কিভাবে কাউফি থুক্কু সেলফি তুলবেন

ব্যাটা ছেলে নিজের রুমের খাট কাটা শুরু করলে বাবা-মা যেমন সহজেই জেনে যায়, পুত্র বিবাহ করিতে ইচ্ছুক-ঠিক তেমনি আমরা সেলফি ছবি দেখলেই বুঝতে পারি ইহা সেলফি ছবি।
সেলফি ছবির ইতিহাস, নামকরণের যথার্থতা কিম্বা সেলফি- নন সেলফি ছবির পার্থক্যের ছক দিয়ে পাঠকের বিরক্তির উদ্রেক করিব নাহ।

নানান কারন থাকতে পারে, নানান মত থাকতে পারে তবে সেলফি জ্বরের মূল কারন অন্যকে ছবি তুলে দেবার জন্য বিরক্ত না করে নিজেই নিজের ছবি তুলে নেয়া গেলো। হ্যাঁ এখন ট্রেন্ড বটে তবু যখন সেলফির দৌরাত্ম শুরু হয় তখন মূলত মানুষের কাছে ধর্না দেবার থেকে নিজের কাজ নিজেই করে নেই ত্বত্ত থেকেই সেলফির প্রচার এবং প্রসার।
ছেলেরা হয়ত একটু ভালো মতন বুঝতে পারবে, মেয়েদেরও বোঝা উচিত। শুদ্ধ বাংলায় রয়েছে রূপক প্রবাদ, প্রবাদখানা এমন-

“থাকিতে আপন হস্ত
হইবনা নারীর দ্বারস্থ”

পুরুষের মতো অহরহ যে দুটি কাজ নারীরা একদমই অহরহ করে না সে দুটি হল- তারা পর্ন দেখে না, এবং তারা মাস্টাবেশন করে না। তাই প্রবাদ খানা বিশেষ ভাবে পুরুষের প্রতি ইঙ্গিত করে।
বেলাইনে চলে যাচ্ছি, মূল লেখায় ফিরি চলুন পাঠক।

এই লেখাটির মূল উদেশ্য হলো আপনার সেলফির মান উন্নয়ন করা। কিভাবে চমৎকার সেলফি তুলবেন সেই কথায় চলুন সরাসরি চলে যাই। কারন সেলফি খুব গুরুত্বপূর্ন। কারন এই বালকের অবস্থা দেখুক একটু, দিনে ২০০ সেলফি ছবি তুলতো ড্যান। অথচ কোন সেলফি পারফেক্ট হতো না, তাই সে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করার চেষ্টা চালায়।
দ্য মিরর পত্রিকা লিখেছে-
A teenager became so obsessed with taking the perfect selfie he tried to kill himself when he failed to do it.

Danny Bowman, 19, spent 10 HOURS a day taking up to 200 snaps of himself on his iPhone.

He dropped out of school, didn’t leave his house in six months, lost two stone trying to make himself look better for the camera and became aggressive with his parents when they tried to stop him.

Finally, in a drastic attempt to escape his obsession, Danny took an overdose – but was saved by his mum Penny.

আপনি নিশ্চয়ই চান না যে আপনার সেলফি খারাপ হয়ে আপনার ড্যানের মতো মানসিক অবস্থা হয়ে যাক? তাই সুন্দর সেলফি তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রাইম মিনিস্টার থেকে শুরু করে মুদি দোকানদার সবাই সেলফি তুলে। ভাত কাপড় ফেসবুকের মতো সেলফিও এখন পার্ট আন্ড পার্সেল অফ লাইফ।

null
চিত্র- লিফটে সেলফি তোলা অবস্থায় সাবেক রাশান প্রেসিডেন্ট, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদ্ভিয়েদেভ

