কিছু কথাঃ বিপুল পরাক্রমে বিভিন্ন কোর্সের পেপার, এসাইনমেন্ট লেখার কাজ করে যাচ্ছি। আর শেষ সময়ের পূর্বে কাজ শেষ করার শেষ চেষ্টা করছি। খুব গোছানো কম্পিউটার ফাইলের মাঝেও আমার বাজে অভ্যাস হলো এই জায়গায় ঐ যায়গায় বিভিন্ন চিন্তা, গানের কথা, দিনলিপি লিখে রাখা এবং সেটা ভুলে যাওয়া। একটা ক্লাইমেট চেঞ্জ এডাপ্টেশান ফ্রেইমওয়ার্ক খুঁজছিলাম। ফোল্ডারে ঘুরতে ঘুরতে এসে দেখি একটা ফাইল নাম, “life at mtu” খুলে দেখি গত বছরের কয়েকদিনের দিনলিপি।
বিস্তারিত»ট্রেন রোল অন….
ট্রেনে চড়েছি। এই নিয়ে চতুর্থবার। অবরোধে প্রথম। তিস্তা এক্সপ্রেস, “ঝ” বগি। প্রথম সিটে, জানালার পাশে। ব্যাপক প্যানিকের মধ্যে আছি। বসেই আমি আর শিপু দুইজন মিলে ট্রেনের বেগ,বাতাসের বেগ,গতিশীল পিকেটারের গতিশীল ঢিলের বেগ,স্থির পিকেটারের গতিশীল ঢিলের বেগ,ঢিলের ট্য্রাজেক্টরি ইত্যাদি বলবিদ্যা বিষয়ক হিসাব কষা শুরু করলাম। সাথেসাথে আমরা পিকেটার হলে কোথায় ঢিল ছুড়তাম? বলবিদ্যা বিষয়ক হিসাবগুলা করতাম কিনা?ঢিল ছুড়ার জন্য সুবিধাজনক জায়গা কোথায় হত?কতটুকু দুরত্ব থেকে ঢিল ছুড়লে লক্ষ্যভেদ করার সম্ভাবনা বেশি হতে পারে?কত ডিগ্রি কোণে?
বিস্তারিত»কার্জনের কাব্য – ১
কার্জন হল জায়গাটা অদ্ভূদ। এবং মায়াময়। সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা, রাত্রি – যখনই হোক, চারপাশে স্নিগ্ধ নির্জনতা ঘিরে থাকে সবসময়। ভালোবাসা ব্যাপারটা নাকি আবার নির্জন জায়গায় ভালোভাবে প্রকাশিত হয় – কবি বলে গেছেন। এটা অবশ্য কবি না বলে গেলেও সমস্যা ছিলোনা। কার্জনে কিছুক্ষণ এদিক সেদিক চোখ বুলালেই বোঝা যায় ব্যাপারটা। প্রথম বুঝেছিলাম যখন আইইউটি থেকে কোন এক পহেলা বৈশাখে প্রথমবারের মত ঘুরতে এসেছিলাম এখানে। আর এখন তো নিয়মিতই যাওয়া হয়।
বিস্তারিত»অ্যানাপোলিসের ডায়েরী : ২
২৪ শে আগস্ট , ২০১৩: সার্ভারে কাজ চলছে দেখে রুমের ইন্টারনেট বেশ কয়েকদিন ধরেই ডাউন। ইন্টারনেট বলতে ক্লাসরুমের ওয়াই-ফাই ই এখন ভরসা। যে আমি ৪/৫ দিন আগেও ক্লাসরুম থেকে বের হওয়ার জন্য সবসময় হাসফাস করতাম, সেই আমি ই এখন ক্লাসরুমে পারলে কাথা বালিশ নিয়ে আস্তানা গেড়ে ফেলেছি।ক্লাস শেষ হয়ে যায়, আমি ডেস্ক থেকে নড়িনা। আমার প্রফেসরের এর ধারণা বিদ্যার্জনের প্রতি আমার আগ্রহ রাতারাতি বেড়ে গেছে।শিক্ষক মহোদয় ব্যাপক আনন্দিত।মানুষ জন আনন্দ পেলে ভালোই লাগে।
বিস্তারিত»আমার দার্শনিক সাজার বারোটা বাজা ও কিছু স্মৃতি
গতকাল রাত থেকে স্মৃতিকাতর হয়ে আছি।
গোফ-দাড়ি দুটোই স্বাভাবিক নিয়মে বাড়ছিলো। মাস দুই এর কম না।
চেহারায় কেমন একটা দার্শনিক দার্শনিক ভাব চলে আসছিলো। যদিও দুর্জনেরা নানান আকথা কুকথা বলে আমাকে খোচানোর চেষ্টা করেছেন। আমি তো আয়না দেখতে জানি। জানি আমাকে বেশ লাগছিলো দেখতে। কিন্তু অন্যদের তা সইবে কেনো!
