একে একে সবাই চলে গিয়েছে
প্রার্থণার পর,শূণ্য গীর্জা
পড়ে থাকে আবছা অন্ধকারে
হঠাৎ আলোকিত হয় বেদী
ঈশ্বরের দূত অবস্থান নেয়
একটি মোমের উপর
যীশু আর একা নয়
সে এখন ক্রুশবিদ্ধ,রক্তাক্ত
এবং নগ্ন এক সুখী পুরুষ।
কি পড়ছি: এবারে বই মেলায় যাই শেষ দিন । ভাবতেই পারি না বই মেলা হচ্ছে আর আমি যাইনি। এক সময় তো বই মেলাতেই পড়ে থাকতাম। বই কেনা আমার নেশা। এই প্রথম মনে হয় বই মেলা থেকে জাফর ইকবালের কোনো বই কেনা হল না। এই আফসুসটা থেকে গেল। বই কেনা হল। আর উপহার পেলাম নজরুলের লেখা বইটি। নজরুল আর ওর বউ নুপুর দুজনে মিলে বইটা দিল।
বাচ্চাদের সাথে বড়দের বুঝে শুনেই চলা উচিত। বাচ্চাকাচ্চার সাথে কোন অবস্থাতেই টক্কর দেয়া উচিত না। বাচ্চারা তাদের সাথে বিটলামির প্রতিশোধ যে ভয়ংকরভাবে নেয় তা বলাই বাহুল্য। এমন অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই সবারই হয়েছে। আমার অভিজ্ঞতাগুলোই শুনুন তাহলেই বুঝবেন কেন বাচ্চা ভয়ংকর….কাচ্চা ভয়ংকর …. :
আমার ভাগ্নে তামিম এর বয়স ৫ বছর। গত সপ্তাহে তার খৎনা করা হয়েছে। সে ঐ অবস্থায়ই সমানে দৌড়ঝাঁপ করে যাচ্ছে।
আমার ছোটভাই আপাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করল তামিমের খবর।
১৯৫৪ সালে জন্ম মেয়েটির। মস্কোর রাস্তায় রাস্তায় ভবঘুরের মত ঘুরে বেড়াতো। মেয়েদের পক্ষে ভবঘুরে হওয়া অতোটা সোজা নয়। কিন্তু লাইকার জন্য তা আসলেই সোজা ছিল। কারণ তার জন্ম কোন মানুষের ঘরে হয়নি। হয়েছে এক কুকুরের ঘরে। মানব সমাজে লিঙ্গভেদ থাকলেও আমার জানামতে কুকুর সমাজে তা খুব একটা নেই। নানা দিক দিয়ে বরং মেয়ে কুকুরেরাই বেশী সুবিধাভোগী।
সুখ-দুঃখ মিলিয়ে ভালই কাটছিলো লাইকার দিনগুলো। তাকে তখন কেউ লাইকা নামে ডাকতো না।
“এই তুই আমার মাথায় মারলি ক্যান?”খাইছে!ক্ষেপছে!কিছুই করি নাই।খালি দুষ্টামি করে ওর মাথায় একটা চাটি মারছি।ধ্যাত,বিকালটাই আজ মাটি হয়ে গেল।খুব রাগলে ও তুই-তোকারি শুরু করে।
“আমি বলছি না,আমার মাথায় কখনো মারবে না!আমার মাথা ব্যাথা করে।”ওর সাইনোসাইটিস আছে জানতাম,কিন্তু দুষ্টামি করে চাটি মারার জন্য মাথা এত ব্যাথা করার কথা না,যার জন্য রেগে টং হতে হবে?