null
চিত্র- অস্কার নাইটে এলান ডিজেনেরারের ভাইরাল সেলফি

সেলফি তোলার কিছু উপকারী দিক রয়েছে, উপকারী দিক থাকলে ক্ষতিকর দিকও থাকবে, ক্ষতিকর দিক হিসাবে বালক ড্যানের আত্মহত্যার করার চেষ্টা আসলে অনেক বড় ধরনের ধাক্কা। আর উপকারী দিক- এই যেমন ধরুন একটু মুটিয়ে যাওয়া ধরনের মেয়েরা সেলফি সবচেয়ে বেশি তোলে, শরীরের সকল অংশ আড়াল করে শুধু মুখটুকু তুলে অনলাইনে পোস্ট করলে অনেক বেশি মনোযোগ অথবা লাইক পাওয়া যায়। একই সাথে শুধু চোখ, নাক ইত্যাদির সেলফি দিয়েও নিজের মুটিয়ে যাওয়া অংশটুকু লুকিয়ে ফেলে তারা।
ঠিক একই রকম কথা খাটে ব্যাটা ছেলে ক্ষেত্রে, মাথার টাক, পেটের ভুঁড়ি ইত্যাদি লুকাতে সেলফির জুড়ি নেই। তাই দিনে দিনে সেলফির আবেদন বাড়ছে বই কমছে না। আসুন দেখে নেই সেলফি তোলার ফ্লো চার্ট
null
চিত্র- সেলফি তোলার ফ্লো চার্ট

ভালো সেলফি তুলতে হলে প্রথমেই ভালো ফেস এক্সপ্রেশন দরকার হবে, কয়েক রকম ভাবে হেসে দেখুন কোনটিতে আপনাকে মানায়, কয়েক রকম ফেস এক্সপ্রেশনের ছবি তুলে দেখুন, যেটি ভালো হবে মূল সেলফি তোলার সময় সেইটি অনুকরণ করে সেলফি তুলুন।

null
চিত্র- মেয়েদের জন্য পছন্দসই সেলফি পোজ (উদাহরণ)

সেলফি তুলবার জন্য তাই সুন্দর মুখভঙ্গি এর সাথে সাথে সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড লাগবে, নীল আকাশ, পরিস্কার আয়না, বড় বিল্ডিং ইত্যাদির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুললে ভালো হয়। লিফট, সেলুনে, পার্লারের আয়নায় সেলফি তুলতে পারেন। এছাড়া গাড়িতে, নদীর পাড়ে, সমুদ্রতীরে সেলফি ভালো হয়।
আজকাল মেয়েরা টয়লেটে গিয়ে অনেক সেলফি তোলে, হ্যাঁ ঘরোয়া পরিবেশে সেলফি তোলার জন্য টয়লেট গুড চয়েস। তবে টয়লেটে সেলফি তোলার জন্য কিছু সাবধানতা প্রয়োজন। অনেক সময় অনেক রকম অপ্রীতিকর সেলফির উদ্ভব হয়।
null
চিত্র- অপ্রীতিকর সেলফি( ০১)

null
চিত্র-অপ্রীতিকর সেলফি (০৩)

তাই বাথরুম অথবা টয়লেটে গিয়ে সাবধানে সেলফি তুলবেন, এছাড়া অনেকে ফেক-স্টোরি সেলফি তোলেন। অনেক মেয়ে এক হাত দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে রেখে আরেক হাত দিয়ে সেলফি তোলে, আর দেখাতে চায় যে-সে না চাইতেও কেউ তার ছবি তুলে ফেলেছে।
এছাড়া এই ভদ্রমহিলাকে দেখে ফেক সেলফির একটা আইডিয়া পাওয়া যেতে পারে
null
চিত্র- ফেইক সেলফি মতান্তরে ফরেভার এলোন সেলফি

null
চিত্র ফেইক সেলফি (০২)

সেলফি মূলত কয়েক ধরনের – র‍্যান্ডম সেলফি এবং অকেশনাল সেলফি, কাপল সেলফি, টু বি কাপল সেলফি ইত্যাদি। এইবার চলুন সরাসরি অকেশনাল সেলফিতে চলে যাই, সামনে কুরবানী, কুরবানী মানে প্রিয় জিনিস কুরবানী দেওয়া, তাই এই ভাব গাম্ভীর্যকে সামনে রেখে রবি চালু করেছে কাউফি প্রতিযোগিতা, এর আগে আমরা বহুবার গ্রামীনফোন- একটেল থেকে দেশপ্রেম শিখেছি, কিভাবে দেশকে ভালবাসতে হবে, কিভাবে কালচারকে সম্মান করতে হবে, বিদেশী কোম্পানীগুলোর থেকে বেশী দেশপ্রেমের টনিক আমাদের আর কে দিতে পারবে? এই টনিক আমাদের থেকে কে বেশি ভালো গিলতে পারে?

