নিউরনে আলাপনঃ চৌদ্দ

: ঘুমিয়ে পড়েছিলে?
: এই সময়টা ঘুম ঘুম লাগে। তবুও তোমারই আশায় ছিলাম মনে হল। বুঝতে পেরেছিলে?
: আমারো ঘুম পাচ্ছিলো খুব … কিন্তু ভাবছিলাম কতগুলো গান-এর কথা তোমাকে বলবো।
: আমিও আজ কতগুলো গান বেছে রেখেছি তোমার জন্যে!
: কী আশ্চর্য! ভাবনাগুলো কেমন মিলে যায় … একই সময়ে …
: হুম, ‘দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে’ …
: জানো, হঠাৎই মনে হলো তুমি ঘুমাচ্ছো, আর আমি পাশে বসে তোমার দিকে তাকিয়ে আছি; এই গানগুলো বাজছে। অপেক্ষা করছি তুমি কখন চোখ মেলে তাকাবে … সেই মুহূর্তটা আমি কিছুতেই হারাতে চাচ্ছিনা … যেন কত আরাধ্য ক্ষণ!
: তোমার কী সুন্দর কন্ঠ, তু্মি গাইলে যেন কোকিল ডেকে ওঠে,
আর ভাবি আমি অধম গাইলে – এই বুঝি কেউ কোকিলেরে বধে!
: যাও, কীসব যে তুমি বল না? সব কিছুতেই হেঁয়ালি!
: প্রতিটা ঘুম মানে মৃত্যু, মৃত্যুর মাঝে অবাক জেগে থাকে
বাঁচবার স্বপ্নগুলো, তুমি-আমি, জীবনের চোরা হাতছানি,
এই আছি, এই নেই, তবু কিছু খুনসুটি, কিছু কানাকানি;
পথের শেষটায় গিয়েও শুনতে পায় দূর পেছনে কে যেন তারে ডাকে …
: মন খারাপ করে দিও না তো। আজ যাই। তুমি ঘুমাও। কাল একটা নতুন দিন, নতুন ভোর। তোমার আমার নতুন নতুন কথামালা … আবার একটা কবিতার দিন।
: মাঝে মাঝে মনে হয় আমি একেবারে চলে যাবার আগে
একবার জেগে ওঠে তোমায় জানিয়ে দিয়ে গেলাম; প্রথম এবং শেষবার
এই যে আমি চললাম, আমার প্রাণটুকু তোমার,
কী জীবন্ত মৃত্যু আমার, আর কীইবা দিতাম তোমার ভাগে!

অক্টোবর ১৭, ২০১৫
টরন্টো, কানাডা।

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।