মহীয়সী অঘটনঘটনপটিয়সী

১৯২২। আর্নেস্ট হেমিংওয়ে তখন সুইজারল্যান্ডের লোজ্যান-এ। টরন্টো ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে গেছেন ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইটালি ও তুরস্কের মধ্যে চলমান ‘লোজ্যান কনফারেন্স’ কাভার করতে। জীবিকার তাগিদে তিনি সাংবাদিকতা করছেন বটে কিন্তু অন্তরে দুর্মর আকাঙ্ক্ষা সাহিত্যিক হবার। তখনো পর্যন্ত লেখক হিসেবে খ্যাতিমান হওয়া তো দূরের কথা, হেমিংওয়েকে কেউ চিনতই না।

অধিকাংশ নবীন লেখকের একটা বৈশিষ্ট্য হলো, সমঝদার কেউ প্রশংসা করলে তারা যেন বর্তে যায়।

বিস্তারিত»

নেহাত সাধারণ

কে‌টে গেছে দিন বকুল ত‌লে খে‌লে মার্বেল গু‌টি
স্কুল ফে‌লে ডাংগু‌লি পি‌টে অম‌নি হ‌য়ে‌ছে ছু‌টি,
ভা‌বি‌নি আকাশ ছু‌তে হ‌বে বা‌ড়ি‌য়ে হাত চা‌দে
মা‌টি‌তে ছিল দৌড়ঝাপ উঠি‌নি দালানের ছা‌দে।
‌ছিল দিন সাদামাঠা সকা‌লে সুরুজ রাত্রি‌তে চাদ
মাঠভরা ধান পুকু‌রের মাছ ব্যাঞ্জনে অমৃত স্বাদ,
নদী‌তে নে‌য়ে শি‌খে‌ছি সাতার গুলটি‌তে শিকার
মগডা‌লে উঠে আম পারা নাও বে‌য়ে নদী পাড়।

কাট‌লো দিন হে‌লে ফে‌লে এখ‌নো তেম‌নি বেভুল
হয়‌নি মাপ‌জোক শেখা জ্বী’ভর পা‌লি‌য়েছি ইস্কুল,

বিস্তারিত»

আমার ভুত দর্শন

দিন-তারিখ মনে নেই, সালটা ছিলো ২০০৩। বাবার বদলির চাকরির সুবাদে আমাদের প্রায়ই এ জেলা থেকে সে জেলা করতে হতো। এটুকু বেশ মনে আছে, বাসাটার পাশে একটা প্রকান্ড হাসনাহেনা গাছ ছিলো। পূর্ণিমা-অমাবস্যায় বাসাটা ফুলের গন্ধে ম ম করতো।

 

বাবা ছিলেন সরকারী কলেজের অধ্যাপক। কলেজ থেকে অল্প দূরে একটা ভাড়া বাসায় উঠেছিলাম আমরা। একতলা ছোট বাসা, সাথে লাগোয়া উঠান, আর বাসার পেছনে আম-কাঁঠাল-মেহগণি গাছের জঙ্গল।

বিস্তারিত»

এ সময়ে সুনামগঞ্জ ভ্রমন

সুনামগঞ্জ কে এ সময়কার অন্যতম বিখ্যাত ট্যুরিস্ট স্পট বললে কম বলা হবে না।  অত্যন্ত সুন্দর এই জেলার টাংগুয়ার  হাওর এর কথা প্রায় সবাই জানি। এখনকার দিনে আমরা কম বেশি প্রায় সবাই অবসরে ঘুরতে যেতে চাই, না গেলেও জেনে রাখি ভবিষ্যৎ এর জন্য বাকেট লিস্ট।  এ কারনেই আজকের পোস্টটি দিচ্ছি।

আমার ঘোরাঘুরির শখ দিন দিন স্বভাবে পরিণত হচ্ছে। যদিও শত ব্যস্ততার কারণে বর্ষার সময় সিলেট এলাকা ঘুরার কোনভাবেই অবসর বের করতে পারলাম না।

বিস্তারিত»

