অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ তে “নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই “

অনেকদিন পর সি সি বি তে এলাম। সাময়িক ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘদিন কোন পোস্ট দিতে পারিনি। সবাইকে আগাম বসন্তের শুভেচ্ছা। ইতিমধ্যে এক ঝাঁক নতুন লেখকদের দেখে বেশ ভালো লাগছে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ তে প্রকাশ পেয়েছে আমার প্রথম কবিতাগ্রন্থ ” নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই”।

সিসিবির কাছে আমার অনেক ঋণ। আমার সেই অপরিপক্ক লেখাগুলো প্রকাশ করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সিসিবি ছিলো প্রথম মাধ্যম। অনেকেই না না ভাবে সমালোচনা, উৎসাহ দিয়েছে না না সময়। আলাদা ভাবে সবার নাম উল্লেখ করছি না। তবে রাজিব ভাই, যে মানুষটা সুদূর প্রবাসে থেকেও না না ভাবে লেখার ভুলভ্রান্তি ধরিয়ে দিয়েছেন তাতে তার প্রতি অসীম ভালোবাসা রইলো। সিসিবির সিনিয়র লেখক ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বইটি সম্পর্কে কিছু কথা দিচ্ছি।

নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই” শিরোনামে কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় সৈয়দ শামসুল হক নির্বাচিত “প্রথম আলো বন্ধুসভার” কবিতা সংখ্যায়। কবিতাটির পর্যালোচনা করতে গিয়ে কবি জাহিদ হায়দার একই পত্রিকায় “নতুন কবিরা আসছে” শীর্ষক একটি লেখায় উল্লেখ করেন, “নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই” “এক জীবনে ভালোবাসার সকল সুধা শুষতে নেই” প্রথম পাঠে মনে হতে পারে কবিতাটি এক হালকা ঠাট্টা। কিন্তু তা নয়। এক চিরব্যথা ও কষ্টের শব্দবিভাব। ” ঠোঁট কামড়ে ধরে” ও “কাঁদতে” এই দুই ছবির দৃশ্যে শারীরিক প্রেম ও বিরহ ব্যথার দুই ডানা আমার বাঁচার অসম আকাশে উড়তেই থাকে”

এছাড়া গ্রন্থটিতে স্থান পেয়েছে- আবহমান প্রেম, জীবনদর্শন, বিশ্বাসসহ রোমান্টিসিজমের সূক্ষ্ম ও গভীর বিষয়গুলো। বইটিতে স্থান পেয়েছে প্রায় একশো কবিতা। এর মধ্যে বেশ কিছু কবিতা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সাহিত্যপাতা, সাহিত্য ম্যাগাজিন, ঈদসংখ্যা, সাহিত্যের ছোট কাগজ এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর শিল্প ও সাহিত্য বিভাগ, ফেসবুক এবং ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে। আছে বেশ কিছু অপ্রকাশিত কবিতাও ।

মানুষের জীবন খন্ড খন্ড দুঃখের সমষ্টি। একান্ত নিজস্ব দুঃখের মুহুর্তে যখন সে বিষাদ বেদনার ভারে বিপর্যস্ত হয়ে যায়, হৃদয় ফেটে কান্না আসে তখন সে কাউকে জড়িয়ে ধরে প্রাণ খুলে কাঁদার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। কিন্তু দেখা যায় তখন সে ভীষণ একা। তাই নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে সে কাঁদে। অমোঘ দুঃখকে চাপা দিতে চায়, আড়াল করতে চায়। তাই নামশিরোনামের কবিতায় লিখেছি, দুঃখ পেয়ে কাঁদবে তুমি। রূপক হাসি হাসতে নেই। মানুষের কান্না এলে তার প্রাণ খুলে কাঁদা উচিত, এইভেবে গ্রন্থের এ নামকরণ।

এছাড়াও ভালোবাসার ছোট ছোট অনুভূতি, নস্টালজিয়া,নিঃসঙ্গতা, প্লেটোনিক প্রেম, ফ্রয়েডীয় আকর্ষণ, কাম, ধর্ম বিশ্বাস, কমুনিজম, অ্যান্থোপোমরফিক, মেটাফিজিকাল বিষয়সমূহ উপাদান হিসেবে কবিতায় ব্যবহারের চেষ্টা করেছি।

