রামগরুড়ের ছানা, হাসতে তাদের মানা,
হাসির কথা শুনলে বলে-
হাসব না-না,না-না…..
ছোটবেলায় মায়ের মুখে শুনতাম, আর হয়ত না বুঝেই খিলখিল করে হেসে উঠতাম। জানতাম ও না যে মা আমাকে কোন বিশাল এক সমুদ্র পাড়ের নুড়ি পাথরের স্বাদ দিচ্ছেন, গন্ধ দিচ্ছেন, ছোঁয়া দিচ্ছেন । নিজেকেই মনে হত একটা রামগরুড়ের ছানা 🙂 । আপনাকে চিনতে পারিনি তখন, ক্ষমা করবেন ।
কি বিচিত্র সুন্দর সৃষ্টির পসরা যে আপনি সাজিয়ে রেখে গেছেন তা বুঝতে একটু দেরীই হয়েছে বোধহয়।
কে হায় হৃদয় খুঁড়ে – ২
হাউস বেয়ারা শুক্কুর আলি……………… গোমতী হাউসের । যে থাকলে হাউস সম্পূর্ণ স্বাধীন ঘোষনা করা যায়, আমাদের বিজয়ের তেরাংগা পতপত করে ওড়ে আকাশে বাতাসে।সিগারেট এনে দিতে হালকা পাতলা আপত্তির অধিকারী।বাদবাকি ব্যাপার বিন্দাস…।হাউস লাইব্রেরী লুট করা যায়, তাকে গার্ড হিসেবে বসিয়ে করিডোরে ক্রিকেট খেলা যায়, যার দরুন জুনিয়র ক্যাডেটকে জ্বালাতে হয়না, লেটেস্ট রিলিসড গানের সিডিগুলো পাওয়া যায় গরম গরম। আন্তঃহাউস আম-আটি হাত বদলে তার ভূমিকা অনন্য (আমরা সিডি প্লেয়ার কে বলতাম আম ,
বিস্তারিত»আমার ডিজি বাংলার থ্রিজি গরু
একটি গরু কিনলাম-
১. ২ রংয়ের ৩২০ পিক্সেল রেজুলেশন চামড়া বিশিষ্ট
২. যার গোস্ত ধারন ক্ষমতা প্রায় ৫৫০ জিবি।
৩. ডাইমেন্সান হবে ১০২৪ x ৭৬৮ .যার মধ্যে এন্টিভাইরাস থাকায় ভ্যাক্টেরিয়া আক্রমন করার কোন সম্ভাবনা নাই।
৪. ইউ এস বি পোর্ট ১টা (…) ।
৫. নাক, মুখ ও মলদারসহ প্রসেসর এর কুলিং তিনভাবে হয়।
৬. গরুর লেজের অসিলেশন সিম্পল হারমোনিক মোশানের সকল তত্ত্ব ফলো করে।
টানো,তুমি জানো- এ ঠোঁটের স্বাদঃ
টানো,তুমি জানো-
এ ঠোঁটের স্বাদঃ
কূয়ো থেকে জল টানা-বিষাদ,বিষাদ!
তুমি জানো না জানি
এত এত পথ ঘুরেও হয়তো খুব বেশী কাছে আসিনি
ইচ্ছে হলো না তখন,এখন প্রবল ইচ্ছে খেলবার
তোমার সাথে আমার নদীপার হওয়া দীর্ঘশ্বাস
কেবল ছুঁয়ে দেখিনি,এখন প্রবল ইচ্ছে হয়!
লোভী!
লোভই!
তাই তোমাকে প্রলুব্ধ করবার নাটুকে বাসনা
আমার নাটক করবার ইচ্ছা,পড়ে থাকে,পালকে
তাই টানো,আমাকে টানো,পড়ে থাক অবশিষ্ট ধূলোবালি
টানো,টেনে তোলো জল,প্রিয় মফস্বল,পড়ে থাক রেলগাড়ি
পড়ে থাক রেণু,লোভ,বিষাদ,বিষাদ-
ক্ষমা করো দেবী,এই তো সামান্য অপরাধ!
দিলাম পাল্টে স্রোত
লেখনী শক্তি বা জৌলুস যাই বলেন না কেনো, কোনটা যে লোপ পেল বোঝা যাচ্ছেনা । বাংলা ভাষার দখল যাকে অনেকে বলে থাকেন তাকেই আবার অনেকে আদিখ্যেতা বলে চালিয়ে দিতে কুন্ঠা করেন না । আইজকাল কানের দুইপাশ দিয়া হাপরের লাহান ধুয়া উঠতাছে আমার, মাগার চান্দি ঠান্ডা না রাইখ্যা উপায় আছেনি ? প্রেম প্রেম গুলুগুলু ছব্দ যুদি মাতা থাইক্যা , কলম থাইক্যা না বাইর হয় আমার, হেইডা কি আমার দোস ?
