আদার ব্যাপারী হয়েও যারা জাহাজের খবর নিতে মজা পান তাদের সবাইকে নিমন্ত্রণ। 😀 আসেন আম্রিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়া মাতামাতি করি। প্রতি চার বছর পরপর নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এবারের প্রথম মঙ্গলবার পড়েছে ৪ঠা নভেম্বরে। নির্বাচন শুরু হয়েছে সকাল ৬ টায়। রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। পুরো আমেরিকা নির্বাচনের সাজে সেজেছে। আমেরিকার অধিকাংশ মানুষ যে বারাক ওবামার পক্ষে সেটা আমরা আগে থেকেই জানি। ওবামার জয় প্রায় নিশ্চিত। ওবামার সমর্থকরা তাই আগে থেকেই আনন্দোৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারপরও ভয় থেকে যায়। ২০০৪ সালে তো একম অঘটনই ঘটেছিলো, উদারনৈতিকদের হারিয়ে বুশের সম্রাজ্যবাদী শক্তি পুনরায় ক্ষমতায় এসেছিলো।
প্রথমেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে দুয়েক কথা বলে নেই। এদেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি পরোক্ষ। অর্থাৎ প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ইলেক্টোরাল ভোট দিয়েই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। একেক অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা একেক রকম। যেমন, টেক্সাসের ইলেক্টোরাল ভোট ৩৪টা হলেও আলাস্কার ইলেক্টোরাল ভোট মাত্র ৩টা। সবগুলো অঙ্গরাজ্য মিলে মোট ইলেক্টোরাল ভোট ৫৩৮টা। জয়লাভ করতে হলে কোন প্রার্থীকে কমপক্ষে ২৭০টা ইলেক্টোরাল ভোট পেতে হয়।
এবার প্রার্থীদের কথায় আসি। প্রতি চার বছর পরপর অলিম্পিক হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনও হয় প্রতি চার বছর পরপর। মার্কিন ও বিশ্ব মিডিয়ায় এই দুই ঘটনার প্রচারই প্রায় সমান সমান হয়। তাই প্রার্থীদের কথা আর নতুন করে কিছু বলার নেই। বাংলাদেশে যেমন বিএনপি আর আওযামী লীগ; আমেরিকায় তেমন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট।
– ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ বারাক ওবামা, আর ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন।
– রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বুইড়া জন ম্যাকেইন, আর ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সেক্সি-অথর্ব সারাহ প্যালিন।
আমি জন ম্যাকেইন আর সারাহ প্যালিনরে দুই চক্ষে দেখতে পারি না। সিএনএন এ জন ম্যাকেইনের কথা শুনলে মনে হয়, বুইড়া শিয়াল বয়সের ভারে আর ঠিকমতো হুক্কাহুয়া করতে পারতেছে না। আর বারাক ওবামার কথা শুনলে মনে হয়, বাংলা ভাষণ শুনতেছি। এতো স্পষ্ট আর দৃঢ়তার সাথে কোন রাজনীতিবিদকে কথা বলতে দেখিনি। গুরু ওবামার ভক্ত আমেরিকার প্রায় সব বিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবীরা। ক্যালটেকের প্রফেসররা কসমিক ভ্যারিয়েন্স নামে একটা ব্লগ চালায়। ঐ ব্লগে এবারের নির্বাচনের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের নিয়া একটা জম্পেশ জোক দেখলাম। সবগুলারে ট্রেনের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কে কেমন ট্রেন, দেখে নিন:
আরেকটু কুৎসা রটনা করি। ম্যাকেইন বিশ্বশান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ, বুশের চেয়ে সে কোন অংশেই ভালো হবে না। সারাহ প্যালিনের মাথায় ইন্টেলেক্ট বলতে কিছু নাই। ভাইস-প্রেসিডেন্ট কারে কয় এইটাও সে জানে না। মাথা ভর্তি গোবর। ইনি এক সময় মিস আলাস্কা হইছিলো, মডেলও ছিলো। আর ওবামা হলেন প্রদীপ। তার প্রতিটা কথায় ইন্টেলেক্টের পরিচয় পাওয়া যায়। অকাট যুক্তি ছাড়া কোন কথা বলেন না। বিজ্ঞান কাকে বলে জানেন। আধুনিকতা কাকে বলে জানেন। ওবামা প্রেসিডেন্ট না হলে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার আর কোন আশাই থাকবে না।
প্রার্থীদের কথা তো অনেক হলো। এবার চলমান নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলা যাক। তার আগে ভবিষ্যৎবাণীটা দেখে নেই। নির্বাচনে কে কত ভোট পাবে বলে নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন সেটাই প্রথমে দেখা যাক। নিচের মানচিত্রটা দেখলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে:
এটাকে আসলে ভবিষ্যৎবাণী বলা যায় না। আমি এটাকে ওবামা কিভাবে নির্বাচন জিতবে তা বোঝার যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করছি। মানচিত্রটা ভালোভাবে লক্ষ্য করুন:
নীল স্টেটগুলোতে ওবামা নিশ্চিত জিতবেন, লাল স্টেটগুলোতে ম্যাকেইন নিশ্চিত জিতবেন। আর ধূসর রঙের স্টেটগুলো নিয়ে সন্দেহ আছে। কে জিতবে তা আগেভাগে বলা যাচ্ছে না।
এখন হিসাব করে দেখেন। নীল স্টেটগুলোর ইলেক্টোরাল ভোট গণনা করলে সংখ্যাটা দাড়ায় ২৪৩। কিন্তু নির্বাচনে জিততে হলে তো ২৭০টা ভোট লাগবে। তার মানে ওবামাকে আরও ২৭টা ভোট পেতে হবে। এগুলো আসবে ধূসর স্টেটগুলো থেকেই। এখানেও আশা আছে। করণ ধূসর স্টেটগুলোর বেশ কয়েকটাতে ওবামার বিজয়ের সম্ভাবনা বেশী।
এই ২৭টা ভোট পাওয়ার ৩টা আলাদা আলাদা উপায় আছে:
১। ফ্লোরিডা: এই স্টেটের ইলেক্টোরাল ভোট ২৭টা। একদম খাপে খাপে মিলে যাচ্ছে। জিততে পারলেই ম্যাকেইন মধ্য আটলান্টিকে ডুবে যাবে। কিন্তু এই অঙ্গরাজ্য নিয়ে অনেক সময়ই ঝামেলা হয়। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বেশ টাইট।