এক বোকাসোকা লোক নতুন বিবাহ করে ঢাকায় বাসা নিয়েছে, এক রুমের বাসায় একখানা খাট, কিছুদিন পরে তার বাসায় এক বন্ধু বেড়াতে আসলো, লোকটি খুব চিন্তায় পরে গেলো, রাতে বন্ধুকে কোথায় ঘুমাতে দেয়া যায়? নীচে ফ্লোরে তো আর বন্ধুকে শুতে বলা চলে না, আর নতুন বউকেও নীচে শুতে বলা যায় না। তাই ভদ্রলোক নিজের স্ত্রীর সাথে বন্ধুকে বিছানায় শুতে বললেন।
তবে এর আগে গোপনে স্ত্রীকে বলে দিলেন, যদি আমার বন্ধু তোমার শরীরে হাত দেয় তাহলে তুমি চিৎকার করে আমাকে জানান দেবে, কিন্তু কেউ যাতে না বুঝতে পারে এমন ভাবে। তাই আমার বন্ধু যদি তোমার গালে হাত দেয় তাহলে তুমি টমেটো বলে চিৎকার দেবে, নাকে দিলে মরিচ বলে, বুকে দিলে শশা, থাইয়ে দিলে গাজর। স্ত্রী বলল সে বুঝতে পেরেছে।

গভীর রাতে স্ত্রী চিৎকার করে উঠলো- সালাদ সালাদ সালাদ। প্রথমে তীব্র চিৎকার দিলেও, মিনিট খানেক পরে চিৎকার থেমে গেলো। ভদ্রলোক মনে করলেন স্ত্রী ঘুমের ঘোরে আবোল তাবোল বকছে, কারন শরীরে হাত দিলে নিশ্চয়ই- শশা,টমেটো, গাজর বলে চিৎকার দিত। তাছাড়া এখন চিৎকারও থেমে গেছে। অতএব চিন্তার কিছুই নেই।

খারাপ সার্ভিস, প্রচুর পয়সা, ইন্টারনেটের নামে ডাকাতি ইত্যাদি বলে বলে আমরা যখন চিৎকার দিচ্ছি, কাউফি হুজুগ তুলে সেই চিৎকার আমাদের থামিয়ে দিলো চালাক ফোন কোম্পানীগুলো।
মার্কেটিং হে ইয়ার, ইস্মে হ্যাঁয় দেমাগ।

কুরবানী মানে প্রিয় জিনিসটাকে উপরআলার জন্য বিসর্জন দেওয়া, পুত্র ইসমাইলের গলায় ছুরি চালিয়েও তাকে জবাই করতে পারছিলেন না নবী ইব্রাহিম ( আঃ) এরপর কুদরতী দুম্বা কোরবানী হয়ে যায় পুত্রের যায়গায়।
এখন মানুষের ইমান দুর্বল হয়ে গেছে, অনেক খুঁজেও নিজের পুত্রকে কুরবানী দেবার মতো বাবা- মা পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। দুম্বা অথবা খাসীর গ্যারান্টি থাকলেও পুত্র কুরবানী দেবার লোক পাওয়া যাবে না। সবাই এখন সেইফ খেলতে চায়, সময়ের বিবর্তন বলে কথা।
ব্যবসায় টাকা খাটানোর চেয়ে দুই তলা বাড়ি করে, ভাড়া গোনা ভালো, শেয়ার মার্কেটে টাকা লাগানোর চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র ভালো।

মানুষের বিশ্বাসের পারদ নেমে গেছে। যে পশুটাকে আমরা কুরবানী দিতে যাচ্ছি সেটি আমাদের প্রিয় হবার কথা ছিল- প্রিয় জিনিসের কুরবানী দিতে গিয়ে যে কষ্ট সেটি অনুধাবন করাই কুরবানীর মহাত্ম। এইখানে কবি নজরুল ইসলামের দুটো জটিল লাইন রয়েছে, মনে না পরায় দিতে পারছি না। পাঠকের মনে থাকলে এখানে পড়ে( )নিবেন।

