০১ উপরে এটা কবিতা/ হাইকু না অন্যকিছু লিখলেন?
যেহেতু কবিতা কম বুঝি তাই বক্তব্য নিয়াই কথা বলি।
০২ তবে তার আগে একটা অনুরোধ আছে, এভাবে একটা করে হাইকু বা কবিতা না দিয়ে অন্তত ৫/১০ করে দিন।
এইভাবে একটা একটা করে দেয়ায় আপনার ব্লগ সংখার আধিক্য হয়তো বাড়ছে, কিন্তু.....
০৩ দেশে থাকতে ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাদে প্রায় বাকি সব দিনই যেতাম মেলায়। দেশ ছাড়ার পরে আর যাওয়া হয়নি দেশে তাই এখনকার চিত্র টা বলতে পারবো না।
০৪ বাঙলা ভাষায় বিদেশি প্রচুর শব্দ রয়েছে। আর ভাষা প্রবহমান বস্তু না অবস্তু।
আদি বাঙলা লিপি আজকের যুগে ভাষা বিশেষজ্ঞ ছাড়া আর কেউ বোঝে বলে মনে হয় না।
এমনকি মধু কবির লিখিত বাঙলা বুঝতে গেলে অভিধান নিয়ে বসতে হয়।
কালকেই হঠাৎ করে শলাকা শব্দটি মনে হলো। আজ আর মনে হয় শলাকা শব্দটি কেউ ব্যবহার করে না।
০৫ শুদ্ধ বাঙলা বলতে পারা ভালো। কিন্তু তার মানে এই নয় যে যারা বলছে না বা পারছে না তারা সবাই অপাংক্তেয়।
০৬ আর কয়জন বা কত শতাংশ ক্রেতা বা ছাত্ররা গিয়ে বলছে আংকেল প্রাইস কতো?
আর যে বাঙলিশ বলছে সেও কিন্তু বাঙলা বই কিনছে ও পড়ছে।
০৭ তবে যারা মিডিয়ায় কাজ করেন বিশেষ করে আর জে যারা সুন্দর করে বাঙলা বলবেন এটাই কাম্য। অবশ্য ফারুকি আমাদের নাটকের ভাষার বারোটা বাজাইয়ক দিছেন।
০৮ তবে আংকেল প্রাইস কতো এইটা মহামারি আকারে হলে আর সেটা সমস্যা মনে হলে সেটা থেকে উত্তরণের পথ বলবেন বা সেটা নিয়েও লিখবেন আশা করছি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
একুশের আন্দোলনটা উর্দু বা অন্য কোন ভাষার বিরুদ্ধে ছিল না, সেটি ছিল আমার মায়ের ভাষার মর্যাদা সমুন্নত রাখার সংগ্রাম। আর বর্তমানে তো একুশ প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে কোন মানুষের ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্তর্জাতিক মূর্ত প্রতীক হিসেবে।
ভাষার মর্যাদার জন্য যে জাতি প্রাণ দিতে পারে সেই জাতির কাছে তো কোন ভাষাই অপাংক্তেয় মনে হওয়া উচিত না। কথ্য ভাষায় অবাঙ্গালী শব্দ ব্যাবহারের বিপক্ষে আমরা অনেকেই অতি কট্টর ভাবে সোচ্চার। একুশ এলে সেটার সংখ্যা, মাত্রা ও তীব্রতা অনেক বেড়ে যায়। ভাষা-শব্দ-বর্ণ নিয়ে এরকম বর্ণবাদিতার আমি ঘোর বিরোধী।
নিজের মাতৃভাষার বাইরে অন্য যে কোন ভাষায় কথা বলতে পারাটাকে একটি বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে গণ্য করা হয়, সেটাই সমীচীন। কিন্তু যখন কোন বাঙালী বাংলা ভাষাকে হীনজ্ঞানে অন্য কোন ভাষায় কথা বলতে পারাটাকে গর্বের ব্যাপার কিংবা স্মার্টনেসের বহিঃপ্রকাশ কিংবা ধর্মীয়-সামাজিক আভিজাত্যের অনুষঙ্গ বলে মনে করেন, তখন সেটাকে সমস্যা বলেই মনে করি। মোস্তাফিজ ভাই হয়তো এখানে সেই গ্রুপটার প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন। কিন্তু এটাতো শতবর্ষের পুরোনো সমস্যা, এমন না যে শুধু একুশের বইমেলাতেই এটি সমস্যা হিসেবে আবির্ভুত হয়।
