লেখা আহবান (ধাবমান শারদীয় সংখ্যা)

প্রাক্তন ক্যাডেট কানাডা সংঘের সৌজন্যে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা ধাবমানের ২০১৭ শারদীয় সংখ্যা প্রকাশিত হতে যাচ্ছে শীঘ্রই। আমরা সকল লেখক লেখিকাদের কাছ থেকে লেখা আহবান করছি। প্রাক্তন ক্যাডেটরা এবং তাদের পরিবার পরিজন এবং বন্ধু বান্ধবরা যারা লেখালেখি করেন তারা বিশেষ ভাবে আমন্ত্রিত। লেখা যে কোন বিষয়বস্তুর উপর হতে পারে। লেখা মৌলিক কিংবা অনুবাদ হতে পারে কিন্তু অনুবাদের ক্ষেত্রে যথাযথ অনুমতি নেবার দায়িত্ব অনুবাদকের (যেখানে প্রযোজ্য)। লেখা বাংলা কিংবা ইংরেজী দুটির যেকোন একটি ভাষাতেই হতে পারে।

বিস্তারিত»

অনুকথনঃ আরিশা-বচন

মেয়েঃ (রাত ১০টা … রিডিং রুমে বাবাকে খুঁজে না পেয়ে …) মা, পাপা কোথায়?

মাঃ বাবা নিচে গেছে।

মেয়েঃ নিচে কোথায়? দাদুর ওখানে? নাকি গ্যারেজে?

মাঃ বাবা গ্যারেজে গেছে।

মেয়েঃ আমি পাপার কাছে যাব।

মেঃ বাবা তো কাজে গেছে। তুমি যাবে কেন?

মেয়েঃ (বেশ আশ্চর্য হয়ে …) আমি আমার ভালবাসার কাছে যাব না!!

বিস্তারিত»

সারাহার ভিন্নমাত্রাঃ “আঁই অন কিত্তাম”

ফেসবুকের সারাহা নিয়ে আমার আগের ব্লগটা লেখার পরে বেশ মজার কিছু অভিজ্ঞতা হলো। সোশাল মিডিয়ায় অধিকাংশ মন্তব্য এলো পুরোনো ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে, যাদের অন্তত হারানোর কোন ভয় নেই, অর্থাৎ পেনালাইজড হবার প্যানিক নেই। একজন তো পরামর্শ দিয়েই দিল, যাতে আমিও একটা সারাহা একাউণ্ট খুলে ফেলি; এটাও গ্যারাণ্টি দিল যে আমি নাকি পাঞ্চাশোর্ধ মন্তব্য পাব, যার মধ্যে কুড়িটার মত থাকবে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনের জমে থাকা আক্ষেপের ঢালাও বাক্যবাণ,

বিস্তারিত»

সূর্য উঠিবে কবে ?

লালনের কথাগুলো একটু সময় নিয়ে বুঝবে কে ??

ফেসবুকে কেউ শিখতে আসে কি ? বিনোদনের জায়গা এটা ।
কেমন বিনোদন? দুনিয়ার মত ।

“আসবার কালে কি জাত ছিলে
এসে তুমি কি জাত নিলে,
কি জাত হবা যাবার কালে
সে কথা ভেবে বল না।।

ব্রাহ্মণ চন্ডাল চামার মুচি
এক জলেই সব হয় গো শুচি,

বিস্তারিত»

বাংলায় কথা কই

অনেক অনেক বছর আগে যখন সিসিবিতে টুকটাক লেখালেখি করতাম তখন প্রায়ই একটা আফসোস করতাম, মুখের কথা কেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাইপ হয়ে যায় না। এত বছর পরে এসে google মহাশয় আশা পূরণ করেছে। আমাদের জিহাদের কাছ থেকে জি বোর্ড এর খবর পেলাম। মনে হলো এই উপলক্ষে সিসিবিতে কিছু লেখা থুক্কু কথা বলা যায়।

চূড়ান্ত আলসেমির এই পোষ্টের মূল উদ্দেশ্য বহু পুরনো একটা আশা পূরণ আর সেইসাথে আমার মত নিতান্ত আলসেদের জি বোর্ডের ব্যাপারে জানান দেয়া।

বিস্তারিত»