যাই হোক বেলাইনে চলে গেছি, কোথায় আইন আর কোথায় বেয়াইন, খাটেরতলা-আগরতলা একাকার করে ফেলেছি। তিল থেকে তাল, আর তাল থেকে বাল বানিয়ে ফেলেছি, একান্তভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।
অনুধাবনকে হাস্যরস বানিয়ে আমরা কাউফি তোলা শুরু করলাম, এটির যদিও একটা পজিটিভ দিক আছে, আগে অনেকেই পশুটিকে ছুঁয়েও দেখতেন না, এখন কাউফি তোলার ক্ষেত্রে হলেও পশুর কাছে যেতে হচ্ছে, জড়াজড়ি করতে হচ্ছে। এটি ভালো দিক, লাথি দিতে দিতেই একদিন মেসি হবে, গরুর কাছে যেতে যেতেই একদিন কেউ কেউ হয়ত কুরবানীর অন্তর্নিহিত অর্থ অনুধাবন করবেন।

তবে কথা হচ্ছে, আমাদের কাউফি দরকার আছে, গরুর কাউফি দরকার নেই। তাই সে এসব তুলতে নারাজ, অনেকেই কষ্ট করে তুলতে গিয়ে আগা আর হোগা একাকার করে ফেলেছেন। ভ্রুনের প্রথম দিককার ডেভলপমেন্টে মুখ এবং পায়ুর একই যায়গা থেকে ডেভলপ করে, তাই মাইক্রোস্কোপের নীচে দেখতে খাদ্যনালী এবং পায়ুনালী প্রায় একই রকম। তবে গরুর মুখ আর পায়ু আলাদা যারা করতে পারে না, তাদের হয় নিউরোলজি, না হয় পাবনা ঘাপানো হোক।

null
চিত্র- কোথায় বদন, কোথায় পায়ু- কে বা তাহা জানে?

null
চিত্র- কোথায় বদন, কোথায় পায়ু- কে বা তাহা জানে? (০২)

null
চিত্র- কোথায় বদন, কোথায় পায়ু- কে বা তাহা জানে? (০৩)

এক ফকির নানান শহর ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করে, এক বার গেছে এক গেরেস্ত বাড়ি, ঘুমানোর যায়গা হয়েছে গেরেস্ত রুমের পাশের রুমে, দুই রুমের মাঝখানে টিনের বেড়া, বেড়ার মধ্যে একটা ফুটো, ফুটো দিয়ে হাত ঢুকিয়ে রাতে ফকির গেরেস্ত বউর শরীর হাতাতে লাগলো, বলল মুখটা বেড়ার ফুটোর কাছে আনেন, একটা চুমু দেই।
গেরেস্ত বউ আরো এক কাঠি সরেস, সে মুখের বদলে পাছা লাগায়ে দিল ফুটোয়, ফকির চকাস চকাস করে কয়েকটা চুমো খেয়ে নিলো।
পরদিন বিদায় নেবার সময় ফকির গেরেস্ত বউকে বলল- নীমের ডাল দিয়ে মেছওয়াক করিলে মুখ ও দাঁতের গন্ধ দূর হয় বলিইয়া কিতাবে পড়িয়াছি।

তাই গরুর মুখ আর পায়ু আলাদা না করিতে পারিলে, চোখ বুঝে গন্ধ নিয়ে আলাদা করুন।

এছাড়া রবি কোম্পানীর সামনে ঝকঝকা ফিউচার, নতুন বেশ কিছু আইডিয়া পাওয়া গেছে। ফেসবুকার আবদুল্লাহ আল ফারাবী লিখেছেন-

