মরিচীকা

মরিচীকা
মো ও খা ও।
উড়তে উড়তে উড়ে গেছি বহুদূর
সুদুর নীলিমা জুড়ে দিকহীন রোদ্দুর
প্রান্তর পাড় হয়ে খেয়া দাঁড় ফেলে
কালা পানি সাতারে ঢেঁকুর গিলে।
ঐযে আকাশ সেত কিছু নয়, শুন্য
চাঁদ যে কত সুন্দর খানা খন্দ পূণর্
বাতাস বাতাস নয় সে তোলে ঝড়
প্রেম কি সে প্রেম প্রবাহ প্রলয়ঙ্কর।

আছারিল জননী জঠর পিয়াতক
মাতোয়ার মহুয়া রসে ঢেউ পাঁক,

বিস্তারিত»

শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ, সাথে আরোও অনেক কিছু

কয়েক দিন আগে শ্রীমঙ্গল ঘুরতে গিয়েছিলাম। এর সাথে মৌলভীবাজার এর বেশ কয়েকটি ট্যুরিস্ট স্পটে ঘুরার সুযোগ হয়েছে। আজকে আমি সেই সব যায়গার যাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবো।

যদি কেউ দু’দিনের একটি শর্ট ট্যুর দিতে চান, এবং আপনি ইতিমধ্যে সিলেট এবং এর আশেপাশেও ভ্রমণ করে ফেলেছেন; চিন্তা করবেন না, আপনার মতো ভ্রমণকারীদের জন্য আরো অনেক ঘুরবার  জায়গা অপেক্ষা করছে।

ইউটিউবে আমার ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন

তার আগে আমি নিচে আমার ঘুরতে যাওয়া যায়গা গুলোর সংক্ষিপ্ত তালিকা

১।

বিস্তারিত»

বেঙ্গল রেজিমেন্টের যুদ্ধ যাত্রা ১৯৭১

বেঙ্গল রেজিমেন্টের যুদ্ধ যাত্রা আমি হঠাৎ করে লিখিনি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমার আগ্রহ অনেকদিনের। ছোটবেলা থেকে  হাতের কাছে যা পেয়েছি পড়েছি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আস্ত একটা বই সম্ভবত ক্লাশ সেভেনে  থাকতেই পড়ে ফেলেছিলাম। বইটির নাম মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস। লেখক মেজর সুবিদ আলী ভুঁইয়া। তখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বই ছিল হাতে গোনা। যা ছিল তাঁর বেশিরভাগই হয় রাজনীতিবিদ অথবা রাজনীতিমনষ্ক মানুষদের লেখা। এই বইটি ছিল তার ব্যতিক্রম।

বিস্তারিত»

টিটোর গপ্পোঃ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের স্মৃতি

আমার ছোটবেলায় দেখা অনেক কিছু এখন আর দেখি না। সামাজিক আচার, খাবারদাবার,উৎসব, গালগপ্পো এ রকম অনেক ব্যাপার স্যাপার মিলিয়ে যাচ্ছে। আমার বাচ্চাদের সাথে কথা বলেই বুঝতে পারি – এক সময় এসব কেউ বিশ্বাস করবে না। জীবন্ত ফসিল হবার দায় থেকে লিখতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছি। শুরুটা কি দিয়ে করব?
ছোট বেলা থেকেই শুরু করি। আমি যে স্কুলে পড়া শুরু করি তার নাম- লোকমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বিস্তারিত»

বিক্ষিপ্ত ভাবনাঃ হক সাহেবের হালচাল

হক সাহেব কবিও নন, লেখকও নন, তবে একনিষ্ঠ সাহিত্যানুরাগী। জীবনে খুব যে বেশী সাহিত্য পড়েছেন তাও নয়; কিন্তু সাহিত্য, সঙ্গীত ও শিল্পকলার প্রতি তার একটা আকর্ষণ সেই ছেলেবেলা থেকেই ছিল। নিজে ভাল গাইতে না পারলেও ভাল লাগা গানের কলি সবসময় তার কন্ঠে আশ্রয় খুঁজতো। গলা যেমনই হোক, সময় সুযোগ পেলেই তিনি নিবিষ্ট মনে সেসব কলি মেলে ধরতেন, সুর মেলাতেন। বিশ্বের বড় বড় কবি লেখকদের সম্পর্কে তিনি কিছুটা ধারণা রাখতেন,

