দুই রুমের একটা বাসা হবে আমার। একটা বেডরুম আর একটা কমনরুম। একটা কিচেন আর একটা বাথরুম ও থাকবে।বেডরুমের সাথে একটা বেলকনিও থাকবে। বেডরুমে কোন বেড থাকবে না। শুধু ম্যাট্রেস। একটা টেবিল, চেয়ার আর একটা বুকশেলফ। কমনরুমটাও ফ্লরিং হবে। একটা টিভি থাকবে। আর দেয়ালে দেয়ালে স্পোর্টস, মিউজিক ওয়ালপেপার। বাসাটা হবে কোন এক শহুরে নদীর তীরে। তিনতলা কি চারতলা। বেডরুমটা হবে নদীর ধারে, বারান্দায় দাড়ালেই যাতে দূর থেকে আসা কোন ইঞ্জিনচালিত নৌকা দেখা যায়।
সকালে ঘুম ভাঙবে জানালা গলে আসা সূর্যের আলোয়। আর নৌকোর ইঞ্জিনের শব্দে। মাছধরতে মাঝ নদীতে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নেয়া কোন মাঝির হাক ডাকে। একমগ চা আর হালকা রবীন্দ্র সংগীতের তালে তালে দেখব শহরের ব্যস্ততার শুরু।
একটা ভিগিবিল্লি টাইপ কার থাকবে যেটার ড্রাইভারের পাশের জানালাটার কাচ থাকবে না। ডান হাতের কনুইটা জানালায় রেখে নিজেই গাড়ি চালিয়ে অফিস যাব। দিনভর কাজ হবে। কাজ শেষে বন্ধুদের সাথে আড্ডা।
রাতে বাসায় ফিরে ফুটবল নয়তো ক্রিকেট দেখব। নয়তো কোন থ্রিলার মুভি। টেবিলে ল্যাম্পের আলোয় হালকা লেখালিখি। তারপর বারান্দায় হেলানো চেয়ারটায় একমগ চায়ের সাথে গা হেলিয়ে দেব। সাথে থাকবে ড্যান ব্রাউন নয়তো সুনীলের অসমাপ্ত কোন উপন্যাস। দূর থেকে কোন নৌকো বা ট্রলারের আওয়াজ পাওয়া যাবে। জনবসতির গুঞ্জন থেমে যেতে শুনব। নদীর বাতাসা গায়ের জামাটা হালকা উড়বে। হয়ত বিছানায় ফিরতে পারব, হয়ত ওভাবেই তলিয়ে যাব অন্য কোন স্বপ্নের দেশে।
খুব সাধারণ কিছু চাওয়া জীবনের কাছে। হয়তো পাবো, হয়তো পাবো না।
প্রিয় ইশরাক, তোমার লেখাটা পড়ে মজা পেলাম। ইচ্ছা ও সঠিক নিয়তি থাকলে অব্যশই তোমার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবা। অনেক শুভ কামনা ও দোয়া থাকল।
ধন্যবাদ ভাইয়া। দোয়া করবেন 🙂
হারিয়ে যাইনি তবু এইত জরুরী খবর
আকাঙ্ক্ষা আর হতাশায় হারিয়ে যাওয়ার কোন মানে নেই।
বেশ তো! ছোট ছোট এসব চাওয়া গুলো খুব সুন্দর। আশাকরি পেয়েও যাবে।