এই সমস্যার কোন ধন্মন্তরি সমাধান আমার জানা নেই। তবে, আমি মনে করি, এই সমস্যার কারণ গুলির অন্যতম হল আমাদের প্রায় সবার নামের মাঝে বাংলা শব্দের সম্পুর্ন অনুপস্থিতি। সন্তানের নামকরণের সময় যে ভাষার উপরে আমরা ভরসা পাইনা সেই ভাষার প্রতি আমার বা আমাদের সেই সন্তানদের মনে শ্রদ্ধাবোধ আসবে কোত্থেকে? এজন্য আমাদের সন্তানদের নামের মাঝে অন্তত একটি বাংলা শব্দ রাখার জন্য আমি সবসময় আমার পরিচিতজনদেরকে বলে থাকি। আমরা যদি সত্যি সত্যিই এমনটি করতে পারি তাহলে স্বতঃস্ফুর্তভাবেই দীর্ঘমেয়াদে তোমার ০৮ এর সমস্যার অনেকখানি সমাধান হয়ে যাবে।
এছাড়া ০৭ এর দ্বিতীয় বাক্যটা নিয়েও আমার কিছুটা দ্বিধা আছে।
এর বাইরে তোমার সবগুলি পয়েন্টের সাথে একমত।
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
ফারুকি ও তার গং নিয়া অনেকেই আমার সাথে শমত হতে না পারে।
আমার ভাবনাটাই যে সঠিক তাও বলছি না।
নাটক ইত্যাদিতে ফারুকি ও তার অনুসারি রা একটু ভিন্ন ভাষা আনলে প্রথমে তা খারাপ লাগে নি সত্য। কিন্তু এখন একঘেয়ে লাগে। তাই দেখি না আর।
সে বড়জোর এই ধরণ টা কে এক্সপেরিমেন্ট হিসাবে রাখতে পারতো কিন্তু এটাকেই সে মূলধারা বানিয়ে ফেলেছে; অন্তত ফারুকি গং এর নাটক/ টেলি তেভতাই দেখা যায়।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কবিতার শক্তি দেখলে । অল্প কটি কথা বলে কি আলোচনার সূত্রপাত করলাম 😀
হাইকু দিয়ে ব্লগ সংখ্যা বাড়াচ্ছি মনে হল ? হাইকু তিন লাইনের হলেও এটা লেখা অত সহজ ব্যাপার নয়। তবে তোমার রেসপন্সে প্রীত হলেম ভ্রাতা 🙂
আমরা কিন্তু ৮ই ফাল্গুনে নেই সেই ৫২ সাল থেকে। আছি ২১শে ফেব্রুয়ারীতে।
আর বইমেলায় ভিনদেশী ভাষায় কমিকসের বই বা অমন যে কোনো বই বিক্রির জন্য সাজানো যখন দেখি (উল্লেখ্য অনুবাদ নয়, ভিনদেশী ভাষার বই) তখন হোঁচট খাই বেশী। আমার কাছে বই মেলাটি আমাদের সাহিত্য, আমাদের প্রকাশনা, আমাদের কৃষ্টি, আমাদের বিকাশ ও স্ফুরণের মঞ্চ বলেই মনে হতো সেই অতীত থেকে। এটাকে ঠিক বই বিক্রির বানিজ্যিক মেলা বলে মনে হয়নি কখনো। আর সেভাবে মানাটাই বেশী কষ্টের।
তবে কথা হলো ফসলী জমিতে আগাছা থাকবেই। ফলনটা কি হলো, কেমন হলো সেটাই মুখ্য।
এক সময় একুশে ফেব্রুয়ারী মানে পোষাকেও চিহ্ন রাখার দিন ছিলো। এখন!
আমাদের বই পাড়া সমৃদ্ধ হোক, পাঠক বাড়ুক ও ঋদ্ধ হোক - এটাই কাম্য। চিন্তা চেতনার উৎকর্ষ আর চর্চায় বাঙালিয়ানা অংগাংগি এগিয়ে আসবে।
তবে কথা হলো ফসলী জমিতে আগাছা থাকবেই। ফলনটা কি হলো, কেমন হলো সেটাই মুখ্য। চমৎকার একটা কথা বলে গেলে, লুৎফুল। খুব ভালো লাগলো কথাটা। আমার তো মনে হয় আগাছা নিয়ে আমাদের অতটা চিন্তিত না হলেও চলবে। আমাদের ফসল দিনে দিনে সমৃদ্ধ হচ্ছে।
Hello uncle, price কত? -- বলেও সে যদি একটা বাংলা বই কেনে, তবে আমি খুশীই হবো তার প্রতি। মুখের ভাষাটা প্রভাবিত হয় অনেক কিছুর কারণে, লেখার ভাষাটা না হলেই হলো। তবে আমাদের প্রত্যেকের চেষ্টা থাকা উচিত, শুধু বাংলা শব্দে কথা বলাই নয়, বিশুদ্ধ উচ্চারণেও কথা বলা।
ভাই, (আগাম) হ্যাপি একুশে ফেব্রুয়ারী! B-)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
😀
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
কয়েকটা কথা বলি ভাই।
০১ উপরে এটা কবিতা/ হাইকু না অন্যকিছু লিখলেন?
