তিন সেপ্টেম্বরের কবিতা
১.
সে আমাকে মাতাল করে রাখে
সে ঢালে চোখের নদীয় ঘৃণা
আলোতে বিনম্র মুখ ঢাকে
সে জানায় অকূল আঁচল কীনা।
অকূলের হৃদয় ঘেঁষে হ্রদ
অকূলের মাঝ তরঙ্গে ঢেউ
সে জলে হারায় প্রতি পদ
অন্ধের জগৎ থেকে কেউ।
অতঃপর শান্ত হলে নদী
সাজাই প্রতিশোধের ছক
সে আবার হারিয়ে যায় যদি
কিংবা অন্য কোন লোক-
তাকে নষ্ট করে যদি
যদি তার হেসে বসে পাশে
এ পারে অন্ত নিরবধি
পুড়ে যাবো বিপুল আক্রোশে।
তাই চাই পুড়ে মরুক সে
আর সেটা আমার আগুনেই
বৈরীতে ঠিক যায় সে চুপসে
ঘৃণার জলুস তখন নেই।
২.
তুমিও কাঁদো যদি
আকাশ ভেঙে নদী
নদীর বুকের জল
হাওয়া,দুর্বাদল
দুর্বা জলে ঢেউ
আচল ওড়ায় কেউ
কেউ কি ঢাকে মুখ?
দুঃখ অমর হোক,
অমর দুঃখ কার?
বাম পাঁজড়ের হাড়
পাঁজড় ভেঙে মাটি
শূণ্যে বসতবাটি
জোৎস্না আলোয় ভরা
সেই মাটিতে গড়া
অপার্থিব মুখ
দুঃখ অমর হোক!
ছন্দবদ্ধ কবিতা পড়ার ভিন্ন একটা মজা সবসময়ই থাকে।
এটাতেও তা পেলাম...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
অতঃপর শান্ত হলে নদী
সাজাই প্রতিশোধের ছক
সে আবার হারিয়ে যায় যদি
কিংবা অন্য কোন লোক ...
ভাবনায় বেভুল হৃদি
চাই কি দুঃখ অমর হোক !
"জোৎস্না আলোয় ভরা
সেই মাটিতে গড়া
অপার্থিব মুখ
দুঃখ অমর হোক!" - চমৎকার হয়েছে এ ক'টি চরণ।