যুদ্ধ এবং শৈশব

যুদ্ধ এবং শৈশব

“দেয়ালির আলো মেখে নক্ষত্র গিয়েছে পুড়ে কাল সারারাত
কাল সারারাত তার পাখা ঝ’রে পড়েছে বাতাসে
চরের বালিতে তাকে চিকিচিকি মাছের মতন মনে হয়
মনে হয় হৃদয়ের আলো পেলে সে উজ্জ্বল হ’তো ।“ – শক্তি চট্টোপাধ্যায়

শান্তির সময়ে শিশুদের বয়স দ্রুত বাড়েনা। অর্থাৎ এই মন্থর সময়ে তাদের মানসিক বৃদ্ধির গতি উল্লেখযোগ্য নয়। তবে যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষ ইত্যাদি আপদকালীন সময়ে তাদের মানসিক বৃদ্ধি খেয়াল করবার মতন।

বিস্তারিত»

হাই সারাহা! হায় সারাহা!

আমার কোন সারাহা একাউণ্ট/প্রোফাইল নেই। আমি কারো সারাহা একাউণ্ট/প্রোফাইলে কখনো (এখন পর্যন্ত) ঢুকিনি, মন্তব্য করা বা ম্যাসেজ দেয়ার তো প্রশ্নই আসে না। পুরো বিষয়টাই আমার কাছে কেমন যেন অস্বস্তিকর মনে হচ্ছে। এটা অনেকটা নিবন্ধন বিহীন সিম কার্ড দিয়ে পরিচয় গোপন রেখে কাউকে ফোন করার মতই মনে হচ্ছে আমার কছে। কাউকে হিডেন ক্রাশের খবর জানানো, কিংবা মনের ঝাল মিটিয়ে গালি দেয়া, কিংবা এখন পর্যন্ত যেটার খবর সারাহাতে ঘটেছে বলে শুনিনি তা হলো প্রতারণার মাধ্যমে চাঁদা চাওয়া।

বিস্তারিত»

‘লুয়াং প্রেবাং’ – বিলীয়মান নান্দনিক ইতিহাস, তৃতীয় পর্ব

‘লুয়াং প্রেবাং’ – বিলীয়মান নান্দনিক ইতিহাস

 

তৃতীয় পর্ব

 

ভ্রমণ যাত্রা

 

“পর্তুগালের কোনো বন্দর থেকে জাহাজটা ছেড়ে ছিল। ষোল শতকের
এক দুপুরে। জাহাজে কয়জন নাবিক ছিল তা জানা যায় নি। তবে
সেখানে একুশটা চোর, সাতটা দস্যু, তেরটা ভবঘুরে আর একজন
কবি ছিল। তাদের কারো গন্তব্য ম্যানিলা। কারো মাদাগাস্কার।

বিস্তারিত»

প্রিয়জনের বিদায়কালে স্নেহ-মায়া-ভালবাসার অভিব্যক্তিঃ

প্রিয়জনের বিদায়কালে স্নেহ-মায়া-ভালবাসার অভিব্যক্তিঃ

আমাদের এ ক্ষুদ্র জীবনে আমরা কতজনের সাথেই স্নেহ ভালবাসা, মায়া মমতার অটুট বাঁধনে আবদ্ধ হই ও থাকি। কারো সাথে জন্ম থেকেই, যেমন বাবা মা, ভাই বোন এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে, আবার কারো সাথে মায়া ভালবাসার ডোরে আবদ্ধ হই জীবন-পথে চলতে গিয়ে। কখনো সে বাঁধন চির অটুট থেকে যায়, আবার কখনো পারস্পরিক দৃষ্টির আড়ালে চলে গেলে সে বাঁধন ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে যায়।

বিস্তারিত»

প্রত্যাবর্তন

প্রত্যাবর্তন (গল্প অথবা সত্যি!)  

– মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ

“কোনো এক অন্ধকারে আমি

যখন যাইব চলে — আরবার আসিব কি নামি

অনেক পিপাসা লয়ে এ মাটিরতীরে

তোমাদের ভিড়ে!

কে আমারে ব্যথা দেছে — কে বা ভালোবাসে —

সব ভুলে, শুধু মোর দেহের তালাসে

শুধু মোর স্নায়ু শিরা রক্তের তরে

এ মাটির পরে

আসিব কি নেমে!” –

বিস্তারিত»

জাপান ভ্রমণ ২০১৬ (পর্ব ২)

ভিসা সংগ্রহের পরের স্টেপ বিমান ভ্রমণ। দীর্ঘ ২০-৩০ ঘণ্টার ভ্রমণ, মাঝখানে প্রায় ১০ ঘণ্টার যাত্রা বিরতি। টিকেট কাটা হল EVA AIRWAYS থেকে, TAIWAN ভিত্তিক একটি এয়ার লাইন। যেতে হবে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে ১৬ ঘণ্টা। তাইপে তে প্রথম ল্যান্ডিং, তারপর সেখান থেকে ওসাকা। ২০১২ সালে কানাডা আসার সময় হংকং হয়ে ভাঙ্কুভার এসেছিলাম ১০ ঘণ্টায়।যা হোক ১৬ ঘণ্টা একটু বেশীই। লম্বা যাত্রা হওয়ায় টেনশনে ছিলাম, বিশেষ করে মালয়েশিয়া এয়ার লাইন MH370 আকাশে হারিয়ে যাওয়ার পর থেকে।কিন্তু পূবের জাপান,

বিস্তারিত»

ডিভোর্স এণ্ড সোশ্যাল মিডিয়া

কিছু বিষয়ের অহেতুক সমালোচনা আমি একেবারেই মেনে নিতে পারি না। বিশাল এই সমাজের নিতান্তই একটা ক্ষুদ্র অংশ হিসেবে আমার ধারণা, কিছু-কিছু সমালোচনা, হাসি-তামাসা বা তিরস্কার, ব্যাক্তি এবং সমাজ উভয়ের দৃষ্টিতেই অগ্রহনযোগ্য। হাসি-তামাসা টাইপের সমালোচনা বা কটাক্ষ, যা ইদানিং “ট্রল” নামে ব্যপকভাবে পরিচিত, এসবের মধ্য দিয়ে আমরা কিন্তু প্রকৃতার্থে নিজের বুদ্ধিমত্তা এবং রুচিজ্ঞানকেই জনসম্মুখে নিয়ে আসি। অনেকেই হয়ত মুখে কিছু বলে আমাদের এই অসুস্থ মানসিকতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন না,

বিস্তারিত»

‘লুয়াং প্রেবাং’ – বিলীয়মান নান্দনিক ইতিহাস দ্বিতীয় পর্ব

‘লুয়াং প্রেবাং’ – বিলীয়মান নান্দনিক ইতিহাস

 

দ্বিতীয় পর্ব

 

চন্দন গাছের শহরে বাইসাইকেল আরোহী

 

“Where I went in my travels, it’s impossible for me to recall. I remember the sights and sounds and smells clearly enough, but the names of the towns are gone, as well as any sense of the order in which I traveled from place to place.”- Haruki Murakami,

বিস্তারিত»

তউফিক স্যারের জন্যে প্রার্থনা!

আমি নিজে বিখ্যাত মানুষ না হলেও অনেক বিখ্যাত মানুষদের সাথে আমার পরিচিতি ও সখ্যতা ছিল। কৈশোরকাল হতেই। এই সুযোগটা মূলত সৃষ্টি হয়েছিলো মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে আমার পড়াশুনা করার সুবাদে। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৩ সাল। ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে সবার একটা সাধারণ ধারণা যে সমাজের বিত্তবান শ্রেণীর অভিভাবকদের সন্তানরা এখানে পড়াশুনা করে। বিষয়টার বর্তমান সত্যতা সম্পর্কে আমি খুব বেশি ওয়াকিবহাল নই। তবে আমাদের সময়ে, তৎপূর্বে, এমনকি আমাদের পরের অনেকটা সময় জুড়েও ধারণাটা সত্য ছিল না।

বিস্তারিত»

নামে কী বা আসে? কী বা যায়?

এই তো মাত্র বছর তিনেক  আগের ঘটনা। তখন ক্রিকেটে বাংলা-বয়েজ এর শনির দশা চলছিল। ৫ মার্চ ২০১৪, এশিয়া কাপের ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছেও নাস্তানাবুদ হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ২২ বলে ৪১ রানের এক লড়াকু ইনিংস খেলে আমাদের সবার নয়নের মণি হয়ে গিয়েছিল জিয়াউর রহমান নামের অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল এক চৌকস খেলোয়াড়। বাংলা-ক্রিকেটের ভক্ত সমর্থকদের গভীর হতাশার মাঝে সে যেন এক হঠাৎ আলোর ঝলকানি। এই ছেলেটা আগামী দিনে আমাদের ক্রিকেটের একটা বড় নক্ষত্র হয়ে উঠবে এমনটা ভেবে ভেবে আমরা সবাই কমবেশি উচ্ছ্বসিত।

বিস্তারিত»