টিএসসির ক্যাফের পাশে দুজন পাশাপাশি বসে আছি।ওর হাতটা আমার হাতের মুঠোয় নিয়ে আদর করতে লাগলাম।যা রাগছে!বছরে খুব হলে তিন থেকে চার দিন নীলার সুন্দর মুখটা দেখতে পাই।দুজন বাংলাদেশের দুই প্রান্তে থাকি কিনা!এই সময়টুকু অভিমানে নষ্ট হোক চাই না।
পৃথিবী তে মানব জাতি ২ প্রকারঃ গর্বিত ধুমপায়ী এবং অত্যাচারিত অধুমপায়ী। ধুমপায়ীরা গর্বিত কেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা কিন্তু অধুমপায়ীদের দাবি যে সেকন্ডারি ধুমপান এ তারাও ভুক্তভোগী, তাই তারা অত্যাচারিত। ক্যাডেট কলেজ এ ধুমপায়ীদের একটা অন্য ডাইমেনশনের যে স্বৃতিগাঁথা আছে তা আর বলতে।
আম্-জনতার জন্যে তোমার প্রবন্ধের আমি একটা বাংলা(!) অনুবাদ করছি। আমরা সবাই মনে করি একটা আমাদের গাড়ির সিডি প্লেয়ারের মধ্যে যে সিডি আছে তাতে গাড়ির ডিজাইন, ইঞ্জিনের কন্সট্রাক্সন, রঙ, হেডলাইটের বাল্বের মডেল এই জাতীয় সমস্ত তথ্য রাখা আছে। প্রয়োজনের সময় গাড়ির সিডি বেরিয়ে আসে এবং বাইরে রাখা একটি কম্পিউটারের মধ্যে প্রবেশ করে। ওই কম্পিউটার তখন সিডির তথ্য অনুযায়ী আলাদা আলাদা উপাদান, যেমন সিট, ইঞ্জিন ইত্যাদি বানায়।পরে উপাদানগুলো যেহেতু অন্যকোন ভাবে খাপ খাবে না তাই আগের সেই নির্দিষ্ট একটা গাড়ির রুপ ধারন করে।
পরীক্ষার শেষ হবার সাথে সাথেই বুয়েট একেবারে মৃতবৎ হয়ে গেল। ক্যাম্পাসে মানুষজন দেখা যায় না, হলগুলোতেও পোলাপানদের কিচির মিচির কম। টানা ছাপান্ন দিন একটানা ফাইট দিয়ে সবাই ক্লান্ত। মাথা থেকে সব কিছু ঝেড়ে ফেলার জন্য কেউ বেড়াতে গেলো…কেউ বা গেল ঘুমাতে নিজের আপন বাসায়। আমার কোনটাই করা হবে না।
ডিপার্টমেন্টাই এমন। শুধু মাত্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়েই একটু শান্তি। তখন কোন জমা থাকেনা। শান্তি মতো রাতগুলো ঘুমিয়ে কাটানো যায়।
আমি উচ্ছৃঙ্খলতার অশুভ ছায়া-
আমি সমাজের অভিশাপ,রুদ্র তিমির ছোঁয়া।
আমি সাইক্লোন-
আমি ধ্বংস করিব যত অনিয়ম।
সমাজের এই পাশবিকতার অন্তরালের ভিত্তি
আমি দলিত করিব সেসব সমাজ রাজের কীর্তি।
আমি গেয়ে যাই তাহাদের গান আনিল যারা সভ্যতা
সে সব শূদ্র মানবেরা দেব,তারাই ভাগ্য বিধাতা।
তাহাদেরই বুক,তাদেরই পাঁজর গড়েছে গীর্জা মন্দির
তাহাদেরই ঘামে লুটিয়া পড়িছে বাধা সব পৃথিবীর।
আমার তখন থার্ড ইয়ার ফাইনাল চলছে । কিসের কি পড়াশোনা, আমি সারাদিন ফুটবল এর নেশায় মত্ত, :awesome: নোকিয়া ফ্যান্টাসি ফুটবলে আমার দলে কে স্ট্রাইকার হবে, আর কাকে গোলরক্ষক রাখব এইসবের হিসেব নিয়েই আমি ব্যস্ত। আমার খাতায় পাতার পর পাতা জুড়ে তাই ফুটবলেরই কথকতা । 😐
সাইফুর আর আমি একই ডিপার্টমেন্টে, আমার বাসায় ভাল লাগে না তাই ওর মেসে যেয়ে পড়ি । ওর আবার অন্য বাতিক,
ঢাকা এখন গুজবের শহর। অনেক ধরণের আকাশকুসুম গুজব উড়ে বেড়াচ্ছে আকাশে বাতাসে। তারই একটি হল কথিত এক সেনা জেনারেলের একটি প্রচারণা যেটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রথমবার যখন ইএসপিএন এর ওয়েবসাইটে কিক অফ এর অ্যাডটা দেখি, ওদের দেয়া ইমেইল অ্যাড্রেসে সাথে সাথেই জানিয়ে দেই যে ওদের এই ফুটবল কুইজ কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে আমি আগ্রহী । পরদিনই এল জবাব, আমার এবং আমার কোনো এক বন্ধুর নাম, ঠিকানা, প্রিমিয়ার লিগে কোন দল সাপোর্ট করি এইসব লিখে পাঠাতে ।
আমি তো তীব্র উত্তেজিত, যেন টাইব্রেকের শেষ পেনাল্টিটা নিচ্ছি । রবিন আর আমার সবকিছু লিখে পাঠিয়ে দিলাম উত্তর ।