প্রতিভাকে পেপার ওয়েটে চাপা দিয়ে,
মুখস্ত করি লেকচার শিট।
বিদ্যার দেবী উপহাস করে বলে,
তোকে জ্ঞান দিয়ে দিয়েছি
চর্চার জন্য, আর তুই অপচয় করলি!
২
আমাদের ঈশ্বর আলাদা,
তবুও আমরা আলাদা নই।
দুজন একই অজ্ঞাত উপাস্যের
উপাসনা শেষে মুখোমুখি দাড়াই,
সম্মিলিত সংগম শেষে ঘুমিয়ে পড়ি
একই বিছানায়।
আমরা দুজন আলাদা বালিশে ঘুমাই,
অথচ দুজনের স্বপ্নের কি আশ্চর্য মিল।
৩
ঈশ্বর ব্যর্থ,
আমার মনের প্রতিলিপি তৈরিতে,
যেমন ব্যর্থ তার মতো আরো এক
ঈশ্বরী সৃষ্টিতে।
একাকিত্বের নগরীতে
আমি আর ঈশ্বরই
সবচেয়ে
একা….
🙂 🙂 🙂 🙂
এই যে বলিবা মাত্রই আমার ভাইটি লাজুক মুখে কবিতার খাতা নিয়ে হাজির হয়েছে সিসিবিতে সেটি দেখতে খুব ভাল লাগলো 😀
তোমার লেখা নিয়ে বলবেন আসরের কবিরা। অকবি কেবল ভালবাসা আর মুগ্ধতা জানিয়ে গেল!
আপনাদের ভালোবাসার জন্যেই আপা লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছি সত্যি। ফেসবুকে নিয়মিতই লিখি। আক্ষেপ হচ্ছে, লেখাগুলো সিসিবিতে অনেক আগেই পোস্ট করা উচিত ছিলো। আর আপা, আপনার গদ্য কতোটা কাব্যিক জানেন আপনি ??? অকবি কেন বলছেন? আপনি কবিতার মুগ্ধ পাঠক, জানি। ভালোবাসা সীমাহিন 🙂 (সম্পাদিত)
🙂 🙂 🙂 🙂
ফেইসবুকে পড়া হয়না তেমন কিছুই। সিসিবিতে বরং আমি সচ্ছন্দবোধ করি লিখতে এবং পড়তে। আমাদের সাথেই থেকো, ভাইয়া। ভালবাসা নিরন্তর!
সিসিবির সাথেই আছি আপা। হয়তো সাময়িক ব্যস্ততায় একটু দূরে থাকা হয়েছিল কিছুকাল। এই জায়গাটা শান্তির 🙂
এই জায়গাটা শান্তির - :thumbup:
ভাল হইছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধন্যবাদ রাজীব ভাই 🙂
দুর্দান্ত !
ভালো লাগলো খুব ।
এমন লেখা আরো আরো পড়বার তেষ্টা বাড়িয়ে দিয়ে গেলো ...
ধন্যবাদ ভাই। লেখার গতি বেড়ে গেলো এমন মন্তব্য পেয়ে 🙂
দুটো মনে হয় পড়েছিলাম ফেসবুকে। দুর্দান্ত।
রাব্বী, তোমার লেখা দিন কে দিন কী ধারালো হচ্ছে! অভিজ্ঞতা বাড়ছে ---- নিরীক্ষাও বাড়ছে। খুব ভালো পরিস্থিতি। :clap: :clap: :clap:
বাংলা আধুনিক কবিতার প্যাটার্ন ধরতে বেশ কিছুকাল লাগলো নূপুর দা। আর ক্যাডেট থেকে বের হয়ে অগ্রজ কবিদের সান্নিধ্য, ক্যাম্পাস, আর পঠন পাঠনের ভিন্নতা থেকে হয়তো ঋদ্ধ হচ্ছি। শুভ কামনায় রাখবেন 🙂
কবিতা নিয়ে তেমন কিছু বলার মতন যোগ্যতা আমার নেই, শুধু ভাল লাগল বা ঐ রকম মামুলী কোন মন্তব্য, যা কবির প্রতি খানিক্ অবিচার হয়তোবা, আর কবিরা তো এমনিতেই বেশি অভিমানী, অভিমান করে হয়তো লেখাই ছেড়ে দিল, কে জানে!
শুধু অনুরোধ, ফিডব্যাক যাই হোক, লেখা যেন চলে। আর ফেবুর চে সিসিবি অনেক ভালো জায়গা।
ধন্যবাদ ভাই। লেখা চলবে 🙂
আর ফেবুর চে সিসিবি অনেক ভালো জায়গা - :thumbup:
প্রথম দুটো কবিতার সিচুয়েশনে যায় এমন বাস্তব কিছু চরিত্রকে চিনি, জানি।
ওঁদের মুখগুলো ভেসে উঠল...
তৃতীয়টা ভাবালো।
যতটা না দার্শনিকতায় তারচেয়ে বেশী কল্লার চিন্তায়।
আফটার অল রাস্তাঘাটে এমন কিছু পাগল যতক্ষন থাকবে যাঁদের বদ্ধমূল ধারনা স্রষ্টার এক (ভুল) সৃষ্টির কল্লা ফেলে দিতে পারা আর তাঁর ৭০ হুর পাওয়া সমার্থক...
আচ্ছা স্রষ্টা যদি ভুল করে এক নাস্তিক / মুরতাদ বানিয়েই থাকেন, তাঁর কল্লা নামানোটা কি স্রষ্টার ভুল সংশোধনের সমার্থক না?
মাটির মানুষ হয়ে এইভাবে স্রষ্টার ভুল ধরিয়ে দেয়াটাও (সংশোধন করা অর্থে) কি একটা বেয়াদবি না?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
প্রথম দুটো কবিতা এখনো অগ্রন্থিত। তৃতীয়টি বছর খানেক আগের লেখা এবং 'নিচের ঠোট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই' গ্রন্থে 'একাকিত্ব' শিরোনামে গ্রন্থিত। মনে পড়ে যখন ফেসবুকে প্রথম এই কবিতাটি পোস্ট করি তখন অর্থোডক্সদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলাম। ওই সময়টা আবারভাস্তিকতা নাস্তিকতা দ্বন্দের সময়। যাহোক, সুন্দর কিছু ব্যাখাও উঠেছিল অনেকের মন্তব্যে তখন। সুরা এখলাসের ভাবার্থকে কিন্তু শিকার করেই নেয়া হয়েছে কবিতায়। যেমন তিনি এক, তার কোন শরীক নেই এসব।
তবে, আক্ষরিক অর্থেই স্রষ্টার অনেক কিছু নিয়েই সৃষ্টিত আক্ষেপ বা অভিযোগ আছে বা থাকতে পারে, এই সমালোচনাটাই ফ্যানাটিকরা মেনে নিতে পারে না। প্রত্যেকেই তার ঈশ্বরকে আইডিয়াল ভেবে নেয়।
১। প্রতিভার ঊন ব্যবহার ক্রমান্বয়ে প্রতিভার বিলোপ ঘটায়।
২। পৃথক উপাস্য দেহ-মন-মানসের একাত্মতার পথে অন্তরায় নয়। দিনশেষে সকল উপাস্যই একই শক্তির প্রতিভূ।
৩। ঈশ্বরের ব্যর্থতা মনুষ্য ভাবনায়, তার কোন সৃষ্টিতে নয় নিশ্চয়।
🙂 🙂 🙂 কবিতার সুন্দর পর্যবেক্ষণ