যুগ চেঞ্জ হয়ে গেছে এখন পুরুষেরা গোফ-দাড়ি তো রাখেই না, বরং অনেকে বুকের লোম ও কামায়।
সাংবাদিকতা: টানটান উত্তেজনার যেই জীবন
সাংবাদিকতার বিষয়টি কিভাবে প্রথম মাথায় এসেছিল মনে করতে পারছি না। আমার পরিবার বা ঘণিষ্টজনদের মধ্যে এ পেশায় কেউ তখনো ছিলেন না। এইচএসসি পাশের পর যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে ভর্তি হলাম, প্রায় একই সাথে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতাও শুরু করেছিলাম। কেউ সে সময় শেখায়নি। সৃজনশীল লেখালেখি করতাম ক্যাডেট কলেজে থাকতে আর সংবাদপত্র পাঠের আগ্রহ ছিল ভীষণ। ফলে সংবাদ লেখার ভাষাটা পাঠ থেকেই রপ্ত করেছিলাম।
তবে এটা স্পষ্ট মনে করতে পারি,
বিস্তারিত»হেলাল হাফিজের কবিতা ওড়না: কিছু বিতর্ক এবং আমাদের ধর্মীয় অনুভূতি
হেলাল হাফিজ অতিসাম্প্রতিক কালে আবার কবিতা লিখছেন। কবির পয়ষট্টিতম জন্মদিন উপলক্ষে যুগান্তরের সাহিত্য পাতায় তিনটি কবিতা ছাপা হয়েছে। এর মধ্যে একটি কবিতার নাম ওড়না। বলাবাহুল্য কবির সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা এর আগে বহু লেখায় উল্লেখ করেছি। সেই সূত্রে এই কবিতাটির প্রসব বেদনায় যখন কবি ছটফট করছেন তখন আমি কবির সাথে ছিলাম। প্রায়ই তিনি অনুভূতিহীন অন্যমনস্ক হয়ে যেতেন। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে কবিরা একটু অন্যমনস্ক,অগোছালো থাকবে এটাই নিয়ম হলেও কবি হেলাল হাফিজ অত্যন্ত গোছানো একজন মানুষ।
বিস্তারিত»কবি হেলাল হাফিজ ও ব্যক্তিগত অনুভূতি
মুল লেখাঃ
কবি হেলাল হাফিজের সাথে আমার পরিচয় খুবই অদ্ভুত ভাবে। এক বিকেলে চারুকলার সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে ঢেলে সাজানো বই গুলোর দিকে চোখ বোলাতেই একটি বই চোখে লেগে যায়। যে জলে আগুন জ্বলে। চোখে লাগার মতোই বই। অদ্ভুত শিরোনাম। বই হাতে নিয়ে কয়েক পাতা ওল্টাতেই একটা কবিতা চোখে পড়ে। এক নিমিষেই পড়ে ফেলি।
“প্রেমের কষ্ট ঘৃণার কষ্ট
নদী এবং নারীর কষ্ট
অনাদর ও অবহেলার তুমুল কষ্ট
কষ্ট নেবে কষ্ট?”
মা, আম্মা কিংবা আম্মু
১.
প্রবাদবাক্য : পরিবর্তন চিরস্থায়ী।
প্রমাণ : একটি প্রেমের গান…… ”তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে…… রাতেরও বাসরে দোসর হয়ে তাই সে আমারে টানে…… আ আ আ…… চাঁদ বুঝি তা জানে……”
আরেকটি প্রেমের গান…… ”যেভাবে জলদি হাত মেখেছে ভাত……নতুন আলুর খোসা আর এই ভালোবাসা……আমার দেয়াল ঘড়ি কাঁটায় তুমি লেগে আছো……”
উপসংহার : প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসার ধরণটা খুব দ্রুত বদলাচ্ছে……
বিস্তারিত»বিদায় আমার ভালোবাসা, বিদায়
৩৭ বছরের সম্পর্ক আমাদের। আর সম্পর্কের শুরুটাই ছিল চুমু দিয়ে। ভাবা যায়! তখন কতোই বয়স! নবম শ্রেনীতে পড়ি। একটা বেয়ারা বালক কেমন করে যেন ওর প্রেমে পড়ে গেলাম।