যেহেতু কবিতা কম বুঝি তাই বক্তব্য নিয়াই কথা বলি।
০২ তবে তার আগে একটা অনুরোধ আছে, এভাবে একটা করে হাইকু বা কবিতা না দিয়ে অন্তত ৫/১০ করে দিন।
এইভাবে একটা একটা করে দেয়ায় আপনার ব্লগ সংখার আধিক্য হয়তো বাড়ছে, কিন্তু.....
০৩ দেশে থাকতে ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাদে প্রায় বাকি সব দিনই যেতাম মেলায়। দেশ ছাড়ার পরে আর যাওয়া হয়নি দেশে তাই এখনকার চিত্র টা বলতে পারবো না।
০৪ বাঙলা ভাষায় বিদেশি প্রচুর শব্দ রয়েছে। আর ভাষা প্রবহমান বস্তু না অবস্তু।
আদি বাঙলা লিপি আজকের যুগে ভাষা বিশেষজ্ঞ ছাড়া আর কেউ বোঝে বলে মনে হয় না।
এমনকি মধু কবির লিখিত বাঙলা বুঝতে গেলে অভিধান নিয়ে বসতে হয়।
কালকেই হঠাৎ করে শলাকা শব্দটি মনে হলো। আজ আর মনে হয় শলাকা শব্দটি কেউ ব্যবহার করে না।
০৫ শুদ্ধ বাঙলা বলতে পারা ভালো। কিন্তু তার মানে এই নয় যে যারা বলছে না বা পারছে না তারা সবাই অপাংক্তেয়।
০৬ আর কয়জন বা কত শতাংশ ক্রেতা বা ছাত্ররা গিয়ে বলছে আংকেল প্রাইস কতো?
আর যে বাঙলিশ বলছে সেও কিন্তু বাঙলা বই কিনছে ও পড়ছে।
০৭ তবে যারা মিডিয়ায় কাজ করেন বিশেষ করে আর জে যারা সুন্দর করে বাঙলা বলবেন এটাই কাম্য। অবশ্য ফারুকি আমাদের নাটকের ভাষার বারোটা বাজাইয়ক দিছেন।
০৮ তবে আংকেল প্রাইস কতো এইটা মহামারি আকারে হলে আর সেটা সমস্যা মনে হলে সেটা থেকে উত্তরণের পথ বলবেন বা সেটা নিয়েও লিখবেন আশা করছি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
একুশের আন্দোলনটা উর্দু বা অন্য কোন ভাষার বিরুদ্ধে ছিল না, সেটি ছিল আমার মায়ের ভাষার মর্যাদা সমুন্নত রাখার সংগ্রাম। আর বর্তমানে তো একুশ প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে কোন মানুষের ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্তর্জাতিক মূর্ত প্রতীক হিসেবে।
ভাষার মর্যাদার জন্য যে জাতি প্রাণ দিতে পারে সেই জাতির কাছে তো কোন ভাষাই অপাংক্তেয় মনে হওয়া উচিত না। কথ্য ভাষায় অবাঙ্গালী শব্দ ব্যাবহারের বিপক্ষে আমরা অনেকেই অতি কট্টর ভাবে সোচ্চার। একুশ এলে সেটার সংখ্যা, মাত্রা ও তীব্রতা অনেক বেড়ে যায়। ভাষা-শব্দ-বর্ণ নিয়ে এরকম বর্ণবাদিতার আমি ঘোর বিরোধী।
নিজের মাতৃভাষার বাইরে অন্য যে কোন ভাষায় কথা বলতে পারাটাকে একটি বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে গণ্য করা হয়, সেটাই সমীচীন। কিন্তু যখন কোন বাঙালী বাংলা ভাষাকে হীনজ্ঞানে অন্য কোন ভাষায় কথা বলতে পারাটাকে গর্বের ব্যাপার কিংবা স্মার্টনেসের বহিঃপ্রকাশ কিংবা ধর্মীয়-সামাজিক আভিজাত্যের অনুষঙ্গ বলে মনে করেন, তখন সেটাকে সমস্যা বলেই মনে করি। মোস্তাফিজ ভাই হয়তো এখানে সেই গ্রুপটার প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন। কিন্তু এটাতো শতবর্ষের পুরোনো সমস্যা, এমন না যে শুধু একুশের বইমেলাতেই এটি সমস্যা হিসেবে আবির্ভুত হয়।
