এক
অনেকেই মনেহয় জানেন যে নারীবাদ তিনটি ডিস্টিংক্ট ওয়েভের মধ্য দিয়ে গিয়ে তাঁর আজকের এই অবস্থানে এসে উপনিত হয়েছে।
এই প্রতিটা ওয়েভেই নারীকে সম্মিলিত ভাবে আন্দোলন করে পরবর্তি পর্যায়ে পৌছুতে হয়েছে।
প্রথম ওয়েভে নারীকে লড়াই করতে হয়েছে তাঁর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকারের অনুপস্থিতিতে সেগুলো অর্জনের জন্য। তাঁর মানে হলো, এখনো যাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার অর্জন হয় নাই, তাদের আন্দোলনটা ঐ ফার্স্ট ওয়েভেই আটকে আছে।
প্রেম ভালবাসা ও সম্পর্ক নিয়ে কিছু টুকরো ভাবনা (তৃতীয় পর্ব)
প্রেম ভালবাসা ও সম্পর্ক নিয়ে কিছু টুকরো ভাবনা (প্রথম পর্ব)
প্রেম ভালবাসা ও সম্পর্ক নিয়ে কিছু টুকরো ভাবনা (দ্বিতীয় পর্ব)
আট
ভেবে দেখলাম, প্রেমের সাথে বিবাহের কোনো কনফ্লিক্ট নাই।
কারন, প্রেম করলেই যে বিয়ে করতে হবে, এমন কোনো কথা যেমন নাই, ঠিক তেমনি, বিয়ে করলেই যে প্রেম করা লাগবে, সে রকমের কোনো কথাও কিন্তু নাই।
মেঘ, বৃষ্টি এবং অগণিত বর্ষা
আমি ওকে কখনোই বলতে পারতামনা।।আসলে পারিওনিতো।ও আমাকে সবসময় বলত-
-মেঘ একটা প্রেম করনা দোস্ত।একা একা আর কতদিন?
বৃষ্টির কথাগুলো সবসময় বিঁধত আমাকে।ওরা আসলে বোঝেনা।কিংবা বুঝেও না বোঝার ভান করতে পছন্দ করে।তাই এভাবে পাশ কাটিয়ে যেতে চাইতো সবসময়।আমিও তাড়াহুরো করিনি।সময় নিয়েছি।বুঝিয়েছি নিজেকে।আমার সুখদুঃখ হাসি কান্নার সাথী কি সত্যিই আমাকে আরো আপন করে চায় নাকি এটাই ওর শেষ।বৃষ্টি ছিল আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু।আমার সবচেয়ে আপনজন।তাই ওর অপেক্ষাই আমাকে একা রেখেছিল।কিছু তো করার নেই।ভয় পেতাম।ফের যদি হারিয়ে যায়।সেই কষ্টটা তো আমি নিতে পারবোনা।তাই অপেক্ষা।সবচেয়ে বড় প্রতীক্ষা।মেঘ তো বৃষ্টি র জন্যই অপেক্ষা করবে তাইনা?আমিও করেছি।কখনো ভাবিওনি যে মেঘ ছাড়া বৃষ্টি পড়তে পারে।পারেনা তো।আমিও চালাকি করে পাশ কাটিয়ে যেতাম।ও কিন্তু সুযোগ পেলেই বলত-
-প্লিজ মেঘ,করনা ১টা প্রেম!!
কুয়াশার-চাদরে আবৃত কান্না
রাত আনুমানিক ২টা বাজে। বাস থেকে নেমে প্রায় ১ কিঃমিঃ যাওয়ার পর আমার বাড়ী। এত রাতে পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। মেইন রাস্তা থেকে কিছুটা পথ হেটে আমার বাড়ীর যাওয়ার রাস্তায় পা দিতেই কিছু সময়ের জন্য একটু থমকে গেলাম। কুয়াশার চাদরের আবরণ এতই যে এক হাত দূরের কোন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। অনেক অনেক দিন পর আজকে এই রকম কুয়াশা দেখলাম। যাকে বলে “কুয়াশার-চাদর”।
বিস্তারিত»আমার কথা ছাড়ুন
আমার কথা ছাড়ুন,
আপনি অনেক বিখ্যাত হয়েছেন শুনে খুশী হলাম,
তবে ভাবছি, কোন একদিন আপনিও কি আমার মত মাটি হবেন?
এত এত মানুষকে টপকে এতো উপরে উঠেছেন,
এত এত মানুষের ভালোবাসা আপনার জন্য,
এসব কি একটুও কন্সিডার করা হবে না, ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।
আপনার জন্য কি একটু বিশেষ ব্যবস্থা করা যেতো না?