১) শিংফি (শিং+ সেলফি): গরুর শিং ধরে ছবি তুলতে হবে। ভয় লুকিয়ে রেখে চেহারায় ড্যাম কেয়ার ভাব ধরে রাখতে হবে। কেননা কবি অক্ষয় কুমার বলেছেন, “শিং ইজ কিং, শিং ইজ কিং…”
২) জবফি (জবাই+সেলফি): গরুর গলায় ছুরি চালানো অবস্থায় সেলফি। চেহারা থাকতে হবে করুণ, কাঁদো কাঁদো। ঠোঁট গোল করে ডাকফেস বানানোর কথা ভুললে চলবে না কিন্তু! ক্যাপশন: “সেয়িং গুডবাই টু আওয়ার কিউট গরু অফ এক লাখ টাকা। প্রে ফর হিম গাইজ…”
৩) মাংফি (মাংস+সেলফি): মুখের সামনে থাকবে ক্যামেরা। পেছনে দিগন্তজুড়ে থাকবে সারি সারি কাঁচা মাংস। “গরুর মাংসে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো সিনার হাড্ডি…”
৪) দানফি (দান+সেলফি): ৩ ভাগের ১ ভাগ মাংস গরীবকে দান করতে হয়। এই গৌরবময় মুহূর্তটিকে সেলফির মাধ্যমে ক্যামেরাবন্দি করুন। আপনার হাতে থাকবে পুরুষ্টু একটি ব্যাগ। যাকে দান করবেন সে যত শুকনা হয় তত ভাল। তাকে অবশ্যই বলে রাখতে হবে যেন ছবি তোলার সময় মুখে দুঃখী দুঃখী ভাব বজায় থাকে।
৫) ব্লাডফি (ব্লাড+সেলফি): যারা কুরবানী দেওয়া ও মাংস কাটার সাথে সরাসরি জড়িত এটা তাদের জন্যে। জড়িত না থাকলেও সমস্যা নাই- সাদা গেঞ্জিতে রক্ত মাখিয়ে তুলে ফেলুন আপনার কাঙ্ক্ষিত সেলফি। ক্যাপশন দিন: “মেহ কাভারড ইন ব্লাড। ফিলিং ইয়াক!”
৬) হাগফি (এটার সন্ধি বিচ্ছেদ করলাম না): এটা হচ্ছে টানা মাংস খাওয়ার আফটার-ইফেক্ট। যে হাতে ক্যামেরা থাকবে না সেই হাতে হ্যান্ড শাওয়ার বা টিস্যু ধরে থাকতে হবে।

রবি সামনের বছর এসব ক্যাটাগরিতে ফটো কম্পিটিশন আয়োজন করতে পারে। ১৬ কোটি মানুষের দেশে কি পাগল-ছাগলের সখ আহ্লাদ থাকতে পারে না?
রাজা ল্যাঙটা হয়ে বসে আছে, কেউ বলছে অতি মিহি মসলিনের কাপড়, কেউ বলছে রাজা ধ্যানে বসেছেন, কেউ বলছে কাপড় আছে আমাদের চোখে সমস্যা থাকার কারনে দেখতে পাচ্ছি না, এর মধ্যে এক ছোট বাচ্চা এসে বলে দিলো এই রাজা তুই ল্যাঙটা কেন?

কাহারো কাউফি তোলা স্পিরিটে আঘাত দিয়ে থাকিলে ক্ষমাপ্রার্থনা করি। সবাইকে ঈদ মোবারক, সবার ঈদ সুন্দর ও সর্বোপরি জীবন সুন্দর হোক।

৩,৭১৮ বার দেখা হয়েছে

১৮ টি মন্তব্য : “কিভাবে কাউফি থুক্কু সেলফি তুলবেন”

  1. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    মানুষের শিক্ষা, রুচি, বিবেচনাবোধ গজিয়ে ওঠার আগেই হাতে উঠে এসেছে টাকা আর প্রযুক্তি। ফলে যা হবার তা হচ্ছে।
    একটা লৈঙ্গিক পর্যবেক্ষণে দ্বিমত ছিল। এখানে আলোচনা করলামনা।

    জবাব দিন
  2. ফারাবী (২০০০-২০০৬)

    অতীতে খনার বচন বলে একটা ব্যাপার ছিল। খনা বেঁচে থাকলে হয়তো সেলফি পদ্ধতি নিয়ে লিখতেনঃ

    "ঈশান কোণে ক্যামেরা রেখে,
    হংস ঠোঁটে-
    সেলফি তোলো ডাগর চোখে,
    কিউটি লুকে-
    সিনা টানটান, পেছনে টাইলস
    দেখে মনে হবে, হয়েছে পাইলস !!"

