অখ্যাতের আত্মকথন

আমি সেই সব মানুষের দলভুক্ত নই যাদের আত্মকথন লোকে সময় নিয়ে পড়ে। তবুও এই অখ্যাতের আত্মকথনের দুঃসাহস পেলাম এই ভেবে যে আমাদের ক্যাডেটদের প্রত্যেকেরই কোন না কোন ঘটনা, কারো না কারো সাথে মিলে যায়ই।

সুসন্তান জন্মদানের গর্বে গর্বিত হবার আনন্দটা উপভোগ করার জন্য আমার বাবাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেকগুলি বছর। তিন মেয়ের পর সর্বকনিষ্ঠ একমাত্র ছেলের প্রতি তার প্রত্যাশা দিগন্ত ছুয়ে যেত। তিনি শুধু গর্বিত হতে চেয়েছিলেন,

বিস্তারিত»

ই-বুকঃ- সিসিবি সংকলন..(মহা-আপডেট)

আগামী আটই ডিসেম্বর সিসিবি এর জন্মদিন…
সেই উপলক্ষে আমরা চীন-মৈত্রী সন্মেলন কেন্দ্র কিনে ফেলবো, তারপর সেইখানে বাড্ডে কেক কাটবো। সারা দুনিয়ার সকলের জন্য একটা করে সিসিবি গেঞ্জী বানাবো…
কিন্তু তার আগে একটা ই-বুক। সারা দুনিয়ার সকল ওয়েব সাইটে টাঙ্গানোর জন্য…

বিস্তারিত»

শিরোনামের ফুটনোট

খেয়াল করলাম গত অগাস্টে এখানে রেজিস্ট্রেশন করেছি। কিন্তু লেখা হয়নি একটুও। সেটা বেশ অবাক করা কারণ এ কয়মাসে আমার জীবনে একটা উজ্জ্বল অংশ এই লেখালেখি করাটাই। এই সময়ে অনেকটা সিরিয়াস হয়ে গেছি নিজের লেখা নিয়ে, চিন্তা নিয়ে, ভাবনা নিয়ে। সেগুলো এখানে কেন শেয়ার করিনি জানি না। অনেক সময় নজরের আড়ালে থাকলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিশই খুঁজে পাওয়া যায় না। এখন হঠাৎ করেই মনে হলো ক্যাডেট কলেজ ব্লগেও লেখাগুলো ধীরে ধীরে দিবো।

বিস্তারিত»

মাতু রোগ

হোসেন ভাইয়ের এই ব্লগটা দেখে এক কাহিনী মনে পড়ে গেল। তাঁর ব্লগেই কমেন্ট দেয়াটা যুক্তিযুক্ত ছিল, কিন্তু বেশী প্রচারের লোভ মৃত্তিকার তৈরী আমি সামলাইতে পারলাম না।

গ্রোয়েন স্ক্র্যাচিং ডিজিজ (ভালো নাম জানি না 😛 ) ক্যাডেট কলেজে অল্পবিস্তর সবারই হয়। কিন্তু আমাদের ব্যাচে সবার প্রথম হইছিল যার, তার নাম ধরা যাক মধু। ঢুলুঢুলু চোখে জড়িয়ে জড়িয়ে কথা বলত বলে তার নিকনেম ছিল মাতাল।

বিস্তারিত»

ছোট ছোট ঘটনা – দুই

এক.
এবারো সময় ক্লাশ সেভেন, স্হান ফজলুল হক হাউস । যান বাঁচানো ফরজ তাই সংগত কারণে ঘটনার নায়কের নাম উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকলাম । ক্লাশ সেভেন থেকেই আমাদের জনৈক বন্ধু স্ক্র্যাচিং এ পারদর্শী্ ছিল । আর মাঝে মাঝে স্হান কাল পাত্র ভুলে মনের আনন্দে গীটার বাজাতো । একদিন তখনকার কলেজ গেমস প্রিফেক্টের রুমে তার ডাক পরল । খেলাধূলার কোন একটা ব্যাপারে তাকে নসিহত করা হচ্ছে ।

বিস্তারিত»

মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর এ ভুবনে…

হুর সবাই পেতে চায়, কিন্তু কেউ মরতে চায় না…

অনেকদিন আগে কোন এক ব্লগারের ব্লগে পড়েছিলাম কথাটা। আসলেই কেউ মরতে চায় না। হুজুররাও না, সংশয়বাদীরা আরও না। কারণ হুজুরদের তাও হুর পাবার আশা আছে, সংশয়বাদীদের তাও নাই… 🙁