অনুকথনঃ একালের অনুধাবন

আমি “জনপ্রিয়তা” ভয় পাই। এর তীব্র প্রকাশ থাকলেও, তা আমার বিচারে নিতান্তই ক্ষণস্থায়ী। বরং মানুষের “ভালবাসা”-য় সিক্ত হওয়া অনেক স্বস্তিদায়ক। “জনপ্রিয়তা” এবং “রাগ” দুটোরই প্রকাশ যে কেবল অনেক বেশি তীব্র বা তীক্ষ্ণ, তাই শুধু নয়, এদুটোই অতি প্রকাশ্যও বটে; তবে দুটোই ক্ষণস্থায়ী। এই মুহূর্তের জনপ্রিয়তা ঠিক পরের মুহূর্তেই পতন এবং অপমানের কারন হয়ে যেতে পারে। অপরপক্ষে “ভালবাসা” এবং “ঘৃণা” দুটোই নিরব; আমার অনুধাবনে এদুটো কখনোই তেমন প্রকাশ্য নয়।

বিস্তারিত»

২১ আগষ্টের রায়, ব্যক্তিস্মৃতি আর টুকরো রাজনীতি ভাবনা

২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দন্ডাদেশ পাওয়া আব্দুস সালাম পিন্টু আমাদের টাঙ্গাইলের মানুষ। উনার পরিবারের সাথে একটা ফানি পারিবারিক সম্পর্ক হয়েছিলো আমাদের। সর্বশেষ যে বাসায় আমরা ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলাম সেই বাসায় আমাদের ঠিক আগেই ভাড়া থাকতেন উনারা। তো সেই জেনারেল এরশাদের সময়ে মোবাইল তো দূরে থাকুক ফোনেরও এত বিস্তৃতি ছিলোনা। ফলে রাজনীতিক পিন্টু”ভাই” যে বাসা বদলে ফেলেছেন তা তার দলের অনেকেই জানতে পারেননি। ফলে উনার সাথে দেখা করতে অনেক মানুষকে আসতে দেখেছি বাসায়।

বিস্তারিত»

চলে গেলো রুশো

“সার্ভিং দ্য হিউম্যানিটি”, সংক্ষেপে এসটিএইচ (“Serving the Humanity- STH”) নামের একটি ছোট্ট সংগঠন গঠিত হয়েছিল আজ থেকে ৭/৮ বছর আগে। প্রথম প্রথম একটু অগোছালো ভাবেই কাজ শুরু হয়েছিল, পরে স্থপতি জগলুল এর গুলশানের অফিসে বসে একটা আনুষ্ঠানিক আলোচনার মাধ্যমে এ সংগঠনের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী নিয়ে একটা প্রাথমিক রূপরেখা তৈরী করা হয়। মূল উদ্দেশ্য ছিল সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের কিছু উপকারে আসা এবং এ লক্ষ্যে যার যার সাধ্যমত অবদান রাখা।

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ আজকের পূর্বাহ্নে

রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমি সাধারণতঃ সেলফোনটা অফ করে দিয়ে বেডসাইড টেবিলে রেখে ঘুমাই। সকালে ফজরের নামাযের সময় যখন উঠি, তখন আবার অন করে নেই। আজ সকালে ফজরের নামাজ পড়ে যখন ফোনটা অন করলাম, তখন দেখি আমার বন্ধু মেজর লুৎফুল কবির ভূঞা (অবঃ)ফেইসবুকে প্রকাশিত আমার একটি অনুবাদ কবিতা “পাহাড়টাকেই নিলাম বেছে” পড়ে গতরাতে সেখানে অনুবাদের প্রশংসা করে একটা মন্তব্য করেছে। বন্ধুর প্রশংসা পেয়ে মনটা খুশী হয়ে গেলো।

বিস্তারিত»

যুগোত্তর নস্টালজিয়া

আমার সেদিনের সকালের ঘুম ভেঙ্গেছিল একটা ফোন কলে। আর সেই দূর্বিসহ দূঃসংবাদ। প্রাথমিক শক কাটিয়ে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এখানে ওখানে ফোন করছিলাম, এই আশায়, কেউ একজন বলুক যে সংবাদটা সঠিক ছিল না।

আগের রাতেও হিমেলের সাথে ফোনে অনেক্ষণ ধরে কথা হলো। সে কিছুদিনের মধ্যেই ঢাকায় আসবে বলছিল, তার ইণ্টার্ণ রিপোর্ট জমা দেবার জন্য। হিমেল শুধু আমার ছোট ভাই (কাজিন) ছিল না, আমরা দুজন ছিলাম সুখ দুখের সাথী।

বিস্তারিত»

