রহস্যের গন্ধ

আমি বেশি কিছু লিখব না। খুব ভাবগম্ভীর কথার দিকে যাচ্ছিনা; নিজেও নানা পেরেশানির মধ্যে আছি। ভাল লাগছে না।

১০টার দিকে টিভিতে একটা সাক্ষাতকার দেখছিলাম, অনেক সিনিয়র এক রিটায়ার্ড আর্মি অফিসারের। নাম মনে পড়ছে না। উনি একবার জেসিসি ভিসিটে গিয়েছিলেন কোন একটা অকেশনে স্পেশাল গেস্ট হিসেবে, তখন আমার বাবা আনোয়ারুল হক তারিক সেখানে অধ্যায়নরত। ডাইনিং হল প্রিফেক্ট হিসেবে তাঁর পাশে আব্বুর বসার সুযোগ হয়েছিল গ্র্যান্ড ডিনারে।

বিস্তারিত»

আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে

সেটা ছিল আশির দশক, আমার ছাত্রজীবনের শেষ দিকের কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে করতেই বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে গিয়েছিলাম। সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। গণসংগীত আর গণনাট্য ছিল সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদের ভাষা।

রূপেশ বড়ুয়া উদীচীর প্রাণ ছিল। অসাধারণ তবলা বাজাতো। সব অনুষ্ঠানে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর মহড়া, আড্ডায় তার উপস্থিতি ছিল নিয়মিত। নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান রূপেশ জীবিকার জন্য এলিফ্যান্ট রোডে একটা পোশাকের দোকানে সেলসম্যানের কাজ করতো।

বিস্তারিত»

একটি চিঠি ও এক বুক কান্না……

প্রিয় হায়দার ভাইয়া এবং মাজহার ভাইয়া,
আমি আপনাদের অনেক ছোট……কলেজে কোন দিন আপনাদের পাইনি….দেখিনি…কিন্তু তার পরও…আমি গত ৩ দিন আমার বুকের ভেতর এর চাপা ব্যাথা…আটকে রাখতে পারি নি…কেদেছি….অনেক….নীরবে…..হয়ত কেউ বিশ্বাস করবে না…..কিন্তু আমি জানি….

বিস্তারিত»

ও ক্যাপ্টেন…..মাই ক্যাপ্টেন

২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মাজহার শেষবারের মতোন ফেসবুক প্রোফাইল আপডেট করেছে এইভাবে, “Mazharul is back from tour”. ভাবীকে নিয়ে ট্যুরটা ওর জন্য কাজের ব্যস্ততার মধ্যে একটা রিলিফ হয়ে এসেছিল। ২১, ২২, ২৩ এই তিনদিন ওকে অনেকটা ইনএ্যাকটিভ দেখে ২৪ তারিখে তাসফিক জিজ্ঞেস করেছিল, “কিরে অবস্থা কি? গায়েব কেন? বৌয়ের সাথে নাকি? দ্যাট উইল এক্সপ্লেইন ইট…হাহ হা”।

এরপরই ২৫ ফেব্রুয়ারিতে ভয়ঙ্কর সব সম্ভাবনায় উদ্ধিগ্ন শুভাকাঙ্ক্ষীরা লিখেছে:
“ভাইয়া,

বিস্তারিত»

মেজর শাহনেওয়াজ স্মরণে……

মেজর শাহনেওয়াজ স্মরণে……

উনি রংপুর ক্যাডেট কলেজের ফার্স্ট ব্যাচের ক্যাডেট। আমার ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার অনেক প্রেরণার মাঝে একজন। উনার ডাক নাম ছিল পিকো। ছোটবেলা থেকে সবসময় উনাকে পিকো ভাইয়া বলে ডাকতাম। অনেক বড় হওয়ার পরেও পিকো ভাইয়া বলেই নাম জানতাম, শাহনেওয়াজ নামটা মনে আসত না কখনো।

পিকো ভাইয়া আর্মির সিনিয়র মেজরদের ভেতর একজন। রিটায়ারমেন্টের খুব বেশি বাকি ছিল না, বড়জোড় ১ বা ২ বছর ছিল হয়ত।

বিস্তারিত»

আমি কেন পিলখানায় থাকতে পারলাম না?

আমরা অনেকগুলো ভাইবোন, আমি সবার ছোট।

আমার বাবার খুব ইচ্ছে ছিল আমি সেনাবাহিনীতে যাই, আমার সবচেয়ে বড় ভাই যিনি, তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন তখন, আছেন এখনো। আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি বাবা কেন চাইতেন বারবার, আমাকে চাপ দিতেন সেনাবাহিনীতে যেতে। এমন না যে তার আর্থিক নিরাপত্তা ছিল অনেক, কিন্তু ছেলেকে পড়ানো মত সামর্থ্য তার ছিল, তিনি জানতেন আর্মিতে গেলে আমি সংসারে তার হাতে টাকা দিতে পারব না,

বিস্তারিত»

একটি অপ্রাসঙ্গিক কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চাই

আমি এই ব্লগ-এ একজন নবাগত…কারণ আমি খুব বেশীদিন হলো এখানে আসিনি।
কিন্তু এর মাঝেই আমার মনে হয়েছে…এখানে কিছু SPECIFIC REGULATION FORMULATE করার প্রয়োজনীয়তা শুরু হয়ে গিয়েছে।

বিস্তারিত»

মিলাদ মাহফিল

রাইফেলস সদর দপ্তরে নিহত প্রাক্তন ক্যাডেট সদস্য এবং তাদের পরিবারবর্গের স্মরণে আজ শনিবার বাদ আসর ক্যাডেট কলেজ ক্লাব প্রাঙ্গণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে…

