সুরেশ রন্জন বসাক স্যার আমাদের কলেজে ইংরেজি পড়াতেন। পরে বদলী হয়ে সিলেটে চলে গেলেন।
কামরুল আমাকে ঐদিন বললো উনি নাকি বেশ কিছু অনুবাদ করেছেন। করেছেন সেটা জানতাম, কিন্তু সেসব যে বই আকারে পাওয়া যাচ্ছে এটা জানতাম না।
আমার বিশেষ করে, মার্কেজের অনুবাদগুলো দরকার। কেউ কি জানাতে পারবেন বসাক স্যারের অনুবাদগুলো কোন প্রকাশনী থেকে বের হয়েছে, বা কোথায় পাওয়া যাবে?
অথবা, কেউ যদি স্যারের সাথে যোগাযোগের কোন উপায় বাতলে দেন,
আমার ইমিগ্রেশন অভিজ্ঞতা -১
বিভিন্ন দেশ ঘুরে ইমিগ্রেশনের ও এয়ারপোর্টের কিছু মজার মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে । এগুলো শেয়ার করার জন্যই লিখছি আজকে :
সিংগপুর ইমিগ্রেশন :
সিংগাপুরের চাংগী এয়ারপোর্ট আমার প্রিয় এয়ারপোর্টগুলোর একটা। অতি আধুনিক এই এয়ারপোর্টে সময় পাস করা কোন ব্যাপারই না। শপিং করে, ঘুরে, মানুষের ব্যস্ততা দেখে সময় কাটিয়ে দেয়া যায় অনায়াসেই। সিংগাপুর ইমিগ্রেশও খুব আধুনিক। স্মার্ট অফিসাররা খুব দ্রুততার সাথে সবকিছু শেষ করে।
বিস্তারিত»নুঁগা (নঁওগা)পার্টি……
আমাদের ক্লাসে নঁওগা জেলার পো্লাপান প্রায়ই তাদের উচ্চারনের বিশেষনের কারনে আমাদের অসীম মজার খো্রাক এবং টিজ নামক আক্রমনের শিকার হত । তার কিছু উদাহরন মনে পরল…
০১ ক্লাস সেভেনে এক নুঁগা দুপুরে কারি ও ডাল একসাথে খাওয়া দেখে অবাক হয়ে, ভ্যাই (ভাই), ড্যাল দিয়ে কি ম্যাংশ দিয়ে খ্যায় ।
০২ সেভেনের ২য় টার্মের পর ছুটি পেয়ে খুশিতে আত্নহারা হয়ে, এবার ন্যাচতে ন্যাচতে গ্যাইতে গ্যাইতে বাড়ি যাবো ।
বিস্তারিত»আমার শহর- ছবিতে পুরোনো ঢাকা
ক’দিন আগে ই-ডাকে আমার এক সহকর্মী আমাকে বেশ কিছু ছবি পাঠালেন। ঢাকা শহরের। এখনকার ঢাকা নয়। সেই পুরোনো দিনের ঢাকা। গল্প উপন্যাসে আমরা যে পুরোনো ঢাকাকে দেখি একেবারে সেই রকম। ছবিগুলি আমার কাছে দারুন লেগেছে। তাই ভাবলাম বাকি সবার সাথেও শেয়ার করি।
অনেক ছবি। একসাথে সব দেয়া ঠিক হবে না। প্রথমে কিছু শেয়ার করলাম। দেখি সবার কেমন লাগে।
যাদের সাথে বসবাস
লাইবেরিয়াতে আসার আগে বৌ’কে নিয়ে মুশফিকের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সাথে ছিল শামীম। ও বছরখানেক আগে পার্শ্ববর্তী দেশ আইভরী কোস্টে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করে গেছে। গাড়ীতে বসে শামীম নানান পরামর্শের সাথে সাথে পশ্চিম আফ্রিকার বিপদজনক রোগবালাইয়ের কথা বলছিল। ম্যালেরিয়া, ইয়েলো ফিভার, টাইফয়েডের সাথে ছিল লাসা ফিভারের কথা। লাসা ফিভারে আক্রান্ত হয়ে একজন সৈনিক মারা গেলে স্টিলের কফিনে ৪০ ফুট মাটির নিচে লাইবেরিয়াতেই সমাহিত করা হয়।
বিস্তারিত»টুশকি ১১
কেনিয়াতে ওবামা জ্বর
কেনিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম কোগোলোতে লোকজন ভোট দিচ্ছে বারাক ওবামাকে । না চমকানোর কিছু নেই এটা সত্যিকারের ভোট নয়, প্রতিকী ভোট মাত্র। কিন্তু সারা কেনিয়া জুড়ে উৎসাহ উদ্দীপনা কোন অংশেই যুক্তরাস্ষ্ট্রের চেয়ে কম নয়। এখানে অলরেডী ওবামার জয়ের খবর পৌঁছে গেছে। সারা কেনিয়া জুড়ে আনন্দের ঢেউ। রাস্তায় রাস্তায় মিষ্টি, পানীয় বিতরন চলছে। যেন ঘরের ছেলেই নির্বাচনে জিতেছে। আজ টিভিতে শুনলাম কেনিয়ার অনেক শিশুর নাম নাকি ওবামা রাখা হচ্ছে ।
বিস্তারিত»টুশকি ১০
খেরোখাতা- বৃষ্টির ঘ্রানে
(এখানে বৃষ্টি হচ্ছে, তোমার ওখানেও কি তাই?)