বিস্তারিত»

তাঁর শেষ কবিতা

 

রফিক নওশাদ স্যারকে খুব মিস করছি। ক্লাশ সেভেন থেকে তিনি ছিলেন অভিভাবকের মত। আমার শিক্ষক, আমার গুরু । কবি ছিলেন, টেলিভিসনে উপস্থাপনা করতেন। সে সব ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে ক্যাডেট কলেজে চলে এলেন। তাঁর পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি শরীরের চেয়ে তাঁর সাহস ছিল তিন গুন বেশি, বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করার আগে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন।

বিস্তারিত»

তুষার

তুষার
সন্ধ্যায় সবুজ মাঠে হেঁটে এসেছি। রাতে তুষার পাত শুরু হয়েছিল। ঘুম থেকে উঠে দেখি পৃথিবী বদলে গেছে।

 

বিস্তারিত»

হায় ঈশপ! হায় ঈশপ -১

বহুকাল আগের গল্প। কোন এক দেশের কোন এক শহরের কোন এক গ্রামে এক টুপিওয়ালার বসবাস। টুপি বিক্রি করে জীবন চলে তার। নিজ হাতে পরম যত্নে টুপি প্রস্তুত করে টুপিওয়ালা। নিজেও নিজের হাতে তৈয়ার করা একখানা টুপি মাথায় দেয়। সারা সপ্তাহ টুপি তৈয়ার করে সপ্তাহান্তে শহরের পাশের বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যায়। টুপির ঝোলা কাঁধে নিয়ে পাড়ি দেয় বন, গ্রাম। কোন একবার, কোন এক সপ্তাহান্তে, চারটা খেয়ে,

বিস্তারিত»

সুনিতা কিংবা বিদ্যাঃ দখিন থেকে পুব

আমার গল্পের চরিত্র কিন্তু একই দেশের। তবে সুনিতার মত মাতাল দক্ষিণা হাওয়ার সাথে তার চলাফেরা কখনোই ছিল না। ছিল উত্তর-পূর্বের নদী বরাক, ইম্ফালের সাথে তার গভীর সংযোগ। বাড়ির পাশের লোকটাক লেকের শান্ত নীল জলের মত তার গতি। উচ্ছ্বাস নেই, মাদকতা আছে। সাদা মেঘের মত পেলব, ছুঁতে ইচ্ছে করে। সুনিতার মত অবশ্য তার চোখ গভীর কালো নয়, বরং কিছুটা ঘোলাটে বলা যেতে পারে। তবে সে চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে এক মুহূর্ত ক্লান্তি আসেনি আমার।

বিস্তারিত»

খিদে

১।
স্বামী হিসেবে সৈকতকে নিয়ে রুপা-র তেমন কোন অভিযোগ নেই…কেবলমাত্র একটি বিষয় ছাড়া। সময় নেই…অসময় নেই- কেবলই খাওয়ার (?) জন্য ছোঁক ছোঁক করে। এই জন্য অনেকবারই রুপাকে লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে…তারপরেও সৈকতকে সামাল দিয়ে রাখা খুবই কঠিন!! নেহায়েৎ ভালবেসে বিয়ে করেছে নয় তো…!! এর চেয়ে অনেক কম ঝামেলার বিষয় নিয়ে বহু তথাকথিত সুখের সংসার ভেঙে যেতে দেখেছে রূপা।

একটা লম্বা কোর্সের জন্য এবার সৈকতকে একা ঢাকায় আসতে হলো…রুপা ওর হাসপাতাল…ছেলের পিএসসি পরীক্ষা…মেয়ের স্কুল…সন্ধ্যায় চেম্বার ইত্যাদির জন্য আসতে পারলো না।

বিস্তারিত»

উৎসর্গ

নোটঃ খুবই শরমিন্দা নিয়ে এই লেখাটা এখানে আজ প্রকাশের জন্য দিচ্ছি। শরমিন্দা-র কারণ খুব সিম্পল…আমি এই লেখাটি সিসিবি-তে প্রকাশ না করে আমার টাইম লাইন এবং অন্য একটি ব্লগে দিয়েছিলাম। এক বড়ভাই (সংকোচ এবং শরমের কারণেই বড় ভাইয়ের নাম বললাম না…) আমার লেখাটি আমার টাইম-লাইনে পড়ে সিসিবি-তে লেখি কি না জানতে চেয়েছিলেন এবং লেখাটিকে এখানে দিতে বলেছিলেন। আসলে, আমার লেখালেখির শুরু এই প্লাটফর্মেই। তবে, এই লেখাটি সম্পূর্ণই মজা করে লেখা…তা ছাড়া বিষয়বস্তুটাও খুবই সামান্য…সে কারণেই এখানে আগে লেখাটি দেয়া হয়নি…