বইয়ে প্রায় একশ কবিতা আছে। আছে কিছু অনুকাব্যও। বই থেকে কিছু কবিতা,

তুমি যখন খুব তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে
চোখের কাজল লেপটে ফেলো
কিংবা মেজেন্টা রঙের জামার সাথে
ভুল করে পড়ে ফেলো নীল চুড়ি
অথবা তোমার টিপ পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি কোণ করে
সরে যায় কপাল থেকে,
তখন মনে হয় এই অগোছালো তুমিই বুঝি
আমার অসমাপ্ত পৃথিবীর অবিন্যস্ত দেবী
আচ্ছা তখন ক্যামন লাগে বলবে?
যখন তুমি কনিষ্ঠা আঙুল ধরতে গিয়ে
অনামিকা ধরে ফেলো নখের আলতো আঁচড়ে দাও
ভালোবাসার সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ব্যাথা
আমার রুক্ষ রুক্ষ চুলে মনের ভুলে বুলাও হাত
তুমি যখন খুব তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে
চুলের ক্লিপ আনতে ভুলে যাও
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পতাকা
“তোমার উড়ন্ত চুল” যখন
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানচিত্র
তোমার মুখে এসে পড়ে
সেই উল্লাসে আমিও যে কাঁপি,বোঝ তুমি?
তুমি যখন খুব তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে
লকারের চাবি ফেলে আসো
কিংবা রিকশা থেকে নামতে গিয়ে
তোমার ওড়না আটকে যায়
তখন সেই চটপটে তোমাকেই আমার
বেশি ভালো লাগে।
তুমি যখন তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে
আমাকে ডেকে ফেল ভুল নামে
ভুল কবিতার ছন্দ খোঁজ
তখন মনে হয়,তোমার সেই তাড়াহুড়োকেই আমি
বেশি ভালোবাসি।
(তাড়াহুড়ো)

তোমার ছোট ছোট ইচ্ছে পুরণ করতে গিয়ে
আমার ছোট ছোট ইচ্ছে অপূর্ণ থেকে যায়
যখন অনেক দিনের জমানো টাকায়
তোমায় একটি শাড়ি কিনে দিতে চাই মনে হয়,
কতোদিন আমারো নতুন পাঞ্জাবি কেনা হয়নি
সেই এক শার্ট পরে পরে কখন যে তা ‘ইউনিফর্ম’ হয়ে গেছে টেরও পাইনি।
হয় তো তুমিও পাওনি। পেলেও জানাওনি।
তা না হলে এক ঘেয়েমির আমাকে দেখে, প্রতিবারই কেন বলবে
এতো সুন্দর লাগছে কেন তোমায়?
প্রিয়তমা,
বরাবরই আমাদের জীবনযাত্রা দারিদ্র্য সীমার অনেক নিচে,
আর ভালোবাসা?
সেতো বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে হতে
কখন যে প্লাবিত করেছে দুকুল জানি না আমরা
তবুও বেঁচে থাকা আমাদের।
হঠাত হাতে একটু বেশি টাকা এলে
তাড়াহুড়ো বেড়ে যায়।
মনে হয় এইতো সেদিন
দাম একটু চড়া বলে যে কানের রিঙটা রেখে দিলে
কিংবা তোমার সাথে মানায় না বলে
মিথ্যে অজুহাতে যে নেকলেসটা হেলায় তুচ্ছ করলে
তার সবকিছু নিয়ে তোমার সামনে হাজির হই
সবাই তো আর আমাদের মতো নয়
ওদের অনেক থাকার ভিড়ে
তোমার ছোট ইচ্ছেটাকেও কখন যে কিনে নিয়েছে
দোকানিও জানে না, তাই প্রতিবার শুনতে হয়
অনেক দেরি করে এলেন
আমার এতো দেরি হয় কেনো বলতে পারো?
কেনো এতো বিলম্ব হয়?
দারিদ্র্য আমাদের সময়কে করে সংকুচিত,
ভালোবাসাকে নয়। তাই আমাদের ভালোবাসা
বরাবরই মাধুর্যময় সাধ আর সাধ্যের “জ” ফলা
অতিক্রম করে ছুটে যায় অনন্ত অসীমের পথে।
(মধ্যবিত্তের প্রেম)

নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই,
খুব সহজে বিশ্বাসে বুক বাঁধছ ক্যানো? বাঁধতে নেই।
বুকের কিছু গভীর কান্না চোখের মাঝে আনতে নেই,
কিছু অতীত স্মৃতির কথা জানার
চেষ্টা করছ বৃথাই, কিন্তু জানতে নেই।
চোখের পানি ফেলছ ক্যানো? ফেলতে নেই
ভুল আকাশে ভালোবাসার রঙিন ডানা মেলতে নেই।
হঠাৎ করে লেপ্টে যাওয়া চোখের কাজল মুছতে নেই
পাথর মনে ভালোবাসার কাজলদিঘি খুঁজতে নেই
এক জীবনে ভালোবাসার সকল সুধা শুষতে নেই।

ভুল নিয়মে ভালোবাসার খেলাও কিন্তু খেলতে নেই
খুব নিকটে কবির কাছে আসতে নেই
দুঃখ পেয়ে কাঁদবে তুমি
রূপক হাসি হাসতে নেই।
(সংক্ষেপিত)

( নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই)

তুমি যখন পাঁচটা ত্রিশের কথা বলে
ছয়টা পনেরো মিনিটে আসো,তখন খুব সহজেই বুঝতে পারি
তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই তোমার দেরি হয়ে গেছে।
হয়তো অনেক আগে থেকেই যে জামা পড়ে
বের হবে ভেবেছিলে,
আমার আছে আসার ঠিক পাঁচ মিনিট আগে
তা হয়ে গ্যালো তোমার সবচেয়ে অসুন্দর পোশাক।
তখন খুব ব্যাস্ত হয়ে মানানসই কোন জামা পরতে গিয়ে দেখলে
তা কুঁচকে আছে।
ইস্ত্রি করতে গিয়ে হয়তো বৈদ্যুতিক সংযোগই
বিচ্ছিন্ন পেলে
কিংবা এও হতে পারে সেই জামারই
পাজামা খুঁজে পাচ্ছো না,কি যে মেজাজ খারাপ হয় তোমার
আবার,কোন কোন দিন হয়তো লিপস্টিক লেপটে যায়
অথবা কাজলদানিতে থাকে না কাজলের বিন্দুমাত্র চিহ্ন
কিংবা আয়নার সামনে দাড়িয়ে ভাবো
লিপস্টিক না দিলেই বেশি মানাতো
হুট করে লিপস্টিক ধুয়ে ফেলতে গিয়ে
পানির কল একটু জোরে ছাড়তেই
ভিজে গ্যালো তোমার ওড়না।
কি যে এলোমেলো হও তুমি
কি যে এলোমেলো আমি ঠিক বুঝতে পারি,
এদিকে ঘড়ির কাঁটাও খুব স্বার্থপরের মত ঘোরে
পাঁচটা ত্রিশ পার হয়ে, তখন এই মাত্র ছয়টার ঘরে পৌছাল
আর আমি দূর থেকে দেখি,
বিন্দুর মতো তুমি সিন্ধুসম মমতা নিয়ে
আমার দিকেই আসছ, অপরাধ মাখা তোমার কন্ঠ এই বুঝি
আমাকে ছুঁয়ে বলবে,
খুব দেরি হয়ে গ্যালো তাই না?
(অতৃপ্ত অজুহাত)

অন্তর্লীন

ক্লান্তির বিচ্ছিন্ন অঞ্চল থেকে উড়ে যায় সব বিষাদ,
আর অনবদ্য প্রেমের প্রহেলিকাতেও তুমি অনন্য,
বেহাগ সুর ভরা রাত্রির নিশ্চুপ অভিমান।