ওর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ কোথায় হয়েছিল, কিভাবে হয়েছিল- কিচ্ছু মনে নেই। ওটা কি মতিঝিল কলোনীর কোনো সিড়িঘর ছিল, নাকি কমলাপুরের কোনো রেস্টুরেন্ট অথবা রেল স্টেশন! কিম্বা হতে পারে ফৌজদারহাটের রবীন্দ্র হাউজের কোনো টয়লেটের লাগোয়া কাপড় শুকোনোর জায়গাটা।
বিস্তারিত»স্মৃতিরা গানের ভাঁজে
দুটি মন আর নেই দুজনার। রাত বলে আমি পাখি হবো যে। গানটি মনে পড়লো খুব উদ্ভট এক সময়ে। কমোডে বসে ছিলাম বেশ কিছুক্ষণ। হঠাৎ একরকম গলা ছেড়েই কিছুটা ভুল হলেও গেয়ে উঠলাম। চার লাইন গেয়েই থেমে গেলাম। সুর বাদে আর কিছু মনে নেই। ২৩ বছর আগেকার কোন এক সকালে প্যানাসনিক ক্যাসেট প্লেয়ারে বাজতে থাকা গানের কলি এভাবে মনে পড়ায় অনেকটাই হতহম্ভ আমি। ঘুরেফিরে চারলাইন বেশ কিছুক্ষণ গাইবার চেষ্টা করলাম।
বিস্তারিত»আমাদের ভূগোল স্যার
আমাদের ভূগোল স্যার ছিলেন হিসেবি। শুধু হিসেবি নয় ভয়াবহ হিসেবি। কতটা
হিসেবি বলি, তিনি ছিলেন আমাদের ক্লাস টীচার। ক্লাস টীচারের দায়িত্ব ছিল
অনেক। ক্লাসের কোন জিনিসপত্র নষ্ট হলে তা ঠিক করার দায়িত্ব ছিল স্যারের।
একবার হঠাত্ করেই ক্লাসের ঘড়ির ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেল। যেহেতু আমাদের
ক্যাডেট কলেজে অনেক নিয়ম কানুন ছিল তাই চাইলেও ব্যাটারি পরিবর্তন করার
সুযোগ ছিলনা। এদিকে পরীক্ষাও খুব কাছে চলে এসেছে।
চিহ্ন
বৌ অসুস্থ।
নার্ভাস ব্রেক্ডাউন।
হাত-পা নাড়াতে চাড়াতে পারেনা। মুখ দিয়ে কোনরকমে বললো এম্বুলেন্স কল করতে। একে তো শুক্রবার ইভিনিং। হাসপাতাল বেশ বিজি থাকে। প্লাস বৌ হাসপাতালে গেলে বাচ্চাদের কে দেখ্বে এইসব নানা কারণে একটু ওয়েট করে নিশ্চিত হলাম যে কেস ডেঞ্জারাস। ট্রিপল নাইন কল করতে হবেই। সব এম্বুলেন্স বিজি। আসতে সময় লাগলো ওদের। বেশ কয়েকবার ফোন দিতে হলো।
দুই মেয়ে আর আমি,
বিস্তারিত»তুর্কী জাতিকে নিয়ে কিছু কথা…
শুনেছি স্বপ্ন নিয়ে মানুষ নাকি বেঁচে থাকে। জীবনের চলার পথে স্বপ্ন নাকি মানুষের এক অপরিহার্য সহযোগী।যুগে যুগে মানুষ স্বপ্নের রকমফের করেছে। পরিবর্তন করেছে স্বপ্নের সংজ্ঞাকে। শুনেছি কেউ কেউ নাকি স্বপ্নকে আশা বলে ব্যক্ত করতেই পছন্দ করেন। তো সেই রকম কত স্বপ্নই না আমরা দেখে থাকি জীবনে। বিশেষত একজন বাঙ্গালীর স্বপ্ন দেখার সংজ্ঞাটা এবং পরিধিটা বেশ বড়। কথায় বলে বাঙ্গালী নাকি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে। আর ১৮ বছর বয়সের এক যুবক তরুণের ক্ষেত্রে সেই স্বপ্নটা অনেকটাই অতিমাত্রায় রঙ্গিন।
বিস্তারিত»চেনা মানুষের মাঝে ফিরে যেতে চাই
ঘুম ভাঙলো সকাল ১১টার দিকে। বেশ ঠান্ডা লাগছে। আজকেও দেরী করে ঘুম ভাঙলো। মুঠোফোনের আবহাওয়া সংবাদ চোখ বুলিয়ে দেখি বৃষ্টির সম্ভাবনা। তাপমাত্রাও ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। চোখ ডলতে ডলতে ফ্রিজ খুলে দেখি ওটমিল, দুধ, এবং চকোলেট সিরাপ দিয়ে বানানো আমার প্রায় নিত্যদিনের নাস্তাটি নেই। তাহলে ওটা স্বপ্ন ছিল। এবার নিজের উপর বিরক্ত হবার পালা। গতকাল রাতে মাইকেল ক্রাইটনের বেস্টসেলার ‘প্রে’ (Prey) পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।
বিস্তারিত»