বাবা

রাতে একদমই ঘুম হয়নি। আইহাম এর জ্বর। এক পাশে আইহাম এবং অন্য পাশে আইমান কে নিয়ে শুয়েছিলাম। ওদের মা গ্রীষ্মকালীন প্রশিক্ষণে গাজীপুরের কোন এক জঙ্গলে। জ্বরের কারণে ছেলেটি সারা রাত খুব কষ্ট পেয়েছে। রাত ৩টার দিকে শরীর স্পঞ্জ করতে হয়েছে। সকালে ফজরের নামাজ শেষে কপালে হাত দিয়ে দেখলাম জ্বর কিছুটা কমেছে। পাশের রুমে রিয়া আপু। ২দিন ধরে চিকনগুনিয়ায় ভুগছে। কাল রাতেও শরীরের ব্যথায় চীতকার করে কাঁদছিল। আব্বা অনেক চেষ্টা করেছিলেন ওকে রাতের খাবার খাওয়াতে। নিজে অসুস্থ্য, তার পরেও কন্যার অসুস্থ্যতা তাঁকে যথেষ্ট বিচলিত করেছে। রিয়া আপু ঘুমাচ্ছিলো দেখে সন্তপর্ণে দরজা বন্ধ করে বেড়িয়ে এলাম। কাল বিকেল থেকে আম্মারও জ্বর। তাই আম্মার অবস্থা দেখার জন্য আব্বা-আম্মা’র রুমে উঁকি দিলাম। আমায় দেখে আম্মা জানালেন, রাত থেকে আব্বারও নাকি জ্বর এবং রাতে কয়েকবার বমি করেছেন। চিন্তার রেখা ফুটে উঠলো আমার কপালে। আব্বা, আম্মা, রিয়া আপু এবং আইহাম… সর্বমোট ৪জন রোগী। বাসায় আমি একা মাত্র এটেন্ডেন্ট…তার উপরে নেই কোন কাজের লোক।

আইমান সুস্থ্য থাকায় ওকে ঘুম থেকে তুলে হাত মুখ ধোয়ালাম। নাস্তা খাইয়ে স্কুলের জন্য রেডি করলাম। স্কুল বাসে তুলে দিয়ে ৪ রোগীর সেবায় লেগে গেলাম। রিয়া আপুকে অনেক জোরাজুরি করে একটু আম খাওয়াতে পেরেছি। তারপরে ঔষধ খাইয়ে গেলাম আইহামের কাছে। ওকে দেখে গেলাম আব্বা আম্মার রুমে। আব্বার জ্বর তখন অনেক। মেপে দেখলাম প্রায় ১০২ ডিগ্রী। আম্মাকে একটু খাবার খাইয়ে ঔষধ খাওয়ালাম। আব্বার ব্যাপারে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। কারণ, আব্বার নানাবিধ কমপ্লিকেশন্স। তাই ডাক্তারদের সাথে কথা না বলে কোন মেডিকেশনে যেতে পারছিলাম না। ডায়াবেটিস রোগী আব্বার জন্য সকালের নাস্তার জন্য রুটি বানানোর কেউ নেই। ফোন করে বাসার পাশে স্টেশন অফিসার্স মেস-এ তে রুটি ও সব্জির অর্ডার করলাম। আব্বার শারিরীক অবস্থা দেখে আব্বাকে বললাম, আপনাকে সিএমএইচ নিয়ে যাবো। একবার শুধু বলেছিলেন তুমি আমাকে নিয়ে গেলে বাকিদের কে দেখবে? তোমার অসুস্থ্য ছোট্ট ছেলেটাকে দেখারওতো কেউ নেই। তবে মৃদু সে আপত্তি আমাকে এটুকু আভাস দিয়েছিলো যে শরীরের কষ্টে আব্বা নিজেও চাইছিলেন যে, কেউ তাকে সিএমএইচ নিয়ে যাক। হয়তো আশায় ছিলেনও যে আমি নিয়ে যাবো।

একটু পরে দৌড়ে গিয়ে মেস থেকে রুটি আর সবজি নিয়ে এসে নিজ হাতে আব্বাকে খাইয়ে দিলাম। এরপরে ঔষধ খাওয়ালাম। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সাপোজিটরি দিলাম। আধ ঘন্টা পরে আব্বার জ্বর একটু কমলো। জ্বর কমার কারনে সিএমএইচে নেবার চিন্তাটা বাদ দিলাম। পর্যায়ক্রমে আমি সব রুম ঘুড়ে ঘুড়ে ৪ রোগীর দেখাশোনা করতে থাকলাম। বেলা সাড়ে ১১ টা ১২ টার দিকে আব্বা শ্বাসকষ্ট অনুভব করা শুরু করলেন। নেবুলাইজ করলে শ্বাসকষ্ট কমতো। তাই ডাক্তারের পরামর্শে আমি আর আমার অসুস্থ্য মা মিলে আব্বাকে নেবুলাইজ করলাম। কিন্তু নেবুলাইজ চলাকালীন আব্বা ভীষণ অস্থির করতে রইলেন। এর কিছু পরে রিয়া আপু এবং আইহাম কে কিছু খাইয়ে দুপুরের ঔষধ খাওয়ালাম। একটা কল এসেছিলো মোবাইলে। কথা বলার এক পর্যায়ে আম্মা ডাকলেন। বললেন, “তোর আব্বা বেশী অস্থির করছেন”। আব্বার অস্থিরতা আমার কাছে কেমন জানি মনে হলো। আমি তখন সিদ্ধান্ত নিলাম বাকিদের অবস্থা যা হয় হোক, আব্বাকে আগে সিএমএইচ নিয়ে যাই। ইমার্জেন্সি এন্ড ক্যাজ্যুয়ালিটিতে ফোন করে এম্বুলেন্স আসতে বলে আব্বার কাছে আবার ফিরে গেলাম। আব্বা ভীষণ ছটফট করছিলেন। ছটফট করার মাত্রা এতটাই ভয়ংকর ছিলো যে আমি কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। দৌড়ে জানালার কাছে যাচ্ছিলাম বার বার এম্বুলেন্স এসেছে কিনা দেখতে। একটা পর্যায়ে মনে হলো আব্বা আর কষ্ট সহ্য করতে পারছেন না। আমি দৌঁড়ে নীচে গেলাম – যদি কারো কোন গাড়ী পাই, তাহলে সেই গাড়ীতে করে আব্বাকে সিএমএইচ নিয়ে যাবো এই ভেবে। এরই মধ্যে এম্বুলেন্স চলে আসলো। আমি দ্রুত মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট সহ স্ট্রেচার নিয়ে বাসায় ঢুকলাম। আব্বার রুমে ঢুকে দেখলাম আব্বা নিস্তেজ অবস্থায় বিছানায় অর্ধেক উপুর হয়ে আছেন এবং মুখ থেকে অল্প একটু লালা ঝড়ছে। মনে হলো আব্বা অজ্ঞান হয়ে গেছেন। দ্রুত স্ট্রেচারে উঠিয়ে লিফটে ঢুকে গ্রাউন্ড ফ্লোরের বাটন চাপলাম। কিন্তু কেন যেন লিফট নীচে না গিয়ে ৩ তলা থেকে ১৩ তলায় চলে গেল। প্রতিটি সেকেন্ড তখন আমার কাছে ভীষণ মূল্যবান…কিন্তু বেশ কিছু সময় নস্ট হলো লিফট ১৩ তলায় যাওয়ায়। নীচে এসে দ্রুত এম্বুলেন্সে উঠিয়ে সিএমএইচ ছুটলাম। গেইট থেকে বের হতেই থেমে যেতে হলো। ট্রেন এর সিগন্যাল। সময়ের সাথে যেখানে রীতিমত যুদ্ধ করতে হচ্ছে, সেখানে প্রতি পদে পদে এত বাধা…অজানা আশংকায় বুকের মধ্যে কেমন জানি করে উঠলো। সিএমএইচ এর ইমার্জেন্সি ও ক্যাজুয়ালিটি তে নেবার পরে আমাদের তেমন কিছু করার থাকেনা। ডাক্তার, নার্স, মেডিক্যাল এসিসট্যান্ট সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়েন পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর জন্য। এই অভিজ্ঞতা আমার কাছে নতুন কিছু নয়। আব্বাকে এভাবে অনেকবার নিয়ে এসেছিলাম। ঠিক এখনকার মত এখানকার সবাই মিলে আব্বাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তো, আর প্রতিবার আব্বাকে ঠিকই সুস্থ্য করে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিতো। এ কারণেই আমার এই বিশ্বাস প্রতিবারই দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে। কিছুক্ষণ পরে পর্দার আড়াল থেকে ডাক্তার বেড়িয়ে এসে আমার দৃঢ় বিশ্বাসকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিয়ে জানালেন, আব্বা নেই। সিএমএইচ পৌঁছানোর আগেই নাকি আমাদের সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছেন।
ঠিক কি ঘটে গেল আমি বুঝে উঠতে পারলাম না। কি হচ্ছ্‌ তাও বুঝতে পারছিলাম না। নিজেই ফোন করে নিকটাত্মীয়দের খবর দিলাম। কিভাবে কিভাবে যেন ভীষণ নির্বিকার রইলাম। সিএমএইচ এর ফর্মালিটিজ শেষ করে আব্বার নিথর দেহটা নিয়ে মর্চুয়ারীর দিকে এগোলাম। মর্চুয়ারীর ইন-চার্জ সোহাগ এবং আমি মিলে আব্বাকে গোসল করালাম। নিজ হাতে পরম মমতায় আমার বাবাকে শেষবারের মত গোসল করালাম। ভীষন যত্ন করে কাফন, সুরমা দিয়ে আমার জন্মদাতাকে সাজালাম। কোথা থেকে এত শক্তি পাচ্ছিলাম নিজের মধ্যে আমি বুঝতে পারছিলাম না। বাবাকে কফিনে ঢুকিয়ে সিএমএইচ মসজিদে প্রথম জানাযা পড়ানো শেষে সন্ধ্যায় আব্বার অতি আপন নিবাস পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। অসুস্থ্যতার কারণে আব্বাকে ঢাকা রেখেছিলাম। পটুয়াখালী যাবার জন্য তিনি ভীষণ ছটফট করতেন। পটুয়াখালীতে আব্বাকে ম্যানেজ করার মত ট্রিটমেন্ট ফ্যাসিলিটি না থাকায় আমরা আব্বাকে যেতে দিতাম না। আব্বা মন খারাপ করে বলতেন, “বুঝতে পারছি, তোমরা আমাকে বাক্সে ঢুকিয়েই পটুয়াখালী নিবা”। আব্বার সেই কথাই সত্য হলো। বাক্সবন্দী হয়ে বাবা আমার পটুয়াখালীর পানে চললেন।

দিনটি ছিলো গত বছরের ঠিক এই দিন – ২০জুলাই ২০১৭। আমার জীবনের ভীষণ অসহায় একটি দিন। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অবলম্বন আমি হারিয়েছি এই দিন। ২১ জুলাই ভোর রাতে আব্বা তার সারা জীবনের সবকিছু দিয়ে গড়ে তোলা বাড়িতে এসে পৌঁছালেন। নিজের কাছে প্রিয় অঙ্গন ছিলো এই বাড়িটি…তাই নাম রেখেছিলেন “প্রিয়াঙ্গন”। আজ সেই প্রিয় অঙ্গনে ফিরে এসেছেন ঠিকই, কিন্তু নির্জীব হয়ে… কাঠের কফিনে শুয়ে। ২১ জুলাই শুক্রবার জুম্মা’র নামাজের পর সবুজবাগ জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাযা এবং বায়তুল আমান মসজিদে তৃতীয় জানাযা শেষে পটুয়াখালী গোরস্থানে আমাদের পারিবারিক নির্ধারিত স্থানে আমরা দুই ভাই নিজ হাতে আমাদের বাবাকে চীরনিদ্রায় শুইয়ে দিলাম। যেই বাবা ছোটবেলায় পিঠ চাপড়ে আমায় ঘুম পাড়াতো, সেই বাবাকে অনন্তকালের জন্য শুইয়ে দিলাম। মাটির নীচে চাপা দিয়ে রাখলাম আমার কলিজাকে। বাবা কে আর কোন দিন দেখতে পারবোনা, ছুঁতে পারবোনা, ডাকতে পারবোনা, জড়িয়ে ধরতে পারবোনা – ভাবলেই বুক ভেঙ্গে যেতে থাকলো।

সারাজীবন কষ্টে পার করে গেছেন আমার বাবা। নিজের ৪ ছেলে মেয়েকে মানুষ করতে গিয়ে নিজের দিকে তাকাননি কখনো। অথচ, যখন একটু সুখের মুখ দেখার সম্ভাবনা এসেছিলো, ঠিক সেই মুহুর্তে আল্লাহ-পাক তাঁকে নিয়ে গেলেন। মানুষের মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু এভাবে আব্বার যাওয়াটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। প্রচন্ড অপরাধবোধে জ্বলে মরছি। শেষ মুহুর্তটাতে কত কষ্ট পেয়েছেন। মৃত্যুর আগে পাশে পাননি কাউকে। সবাই অসুস্থ্য হয়ে নিজ নিজ রোগে কাতর। আমি নিজে সুস্থ্য থেকেও অন্তিম মুহুর্তে তার পাশে ছিলামনা। হয়তো খুব আশায় ছিলেন যে আমি সিএমএইচ নিয়ে যাবো, আর তিনি সুস্থ্য হয়ে যাবেন। এমন কি শেষ মুহুর্তে বুটেক্সে ক্লাশরত আমার ছোটভাই রায়হান কে ফোন দিতে বলেছিলেন। হয়তো ভেবেছিলেন, রায়হান তাঁকে সিএমএইচে নিয়ে যাবে। যেই বাবা সারা জীবন আমার সকল চাওয়া পাওয়া পূরণ করেছেন, সেই বাবার অন্তিম আশাটুকুও পূরণ করতে পারিনি। কোনভাবেই নিজেকে প্রবোধ দিতে পারছিনা এই ব্যর্থতার। জানি আল্লাহ-পাক কর্তৃক আব্বার জন্য এই দিনেই মৃত্যু নির্ধারন করে রাখা হয়েছিলো। পৃথিবীর কোন শক্তিই এটা পরিবর্তন করতে পারতোনা। কিন্তু আমি যদি আব্বাকে তার নিঃশ্বাস থাকতে সিএমএইচ নিয়ে যেতে পারতাম…তার শেষ আশাটুকু পূরণ করতে পারতাম…তাহলে আর দুঃখ এবং অপরাধবোধ থাকতোনা। ছোটবেলার একটা স্মৃতি মনে পড়ে। প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিলো একদিন। আমার জ্বর তখন। আব্বা আমাকে তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে বুকের মধ্যে চেপে ধরে রিক্সায় করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আব্বার বুকের উষ্ণতা আর শরীর ঘ্রান সেই অসুস্থ্য আমাকে ভীষণ আরাম দিচ্ছিলো। পর্দার ফাঁক দিয়ে আমি বৃষ্টি আর রাস্তায় জমে থাকা পানি দেখছিলাম। কত যত্নভরে পরম মমতায় বুকে জড়িয়ে আমায় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। ঝুম বৃষ্টির মধ্যে একটি ফোঁটা পানিও আমার গায়ে লাগতে দেননি…অথচ সেই বাবার জ্বরের সময় আমি তাঁকে হাসপাতালে নিতে ব্যর্থ হয়েছি। কি করে এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবো কিংবা আদৌ করতে পারবো কিনা জানিনা আমি।

আজ ২০ জুলাই ২০১৮। আমার বাবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। একটি বছর চলে গেলো, আমার বাবা আমাদের মাঝে নেই। এখনো মনে হয় আব্বা বাসায় আছেন, ছুটিতে গেলেই দেখা হবে। এখনো প্রায়শঃই মোবাইলে “Abba” নামে সেইভ করা নম্বরটিতে কল করতে যাই। প্রকৃতির কোন কিছুই থেমে নেই আমার বাবার জন্য। শুধু আমার মা এবং আমরা ৪ ভাই-বোন জানি কেমন রক্তাক্ত আমাদের হৃদয়। কি কষ্ট বোবা কান্না হয়ে আটকে আছে বুকে। আজ পবিত্র শুক্রবার। জুম্মার দিন। আপনাদের সবার নিকট আমার বাবার জন্য দোয়া ভিক্ষা করছি। দয়া করে আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। এই জীবনের সব কষ্টের বিনিময়ে আল্লাহ যেন তাঁকে পরোপারে সুখে রাখেন। আমার বাবাকে যেন আল্লাহ জান্নাতবাসী করেন। তাঁর কবরকে যেন আল্লাহ জান্নাতের টুকরা বানিয়ে দেন।

আব্বা, আমায় ক্ষমা করবেন। ক্ষমা করবেন আমার অপরগতাকে। আমি আপনার যোগ্য সন্তান হতে পারিনি। কিন্তু সত্যিই আমি আপনাকে অনেক বেশী ভালোবাসি। মহান আল্লাহ-পাকের কাছে কায়োমনো বাক্যে প্রার্থনা করছি, আমার মৃত্যুর পরে যেকোন ভাবেই হোক আপনার সাথে যেন আমার একটু দেখা করিয়ে দেন। শুধু আর একটি বার আপনাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলবো আমি সত্যি ই আপনাকে ভালোবাসি।

ভালো থাকবেন আব্বা…..আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রটি হয়ে।

৬,৩৫৬ বার দেখা হয়েছে

১টি মন্তব্য “বাবা”

  1. রেজা

    লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো। মর্মস্পর্শী। প্রত্যেকের বাবা-মা তার দুর্বল জায়গা। আপনি যে শেষ পর্যন্ত আপনার বাবার পাশে ছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আপনি সৌভাগ্যবান, দোয়া করি আপনার সন্তান কেও আপনি চরম মুহূর্তে পাশে পাবেন। আপনার পিতার জন্য দোয়া রইলো।


    বিবেক হলো অ্যানালগ ঘড়ি, খালি টিক টিক করে। জীবন হলো পেন্ডুলাম, খালি দুলতেই থাকে, সময় হলে থেমে যায়।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।