অন্তরঅজ্ঞাতে আজ যত অভিসার
এই আবর্ত সময়ের ভিড়,
আমায় ডেকেছে কাছে
সেই জামদানি, কুঁচি, আর সেইফটিপিনের জমকালো উৎসব।

তোমার ভূমিতে ফোটা গোলাপের ‘সল্টি ফ্লেভার’
আর অগভীর দিঘিতে চুমুক দিয়ে তুলে আনা
শাশ্বত কামনার শাপলাশালুক।

মুক্তি

হৃদয়ের নিজস্ব বাগান থেকে উড়ে গেছে সব ঘ্রাণ,
চারপাশে মেঘের মতো ক্ষত,
বর্ধিষ্ণু নখ অভিশাপ দেয় সব প্রাক্তন প্রেমিকদের।
জলজ নারীচোখ তবুও অপেক্ষমান নতুন কোনো ক্ষতের।
কোনো মুক্তিই যেন মুক্তি নয়
নতুন শৃঙ্খলে বাঁধার পূর্ব প্রস্তুতি।

বইটি পাওয়া যাবে বইপত্র প্রকাশনের ৩৩২-৩৩৩ নং স্টলে। এছাড়া অনলাইন পরিবেশক রকমারি 🙂

সবাইকে আমন্ত্রণ 🙂

প্রচ্ছদঃ নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বইপত্র প্রকাশন  ৩৩২-৩৩৩ নং স্টল

প্রচ্ছদঃ নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
বইপত্র প্রকাশন
৩৩২-৩৩৩ নং স্টল

৩,৯১৩ বার দেখা হয়েছে

২১ টি মন্তব্য : “অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ তে “নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই “”

  1. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    অভিনন্দন রাব্বী!
    প্রচ্ছদ খুব ভাল লেগেছে। মনে মনে চাইছিলাম সিসিবিতে এসে কিছু বলো এ বইটা নিয়ে।
    ফেসবুকে অনেক আলোচনা-ঝড় দেখলাম। ইচ্ছে করেই অংশ নেইনি। আমার প্লাটফর্ম সিসিবি বলেই।
    এগিয়ে যাও। অনেকদূর।

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      জিনাত আমানকে নিয়ে ২০০৩-এ বন্ধু ও কবি আবুল হাসনাৎ মিল্টনের লিখা কবিতাটা এইরকম:

      "অবয়ব ছিল যাদুভরা, যেন পিনখোলা সবুজ গ্রেনেড
      রাতের গভীরে কতবার আক্রান্ত হয়েছি জ্বরে
      পারদের ওঠানামা নেই অথচ শরীরময় উত্তেজনা
      জলতলায়-কলতলায় ধুয়ে মুছে গেছে উত্তাপ-উচ্ছাস
      ছন্দোময় উত্থানে নিহত পড়ে রিয়েছে ছায়ারা।

      আমাদের নিভৃত কৈশোর চুরি করেছিল জিনাত আমান।"

      কবিদের চোখে কাকে যে কখন কবিতার বিষয়বস্তু হিসাবে মনে ধরবে, আমার মত অ-কবির জন্য তা বোঝা বড়ই ভার।
      জিনাত আমানকে নিয়ে লিখা মিল্টনের এই কবিতাকে যতটা স্বাগত জানিয়েছি, আশা করি নায়লা নাঈমকে নিয়ে লিখা রাব্বীর কবিতাটাকেও ততটাই স্বাগত জানাতে পারবো।

      কাব্য-অনুভুতির জয় হোক... (সম্পাদিত)


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
  2. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    অভিনন্দন রাব্বী।

    সিসিবি থেকে বই প্রকাশের অনুপ্রেরণা পেয়েছো বলে আরো বেশি ভালো লাগছে।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  3. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    আমি একেবারেই কবিতার সমঝদার নই, কিন্তু তোমার কবিতাগুলো খুব, খুব, খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে চটিকবি সাইয়েদ জামিলের জীবনানন্দ দাশ পুরষ্কারপ্রাপ্ত শব্দবিষ্টার ছিঁটেফোঁটা ফেসবুকের মাধ্যমে চোখে পড়ায় মেজাজ পুরো খিঁচড়ে ছিলো।তোমার লেখাগুলো খুব ভালো লাগলো।