    অমানুষিক পোস্ট !! :thumbup: =))

    জবাব দিন
  3. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    আমার ফেবু প্রোফাইল কিন্তু সেলফিতে পরিপূর্ণ। বিশেষ করে ফেইক সেলফি তোলার ক্ষেত্রে আমার চেয়ে ওস্তাদ কেউ নাই! 😀 😀 উদাহরণঃ

    যেমন এই ছবিটি।


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      মোকাব্বির প্লিজ বল কিভাবে কমেন্টে ছবি দিলি।
      একেবারে, পয়েন্ট টু পয়েন্ট।
      একবার মোস্তাফিজ ভাই দিছিলেন। পারি নাই।
      আমার বুদ্ধি কম।
      সোজা বাঙলায় বল।
      ক্লাসিক এই লেখায় নিজের একটা সেলফি যোগ করে রাখতে চাই।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
      • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

        পুরা প্রসেসটা বলতেসি। এরচেয়ে সহজ কিছু থাকার কথা কিন্তু পাইতেসিনা। যদি প্রসেসটা মিস করেন তাইলে একটু বেশী কাবযাব করা লাগবে। আপাতত মূল প্রসেসটি নিন্মরূপঃ

        ১) উপরে বাম কোণা থেকে + New ক্লিক করে ড্রপ ডাউন মেনু থেকে Media সিলেক্ট করুন।
        ২) এরপরে পছন্দের ছবিটি আপলোড করুন
        ৩) আপলোড হবার সাথে সাথে পেইজের নীচে ছবির ফাইলটি যে আপলোড হয়েছে সেটা নামসহ উঠে আসবে। তার ডানপাশে লিংকে লিখা থাকবে "Edit"
        ৪) "Edit" এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজের উপরে দেখবেন হয় লিখা থাকবে "Page URL" এবং "Get Shortlink"
        ৫) Get Shortlink এ ক্লিক করলে পপ-আপ উইনডোতে একটা ছোট লিংক আসবে। সেটা সিলেক্ট করে কপি করে নিতে পারেন অথবা একটা টেক্সট ফাইলে সেভ করে রাখতে পারেন।
        ৬) এবার কমেন্ট সেকশানে আসুন। "জবাব দিন" ক্লিক করে কমেন্ট বাক্সের উপরের ট্যাব থেকে "ছবি" ক্লিক করুন। পপ-আপ উইন্ডোতে সেই লিংকটি পেস্ট করে Ok ক্লিক করুন।
        ৭) এতে করে নতুন উইন্ডোতে ছবির বর্ণনা চাইবে। সেখানে যা লিখবেন তা ছবির উপরে ক্যাপশান হিসাবে দেখাবে। না লিখে ওকে করে দিয়ে আলাদা করেও লিখতে পারেন।


        \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
        অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

        জবাব দিন
  4. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    তোমার ব্লগ দেখে খুশী মনে পড়তে বসলাম। এমা, প্রথমে এইসব কি লিখছ? মনে হচ্ছে ভুল করে অন্য কোন জায়গার জন্য ব্লগ লিখে এইখানে পোস্ট করছ। ভাবলাম সামনে মজা থাকবে। কিন্তু কিসের কী এরপর দেখি মোটা মেয়েদের অপমান করছো - আমি খেলব না। পড়া বাদ দিয়ে ছবিগুলো দেখলাম। বাথরুমের ছবিটা খুবই আপত্তিজনক। তুমি হুসে আছো তো? আর পশু বলে কী গরুদের মান-সম্মান নেই? না এইবার আর মজা পেলাম না। কিছু কথা ভাল লিখেছিলে কিন্তু পুরো ব্লগটা আপত্তিকর পররযায়ে পরছে।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
  5. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    “থাকিতে আপন হস্ত
    হইবনা নারীর দ্বারস্থ”

    এইটা মনে হয় এমন হবে,

    থাকিতে হস্ত
    কেনো হইবো
    নারীর দ্বারস্থ।

    এইটা হেলাল হাফিযের কবিতা যতদূর মনে পড়ে।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।