বিস্তারিত»কে হায় হৃদয় খুঁড়ে – ১
বেশ কিছুদিন হয়ে গেল আমার শুধু ব্লগ দেখে আর পড়ে ।আর সেই সাথে কিছুদিন আগেই পার করলাম আমাদের আত্মার আত্মীয়তার বারটি বছর । লেখার একদম শুরুতেই যে মানুষটির কথা না মনে করলেই নই, সে হল বন্ধুবর কাউসার আহমেদ। যার সাথে না থাকলে জানতেই পারতাম না যে ” বাসন্তী এখন বিহারে ডাকাত স্বামীর ঘরে চার সন্তানের জননী হয়েছে… অথবা হাত না বাড়িয়ে মন বাড়িয়েও কাউকে ছোঁয়া যায়( হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে ,
বিস্তারিত»পনেরো অক্টোবরের কবিতা
তুমি কি আমাকে চেনো নি?
ভ্রষ্ট স্মৃতির পালক পড়ে
উড়ে চলে যায় তিন খুনী!
পালক পেয়েছে শীতের ভোর
তিন জনই কি খুন করেছে
কিংবা দু’জন সাক্ষী চোর!
পালক ভিজে যায় কুয়াশায়
হয়তো হঠাৎ পড়বে মনে-
চুপ করে থাকে এই আশায়!
তুমি কি চেনো নি আমাকে?
যখন দু’জন ঘুমিয়ে পড়ে
তখন খুনীই রাত জাগে!
সাদা কালো
একদিন ফেসবুকে কলেজ এর পুরন ছবি দেখছিলাম । প্রতিটা ছবি যেন এক একটা গল্প । কত সৃতি জড়িয়ে আছে কলেজে ফেলে আসা পপ্রতিটি ঘাস পাতা আর বালুকনার সাথে। আর তখনি আমার ক্যানভাস মানে গানের খাতায় তুলে ধরলাম আমার এবং আমদের ফেলে আসা সব স্মৃতি ।
Intro
সাদা কালো ছবিগুলো
রাঙিয়েছে সৃতির পাতায়
সৃতির প্রতিছবি মনে
ফেলে আসা কথা বলায় ।
রোজকার স্বপ্নলিপি
১.
নিজের সাথে নিজের এই ক্লান্তিকর খেলা শেষে রমণোত্তর বালকের হতাশা দেশে ফেলেছিলো এক নিরুত্তাপ তরুণী।এই দেখে তারও বোধহয় সাধ হয়েছিলো সন্ন্যাসের।তাই নদী ভ্রমন থেকে ফিরে এসে সে ঘরে যায় নি আর,জলপ্রপাতের তুমুল জলরাশির ভেতর হারিয়ে যেতে যেতে একমুহূর্তে ডেকে উঠেছিলো বালককে।
বালক তখন গভীর নিদ্রায় অচেতন হয়ে মুছে নিতেছিলো সমগ্র রাত্রির পাপ ও ক্লান্তি।তাই সেই নারী কন্ঠের ডাক একটি অসহায় পাখির কূজনে ট্রান্সলেট হয়ে ঢুকে পড়েছিল বালকের স্বপ্নের ভেতর।
গল্পটা আর যে রকম হতে পারতো…(১)
১.
ছেলেটা গাঁজা খায়,বাট ভালো কবিতা লিখে।তিয়াশা অবশ্য কবিতার অতশত বুঝে না,বন্ধুদের মুখে অনেক প্রসংশা শুনেছে।তবে কথা বলতে পারে দারুন।চার্ম একটা!গাঁজা-ফাজা খেয়ে কী আবোল তাবোল আওড়ায়,তাও ভালো লাগে তিয়াশার।অদ্ভুত একটা লোক!লোকই তো!মুখে রুক্ষ্ম দাড়ি গোঁফ।খোচা খোচা!ম্যানলি অবশ্যই!ডার্ক এন্ড ডিপ।কবিতা লিখলেও ল্যাদল্যাদে না,ন্যাকা না।স্মার্ট এবং চালু মাল।কথা শুনলেই বোঝা যায়।স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড।কোন লুকোছাপা নেই।কেমন সরাসরি বুঝিয়ে দিলো!অবশ্য কোড করা কবিতায়।তিয়াশা কবিতা অত না বুঝলেও ঈঙ্গিতটা বুঝেছে!মেয়েদের আবার একটা এক্সট্রা ইন্সটিংক্ট থাকে কিনা!
প্রার্থনা-৩
তোমার নদী’য় ডুব সাতারে
ক্লান্ত আমার এ মন দেহ
“খুব গোপনে বাড়ছে যে জল”
মনের মধ্যে এ সন্দেহ-
আমায় আরও ক্লান্ত করে
তখন ভাসি তোমার সাথে
আরও বেশী বাড়লে বিরোধ
চোখ বুঁজে রই প্রার্থনাতে!
তখন বোকা ঈশ্বরেরা
আমায় বলে,”সন্ত কবি,
ঘরের মধ্যে প্রার্থনা ঝুট
নষ্ট তোমার সাধন সবই!
গৃহত্যাগের লোভ দেখিয়ে
আমায় ডাকে জোৎস্না রাতে
আমি তখন প্রবল দ্বিধায়
চোখ বুঁজে রই প্রার্থনাতে!