২। পেনসিলভ্যানিয়া, ভার্জিনিয়া এবং ওহাইয়ো; এই তিন স্টেটের মধ্যে যেকোন দুটাতে জিতলেই ২৭টা ভোট এসে যাবে। পেনসিলভ্যানিয়া ও ভার্জিনিয়াতে ওবামা এগিয়ে আছে। তাই এখান থেকেই জয় আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। জিতলেই কেল্লা ফতে, ম্যাকেইনের গলায় ছুরি।
৩। পেনসিলভ্যানিয়া, ভার্জিনিয়া এবং ওহাইয়ো; এই তিন স্টেটের যেকোন একটিতে জেতা এবং পশ্চিমের ছোট ছোট স্টেটগুলোর মধ্যে এক বা একাধিকটিতে জেতা।
তাই ওবামার পাল্লাই ভারী। ম্যাকেইন সবগুলো লাল স্টেট আর ফ্লোরিডা জিতে গেলেও (যার প্রোবাবিলিটি কম থাকলেও পসিবিলিটি আছে) ওবামার জয়ের সম্ভাবনা আছে।
উপায়ান্তর আরও আছে। ওবামা পেনসিলভ্যানিয়া, ভার্জিনিয়া, ওহাইয়ো আর ফ্লোরিডা এই সবগুলোতে হেরেও যদি ইন্ডিয়ানা, মিসৌরি ও কলোরাডো জিতে নেয়, তাহলেও সম্ভব। কিন্তু এসব ভেবে খুব একটা লাভ নেই। উপরের তিনটা পথের দিকেই আমরা তাকিয়ে থাকতে পারি। সুতরাং কষ্ট করে সবগুলো স্টেটের ফলাফলের দিকে নজর রাখার দরকার নাই। নিচের ৭টা স্টেটের দিকে কড়া নজর রাখুন। ওবামা জিততে শুরু করবে আর আমাদের আনন্দোৎসব শুরু হবে।
১। পেনসিলভ্যানিয়া
২। ভার্জিনিয়া
৩। ওহাইয়ো
৪। ফ্লোরিডা
৫। ইন্ডিয়ানা
৬। মিসৌরি
৭। কলোরাডো
নির্বাচনের কিছু রেজাল্ট কিন্তু আমাদের হাতে চলে এসেছে। জানা যাচ্ছে, ইন্ডিয়ানাতে ম্যাকেইনেরই জেতার কথা। কিন্তু ওহাইয়ো নিয়ে সন্দেহ আছে। এখানেই ওবামার অ্যাডভান্টেজ। ওহাইয়ো না জিতে নাকি কোন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট হয়নি। তাই ওহাইয়ো জিতলেই আমরা হিপ হিপ হুররে শুরু করতে পারবো।
কিছুক্ষণ আগেই দুটি শহরের রেজাল্ট চলে এসেছে। সবসময়ই নাকি এই দুই শহর সবার আগে রেজাল্ট প্রকাশ করে। নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যের “ডিক্সভিল নচ” ও “হার্টস লোকেশন” নামক এই দুই শহরের খবর পজিটিভ। দুই শহরেই ওবামা জিতেছে। শুরু ভালো যার সব ভালো তার, এই যেন হয়। এর মধ্যে অবশ্য ডিক্সভিল নচে কখনই রিপাবলিকানরা জিতেনি।
ওবামা নিজের ভোট দিয়ে ফেলেছেন। হোম স্টেট ইলিনয়ে ভোট দিয়ে অন্য রাজ্যে চলে গেছেন প্রচারণার জন্য। ওবামা মেয়েকে নিয়ে ভোট দিতে এসেছেন, ছবিটা দিলাম:
সর্বশেষ আপডেট এ পর্যন্তই। সমগ্র বিশ্বের ভবিষ্যৎ জানতে হলে এই পাতায় চোখ রাখুন, নতুন কোন খবর জানলে শেয়ার করুন। আমি মন্তব্যের মাধ্যমেই আপডেটগুলো জানাবো।
অতি আগ্রহীরা নিচের পাতাগুলোতেও চোখ রাখতে পারেন:
– সচলায়তনের বিশেষ আয়োজন: সরেজমিন মার্কিন নির্বাচন – সচলায়তন
– Fired Up, Ready to Go – কসমিক ভ্যারিয়েন্স
খুব সুন্দর সংকলন। ধণ্যবাদ
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আপনারেও থ্যাঙ্কিউ
সেক্সি প্যালিন জিন্দাবাদ। 😀
বুইড়া ম্যাককেইন নিপাত জাক।
বস্, ওই বুইড়া ম্যাকপেইন নিপাত মানে প্যালিন আফাও বাদ পইড়া গেলো :(( :((
বারাক হুসেন ই মনে হয় ঢুকবো শাদা ঘরে 🙂
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
বুইড়া আর সেক্সি দুইটাই নিপাত যাক, আমরা স্বাভাবিক মানুষটারেই শাদা ঘরে ঢুকতে দেখি.....
পলিন আপায় হেভভি হট।
আমার খালি উনারে টাচ করতে ইচ্ছা করে। 😉 😉 😉
ওবামা জিতুক, এইটাই চাই। আমাদের কলেজের ওয়াহাব ভাই একজন রেজিস্টার্ড ডেমক্রাট। ইলেকশন প্রেডিকশন নিয়া তিনি একটা কলাম লিখছেন ডেইলি স্টারে। যারা আগ্রহী পড়তে পারেন। এইখানে
ওয়াহাব ভাইকে :salute:
ওয়াহাব ভাইকে এবং সাথে সাথে তার প্রেডিকশন কে :salute:
সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়কে সবার সামনে সুন্দর ভাবে তুলে আনার জন্য মুহাম্মদকে :salute:
এবং যথারীতি সমসাময়িক সিসিবি'য় ধারা বজায় রেখে ফৌজিয়ানকেও এই মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য :salute:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
বুজলাম না..... 😛
Life is Mad.
বাংলাদেশের আসন্ন (সম্ভাব্য) নির্বাচনেও এমন একটা ব্লগ আয়োজন করতে পার।
বুইড়া বেশ কয়েকটা থাকলেও আমাগো প্যালিন ক্যাডায় হইবো 😛
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আমগো বুইড়া বা প্যালিনের দরকার নাই। যা আছে তাই দিয়ে নির্বাচনী ব্লগের ব্যবস্থা করা হবে।
এইটাই প্রথম নির্বাচন যখন বাংলা ব্লগ জিনিসটা থাকতেছে। গত নির্বাচনে বাংলা ব্লগের অস্তিত্ব ছিলো না। তাই নির্বাচনের সময় আমরা ফাটায়া ব্লগিং করুম।
তবে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ব্লগিং এর ক্ষেত্রে এখানে কয়েকটা নীতি মেনে চলার দরকার হতে পারে:
- প্রত্যেকে নিজের দলের বিজয়ে উল্লাস প্রকাশ করবে।
- অন্য দলের সমর্থকদের কেউ আঘাত করবে না।
- এলাকাভিত্তিক নির্বাচনের অবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে। প্রত্যেকে নিজ এলাকার নির্বাচনের অবস্থা নিয়ে বেশী করে বলবেন।
সচলায়তনে শোহেইল মতাহির চৌধুরীর কমেন্ট থেকে জানলাম, রাত ১১:০০টা (জিএমটি) থেকে রেজাল্ট আসা শুরু হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় ভোর ৫:০০টা থেকে আমরা রেজাল্ট পেতে শুরু করবো। ওবামা জিতে যাচ্ছে। এখন কেবলই অপেক্ষার পালা।
ইন্ডিয়ানা ও কেন্টাকিতে সবার আগে ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে। এই দুই রাজ্যেই বোধহয় সবার আগে রেজাল্ট ঘোষিত হবে।