বিস্তারিত»

আমার বইমেলা ও বেঙ্গল রেজিমেন্টের যুদ্ধযাত্রা ১৯৭১

আমার সাথে বই মেলার আড়ি আছে । বিষয়টা বুঝলাম আমার প্রথম বই প্রকাশের বছর। পান্ডুলিপি এবং পয়সা জমা দেবার পরও বই বের হচ্ছিল না। এ জগতের সাথে যাদের পরিচয় নেই, তারা বিষ্মিত হবেন, বই ছাপতে পয়সা দিতে হয়?

উত্তর হল নতুন লেখকদের প্রায় সময়ই দিতে হয়। যে সব প্রকাশক সৈকত হাবিবের মত ভদ্র এবং নতুন লেখকদেরও মানুষ মনে করেন, তারা মিষ্টি করে বলেন,

বিস্তারিত»

রোহিঙ্গা ইস্যুঃ সংকট নাকি সম্ভাবনা?!

কক্সবাজারের ‘দর্শনীয়’ জিনিসের তালিকায় নতুন সংযোজন রোহিঙ্গা এবং রোহিঙ্গা পল্লী। বিশেষ করে উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত এই ‘জিনিস’ প্রচুর পরিমাণে মিলবে। স্যুভনির পণ্য তালিকাতেও বেশি কিছু নতুন আইটেম যোগ হয়েছে। যেমন- জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (UNHCR) ছাপ মারা কম্বল, তাঁবু, ডাল, কৌটা বা টিনজাত খাবার, এমনকি ত্রাণের তরল দুধও! শোনা গেছে রোহিঙ্গাদের অনেকেই দুধ পানে অভ্যস্ত নয়। প্রাপ্ত দুধ দিয়ে অনেককে হাত-মুখ ধোয়া থেকে শুরু করে কাপড় ধুতেও (জ্বি,

বিস্তারিত»

~ শিকড় থেকে শিখর যাত্রার ইতিবৃত্ত ~

পনেরো থেকে আঠারো শতকে বিশ্ব জিডিপির ঊনত্রিশ শতাংশের উৎস ছিল মুঘল সম্রাজ্যের ভারতবর্ষ। সেই ভারতবর্ষের জিডিপির আটষট্টি শতাংশ জোগান দিত বাঙলা। মুঘল সম্রাজ্যের বানিজ্যিক রাজধানী, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী বৃহৎ এক শহর ঢাকাকে ঘিরে পূর্ব বাঙলা এমনই প্রণিধানযোগ্য ছিল প্রায় চারশো বছর ধরে।

ঊনিশ শতকে বৃটিশ শাসনাধীন হলো যখন তখনও বিশ্ব জিডিপির বাইশ শতাংশ জোগান দিতো ভারতবর্ষ। অথচ বৃটিশরা যখন ভারতবর্ষ ছেড়ে যায় তখন বিশ্ব জিডিপিতে তাদের ভাগ নেমে আসে দুই শতাংশেরও নীচে।

বিস্তারিত»

শিক্ষকের মৃত্যু নেই

মানুষের মৃত্যু আছে। শিক্ষকের কি মৃত্যু আছে? মনে হয় না।

একবার আমার এক শিক্ষক আমার বর্তমান কর্মস্থলে শিক্ষক নিয়োগের ইণ্টারভিউ-এ এক্সটার্নাল সাব্জেক্ট এক্সপার্ট হিসেবে এসেছিলেন। রেজিস্ট্রার অফিসে বসেছিলেন। সন্ধ্যার পরে সিলেকশন বোর্ড বসবে। আমি বিকেলে অফিস আওয়ারের পরে রেজিস্ট্রার অফিসে গেলাম তাঁর সাথে দেখা করতে। কুশালাদি বিনিময়ের এক পর্যায়ে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “কি মাহবুব!! পড়াতে টড়াতে পার কিছু?” আমি তো বেশ হতবাক হয়ে গেলাম।

বিস্তারিত»