বৃষ্টির আলাদা একটা ঘ্রান আছে, প্রথম যখন বৃষ্টির ফোটা পড়ে, তখন এক ধরনের ঘ্রান, একটু ধুলো ধুলো সেটা, যদি বছরের প্রথম বৃষ্টি হয় তাহলে তো কথাই নেই। একটু বেশি সময় নিয়ে পড়লে ঘ্রানটা বদলে যায়, মাটি মাটি ঘ্রানটা নাকে আসে তখন। আর যখন টানা বৃষ্টি তখন একটা সোদা সোদা গন্ধ পাই আমি। আর সবগুলো গন্ধই,
বিস্তারিত»আমার প্রথম প্রেম
আমরা সেভেন-এ জয়েন করার কিছুদিন পর এক ম্যাডাম জয়েন করলেন। দেখতে শুনতে আল-হামদুলিল্লাহ। আমি কিছু বুঝে না বুঝেই তার প্রেমে পরে গেলাম। সেই রকম প্রেম, রাতে ঘুম হয় না টাইপ, আমার প্রথম প্রেম। তখনকার টুয়েল্ভ-এর এক ভাইয়ের বড় ভাই যিনি নিজেও আমাদের কলেজেরই এক্স-ক্যাডেট, উনার সাথে পরে তিনার বিয়ে হয়ে যায়। দুঃখ পাইলেও কষ্ট পাইনাই এই ভেবে যে ‘যাক, ফ্যামিলিতেই তো রইল’।(এই ম্যাডামকে লইয়া আমার অনেক অম্ল মধুর গল্প আছে।
বিস্তারিত»আজকের সিসিবি
বাংলালিংক যতই দিন বদলের কথা বলুক, কিছু মানুষের দিন বদলায় না। এই যেমন আমি-
সেই আজো পরীক্ষা থাকা সত্বেও করবীর হাতে বানানো ব্রেকফাস্ট ত্যাজ্য করে অফিসে এসেছি…..সেই আজও হাজিরা খাতায় লালকালি। সেই আজও একটি সিগারেট ধরিয়ে পিসি ওপেন করেই ক্যাডেট কলেজ ব্লগ।
কিন্তু আজ ব্লগে ঢুকেই মাথা নষ্ট। সযতনে কাল সন্ধ্যায় প্রথম পাতায় কয়েকটি পোস্ট রেখেগিয়েছিলাম। আগের দিনগুলোর মতই সেগুলি তৃতীয় কিংবা চতুর্থ নম্বরে থাকার কথা।
বিস্তারিত»আচার০০৪ : কি করুম আপনারাই কন…
খাওয়া নাই, ঘুম নাই, খালি মাথা গুঁজিয়া কাজ করিয়া যাওয়া। লক্ষ্য একখানা মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন। এতোই ব্যস্ততা যে ইদানীং সিসিবিতেও আসিতে পারি না। আজকাল যাহা করিতেছি তাহা হইল সরঞ্জামীকরণ পরিকল্পনা, উহাই করিতেছিলাম খানিক আগে পর্যন্ত। কাজের মাঝে অকস্নাৎ টিং শব্দ করিল আমার বজ্রপাখি, তড়িৎডাক আসিয়াছে। পড়লাম সেই তড়িৎ ডাক, হাসিব নাকি গলা ছাড়িয়া কাঁদিব বুঝিতে পারিতেছি না। আপনাদের সহৃদয় বিবেচনার জন্য নিম্নে তড়িৎডাকখানি হুবুহু তুলিয়া দিলাম।
বিস্তারিত»সি সি বি জরীপ নাম্বার টুঃ আপনি হলে কি করতেন??
টুশকি ৯
ক্যাডেট কলেজে চান্স
আমরা তখন গাজিপুর থাকতাম। প্রথম ক্যাডেট কলেজের নাম শুনতে পাই অনিল স্যারের কাছ থেকে। উনি একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং সেই স্কুল থেকে নাকি ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেয়া যায়। আব্বু খুব শখ করে ওই স্কুলে ভর্তি করে দিল আর আমিও খুব শখ করে পড়াশুনা শুরু করলাম। লিখিত পরীক্ষার সময় চলে আসল। আমার সিট পরেছিল ঢাকা রমিজউদ্দিন স্কুলে। পরীক্ষার সময়ের একটা স্মৃতি খুব মনে পরে যে ইসরাইল হক স্যার গার্ড ছিলেন আর একটা ছেলেকে নকল করার সময় পাকড়াও করেছিলেন আর ছেলেটা স্যারের পায়ে ধরে কান্নাকাটি করছিল।
বিস্তারিত»