আমার বিসিএসের ভাল পিরিপারেশন হয়া গেল।বাহ সিসিবি খালি আনন্দ না, আজকাইল সত্যিকারের উফকার ও করে…
সাবাস মুহম্মদ…এই পুলাডার লিখা পড়লে নিজেরে নিরক্ষন নিরক্ষর লাগে(আমি যে তা না সেই দাবী করি না মাগার অর লিখা পড়লে সেই ভাবটা প্রবল হয়া উঠে)
মাসরুফ ভাই খালি লইজ্জা দেন। এইরম করলে কিন্তু খেলুম না :((
লাইভ আপডেট জানতেসবাই বিবিসি-তে চোখ রাখতে পারেন। মিনিটে মিনিটে আপডেট হচ্ছে সেখানে:
America votes in historic election
ধন্যবাদ মুহাম্মদ। প্রথম আলো না ছাড়লে এইবারও আম্রিকার ইলেকশন কাভার করতে যাইতাম। ভীষণ আগ্রহউদ্দীপক ঘটনা। ২০০৪ সালে বুশ-কেরির ইলেকশন কাভার করতে একমাস ওইদেশে আছিলাম। কেরির একটা জনসভাও কাভার করেছিলাম। এবার মিস করছি দারুণ। আমাদের রেডিওটা দাঁড়িয়ে গেলে আশা করি ২০১২ সালের নির্বাচন কাভার করতে যামু।
ইলেকশন কাভার করা আমার কাছে ভীষণ ইন্টারেস্টিং লাগে। ১৯৯৮, ১৯৯৯ ো ২০০৪ সালের ভারতীয় নির্বাচনও কাভার করেছিলাম। ২০০৪-এর ভারতীয় নির্বাচন নিয়ে পরে একটা বই লিখেছিলাম, "ভারতের ভোটের রাজনীতি"।
বইটির কাভার এখানে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
দারুন খবর।
সানাউল্লাহ ভাইএর কাছে কয়েকটা আব্দার,
2004 এর ইলেকশনটা নিয়া আপনার অভিজ্ঞতাগুলো যদি শেয়ার করতেন।
অন্যান্য ইলেকশনগুলো কাভার করা নিয়েও ইন্টারেস্টিং কাহিনি গুলো নিয়ে কিছু লেখা।
যেহেতু একটি এফ এম স্টেশন এর একেবারে শুরুথেকেই আছেন একে দাড়া করানোর কাজে, সেটি নিয়েও যদি কিছু লিখতেন তবে আমার মনে হয় আনন্দের পাশাপাশি আমরা ছোটরা অনেক কিছুই শিখতে পারবো সেগুলো থেকে।
দেখা যাক, সিসিবি বাসী ভাইয়েরা কি কি বলে এ ব্যাপারে।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
একদম খাটি কথা। সানাউল্লাহ ভাইয়ের কাছে অনেক কিছু জানতে চাই। অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার ইলেকশন কাভারের কথা শুনে সাংবাদিকদের ঈর্ষা হচ্ছে। ইচ্ছা করে সব বাদ দিয়া সাংবাদিক হয়া যাই।
ভবিষ্যতে আপনার অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শেয়ার করবেন আশাকরি।
আর আশাকরি ২০১২-র আগেই আপনার রেডিওটা দাঁড়িয়ে যাবে। ২০১২-র মার্কিন নির্বাচনে যখন শাদা ঘরে কালো মানুষটা আরও ৪ বছর থাকবে কি-না তা নির্ধারিত হবে, তখন আপনি মার্কিন মুল্লুক থেকেই সে কথাগুলো আমাদের জানাবেন।
বুঝলাম না। বইয়ের কভারটা আইলো না কেন। এইসব ব্যাপারে এখনো অজ্ঞই থেকে গেলাম। সরি....
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ফেসবুকের লিংক দেখে বোধহয় আসে নাই। কারণ ফেসবুকে তো ফ্রেন্ড ছাড়া কেউ ছবি দেখতে পারে না। আমি অবশ্য শিউর না।
বিবিসি-র খবর:
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এখনও কোন একজন প্রার্থীকে প্রেফার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কিন্তু ওয়েল্সের ফার্স্ট মিনিস্টার রড্রি মর্গান বলেছেন,
নিউ ইয়র্ক সিটির একটা বরো হচ্ছে ম্যানহাটন। ম্যানহাটনের একটা জায়গার নাম হার্লেম। হার্লেমকে মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গদের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। কৃষ্ণাঙ্গ জনতা এখানে জড়ো হয়েছে। ওবামার আশু বিজয়ের আনন্দে মেতে উঠেছে। সবার গায়ে ওবামা টি-শার্ট। কোনটাতে ওবামার মুখ, কোনটাতে তার স্ত্রী মিশেলের মুখ, কোনটাতে মার্টিন লুথার কিং এর পাশে ওবামার ছবি। এখানে ব্যবসায়র চেয়েও আনন্দ হচ্ছে বেশী।
আফসোস, মার্টিন লুথার কিং ও কৃষ্ণাঙ্গদের মুক্তি আন্দোলনের রূপকারেরা এই দিনটা দেখে যেতে পারলেন না।
বুইড়া ম্যাকেইন এখন কলোরাডোতে। রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য এখন গ্র্যান্ড জাংশনের এক স্টেজে আছে। জনগণ ভালোই তাল দিচ্ছে। দিবেই তো। যারা তাল দেবার তারাই তো ঐখানে গেছে, ওবামার সমর্থকরা তো আর যায় নাই। ম্যাকেইনের বউ ইরাক যুদ্ধে মাকেইনের প্রকৃত নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে। ম্যাকেইন বলছে,
মানুষজন ভালোই এনজয় করতেছে।
পলিন আপার মাইয়ারে দেখসস???
মুহাম্মদ থাঙ্কু ভাইয়া... লেখাটা অনেক সুন্দর আর গুছানো...
আমাদের দেশে এইবার ইলেকশনে সুবরণা মুস্তফা কে পালিন হিসাবে দাড় করানো যাইতে পারে। যাইহোক লিখাটা পড়ে ভালো লাগলো। আশা করি ঘুম থেকে উঠে এই লিখায় চোখ বুলালেই কে জিতছে নিরবাচনে তা যেনে ফেলতে পারবো। মুহাম্মদ হ্যাটস অফ টু ইউ।
কি কও মিয়া, কোই সুবর্না কোই পালিন। পালিন আফায় কত্ত সোন্দর :shy:
এক নিঃশ্বাসে পড়লাম।
খুব ভালো লাগল।
ওয়েল ডান মুহাম্মদ :clap: :clap: ।
Life is Mad.
ওবামা - ৩, ম্যাককেইন - ৮
ওবামা - ৩, ম্যাককেইন - ১৬ (জেতার জন্য দরকার - ২৭০)
ওবামা - ৭৭, বুইড়া - ৩৪ (জেতার জন্য দরকার - ২৭০)
বিঃ দ্রঃ সকল ফলাফল আনফিসিয়াল
ওবামা - ৮১, বুইড়া উইথ সেক্সি পেলিন - ৩৪ (সুত্রঃ সিএনএন)
ওবামা - ১০২, বুইড়া উইথ সেক্সি পেলিন - ৩৪ (সুত্রঃ সিএনএন) জেতার জন্য দরকার - ২৭০
পেনসিলভেনিয়ায় ওবামা
ভাইটাল ৭টা স্টেটের একটাতে ওবামা জিতলো। হুররে..... :clap:
পেনসিলভেনিয়ার ২১ টি ইলেকটোরাল ভোট ওবামার পকেটে যাওয়া বুইড়ার জন্য একটা বিশাল ধাক্কা।
ইইহ, জাহাজের খবর রাখতে রাখতে তো আদার দামই ভুইলা গেলাম। ব্যাবসা লাটে উঠতে বেশি দেরি নাই 😀
যাউজ্ঞা...