ইডি কথন

শরীরটা ভালো না। আমার একটা পার্মানেন্ট অসুখ আছে। এটা আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। কিছুদিন পর পর ই এটা আসে এবং আমি এর আগমনের সিম্পটম গুলোর ক্রমধারা অবলীলায় বলে দিতে পারি। এই অসুখের অনেকগুলো উপসর্গের একটি উপসর্গ হচ্ছে মাথা ব্যাথা। মাথা ব্যাথা হলেই আমার কলেজের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে যায়। অবশ্য স্মৃতি না বলে দু:সহ স্মৃতিও বলা যেতে পারে। এই মাথা ব্যাথা-ই আমার কলেজ জীবনের একটি স্মরণীয় ঘটনার কারণ হয়ে যায় পরবর্তীতে।

বিস্তারিত»

অনলাইন ডায়েরীর পাতা থেকে

এক

একান্ত অনুগত ভালোবাসা
প্রত্যেক অভিব্যক্তি স্বতঃস্ফূর্ত
চিনির পরিমাণ সঙ্গত
১১.০৮.২০১৮

দুই

truth  isn’t beautiful
it never was
even the gods play tricks

31.07.2017

তিন

Geometry of life
third quadrant
occupied largely

30.07.2017

চার

কালপুরুষ অন্যপাশে
সেকেন্ডের প্রতি পদক্ষেপে
বাড়ে অশ্লীল নিরবতা
২৭.০৭.২০১৮

পাঁচ

সিমেন্টের জঙ্গল
ছপেয়ে পাখির দল
পনপনিয়ে রাত জাগায়।

বিস্তারিত»

রোমাঞ্চের তীব্রতা

খুব সম্ভবত ঘটনাটা ১৯৯০-এর। আমরা তখন সবেমাত্র ক্লাস নাইনে উঠেছি। ক্যাডেট কলেজের জুনিয়র গ্রুপের মধ্যে সিনিয়র ক্লাস। একদিকে হালকা মাত্রার সিনিয়রিটির ভাব, অন্যদিকে আবার জুনিয়রের সামনেই মাঝে-মধ্যে প্রিফেক্ট, স্টাফ বা টিচারদের দ্বারা পানিশমেন্ট। এক আজব সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা তখন। প্রথম বয়োসন্ধির নাকের নিচে হালকা গোঁফের রেখা। এরই মধ্যে আবার দুয়েকজন এই হালকা গোঁফে লুকিয়ে রেজার চালিয়ে ফেলেছে। তাই নিয়ে আবার একেকদিন একেকজনকে নিয়ে চলে হাসাহাসি।

বিস্তারিত»

বাবা

রাতে একদমই ঘুম হয়নি। আইহাম এর জ্বর। এক পাশে আইহাম এবং অন্য পাশে আইমান কে নিয়ে শুয়েছিলাম। ওদের মা গ্রীষ্মকালীন প্রশিক্ষণে গাজীপুরের কোন এক জঙ্গলে। জ্বরের কারণে ছেলেটি সারা রাত খুব কষ্ট পেয়েছে। রাত ৩টার দিকে শরীর স্পঞ্জ করতে হয়েছে। সকালে ফজরের নামাজ শেষে কপালে হাত দিয়ে দেখলাম জ্বর কিছুটা কমেছে। পাশের রুমে রিয়া আপু। ২দিন ধরে চিকনগুনিয়ায় ভুগছে। কাল রাতেও শরীরের ব্যথায় চীতকার করে কাঁদছিল।

বিস্তারিত»

‘আপনার সন্তানকে ক্যাডেটে দেবেননা’ শীর্ষক ব্লগের প্রতিক্রিয়া

১।

এবার বিশ্বকাপে জার্মানি প্রথম রাউন্ডেই বাদ পড়ায় আমরা বেশিরভাগই উল্লসিত হয়েছি। আর্জেন্টিনা (’৯০ ও ২০১৪ ফাইনালে পরাজয়) বা ব্রাজিলের (২০১৪ সালের কুখ্যাত ১-৭ পরাজয়) সমর্থকের তাও কিছুটা কারণ আছে, অন্যান্য দেশের সমর্থকদের উল্লসিত হবার কারণ কী? পরবর্তী রাউন্ডে সহজ প্রতিপক্ষ পাবে এই ভেবে? হ্যাঁ, এটি একটি যুক্তি। কিন্তু যুক্তিটি তেমন জোরালো নয়।

মূল কারণ হচ্ছে Schadenfreude, পরিহাসের মত শোনালেও শব্দটি জার্মান।

বিস্তারিত»