এ ধরুন, মাটি না হয়ে অন্য কোন মহামূল্যবান খনিজ হবেন।
কবিতার পেছনে
কেউ ব্যথা পেয়ে কবি হয়,
কেউ শখ করে কবি হয়ে ব্যথা পায়।
কারো কবিতা মাঝপথে থেমে যায়, তখন
ফলহীন বৃক্ষের ন্যায় কবি শুধু দাঁড়িয়ে রয়।
আবার কারো কারো কবিতা ফল্গুধারার মত
অলক্ষ্যে নিশিদিন অন্তরে অন্তরে বয়ে যায়।
প্রেমের অনুভব ছাড়া কবি হওয়া যায়না,
ব্যথার দহনে পরিশুদ্ধ হয় কবির যাচনা।
কারো দু’টি মায়াবী চোখের অনন্য দৃষ্টি,
নীরবে করে যায় কত শত কবিতার সৃষ্টি!
হঠাৎ হাওয়ায় নির্বাপিত
হঠাৎ হাওয়ায় নির্বাপিত
২৯ ডিসেম্বর ২০১৬। অন্যান্য দিনের মতই সকালে ঘুম ভাঙ্গার পরেও একটা ঘুম ঘুম আমেজ নিয়ে কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়ে র’লো রুখসানা। বিছানায় শুয়ে শুয়েই স্মৃতির যাবর কাটতে থাকে। একদিন কত ব্যস্ত ছিল তার দিন! সেই সাত সকালে ঘুম থেকে ওঠা, বাচ্চাদেরকে স্কুলের জন্য তৈরী করা, স্বামী অফিস যাওয়ার আগে তার নাস্তাটা টেবিলে পরিবেশন করা, তারপর একে একে সবাই বেরিয়ে গেলে নিজের ঘর সংসারের কাজে মন দেয়া।
বিস্তারিত»লতাগুল্মের গালগল্প
আমাদের শহরে এখন সন্ধ্যা নামছে। দিনশেষের এই সময়টুকু আমার বড় প্রিয়। এখানে গ্রীষ্মের দিনগুলি অনেক লম্বা। ‘ঠাডাপড়া’ গরমে স্থানীয় লোকজন দেখি কেবল সমুদ্র সৈকতের দিকে দৌড়োয়। মাঝেমধ্যেই তাপমাত্রা একশো ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। দিনভর তুমুল গরম থাকলেও সন্ধ্যা আসে প্রশান্তি নিয়ে। সারাদিনের প্রচন্ড দাবদাহে গাছেরা তৃষ্ণাতর্ হয়ে থাকে। আমাদের বাড়ির সামনে পেছনে খোলামেলা সবুজ সমতল জায়গা আছে। সামনের চত্বরে আগে কেবল বুনো লাল গোলাপ ছিল, আর দক্ষিণের সীমানা ঘিরে ছিল ঘন সবুজ ফার্ণের ঝোপ ও জেরানিয়াম।
বিস্তারিত»ছেলেদের প্রেমে ডুবে থাকার ১১টি লক্ষন
নারীদের বলছি।
ধরুন, আপনি বুঝতে পারছেন, ছেলেটি আপনার ব্যাপারে আগ্রহি। কিন্তু ঠিক কতটা আগ্রহী সেটা জানতে চাচ্ছেন। এই হলো আপনার জন্য সমাধান। এই সেই এগারোটি লক্ষন, যা বলে দেবে, সে আপনার প্রেমে কতখানি ডুবে আছে বা আদৌ আছে কিনা:
১) সারাক্ষন আপনার কথা মনে পড়লেও “তোমার কথা সারাক্ষন মনে পড়ে” – এরকম কথা বলে ফেলাটাতে ছেলেরা সচরাচর পিছপা থাকে। সেইক্ষেত্রে, কিভাবে বুঝবেন, “সে যে আপনার কথা ভাবে?”
