেছিলি;চলে যাবি ঠিক ফের,
তার আগে শুনে যা কবিতা শুনে যা সে কবিদের-
যার চোখে লেগে আছে
তোর নীল ওড়না!
তূর্ণা!তূর্ণা!!

কার রূপ চুরি করে এই দেশে এলি তুই?

বিস্তারিত»

মা, মা, আমি ফার্স্ট ক্লাস সেকেন্ড হয়েছি! :D


ছোটবেলায় সিনেমায় দেখেছিলাম নায়ক জসিম দৌড়ে দৌড়ে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে বলছে, মা, মা, দেখো,আমি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছি!

জীবনের প্রায় মাঝবরাবর এসে, আমি একসময়ের রবিউল থেকে শরীর-স্বাস্থ্যে মাশাল্লাহ জসিমে এসে দাঁড়িয়েছি। এই ‘সুবিশাল’ প্রাপ্তি উদযাপনেরই সম্ভবত একটা সুযোগ করে দিলো রকমারি ডট কম। তাদের কল্যাণে আমি জসিমের মতই আপ্রাণ দৌড়ে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে বলতে পারছি, জনগণ দেখো দেখো, আমি সেকেন্ড হয়েছি।

বিস্তারিত»

নীলপরী,তুই হারিয়ে যাবি আমি কি জানতাম?

নদীর ধারে সন্ধ্যা বেলা-ধূ ধূ বালির চর
চোখের কোণে বাষ্প জমে হঠাৎ বুক মোচড়
প্রিয় নারী হারিয়ে গেছে কোন সে আধাঁর মাঝে
সেই বেদনা নূপূর হয়ে কার পায়ে যে বাজে
তাকেই খুঁজি সমস্ত দিন-সকাল রাত দুপুর
কোথায় যে নীল শঙ্খ বাজে,কোথায় অচিনপুর
অন্ধকারে গন্ধরাজের উপর করা শাখা
সেই ছবিটা ঠিক এখনও যত্ন করে রাখা
শ্যাওলা পড়া প্রাচীন ইটের সেই দেয়ালের কাছে
নির্বাচিত দুঃখগুলো ঠিক তেমনই আছে
সবই আছে আগের মতন,নেই তুমি কেবল
সেই ব্যথাতে সকাল দুপুর বুকের মধ্যে জল
চির চেনা মেখলা হাসি,মধুর অভিমানে-
ঠোঁট ফোলানো;ভালোবাসা কোথায় যে কে জানে
চোখের মধ্যে বিঁধে আছে খোঁপার জবাফুল
কপাল বেয়ে ছড়িয়ে থাকা অবাধ্য তোর চুল-
সরিয়ে দেবার নাম করে হায় ছুঁয়ে দেবার ছল
এখন সেসব প্রাচীন অতীত-অতন্দ্র অঞ্চল।

বিস্তারিত»

শুভ জন্মদিন ***০৩-০৯***

দেখতে দেখতে গেলো ৯ টি বছর । ২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল কলেজে পদার্পণ । এখনো মনে আছে আমার গাইড ইফতেখার ভাই আমাকে নিয়ে কতো ব্যস্ত আমাকে কলেজের নিয়ম কানুন শিখাতে । নতুন বন্ধুদের সাথে পরিচয় হল । কখনো ভাবিনি এই বন্ধুগুলো হবে জীবনের সবচেয়ে নিকট বন্ধু । শুধু একটাই আফসোস যে আমার কলেজের জিসান বেঁচে নেই । গত বছরের এই দিনেও সে বেঁচে ছিল ।

বিস্তারিত»

একটি হ্যাকিং আর ধরা খাওয়ার গল্প

রাত ১টা, ইয়াহু মেসেঞ্জারে চ্যাট করছিলাম, হঠাত টেং টেং করে মোবাইলে মেইল আসল। আমার মোবাইলে জিমেইলের ইমেইল সিঙ্ক করা আছে তাই সাথে সাথেই মেইল নোটিফিকেশনস পাই আমি। ভাবলাম কি হাবিজাবি মেইল হবে, খুলে দেখি বিশাল রসের মেইল যাতে লেখা আছে,

The password for your Google account – a****y.shuvro@gmail.com – was recently changed.
If you made this change, you don’t need to do anything more.

বিস্তারিত»

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনঃ আসুন ক্বাফী ভাইকে সমর্থন করি

প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, আমাদের সিলেট ক্যাডেট কলেজের ৪র্থ ব্যাচের (৭৯ -৮৫) ক্বাফী ভাই (বর্তমান সভাপতি, ওকাস) আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঢাকা উত্তর এর মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তিনি বাংলাদেশে ক্রীয়াশীল সকল বামদল সমূহের সমর্থিত একক প্রার্থী হিসেবে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী কাফী ভাইকে আসলে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। তারপরও যে কথাটুকু না বললেই নয় সেটি হল- আমরা যারা বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন চাই,

বিস্তারিত»