ওবামা - ১৭৪, বুইড়া উইথ সেক্সি পেলিন - ৪৯ (সুত্রঃ সিএনএন) জেতার জন্য দরকার - ২৭০
ওহাইয়ো ডাউন।
ওবামা ওহাইওতে জিতেছেন। যে ওহাইওতে না জিতে কোনদিন কোন রিপাব্লিকান প্রেসিডেন্ট হয়নি।
ওবামা - ১৯৪, বুইড়া উইথ সেক্সি পেলিন - ৬৯ (সুত্রঃ সিএনএন) জেতার জন্য দরকার - ২৭০
😀
ঘুমায়া পড়চিলাম। ভাবছিলাম ভোরে ঘুম থেকে উঠুম। পারি নাই। উইঠা দেখি ৮:৩০ বাজে। যাহোক, সুখবর পাইলাম। ব্লগে আইসা দেখি অন্যরা চালায়া নিছেন।
একটু আগেই দেখলাম ওবামা - ২০০; ম্যাকেইন - ৯০।
আর এখন: ওবামা - ২০০; ম্যাকেইন - ১৩০।
শিট। ওবামা ২০০-তে আটকায়া গেছে। তবে চিন্তা নাই মনে হয়। এই ব্যবধান ম্যাকেইনের চৌইদ্দ গুষ্টি একসাথে হয়েও কাভার করতে পারবো না।
ক্যালিফোর্নিয়ার ৫৫ আর ওয়াশিংটনের ১১ টা তো ওবামার বান্ধা। সো নো চিন্তা। ফ্লোরিডা নীল থেকে লাল হয়ে যাবার সম্ভাবনা খুব বেশি।
আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। 😡
বারাক ওবামা- ২০৭
ম্যাক বুইড়া উইথ সেক্সি পেলিন- ১৩৫
ABC Live...
এখনও ওবামার কনফার্ম চারটা ওয়েস্ট স্টেট বাকী আছে
ক্যালি (৫৫),
ওয়াশিংটন (১১),
ওরেগন (৭),
হাওয়াই (৪)
-- টোটাল ৭৬
২০৭+৭৬= ২৮৩
চরম হিসাব দেখাইলেন। ওবামার জিতা নাই তাইলে কুন সন্দেহই নাই। ২৭০ তো আসবেই। কত লিডে জিতবে সেইটাই এখন ভাবুনের বিষয়।
লেটেস্ট খবর দ্যাখেন। বিবিসি থিকা স্ক্রিনশট নিয়া দিলাম। ম্যাকেইন একটু আগানোর চেষ্টা করতেছে।
ছবি ছুড হয়া গেছে। অসুবিধা নাই। পড়ে ঠিক করতাছি।
লেটেস্ট খবর। ওবামা - ২০৭; ম্যাকেইন - ১৪১
ম্যাকেইন দেখি আগাইতেই আছে।
ওবামা জিতে গেছেন। :clap:
truly historic
"CNN projects that Barack Obama will be the nation's 44th president."
এক ঐতিহাসিক বিজয়। মার্টিন লুথার কিং এর স্বপ্নের বাস্তবায়ন। পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের প্রেসিডেন্ট হলেন একজন কালো মানুষ। আমরা এই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলাম। ছবি দিয়ে দিচ্ছি। আমরা সাক্ষী আছি এটা তাহলে আরও ভালোভাবে প্রমাণ হবে। বিবিসি-র স্ক্রিনশট:
মুহাম্মদ - তোমারে অসংখ্য ধন্যবাদ :clap: :clap: ।
দারুন কিছু একটার সুযোগ করে দিলা।
Life is Mad.
আর কেউ ধরতে পারবে না। ওবামা - ৩৩৩; ম্যাকেইন - ১৫৫
কন্ডোলিজা রাইস সেক্রেটারি অফ স্টেট্স হওয়ার পর অনেকেই বলেছিলেন- মার্টিন লুথার কিং এটা দেখে যেতে পারলেন না। কিং এর সেই স্বপ্ন পূরণ আমাদের জন্য কোন সুফল বয়ে আনতে পারেনি। এবার বাস্তবায়িত হলো চূঢ়ান্ত স্বপ্ন। এর মাধ্যমে যেন বিশ্বের সকল দেশের সকল নিপীড়িত ও শোষিত জনতার মুক্তি আসে, সেই কামনা করছি। মার্টিন লুথার কিং এর এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন যেন সবার জন্য ভালো হয়।
ল্যান্ডস্লাইড ভিক্টোরির দিকে আগাচ্ছেন ওবামা। ফ্লোরিডাতে এখনও রেজাল্ট ঘোষণা করা হয়নি। আসা করা হচ্ছে এখানেও ওবামা জিতবে।
ইতিহাস তৈরী হয়ে গেছে। কারণ:
আর ২৫ মিনিট পর বারাক ওবামা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দ্দেবেন।।
অ্যামেরিকার নতুন ফার্স্ট ফ্যামিলি স্টেজে উঠেছে। ওবামার হোম স্টেট ইলিনয়ের শিকাগোতে আছেন তারা। শিকাগোর গ্র্যান্ট পার্কের স্টেজে উঠেছে বারাক ওবামা, মিশেল ওবামা এবং তাদের দুই মেয়ে ম্যালিয়া ও সাশা। ওবামা বক্তৃতা শুরু করেছেন।
টাইমলাইন টু হিস্টরি: (বাংলাদেশ সময়ে সেট করা)
১০:০১ - আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই ওবামা ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট অর্জনের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন।
১০:০৪ - ইতিহাস গড়ে উঠলো। ক্যালিফোর্নিয়া জেতার মাধ্যমে আমেরিকার ৪৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন বারাক ওবামা। ক্যালিফোর্নিয়ার ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা ৫৫।
একইসাথে ওবামা ভার্জিনিয়া জিতে নিয়েছেন। ১৯৬৪ সালের পরে এই স্টেটে কোন ডেমক্র্যাট নির্বাচিত হয়নি। এই ১৯৬১ সালেও এই স্টেটে ওবামার বাবা-মা'র বিয়েকে অবৈধ ঘোষণার পায়তারা করা হয়েছিলো।
১০:১৯ - কেনিয়াতে আনোন্দৎসব চলছে। ওবামার বাবা যে গ্রামে জন্মেছিলেন সে গ্রামের সবই সেলিব্রেট করছে।
১০:২০ - বিমর্ষ জনতার উদ্দেশ্য ম্যাকেইন বলেছেন যে তিনি ওবামাকে কংগ্রেচুলেশন জানিয়েছেন। সিএনএন এর খবরে প্রকাশিত হয়েছে:
MCCAIN CONGRATULATES OBAMA
America votes for change
১০:২৫ - ম্যাকেইন তার সকল সমর্থকদের ওবামাকে কংগ্রেচুলেশন জানাতে বলেছেন।
১০:২৬ - ম্যাকেইন আর পেলিন পাশাপাশি দাড়িয়ে আছেন। ম্যাকেইনের পুরনো রূপ নাকি ফিরে এসেছে, যে রূপটাকে অনেকে শ্রদ্ধা করতো। জনগণ বিমর্ষ বদনে চিয়ার্স দিচ্ছে।
সিএনএনের নিউজ,
কৃষ্ণাঙ্গ একজন ভাষ্যকার এতক্ষণ অনেক কথা বললেও এখন কেবলই ঝরঝর করে কাঁদছেন। ষাটের দশকেও যেখানে কৃষ্ণাঙ্গদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হতো, সেখানে আজ কৃষ্ণাঙ্গ বারাক ওবামা পুরো আমেরিকার ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন
১০০ বছর আগে আমেরিকার নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও কৃষ্ণাঙ্গরা সমান অধিকার পেতোনা, ১০০ বছর আগে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট কৃষ্ণাঙ্গ বুকার টি ওয়াশিংটনকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানালে বিতর্কের সৃষ্টি হয়, আর আজ সেই অধিকারবঞ্চিত মানুষদের একজনই আমেরিকার ক্ষমতার শীর্ষে।
অসাধারণ বক্তৃতা দেন ওবামা। আগেই বলেছিলাম এতো স্পষ্ট আর অন্তর্ভেদী বক্তৃতা আমার জীবনে কাউকে দিকে শুনিনি। প্রথম কথাতেই আবার বাজিমাত করলেন ওবামা। আরেকটি ঐতিহাসিক বক্তৃতা শুরু হলো এভাবে:
আর ম্যাকেইন সম্পর্ক ওবামা বললেন,
এই কথাগুলো থেকে আমাদের বোধহয় অনেক কিছু শিখার আছে। একজন বিজয়ী প্রসিডেন্টের বক্তৃতা বাংলাদেশের সব রাজনীতিবিদ নিশ্চয়ই শুনছেন। কিন্তু এ থেকে কি তারা আদৌ কোন শিক্ষা নেবেন?