যদি দেখেন,
এক সম্পাদকের গল্প
বেশ কিছুদিন আগে এক সন্ধ্যায় আমার সাথে এক হৃদরোগ ডাক্তারের সাথে পরিচয় হয়েছিল। তিনি এক নামকরা হৃদরোগ হাসপাতালের হার্টের চিকিৎসক। তাঁর বন্ধু আমার পরিচিত। বন্ধুর সাথে এসেছিলেন আমাদের ক্লাবে। অনেক কথা হল তাঁর সাথে। আমি আগে সাংবাদিকতা করতাম জেনে তিনি এক পর্যায়ে একটা বিজ্ নেস কার্ড এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘‘আমিও কিন্তু একজন সম্পাদক’। চোখ বড়-বড় করে কার্ডটির দিকে তাকিয়ে দেখলাম সেখানে লেখা আছে তিনি এক অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক।
বিস্তারিত»Poetry for friendship
© Mostafizur Rahman Tito
সেপ্টেম্বর ১৯,২০০৬ সাল। সাইক্লোন থেকে নিজের জাহাজ এবং নাবিকদের বাঁচাতে গিয়ে হারিয়ে যান বানৌজা শহীদ ফরিদ এর ক্যাপ্টেন ফিরোজ কবীর। তাঁর বীরত্বগাঁথা বিশ্ববাসীকে বলার জন্য লিখেছিলাম Ballad for a Sailor. এটি ক্যাডেট কলেজ ব্লগ এবং অলপোয়েট্রিতে প্রকাশ করি। অলপোয়েট্রি কবিদের এক বিশাল ওয়েবসাইট। কোন কবিতা বা গল্প প্রকাশ হবার কিছুক্ষনের মধ্যেই তা পিছনে চলে যায়। তাই অন্যদের তা পড়ানর জন্য একটি কবিতা প্রতিযোগিতা আয়োজন করি।
বিস্তারিত»টাশকি অফ দ্যা ইয়ারঃ ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৬
টাশকি অফ দ্যা ইয়ারঃ ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৬
২০১৬ সালটা আর সব বছরের মতই মিশ্র কিছু অনুভূতি নিয়ে বিদায় নিচ্ছে। এত কিছুর মাঝে এই ডিসেম্বর বেশ মজার একটা অভিজ্ঞতা, কিংবা বলা চলে “শিক্ষা” দিয়ে গেল।
ঘটনাটা এমনঃ ফেসবুকের প্রায় সবকিছুতেই বৌকে ট্যাগ করে দেই। এখানে বৌ-প্রীতি বা বৌ-নেওটা টাইপের কোন বিষয় না, বরং নিয়মিত পালন করে যাওয়া অভ্যাসটাই আসল। যাহোক, ফেসবুকে “লাইক-প্রেমী”
বিস্তারিত»এক বালকের যুদ্ধ-স্মৃতি
স্মৃতির পাতা থেকে বলছি। এটি এমন সময়ের স্মৃতি যা আমার মনে থাকার কথা নয়। এটি এমন সময়ের গল্প যখন বাংলাদেশ এবং দেশের মানুষকে নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বড়-বড় হেডলাইন তৈরি হচ্ছিল। এই হেডলাইনগুলোর কথা আমি জীবনে আরো অনেক পরে জেনেছি। জেনেছি সেই গৌরব-গাথা যার গল্প মানুষ মনে করবে আরো হাজার বছর ধরে। গৌরবের পাশাপাশি এ এক ব্যর্থতার গাথাও। এই গৌরবকে মনে না নিয়ে, আলোর পথে না এসে কিছু মানুষ মানবতার চেহারায় কালিমা লেপে দিয়েছিল।
বিস্তারিত»সকল বর্ডার খুলে দাও

আমি একাত্তুর দেখিনি
গল্প শুনেছি
বাবার কাছে, আমার মায়ের কাছে!
আমি মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে শুনে বেড়ে উঠেছিলাম।
আমাদের সেই সময়ের বসার ঘরে, বঙ্গবন্ধুর এক বিশাল পোর্ট্রেইট ছিলো
বাবা আমাদের সব ভাইদেরকে অনুভব করিয়েছিলেন-
পোর্ট্রেইটের মানুষটা-ই একটা দেশ!
বাবারা কখনো মিথ্যে বলেন না বাবুদের কাছে
তাই পাইপ হাতের মানুষটিকে এক আলাদা ভূখন্ড বলে মনে করা শুরু করেছিলাম।
অসংলগ্ন
নাহরীন মৌলি চ্যাটার্জীর ছবিটার দিকে তাকিয়ে কি যেন খোঁজে। লাল স্লিভলেস ব্লাউজ। কালচে খয়েরী শাড়ি। গলায় অ্যান্টিক নেকপিস (কাঠমাণ্ডুর জুয়েলারি বোধহয়, ফেসবুকে কালারস অফ কাঠমাণ্ডু পেজটাতে এমন একটা নেকপিস দেখেছে)। চোখের ঢাউস চশমায় চেহারায় একটা গম্ভীর পড়ুয়া-ভাব। আরেকটা ছবিতে চশমার নিচে দুরন্ত চোখ, ঠোঁটে ছেলেমানুষী। গম্ভীর গভীর গাঢ় নীল আর উচ্ছলতার হলুদ মিলে সবুজ সতেজ। নাহরীনের মনে রঙের উপমাটাই এল। মৌলির সৌন্দর্য আর ব্যক্তিত্বের বলয়ে ঢুকে পড়তে না পড়তেই ঈর্ষাবাহী একটা তরঙ্গ মাথা থেকে নামে পায়ে।
বিস্তারিত»