আয়নাবাসী
কী আশ্চর্য,প্রতিদিন একই ভাবে তোমার ঘুম ভাঙে
মুখে লেগে থেকে গত পর্বের প্রেম ভাঙা দাগ
আরো কিছু “রয়ে যাওয়া” অনুরাগ
আয়নায় মুখ দেখবার আগ পর্যন্ত কী নিষ্পাপ তুমি!
যেন আমাদের ইতিহাস নেই কোনো,
আমাদের বিচ্ছেদ ছিল না কোনদিন
তোমার বাগানে প্রজাপতি,
আমার উঠোনে জল-জোৎস্ন্যা ,
তোমার বাড়ির পেছনে নদী,
আমার বৈঠা হাতে নৌকায় বসে প্রতীক্ষা ,
প্রিয় কবিতা বা কয়েকটি সন্ধ্যা’র দখলঃ ‘রাহুর প্রেম’-রফিক আজাদ
ভাবছো তোমায় ভুলে যাচ্ছি,ভুলতে পারা
সহজ নাকি?যদিও তোমার ইচ্ছাটা কি তাও তো জানিঃ
নিষ্কৃতি চাও,অন্য কারো কাছে যাতে পারমানেন্টলি
থাকতে পারো-বারে বারে “ভুলে যেও’’-এই কথাটা
ব’লে দেয়া!তোমার কি মত,তুমিই বলোঃ
ভোলা কি যায়?নাকি কেহ ভুলতে পারে-
ভুলে যাওয়ার কথা আজকে এতো করে ভাবছো কেন,
তোমায় কেন ভাবতে হচ্ছে এই এতোদিন গভীর খেলায়
মগ্ন থেকে-আজকে কেন নতুন করে ভাবতে হচ্ছে-
‘ভুলতে হবে’?এই এতোদিন পরে আমি এতোটা পথ
হেটে এসে আবার যে কোন চুলোয় যাবো,নতুন সে কোন
খানকি মাগীর দিকে আমি হাত বাড়াবো বলতে পারো?
আজকে তোমার মন ভেঙে যাক ঘূর্ণিঝড়ে
আজকে তোমার মন ভেঙে যাক ঘূর্ণিঝড়ে
আজকে ভূমিকম্পে কাপুক সর্ব শরীর
জীর্ণতরীর
যাত্রীরা সব
মাঝনদীতে ঢেউয়ের দোলায় তটস্থ হোক
সবাই জানুক আমিই তোমার ধূর্ত প্রেমিক-শঠ প্রতারক!
তোমার উরুয় হোক সুনামি আমার শ্বাসে
দীর্ঘশ্বাসে যাক উড়ে সব স্মৃতির ধূলো
কয়েনগুলো
খুচরো হয়ে
মেঝের উপর পড়তে থাকুক ঝনঝনিয়ে
সবাই জানুক আমিই কেবল তুষ্ট ছিলাম তোমায় নিয়ে!
এবার তুমি ফেরাও আমায়
এখন তুমি কোথায় আছো?কেমন আছো?আমায় ছাড়া দিনগুলো সব কাটছে কেমন?বৃষ্টি দিনে জানলা খুলে দাঁড়িয়ে তুমি সবুজ দেখো?মধ্যরাতে একলা হাটো উঠোন জুড়ে?হঠাৎ যদি একলা লাগে,আলতো আঙুল ছুঁইয়ে দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ো শুকতারাটা।আকাশ বাড়ির উঠোনজুড়ে মেঘ বিছানা মুছিয়ে দিয়ো হাতের নাড়ায়।তাতেও যদি আধাঁর থাকে,পুকুর পাড়ে যেসব জোনাক সোহাগ করে,তাদের ডেকো।তাদের সবুজ নরম মদে ভিজিয়ে নিও তোমার দুহাত।তোমার চুলে,কুসুম কোলে হাত ও বুকে এসব সবুজ জ্বলতে থাকুক।হঠাৎ ডাকুক একলা পাখি তারস্বরে।তোমার ঘরে প্রদীপ শিখায় চৈতী হাওয়া জলসা বসাক।নৃত্যরত অগ্নিশিখা দুলিয়ে কোমর বাহবা নিবে।চতুর্দশীর একঘেয়ে চাঁদ নতুন সাজে সাজবে না হয়।আর না হলে হঠাৎ পতন-নদীর জলে আচমকা ডুব।স্বচ্ছ চোখের মাছেরা সব ছুটবে তখন আলোর পিছে।যেমন আমি ছুটছি আজো।ছুটতে ছুটতে পৌছে যাচ্ছি গড়ের মাঠে,রাবার বনে।যেখান থেকে কেউ কোন দিন ফেরে না আর।তুমি আমায় ডাক না দিলে ফিরবো না আর।হাটতে হাটতে চলে যাবো শেষের খেলায়,জুয়ার আসর।তাই তোমাকে আজ অনুরোধ,এবার তুমি ফেরাও আমায়।
বিস্তারিত»