এই সমস্যার কোন ধন্মন্তরি সমাধান আমার জানা নেই। তবে, আমি মনে করি, এই সমস্যার কারণ গুলির অন্যতম হল আমাদের প্রায় সবার নামের মাঝে বাংলা শব্দের সম্পুর্ন অনুপস্থিতি। সন্তানের নামকরণের সময় যে ভাষার উপরে আমরা ভরসা পাইনা সেই ভাষার প্রতি আমার বা আমাদের সেই সন্তানদের মনে শ্রদ্ধাবোধ আসবে কোত্থেকে? এজন্য আমাদের সন্তানদের নামের মাঝে অন্তত একটি বাংলা শব্দ রাখার জন্য আমি সবসময় আমার পরিচিতজনদেরকে বলে থাকি। আমরা যদি সত্যি সত্যিই এমনটি করতে পারি তাহলে স্বতঃস্ফুর্তভাবেই দীর্ঘমেয়াদে তোমার ০৮ এর সমস্যার অনেকখানি সমাধান হয়ে যাবে।
এছাড়া ০৭ এর দ্বিতীয় বাক্যটা নিয়েও আমার কিছুটা দ্বিধা আছে।
এর বাইরে তোমার সবগুলি পয়েন্টের সাথে একমত।
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
🙂
ফারুকি ও তার গং নিয়া অনেকেই আমার সাথে শমত হতে না পারে।
আমার ভাবনাটাই যে সঠিক তাও বলছি না।
নাটক ইত্যাদিতে ফারুকি ও তার অনুসারি রা একটু ভিন্ন ভাষা আনলে প্রথমে তা খারাপ লাগে নি সত্য। কিন্তু এখন একঘেয়ে লাগে। তাই দেখি না আর।
সে বড়জোর এই ধরণ টা কে এক্সপেরিমেন্ট হিসাবে রাখতে পারতো কিন্তু এটাকেই সে মূলধারা বানিয়ে ফেলেছে; অন্তত ফারুকি গং এর নাটক/ টেলি তেভতাই দেখা যায়।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:thumbup:
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
কবিতার শক্তি দেখলে । অল্প কটি কথা বলে কি আলোচনার সূত্রপাত করলাম 😀
হাইকু দিয়ে ব্লগ সংখ্যা বাড়াচ্ছি মনে হল ? হাইকু তিন লাইনের হলেও এটা লেখা অত সহজ ব্যাপার নয়। তবে তোমার রেসপন্সে প্রীত হলেম ভ্রাতা 🙂
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
আমরা কিন্তু ৮ই ফাল্গুনে নেই সেই ৫২ সাল থেকে। আছি ২১শে ফেব্রুয়ারীতে।
আর বইমেলায় ভিনদেশী ভাষায় কমিকসের বই বা অমন যে কোনো বই বিক্রির জন্য সাজানো যখন দেখি (উল্লেখ্য অনুবাদ নয়, ভিনদেশী ভাষার বই) তখন হোঁচট খাই বেশী। আমার কাছে বই মেলাটি আমাদের সাহিত্য, আমাদের প্রকাশনা, আমাদের কৃষ্টি, আমাদের বিকাশ ও স্ফুরণের মঞ্চ বলেই মনে হতো সেই অতীত থেকে। এটাকে ঠিক বই বিক্রির বানিজ্যিক মেলা বলে মনে হয়নি কখনো। আর সেভাবে মানাটাই বেশী কষ্টের।
তবে কথা হলো ফসলী জমিতে আগাছা থাকবেই। ফলনটা কি হলো, কেমন হলো সেটাই মুখ্য।
এক সময় একুশে ফেব্রুয়ারী মানে পোষাকেও চিহ্ন রাখার দিন ছিলো। এখন!
আমাদের বই পাড়া সমৃদ্ধ হোক, পাঠক বাড়ুক ও ঋদ্ধ হোক - এটাই কাম্য। চিন্তা চেতনার উৎকর্ষ আর চর্চায় বাঙালিয়ানা অংগাংগি এগিয়ে আসবে।
তবে কথা হলো ফসলী জমিতে আগাছা থাকবেই। ফলনটা কি হলো, কেমন হলো সেটাই মুখ্য। চমৎকার একটা কথা বলে গেলে, লুৎফুল। খুব ভালো লাগলো কথাটা। আমার তো মনে হয় আগাছা নিয়ে আমাদের অতটা চিন্তিত না হলেও চলবে। আমাদের ফসল দিনে দিনে সমৃদ্ধ হচ্ছে।
Hello uncle, price কত? -- বলেও সে যদি একটা বাংলা বই কেনে, তবে আমি খুশীই হবো তার প্রতি। মুখের ভাষাটা প্রভাবিত হয় অনেক কিছুর কারণে, লেখার ভাষাটা না হলেই হলো। তবে আমাদের প্রত্যেকের চেষ্টা থাকা উচিত, শুধু বাংলা শব্দে কথা বলাই নয়, বিশুদ্ধ উচ্চারণেও কথা বলা।
:hatsoff: :boss:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশ নেয়ায় সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ :hatsoff:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল