বহুকাল আগের গল্প। কোন এক দেশের কোন এক শহরের কোন এক গ্রামে এক টুপিওয়ালার বসবাস। টুপি বিক্রি করে জীবন চলে তার। নিজ হাতে পরম যত্নে টুপি প্রস্তুত করে টুপিওয়ালা। নিজেও নিজের হাতে তৈয়ার করা একখানা টুপি মাথায় দেয়। সারা সপ্তাহ টুপি তৈয়ার করে সপ্তাহান্তে শহরের পাশের বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যায়। টুপির ঝোলা কাঁধে নিয়ে পাড়ি দেয় বন, গ্রাম। কোন একবার, কোন এক সপ্তাহান্তে, চারটা খেয়ে,
বিস্তারিত»সুনিতা কিংবা বিদ্যাঃ দখিন থেকে পুব
আমার গল্পের চরিত্র কিন্তু একই দেশের। তবে সুনিতার মত মাতাল দক্ষিণা হাওয়ার সাথে তার চলাফেরা কখনোই ছিল না। ছিল উত্তর-পূর্বের নদী বরাক, ইম্ফালের সাথে তার গভীর সংযোগ। বাড়ির পাশের লোকটাক লেকের শান্ত নীল জলের মত তার গতি। উচ্ছ্বাস নেই, মাদকতা আছে। সাদা মেঘের মত পেলব, ছুঁতে ইচ্ছে করে। সুনিতার মত অবশ্য তার চোখ গভীর কালো নয়, বরং কিছুটা ঘোলাটে বলা যেতে পারে। তবে সে চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে এক মুহূর্ত ক্লান্তি আসেনি আমার।
বিস্তারিত»খিদে
১।
স্বামী হিসেবে সৈকতকে নিয়ে রুপা-র তেমন কোন অভিযোগ নেই…কেবলমাত্র একটি বিষয় ছাড়া। সময় নেই…অসময় নেই- কেবলই খাওয়ার (?) জন্য ছোঁক ছোঁক করে। এই জন্য অনেকবারই রুপাকে লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে…তারপরেও সৈকতকে সামাল দিয়ে রাখা খুবই কঠিন!! নেহায়েৎ ভালবেসে বিয়ে করেছে নয় তো…!! এর চেয়ে অনেক কম ঝামেলার বিষয় নিয়ে বহু তথাকথিত সুখের সংসার ভেঙে যেতে দেখেছে রূপা।
একটা লম্বা কোর্সের জন্য এবার সৈকতকে একা ঢাকায় আসতে হলো…রুপা ওর হাসপাতাল…ছেলের পিএসসি পরীক্ষা…মেয়ের স্কুল…সন্ধ্যায় চেম্বার ইত্যাদির জন্য আসতে পারলো না।
বিস্তারিত»উৎসর্গ
নোটঃ খুবই শরমিন্দা নিয়ে এই লেখাটা এখানে আজ প্রকাশের জন্য দিচ্ছি। শরমিন্দা-র কারণ খুব সিম্পল…আমি এই লেখাটি সিসিবি-তে প্রকাশ না করে আমার টাইম লাইন এবং অন্য একটি ব্লগে দিয়েছিলাম। এক বড়ভাই (সংকোচ এবং শরমের কারণেই বড় ভাইয়ের নাম বললাম না…) আমার লেখাটি আমার টাইম-লাইনে পড়ে সিসিবি-তে লেখি কি না জানতে চেয়েছিলেন এবং লেখাটিকে এখানে দিতে বলেছিলেন। আসলে, আমার লেখালেখির শুরু এই প্লাটফর্মেই। তবে, এই লেখাটি সম্পূর্ণই মজা করে লেখা…তা ছাড়া বিষয়বস্তুটাও খুবই সামান্য…সে কারণেই এখানে আগে লেখাটি দেয়া হয়নি…
বিস্তারিত»আমার বইমেলা ও বেঙ্গল রেজিমেন্টের যুদ্ধযাত্রা ১৯৭১
আমার সাথে বই মেলার আড়ি আছে । বিষয়টা বুঝলাম আমার প্রথম বই প্রকাশের বছর। পান্ডুলিপি এবং পয়সা জমা দেবার পরও বই বের হচ্ছিল না। এ জগতের সাথে যাদের পরিচয় নেই, তারা বিষ্মিত হবেন, বই ছাপতে পয়সা দিতে হয়?
উত্তর হল নতুন লেখকদের প্রায় সময়ই দিতে হয়। যে সব প্রকাশক সৈকত হাবিবের মত ভদ্র এবং নতুন লেখকদেরও মানুষ মনে করেন, তারা মিষ্টি করে বলেন,
বিস্তারিত»রোহিঙ্গা ইস্যুঃ সংকট নাকি সম্ভাবনা?!
কক্সবাজারের ‘দর্শনীয়’ জিনিসের তালিকায় নতুন সংযোজন রোহিঙ্গা এবং রোহিঙ্গা পল্লী। বিশেষ করে উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত এই ‘জিনিস’ প্রচুর পরিমাণে মিলবে। স্যুভনির পণ্য তালিকাতেও বেশি কিছু নতুন আইটেম যোগ হয়েছে। যেমন- জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (UNHCR) ছাপ মারা কম্বল, তাঁবু, ডাল, কৌটা বা টিনজাত খাবার, এমনকি ত্রাণের তরল দুধও! শোনা গেছে রোহিঙ্গাদের অনেকেই দুধ পানে অভ্যস্ত নয়। প্রাপ্ত দুধ দিয়ে অনেককে হাত-মুখ ধোয়া থেকে শুরু করে কাপড় ধুতেও (জ্বি,
বিস্তারিত»~ শিকড় থেকে শিখর যাত্রার ইতিবৃত্ত ~
পনেরো থেকে আঠারো শতকে বিশ্ব জিডিপির ঊনত্রিশ শতাংশের উৎস ছিল মুঘল সম্রাজ্যের ভারতবর্ষ। সেই ভারতবর্ষের জিডিপির আটষট্টি শতাংশ জোগান দিত বাঙলা। মুঘল সম্রাজ্যের বানিজ্যিক রাজধানী, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী বৃহৎ এক শহর ঢাকাকে ঘিরে পূর্ব বাঙলা এমনই প্রণিধানযোগ্য ছিল প্রায় চারশো বছর ধরে।
ঊনিশ শতকে বৃটিশ শাসনাধীন হলো যখন তখনও বিশ্ব জিডিপির বাইশ শতাংশ জোগান দিতো ভারতবর্ষ। অথচ বৃটিশরা যখন ভারতবর্ষ ছেড়ে যায় তখন বিশ্ব জিডিপিতে তাদের ভাগ নেমে আসে দুই শতাংশেরও নীচে।
বিস্তারিত»শিক্ষকের মৃত্যু নেই
মানুষের মৃত্যু আছে। শিক্ষকের কি মৃত্যু আছে? মনে হয় না।
একবার আমার এক শিক্ষক আমার বর্তমান কর্মস্থলে শিক্ষক নিয়োগের ইণ্টারভিউ-এ এক্সটার্নাল সাব্জেক্ট এক্সপার্ট হিসেবে এসেছিলেন। রেজিস্ট্রার অফিসে বসেছিলেন। সন্ধ্যার পরে সিলেকশন বোর্ড বসবে। আমি বিকেলে অফিস আওয়ারের পরে রেজিস্ট্রার অফিসে গেলাম তাঁর সাথে দেখা করতে। কুশালাদি বিনিময়ের এক পর্যায়ে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “কি মাহবুব!! পড়াতে টড়াতে পার কিছু?” আমি তো বেশ হতবাক হয়ে গেলাম।
বিস্তারিত»আর্তনাদ বড় অসময়ে আজ
হাতের ব্যথা এখনও অনুভব করি সগৌরবে ।
REVERSE HOUR – এ এতোগুলা জুনিয়র যদি এত্ত গুলো push up দেওয়ায়, তবে কই যাবো? দুর্বল মানুষ এমনিতেই ।
হে কক্ষ নং ৭ অফ ৪৫তম ব্যাচ অ্যান্ড Monir Hasan ….. have I given you such টাইপ punishment !!!!
কিছু কষ্ট খুবই মধুর !!! খুবই পেতে ইচ্ছে করে ।।
আমি বলবো না- হে আমার ৪৪তম ব্যাচের সুখ- দুঃখের সাথী,,
বিস্তারিত»চোরের দশ দিন…
-
দিনের শুরু
শ্রাবন্তী ভার্সিটির সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলো। খুশী খুশী মুখে তাকিয়ে থাকা শ্রাবন্তীর দিকে তাকিয়ে একটা ইশারা করলো নুর। অন্যরা না বুঝলেও তারা দুইজন জানে…এই ইশারা-র অর্থ হলো… “শ্রাবন্তীর সকল ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঘুরতে যাওয়া”। শ্রাবন্তীর গিফ্ট করা সানগ্লাসটা চোখে চাপিয়ে মটর সাইকেলটা ঘুরিয়ে রওনা দিলো ওরা।
# এই, জান্টুস, তুমি আজ আমাকে কোথায় খাওয়াবে?
-দেখি সোনা, রিজেন্সী অথবা র্যাডিসন ব্লু-তে খাওয়ানো যায় কি না…
“সহজ কথা কইতে আমায় কহ যে … সহজ কথা যায় না বলা সহজে”
আচ্ছা, “ম্যানার্স” কি জিনিস? খায়? নাকি, মাথায় দেয়? ছোটবেলায় গুড ম্যানার্স, ব্যাড ম্যানার্স বুঝতাম না, শুধু “ম্যানারিজম” কথাটা নানান জায়গায় শুনে তার সাথে পরিচয় হয়েছিল। তাকে চিনেছি আরো পরে যখন জানলাম ম্যানার্স আর ম্যানারিজম এক নয়। আবার এও জানলাম ব্যাড ম্যানার্স আর ম্যানারিজমও নাকি হুবহু একই বিষয় নয়।
যাকগে, বছর বিশেক মাষ্টারি করার পরে নাকি কোর্টে আর স্বাক্ষী নেয় না। আমার হয়েছে পনেরো বছর।
বিস্তারিত»থাকবে কেমন করে?
থাকবে কেমন করে?
আমাকে সুদূরে ঠেলে
চলে যেতে পারো দূরে,
অভিযোগ না করেই
আমিও চলে যাবো সরে।
জানতে একটু ইচ্ছে করবে
একলা তুমি থাকবে কেমন করে?
থাকবে কেমন করে?
যতদূর চলে গেলে
দূরে যাওয়া বলা যায়,
ততদূরে চলে যাওয়া
কখনো কি শোভা পায়?
জানতে একটু ইচ্ছে করবে
একলা তুমি থাকবে কেমন করে?
অন্তর্জালে মগরাজ্য
সেপ্টেম্বর/২০১৭ থেকে রোহিঙ্গা সমস্যা আমার মগজের বেশ কিছুটা দখল করে নিয়েছে।রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ঢল, তাদের দুর্দশা টিভি আর দৈনিক সমূহে দেখে মনে হল বিষয়টি বার্মা কি ভাবে দেখছে জানা দরকার।আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোই বা কেন বার্মাকে সমর্থন করছে? তখন থেকে মাঝে মাঝে বার্মা এবং রোহিঙ্গা বিষয়ে জানার জন্য অন্তর্জালে ঘোরা শুরু করি।টুইটারে কিছু বার্মিজের প্রোপাগান্ডা দেখলাম। একটি স্ক্রীন শট-
মায়ানমারের সরকারি ওয়েবসাইট বলছে বাঙ্গালিরা তাদের নিজেদের ঘরবাড়িতে নিজেরাই আগুন দিয়েছে যাতে মনে হয় রাখাইনরা আগুন দিয়েছে।একজন মন্ত্রী কফি আনান জাতিসংঘ মহাসচিব থাকাকালে আফগানিস্তান সমস্যার সমাধান করতে পারেনি তা উল্লেখ করে বলেছে আনান কমিশনের রিপোর্ট এর সুপারিশ তারা মানবে না।অংসান সুচির আপত্তিতে কফি আনান তার কমিশনের রিপোর্টে রোহিঙ্গা শব্দ ব্যবহার করতে পারেন নি তা তো সবাই জানে।
বিস্তারিত»সবই এক
কোথাও কোন অমিল নেই,
না আমাতে, না তোমাতে,
না বাংলায়, না ভারতে।
পাইনি অমিল
না হিন্দুতে, না খ্রিস্টানে,
না বাইবেল, না কোরানে।
সবই এক
পুরুষ কিবা নারীতে,
জটা চুলে কিবা দাঁড়িতে।
নেই, কোন পার্থক্য নেই
তেল, জল কিবা প্রোটিনে।
নিউট্রন, ইলেকট্রন, প্রোটনে।
মাইরি সবই এক
দাদা কিবা ব্রাদারে।