কোন সম্ভাবনা নাই। আমাদের এইখানে এরা নোংরা কথাবার্তা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারে না। এদের কথা বার্তার নমুনা হইলো...
দেবর ভাবীর সংলাপ,
উনি গভীর রাতে হোটেলে কি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন, আপনি কেনো আমার সোনা নিয়ে টানাটানি করছেন- দুই নারীর মিলনে কোনো কিছু হয় না-
এই ধরনের।
স্টেজে স্ত্রী ও কন্যার সাথে ওবামা।
ইলিনয়ের শিকাগোতে ১২৫,০০০ মানুষের উদ্দেশ্য বক্তৃতারত ওবামা।
১২৫,০০০ মানুষকে চোখের জলে ভাসিয়ে দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আফ্রিকান-অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক হুসেইন ওবামা।
ম্যাকেইন আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় মেনে নিয়েছেন। সারাহ পেলিন তার হোম স্টেট আলাস্কায় ফিরে আছেন। মেয়ের কাছে যাবেন। তার মেয়ে ব্রিস্টল অচিরেই মা হচ্ছে, আর পেলিন হচ্ছে নানী।
আমার কেনো এমন নানী হইলো না? :(( :(( :((
বাংলাদেশে থাইকা এইসব আশা করন কি ঠিক? আপনেই কন? কিছুই যখন করার নাই তখন এইসব কুকথা কয়া কি লাভ। 😛 তার চেয়ে পরজন্মে আম্রিকায় জন্মানোর ব্যবস্থা দেখেন 😀
আর আসলেই যদি আম্রিকায় জন্মাইবার পারেন তয় আমার কথা ভুইলা যাইয়েন না। আপনের উছিলায় যদি আম্রিকা যাইবার পারি। 😉
যা শালা। এখন একজন স্নেহময়ী নানী চাইলেও "কুকথা" হইয়া যায় !! 🙁 🙁
আর কিছুই কমু না। অফ গেলাম।
হ, স্নেহময়ী হওনের জইন্য মনে হয় সুন্দরী হওয়া লাগে। নতুন নতুন নিয়ম বনাইবেন আর আমরা কুকথা বইলাও সাব্যস্ত করতে পারুম না?! 😛
😀 😀 :)) :)) =)) =)) :khekz: :khekz:
নানী সোন্দর আছে.......
Life is Mad.
আজীজ হাসান মুন্না ভাই,
অনেক ভাইবা দেখলাম নানী প্যালিনের নামে অশ্লীল কথাগুলা বাদই দিয়া দেই। শত্রুপক্ষ হাইরা গ্যাছে, তাই একটু সহানুভূতি দেখাই। তাই ব্লগ থেইকা ঐ.. লাইনটা বাদ দিয়া দিছি। আপনার কমেন্টটাও সেই কারণে মুইছা ফেলতে হইছে। কিছু মনে কইরেন না। বুঝতেই পারতাছেন, হাজার হোক প্যালিনের বয়স তো হইছে, এইবারের মতো একটু ছাড় দেই.. 😀
এক কৃষ্ণাঙ্গ লোকের কথা শুনেন। স্থির থাকতে পারবেন না:
ওবামার বক্তৃতা বোধহয় শেষ। ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্টেজে উঠছেন। ওবামা ফ্যামিলির সাথে এখন বাইডেনও তাই স্টেজে।
পাঁচটা স্টেটের রেজাল্ট ঘোষণা দেয়া বাকি:
- আলাস্কা (প্যালিনের দ্যাশ)
- নর্থ ক্যারোলাইনা
- ইন্ডিয়ানা
- মিসৌরি
- মন্টানা
বর্তমানে ইলেক্টোরাল ভোটের অবস্থা:
ওবামা - ৩৩৮; ম্যাকেইন - ১৫৫
@Muhommod,
I know I am being naive....but I do believe in my heart that there will be days when my children will stride as proud Bangladeshis...and we will never think of(not even in joke) being born in some distant,foreign,"Super power" country...
And that's the audacity of hope!
naive না মাসরুফ ভাই। আপনি ঠিকই বলছেন। আমিও মনে করি একদিন সেই অবস্থা আসবে। আমি কিন্তু এখনও নিজেকে বাংলাদেশী পরিচয় দিতে কার্পণ্য করবো না। আপনার কথাগুলা বিশুদ্ধ দেশপ্রেম থেকে আসছে সেটা আমি বুঝতে পারছি। আপনারে :salute:
ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়ার এক লোক পাট মাইরা উড়ায়া ফেলতাছে। অবশ্য পাট মারার মতো যথেষ্ট কারণও আছে। উনি কইতাছেন, এই পাঁচ স্টেটের মধ্যে নর্থ ক্যারোলাইনা ও ইন্ডিয়ানাতে ওবামার জয়ের আশা আছে। বাকি তিনটা হারাবেন। তাহলে ওবামার মোট ইলেক্টোরাল ভোট হবে ৩৬৪। ভার্জিনিয়ার ইলেকশন গবেষণা টিম ঠিক এই ভবিষ্যৎবাণীটাই করছিলো। প্রমাণ আছে দেইখা লন:
THE LAST LAST WORD - ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়ার ক্রিস্টাল বল ২০০৮
ওবামা :clap: :boss: :salute:
ম্যাককেইন :frontroll: :frontroll: :frontroll:
পলিন 😡 😡 😡 😡 😡 😡 😡 😡
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
সেইরকম হইছে 😀
----Barak Obama(in his Victory Speech)
সর্বশেষ পরিস্থিতি:
বারাক ওবামার ন্যাংটাকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ধারাবাহিক ছবি দেখতে চাইলে শিকাগো ট্রিবিউন এর এই পেইজে যান।