    নায়লা আমার পরিচিত, ওকে নিয়ে লেখা কবিতাটা আমি পৌঁছে দিতে পারি তুমি যদি চাও 🙂

    mashroofhossain@yahoo.com এ ইমেইল করতে পারো। অবশ্যই তোমার বই কিনবো এবং তোমার অটোগ্রাফ নেব 🙂

    জবাব দিন
    • রাব্বী আহমেদ (২০০৫-২০১১)

      অজস্র ধন্যবাদ মাসরুফ ভাই। ব্যস্ততার মাঝেও কবিতাগুলো পড়ার জন্যে। নায়লাকে নিয়ে লেখা কবিতা ওকে পৌঁছে দিয়েছি। এবং ও তা ওর ফ্যান পেজ এবং প্রোফাইল থেকে পোস্ট দিয়েছে। বেশ কয়েকটা নিউজ ও হলো বিষয়টা নিয়ে। মেলার আসার আমন্ত্রন রইলো। দেখা হলে ভালো লাগবে। আপনার অপেক্ষায় 🙂 🙂 🙂

      জবাব দিন
      • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

        সেই কপাল কি আর আছে রে ভাই 🙁 পড়ে আছি টোকিওতে 🙁 কবিতাটা পড়লাম এবং চমৎকার লাগলো। একেবারেই সাদামাটা পাঠক হিসেবে বলতে পারি, আমাদের প্রত্যেকের যে অনুভূতিগুলো আছে সেগুলো নিজস্ব শব্দচয়নে সাবলীল,অন্তরস্পর্শীভাবে প্রকাশের ক্ষমতা তোমার রয়েছে। পড়ে কোথাও মনে হয়নি কোন শব্দ বা লাইন জোর করে ঢুকিয়েছ, সস্তা গিমিক সৃষ্টির এই যুগে( যেখানে এগুলোকে কর্পোরেট হাউসগুলো প্রশ্রয়ও দেয়) এটা ব্যতিক্রমী লেগেছে।

        নারীর সৌন্দর্য, তার প্রতি কামনা কবিতায় আসাটা হাজার বছরের পুরোন- এটা আমার চাইতে তুমি অনেক ভালো জান।আমরা বাংগালিরা নায়লার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করি কিন্তু দিনশেষে দেখা যায় গুগল সার্চে ওর ছবি শুধু বাংলাদেশ না, সারা বিশ্বের প্রথম চার পাঁচ জনের মধ্যে থাকে ( ফেসবুক আর গুগল রিপোর্ট)। এর মানে, বাংগালি ভদ্রসমাজে ওকে গালি দিয়ে ঘরে ফিরে পিসি/মোবাইলে ওর ছবি সার্চ করে। এই হিপোক্রেসিকে সরিয়ে হাসিঠাট্টা ইত্যাদির কথা মাথায় রেখে ওকে নিয়ে কবিতা লিখে সেটা প্রকাশ করাটা অনেকে দেখবেন সস্তা জনপ্রিয়তা সৃষ্টির কৌশল হিসেবে, কিন্তু আমি দেখি সাহসিকতার বহিঃপ্রকাশরূপে।

        আমার তরফ থেকে টুপিখোলা অভিনন্দন কবিকে 🙂

        জবাব দিন
  4. রাতের আঁধারে বুড়ো শকুনের মত চুপ করে বসে থাকো তুমি
    বসে থাকো আর ভাবো কিভাবে কবিতার বই হিট করা যায়
    বিশাল তোমার নারীভক্তের পাল, কিন্তু ওতে হবে না
    আহ! আরও লাগবে! ফাটিয়ে দিতে হবে বইমেলায়!
    হতোদ্যম হলে না তুমি, ঠিকই ভেবে ফেললে উপায়
    মেশিন তোমার করলে তাক নায়লা নাঈমের দিকে
    দংশন করলে চরিত্রবান কবিদের পবিত্র হৃদয়।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।