তথ্যসুত্র:
প্রথম আলো ২৮-২-২০০৯, ২য় পাতা

বিস্তারিত»

আমিও প্রস্তুত…

একজন অসৎ, অপদার্থ, অশিক্ষিত এবং অপ্রোয়জনীয় সেনা অফিসারের জীবনধারার কিছুটা অংশ তুলে ধরতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে…

১। ২৪ ঘন্টা অন জব।
২। নিজস্ব সময় বলে কিছু না থাকা।
৩। নিজ এবং নিজের পরিবারের সকল সমস্যা পাশে ঠেলে রেখে দেশ এবং দেশের মানুষের দুর্দিনে নিজেকে সঁপে দেয়া।
৪। টাকার অভাবে বৃদ্ধ বাবা-মা’কে তাদের জীবনের অন্তিম লগ্নেও কোন অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে না পারা।

বিস্তারিত»

এলোমেলো স্মৃতিগুলো

১. দৈনন্দিন অফিসিয়াল অনেক চিঠিপত্রের ভিড়ে একটা চিঠি নজর কাড়লো। বাচ্চার অসুস্থতার জন্য মাহবুব ভাই (মেজর মাহবুব, বকক, ৪র্থ ব্যাচ) মিশনের টেনিউরের আড়াই মাস বাকি থাকতেই দেশে ফেরত চলে যাচ্ছেন। দুদিন বাদেই তার সাথে দেখা হল। মনরোভিয়ার এক সুপারস্টোরে কর্মরত জাকির ভাইয়ের একটা চিঠি তার পরিবারের কাছে পৌঁছাতে হবে বলে অনুরোধ করতেই সানন্দে রাজী হলেন। জাকির ভাই মাহবুব ভাইয়ের বাচ্চাদের জন্য প্রমাণ সাইজের কয়েক প্যাকেট চকলেটও দিয়ে দিলেন।

বিস্তারিত»

when u point a gun towards my head, i can forgive, but cannot trust you anymore.

[সামু তে লেখতে ইচ্ছে করেনা , এটা কিছু স্বঘোষিত পাতি বুদ্ধিজীবির ( যারা নিজেদের মধ্যে গালাগালিতেই বেশি ব্যস্ত), একদল গরু আর ছাগলের খোয়াড়।]

বিডিআর তাদের ন্যায্য দাবী আদায়ের যে নমুনা দেখালো তাতে কিছু প্রশ্ন জাগে :

১) দেশে শীর্ষ দূর্নীতিবাজরা কি আর্মি ? নাকি বড় বড় সভা সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়া রাজনীতিবিদ, আমলা যাদেরকে ৩৭ বছর পর কারাগারে নিলেও হাসিমুখে বেরিয়া আসে ?

বিস্তারিত»

ওয়েক আপ, ক্যাডেটস

জানিনা কি লিখব ? চোখ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে বারেবারে । এতগুলো তাজা প্রাণ এভাবে ঝরে যাবে, আর তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরা(পড়ুন দালালা) আবার এই নৃশংসতাকে হালাল করার জন্য থিওরী দিবেন ! আর কত সহ্য করি ? আমাদের নিজেদের গায়ে ফোস্কা না লাগা পর্যন্ত কি আমরা কোনদিনই দুঃখীর দুঃখ বুঝবো না ? এতগুলো মানুষকে নির্বিচারে মারা হল তার কোন বিচার নাই, উল্টা শ্রেনীসংগ্রামের কথা বলছেন ! মানবিকতা কোথায় ?

বিস্তারিত»

অশ্রু

যখন আঁখিজলে চোখ ভেসে যায়
মনকে প্রবোধ দেই আমি,
কিন্তু আজ প্রবোধের কিছু নেই।
অশ্রুকে বাঁধ দেয়ার প্রয়োজন নেই,
আজ আমার কষ্টের দিন।

বিস্তারিত»

বিডিআর এর নিজস্ব অফিসার এর প্রয়োজনীয়তা

বিডিআর এর দাবির যৌক্তাকতা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এদের অধিকাংশই কেবল দাবীগুলো তাত্বীকভাবে বিচার করছেন। অথচ এগুলো আসলেই কতটুকু সঙ্গত কেউ কি তলিয়ে দেখেছেন? বিডিআর এর প্রথম দাবী তাদের নিজস্ব অফিসার। আপনারা যারা অফিসার / কর্মকর্তা বলতে কেবল প্রশাসনিক কর্তৃত্বকারী বোঝেন তাদের উদ্দেশ্য বলছি সামরিক শিক্ষা অনুযায়ী অফিসারদের মূল প্রয়োজনীয়তা যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের ব্যবহারিক প্রয়োজনীয়তা অনুসারে। এই কারনে পদাতিক বাহিনীতে অফিসার –

বিস্তারিত»

আরো কত দূর, বলো মা!

= বাংলাদেশের ইতিহাসে সংযোজিত হল আরো একটি বেদনাদায়ক, মর্মান্তিক ও লজ্জাস্কর অধ্যায়।
= স্নেহাস্পদ মশিউর, রহমান শফিক সহ আরো অনেক সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাদের এই মর্মান্তিক হত্যাকান্ডে অত্যন্ত মর্মাহত।
= বিডিআর সপ্তাহ উদ্‌যাপনের সময় ইন্টেলিজেন্সের ব্যর্থতা আর কুচক্রীমহলের ষড়যন্ত্রে প্রাণ দিতে হল দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর তথা বাংলাদেশের সোনার সন্তানদের।
= এই অপূরণীয় ক্ষতি আমাদের দেশের জন্য বড় বেশি ভারী।
= এই মূহুর্তে বাংলাদেশের বেশিরভাগ বিডিআর সেক্টরগুলো নেতৃত্ববিহীন অবস্থায়।

বিস্তারিত»