আগে বারাক ওবামাকে বর্তমানের চেয়ে বেশী শ্রদ্ধা করতাম। যখন তিনি মধ্যপ্রাচ্য নীতি নিয়ে কিছু বলেননি। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য নীতি নিয়ে বলার পর মনে হলো, যেই লাউ সেই কদু না হয়ে যায়। কিন্তু এখন আবার আশায় বুক বেধেছি। পুরো আমেরিকান নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ একা ওবামা যুদ্ধ করে হয়তো তাৎক্ষণিক কোন পরিবর্তণ আনতে পারবেন না। কিন্তু ভবিষ্যতে আশাকরি সব হবে।
ওবামা ইতোমধ্যে তার ২০১২ নির্বাচন ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অনেক কিছুই এক টার্মে করা সম্ভব না। আশাকরি দুই টার্ম মিলিয়ে আমরা অনেক ভালো কিছু পাবো।
বারাক ওবামার অ্যাকসেপটেন্স স্পিচ শুনতে হলে এখানে যান:
President-elect Barack Obama's speech in full - BBC
এতোদিন মার্কিনীরাও মার্কিন হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করতো। একজনের কথা শুনেন:
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট Mwai Kibaki বলেছেন:
আফগানিস্তানের কাবুল থেকে আমরা স্বর শুনতে পেয়েছি। এ যেন বুশ প্রশাসনের নৃশংসতায় বিধ্বস্ত আফগানদেরই কণ্ঠস্বর:
ওবামা ভাই চরম জিনিয়াস..উনি আমার থেকে :salute: আদায় করে নিলো
ভাই আমি এত আশা করি না। বুশ মার্কা নীতি থেকে ওবামা কতটুকু সরে আসবে সেটাই দেখার বিষয়। ইরান নীতি নিয়াও কথা আছে। মধ্যপ্রাচ্যে কি ঘটে তাই-ই দেখা যাক। তয় আমেরিকানদের জন্য নিঃসন্দেহে আনন্দের দিন, বিশেষ কইরা এই জেনারেশন এর জন্য।
খবর পইড়া আর দেইকখ্যা যা বুঝলাম সিনেটের থাকাকালেও ওবামা ইসরাইল পন্থি ছিল। রবার্ট ফিস্কের একটা কথা খুব মনে ধরছে আমার, ওবামা তার স্পিচে 'পরাজিত' করার কথা বললেও 'জাস্টিস' এর কথা বলে নাই।
যাহা হউক ছোট মুখে বড় কথা কইয়া ফেলাইলাম।
মুহাম্মদ ভুল কিছু কইলে ঠিক কইরা দিস।
সহমত :boss:
হাসনাইন ঠিক কইছস। ওবামা আসলেই কিছুটা ইসরায়েলপন্থী। তারপরও আমি অনেক আশা করি, অনেক অনেক। আমি মনে করি বিশ্বে শান্তি আনতে পারলে এক ওবামাই পারবে, অন্য কেউ না। যদি শান্তি না আসে তবে তো আর কিছু করার নাই। আরও ১০০ বছর আমাদের অন্ধকারে ডুইবা থাকতে হবে।
ইউনুসে ইউনুসে আমরা পুরো পৃথিবী ভরিয়ে দিতে পারি.. 😀 😀
(কেউ মাইন্ড খাইয়েন্না :shy: )
😀 😀
ইউনুসের লগে ওর মাইয়াগুলা ভইরা গেলে আমি রাজি আছি... :grr: 😀
-ভাল কথা কইছস। 🙁
আজব জিনিস দেখলাম। কিছুদিন আগে কানাডার সাধারণ নির্বাচন হইল, কানাডিয়ানদের মধ্যে কোন সাড়া শব্দ নাই। ভাবলাম তারা মনে অয় এরকমই। কিন্তু আইজকা দেখি পুরা উলটা, রীতিমতো দল বাঁইধা সবাই পাবে যাইতাছে, একসাথে ইলেকশনের রেজাল্ট দেখব তাই। আমি তো তাজ্জব। এরেই মনে অয় কয়, যার বিয়া তার ধুম নাই, পাড়া পর্শীর ঘুম নাই।
:)) 😀
আজীব দুনিয়া...।
তৌফিক ভাই পুরা খাটি কথা কইছেন। আম্রিকার নির্বাচনে আমগোরও ঘুম হারাম হইয়া গেছে। কালকে রাত্র মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা ঘুমাইছি। এমনিতে তো ১০ ঘণ্টার আগে উঠি না।
আরেক মার্কিনীর মন্তব্য সম্পর্কে কিছু বলতে চাচ্ছি। তিনি বলেছেন:
নাহ্, আমরা এখনও ক্ষমা করতে শুরু করিনি। আমরা ওবামার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। শুভ কোন কিছু করে দেখাতে পারলেই কেবল ক্ষমা করা শুরু করতে পারি। কিন্তু আমি আরও বলি, আমরা হয়তো তোমাদের তখন ক্ষমা করতে পারবো, কিন্তু ইরাক আর আফগানিস্তানে তোমরা যাদের কতল করেছ তাদের পরিবার-পরিজনেরা সম্ভবত কোনদিন তোমাদের ক্ষমা করতে পারবে না।
বিবিসি থেকে আরেকটা ছবি পেলাম। কালেকশনে রাখতে চাচ্ছি:
সপরিবারে স্টেজে উঠছেন ওবামা। মাঝে তার দুই মেয়ে; বড় মেয়ে ম্যালিয়া আর ছোট মেয়ে সাশা।
ক্রপ করে দুই মেয়ের অংশটুকু কালেকশনে রাখলাম :grr: :grr:
জানতাম তুই এই কাজ করবি। এইজন্যেই দিছিলাম। 😀
শালা পেডোফাইল।এই বাইচচ্চা বাইচ্চা মাইয়াগুলারেও রেহাই দেসনা!
অফ টপিক-এমসিসির আদনান(জিহাদ চিনসস নি?ইয়া মোটকা,তগো ডাইনিং হল পিরিফেক্ট ছিল) পড়ে ইউটি অস্টিনে-বুশের মাইয়ার লগে।বুশের মাইয়া ম্যাথে বড়ই দুর্বল দেইখা ওর কাছে নাকি পেরাইই সাহায্য নিতে আয়।আমি জিগাইলাম-দোস্ত খালি ম্যাথই পড়াস বায়োলজি পড়াস না?
হ,অরে বায়োলজি পড়াই আর সিআইএ আইসা আমারে ভূগোল পড়ায় দেউক-তাইনা?আদনান দুঃখ ভরা কণ্ঠে কয় :((
আরেকটি স্মরণীয় ঘটনা ঘটলো। আমেরিকার প্রখ্যাত মানবাধিকার কর্মী ও এক সময় ডেমোক্রেটদের হয় লড়াই করা (প্রেসিডেন্ট পদের জন্য) জেসি জ্যাকসনকে অশ্রুসজল অবস্থায় দেখা গেছে। তার চোখের পানি অনেকের আবেগকে উথলে দিয়েছে। ওটা ওবামার আরেক বড় অর্জন। জ্যাকসন অনেক আগে থাকেই মানবাধিকার বিশেষত কালার্ডদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন।
ওবামা ইন্ডিয়ানা জিতে গেছেন। বর্তমান অবস্থা:
ওবামা - ৩৪৯; ম্যাকেইন - ১৬২
আর ১ ভোট পেলেই ওবামার বিজয়কে বলা হবে "ল্যান্ডস্লাইড ভিক্টরি"। আনন্দোৎসব শেষে ইলিনয়ের শিকাগোর গ্র্যান্ট পার্ক থেকে ডেমোক্রেট সমর্থকরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। সারা রাত ঘুমানো হয়নি। অনেকেই গিয়ে ঘুম দেবেন।
কিন্তু নিউ ইয়র্কের টাইম স্কয়ারে এখনও রমরমা অবস্থা। এটাই ঐতিহাসিক টাইম স্কয়ারের বৈশিষ্ট্য।
ভাই একেকজন সব অবিস্মরণীয় বুলি দিতাছে। কয়েকটা কট করি।
অবশেষে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন ওবামার রাজনীতি সম্পর্কে কইছেন:
ব্রিটেনের করজারভেটিভ পার্টির নেতা বলছেন:
ডিমোক্রেটদের হয়ে ক্যাম্পেইন করা বব শ্রুন বলেছেন:
অনেকে বলছেন, ওবামা খুব ভালো ইলোকুয়েন্ট স্পিকার। অনেক সুন্দর করে কথা বলেন। কথার মারপ্যাঁচে উনি অনেক আশাই জাগাতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে কি সব করবেন? সেটাই এখন বিশ্ববাসীর বিবেকের কাছে প্রশ্ন।
সিসিবির কোন পোস্টে এই মনে হয় প্রথম একশ কমেন্ট পড়লো। আমি দিলাম শততম কমেন্ট 😀
সাবাস মুহাম্মদ। :clap:
থ্যাঙ্কিউ। তবে ১০০ কমেন্ট বোধহয় আগেও হইছিলো, মনা আসতেছে না।
আর ১০০ তো কিছুই না। সামনে আসতেছে আমগোর ইলেকশন। তহন ১০০০ কমেন্ট আসবো। আশা করা যায় ব্লগ এডজুটেন্টই সে সময় বিশেষ ইলেকশন ব্লগের ব্যবস্থা করবে।
সিসিবির কোন পোস্টে এই মনে হয় প্রথম তৌফিক ভাই একশতম কমেন্ট দিলেন.. 😀 😀
এই বন্য ক দেখি তুই এত বান্দর ক্যান? :boss:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
সি সি বি তে আসার পর টিটো ভাই মনে হয় এই প্রথম বারের মত আমার মনের কথা কৈয়া দিলেন। 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
প্রায় সব দেশই ওবামাকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেলেছে। প্রায় সবাই এটাকে ঐতিহাসিক নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত করে ওবামার নেতৃত্বে বিশ্ব পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসবে বলে আশা করেছে। এমনকি ইরানও একই কথা বলেছে। ইসরায়েলের সাথে ওবামার সম্পর্ক এমনিতেই ভালো। এহুদ ওলমার্ট তাদের সম্পর্ক আরও গাঢ় হবে বলে আশা করেছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও অভিনন্দন বার্তা পাঠানো হইছে। রাষ্ট্রপতি ইয়াজুদ্দিন আহমেদ এই নির্বাচনকে বলেছেন:
প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমেদ ওবামাকে হার্টিয়েস্ট কংগ্রেচুলেশন জানানোর পর বলেছেন:
আগের অবস্থাই এখনও আছে। ওবামা-৩৪৯, ম্যাকেইন-১৬৩। দুইজনের ইলেক্টোরাল ভোট যোগ করলে হয় ৫১২। দুইটা স্টেট বাকি আছে: মিসৌরি ও নর্থ ক্যারোলাইনা। এই দুইটার ইলেক্টোরাল ভোট মোট ২৬। ৫১২+২৮=৫৩৮। তাহলে বাকি ২৬টা ভোট হচ্ছে:
* নর্থ ক্যারোলাইনা - ১৫
* মিসৌরি - ১১
একটা ম্যাপ দিয়ে দিলাম: (270towin.com থেকে)
এইখানে একটু খটকা আছে। আসলে বিবিসি-র টাই ঠিক। নেব্রাস্কার ৫টা ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে ৪টা ঘোষণা করা হইছে। একটা বাকি আছে। নেব্রাস্কা যেহেতু লাল স্টেট সেহেতু এই সাইটে বাকি ১টাও ম্যাকেইনের ঘরে ধরা হইছে। তাই ম্যাকেইন ১৬৩ হয়া গেছে। তবে ঘোষণা আসলে, ম্যাকেইন এক কমতে এবং ওবামা এক বাড়তে পারে। আর তখনই ল্যান্ডস্লাইড এসে যেতে পারে। দুইটা স্টেট ছাড়াই।
গতকালই স্পাইক লি'র একটা সিনেমা দেখলাম। অ্যামেরিকার গুটিকয়েক আফ্রিকান-অ্যামেরিকান ডিরেক্টরদের মধ্যে উনি একজন। তার "ইনসাইড ম্যান" সিনেমাটা কালকে দেখলাম। ইনি "ম্যালকম এক্স" সিনেমার জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত। স্পাইক লি ওবামার বিজয় সম্পর্কে বলেছেন:
এই প্রথম কোন চলচ্চিত্র পরিচালক কমেন্টাইলেন।
ঐদিকে পোপ বেনেডিক্টও মেসেজ পাঠিয়েছেন। ঈশ্বরের ব্লেসিং এর কথা বলেছেন। অবশ্য লাভ নাই। ডেমোক্রেটরা এমনিতেই একটু নাস্তিক টাইপের।
প্যালিন আফা তো হাইরা গেল। এখন সে কি করবে ঠিক করছে কিছু? মুহাম্মদ জানলে আমাগো জানাইস। 😉
পেলিন নানীর কিছু খবর পাইছি। হারার পর আলাস্কায় চইলা গেছে। মেয়ের খবরাখবর নিছে। তার আলাস্কার গভর্নরশিপের আর ২ বছর আছে। এই ২ বছর নির্ঝঞ্জাট গভর্নর জীবন কাটাবে। এর পর আবার গভর্নর ইলেকশনে দাড়াবে কি-না তা নিয়া সংশয় আছে। অনেকে বলতেছে, তার মুড অফ হয়া গেছে। ২ বছর পর রাজনীতি ছাইড়াও দিতে পারে। দেখা যাক কি করে।
হ্যায় রাজনীতি ছাইড়া দিলে ক্যামনে কি?? আর মতো একজন ফরেন পলিসি এক্সপার্ট (কারণ আলাস্কা রাশিয়ার পাশে :)) ) পলিসি মেইক না করলে তো প্রব্লেম :))
সেদিন একটা আম্রিকার টিভি শো দেখতেছিলাম। ওইখানে উপস্থাপক বললেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য আমাদের সারা পালিনকে ভোট দিতে হবে। তাহলেই সকল ব্যাংক তাদের দৈন্য দশা কাটিয়ে উঠতে পারবে। কেননা প্যালিনের বাসার কাছে একটা ব্যাংক আছে :))
চরম দুইটা জিনিস শেয়ার করলি। শুনছিলাম পেলিন নাকি জীবনে মাত্র একবার বৈদেশে গেছে। যাউগ্গা, এখন আর কুৎসা রটাইতে চাই না। অ্যাম্নেই বেচারী হাইরা গেছে, মন খারাপ। আমগোর এইসব লেখা পড়লে গোস্যা করবার পারে।
ঠিক্কইছস।
হিরোজ আসছে আর??
আমি এখনও পাই নাই।
আর তোর এইডা কি খবর শুনলাম। ছাড়ছস ক্যান? এইরম করলে চলবো নাকি। আরেকটু ধৈর্য্য ধরতি।
যাউগ্গা। যা করার করছস। এখন এনজয়য়য়য়....
আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে 🙂
ঝাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন-কে কি ছাড়ছে?
ঐইডা আবীর সাবরে জিগান। 😀
নতুন ইনফরমেশন। ওবামা আমেরিকার পঞ্চম কনিষ্ঠতম প্রেসিডেন্ট। অর্থাৎ, আরও চারজন প্রেসিডেন্ট আছে যারা ওবামার চেয়ে কম বয়সে অফিসে বসছে। এইখানে পাঁচজনের লিস্টি দিলাম। নামের পাশে ব্রাকেটে অফিসে অধিষ্ঠানের তারিখ আছে। আর শেষে আছে কত বছর বয়সে অফিসে বসছে তা:
১। থিওডোর রুজভেল্ট (১৪সেপ্ট, ১৯০১) - ৪২বছর ১০মাস ১৮দিন
২। জন এফ কেনেডি (২০জান, ১৯৬১) - ৪৩ব ৭মা ২২দি
৩। উইলিয়াম জেফারসন ক্লিনটন (২০জান, ১৯৯৩) - ৪৬ব ৫মা ১দি
৪। ইউলিসিস এস গ্র্যান্ট (৪মার্চ, ১৮৬৯) - ৪৬ব ১০মা ৫দি
৫। বারাক ওবামা (২০জান, ২০০৯) - ৪৭ব ৫মা ১৬দি
ওবামার বয়স ৪৭? আমি তো ভাবছিলাম ১৬-১৭ 🙁
😀 ওবামাকে দেখলে আসলেই বয়স আরও কম মনে হয়।
একটা পর্যালোচনা হয়ে যাক। সবাই বলছে ৭টা স্টেটের রেজাল্ট সবকিছু নির্ধারণ করবে। এগুলাতে যে জিতবে তারই বিজয় আসবে। এটা নিয়ে ব্লগে ডিটেইল্স লেখা আছে। এই ৭টা স্টেটের মধ্যে ৬টাতেই (পেনসিলভ্যানিয়া, ভার্জিনিয়া, ইন্ডিয়ানা, ওহাইয়ো, কলোরাডো এবং ফ্লোরিডা) ওবামা জিতছে। ১টা স্টেটের (মিসৌরি) রেজাল্ট দেয়া এখনও বাকি আছে। বলা যায় বাজিমাত করলো ওবামার ডেমোক্রেট দল।
একইসাথে কিন্তু কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষে নির্বাচন চলছে। উচ্চ কক্ষের নাম "সিনেট", আর নিম্ন কক্ষের নাম "হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টিটিভ"। সিনেটে মোট সদস্য তথা সিট সংখ্যা ১০০, পূর্ণ কর্তৃত্বের জন্য ৫১টি আসন লাগে। হাউজের মোট আসন সংখ্যা ৪৩৫ (৫ জন ভোট ক্ষমতাবিহীন সদস্য)। কোনটাতে কি অবস্থা দেখে নিন:
তার মানে, সিনেট আর হাউজ দুটাতেই ডেমোক্রেটদের পূর্ণ কর্তৃত্ব বহাল আছে। সবটাতেই তারা একক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
মিসৌরি আর নর্থ ক্যারোলাইনা মইরা গ্যাছে মনে হয়। কোন সাড়াশব্দ নাই। তবে ধারণা করা যায়, মিসৌরিতে ম্যাকেইন জিতবে আর এনসি-তে ওবামা জিতবে। তাইলেই ল্যান্ডস্লাইড হয়া যায়। নিচের ম্যাপ দেখলেই বুঝা যায়:
মিসৌরিতে লাল অনেক বেশী।
নর্থ ক্যারোলাইনাতে প্রায় সমান সমান।
ওবামা ইতোমধ্যে নিজের চিফ অফ স্টাফ (আর্মির না কিন্তু, বেসামরিক) নিয়োগ দিয়া ফেলছেন: ইলিনয়ের কংগ্রেসম্যান "Rahm Emanuel" যিনি ক্লিনটনের উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তী গুরুদায়িত্ব অর্থমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া।
বিশ্বের প্রতিটি দেশ ওবামার দিকে অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছেন। সবার আশা বোধহয় পূরণ হবার নয়।
নতুন ইনফরমেশন:
বারাক ওবামার ছোট মেয়ে "সাশা ওবামা" হোয়াইট হাউজের দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম অধিবাসী। সবচেয়ে কম বয়সে সাদা ঘরে ঢুকছিলো কেনেডির ছেলে "জন এফ কেনেডি জুনিয়র"।
নর্থ ক্যারোলাইনাতে ওবামা জিতে গেছেন। বর্তমান অবস্থা: ওবামা - ৩৬৪; ম্যাকেইন - ১৬২। তার মানে ল্যান্ডস্লাইড ভিক্টোরি।
ওবামা ৯ জন রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে কথা বলেছেন: অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, জাপান, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইসরায়েল।
ওবামার চিফ অফ স্টাফ "Rahm Emanuel" ইসরায়েলী বংশোদ্ভূত। এটা নিয়েই মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অসন্তোষের সূচনা ঘটেছে। রাহ্মের চিন্তাধারাও ইসরায়েলপন্থী।
ডোন্ট মাইন্ড, ইস্রায়েলপন্থী বলতে আসলে কি বুঝায়?? নিরপেক্ষ ভাবে একটু বুঝাই বলতো।
ফিলিস্তিনের মানুষের অধিকার সাপ্রেস করেও যেকোন মূল্যে বর্তমান ইসরায়েল রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখার পক্ষে যারা, তাদেরকেই বোধহয় ইসরায়েলপন্থী বলা যায়।
ঠিকাছে। তয় আসল কথা কি জানস, আইজকাল ফিলিস্তিনিরাও চায় যে ইসরায়েল তাদের সাপ্রেস করুক। সেই ভালো। কেননা, তাদের বর্তমাল সরকার ইসরায়েলের চেয়েও অধিক গুয়ামারা দানা পারদর্শী। বিশ্বাস না হইলে ৪১৪ তে যাইয়া আহমেদরে জিগা।
যে যাই করুক, এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার থাকা দরকার। মধ্যপ্রাচ্যের এই মঞ্চে শোষক হইলো ইসরায়েল আর শোষিত হইল ফিলিস্তিন। আমি সবসময়ই শোষিতের পক্ষে।
এমনকি আমেরিকার বুদ্ধিজীবী সমাজেও এ নিয়ে কোন সংশয় নেই যে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের জমি অবৈধভাবে দখল করে রাখছে।
আমি অবশ্যই আহমাদিনেজাদের মত ইসরায়েলের বিলুপ্তিতে বিশ্বাসী না। কিন্তু সবাইকে তার প্রাপ্য জমি দিয়ে দুটা দেশকেই আলাদা করে দিতে হবে।
মনে রাখিস, প্যালেস্টাইন কিন্তু ১৯৯২ সালেই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিছিলো, কিন্তু ইসরায়েল আজও প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দেয় নাই। বর্তমানে (এখন পর্যন্ত) আমেরিকার পরই পৃথিবীর জন্য সবচেয়ে বড় থ্রেট ইসরায়েল। কারণ এই দেশটা কট্টর ধর্মবাদীদের হাতে গড়া। প্যালেস্টাইনও অবশ্য গোড়া ধর্মবাদীদের (হামাস) হাতে যাচ্ছে, কিন্তু শোষিত বলে তারা তেমন কিছু করতে পারতেছে না।
শুধু ফিলিস্তিনিরা না, আমিও চাই। কারণ, ফিলিস্তিনের নিজেদের সাপ্রেস করার কোন প্রয়োজন নাই। তারা অলরেডি সাপ্রেস্ড। কিন্তু শান্তি আসতে হলে ইসরায়েলের নিজেদেরকে সাপ্রেস করতে হবে: তাদের অবশ্যই পশ্চীম তীর ও গাজা ছেড়ে দিতে হবে। সেখানকার সব ইসরায়েলীদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া তো এক ধরণের সাপ্রেশনই।
বুঝলাম।
ম্যালা কিচু ঝান্তে ফাইর্লাম।