ইদানিং কাম কাইজ নাই। সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় টো টো করি। কানে থাকে হেড ফোন…তা দিয়ে রেডিওতে আরজেদের প্যানপ্যানানি শুনি। কিংবা শুনি ফুয়াদ ফিচারিং কোন গান…

বিস্তারিত»

ছোট ছোট ঘটনা – এক

এক.
সময় ক্লাস সেভেন 2য় টার্ম । সোহরাওয়ার্দী হাউসের দোতলার তের নম্বর রুমে নাদান আমরা সবাই থাকি । আমাদের পাশের রুমেই অল্টারনেট সিনিয়রদের রুম । নেমপ্লেট দিয়ে দেয়ালে বারি দিলেই ছুটে যেতে হয় ফাই ফরমাস খাটার জন্য । বন্ধু মাহমুদ হোসেন, আর সবার মত কলেজে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে । ঘটনার শুরু একদিন রাতে আফটার লাইটস আউট সে রুমে এসে দেখে বন্ধু জান্নাতুল ওর বেডে ঘুমিয়ে আছে ।

বিস্তারিত»

নতুন বন্ড

ক্যাসিনো রয়াল দেখা শুরু করার সময় চোখ মুখ শক্ত করে বসেছিলাম।
ব্রসন্যানকে রিপ্লেস করছে যেই ব্যাটা, তাকে কিছুতেই ভাল লাগা চলবে না, মোটামুটি এইরকম মারদাঙ্গা টাইপ ছিলো আমার মনোভাব। পিয়ার্স ব্রসন্যানের পরে অনেকেই শ্যন কনারিকে সবচেয়ে মানানসই বন্ড বলে থাকেন। আমার কিন্তু বুড়া কনারিকেই বেশি স্মার্ট লাগে, বন্ড কনারির চেয়ে। তার চেয়ে বরং রজার মুর অনেক বেশি ‘ঠিকাছে’।

তো, সিনেমা শুরুর পর থেকে দেখি আমার মন খানিকটা গলতে শুরু করেছে।

বিস্তারিত»

আর্টসফিকশন

বিকেলের প্রেপ।

কোয়াইট আওয়ারের ঘুমটা আসতে আসতে বড় দেরী করেছিল বলেই হয়ত মেজাজটা চড়েই ছিল। হাউজ বেয়ারা আউয়াল ভাইয়ের উপর দিয়ে তাই ছোট্ট একটা ঝড়ও বইয়ে দিয়ে এসেছি। আজ বই নিয়ে বসার প্রশ্নই ওঠে না। একরাশ বিরক্তি নিয়ে একাডেমিক ব্লকের বারান্দায় দাঁড়িয়েই মনটা ভাল হয়ে গেল। বাসন্তি শাড়ী পরে একাডেমিক ব্লকের সামনের বাগানে হাঁটতে হাঁটতে একটা গাঁদা ফুল ছিড়ে খোঁপায় গুজলেন তিনি। শুরু হল আমার বুক ধড়ফড় আর শূণ্যতা’র অনুভূতি।

বিস্তারিত»

ঢাকা ১১০০০ কিমি

গত ডিসেম্বর মাসে মিশনে আসার জন্য যেদিন নাম বের হল তারপর দিনই ইন্টারনেট থেকে লাইবেরিয়ার উপর বেশ কয়েক পৃষ্ঠা প্রিন্ট আউট নিয়ে নিলাম। ফেলুদাকে দেখেছিলাম তদন্তের বা পর্যটনের জন্য কোথাও গেলে সেই জায়গা সম্পর্কে বিশদ লেখাপড়া করে নিতেন। এমনও হয়েছে যে যাবার পথে প্লেনে বা ট্রেনে বসেও পড়ছেন। তো আমি ঠিক ফেলুদা না বরং কোথায় যেয়ে নাজিল হতে যাচ্ছি সেই জায়গাটা/দেশটা সম্পর্কে খানিকটা জানাই ছিল উদ্দেশ্য।

বিস্তারিত»

আমার ইমিগ্রেশন অভিজ্ঞটা (২)

বিভিন্ন দেশ ঘুরে ইমিগ্রেশনের ও এয়ারপোর্টের কিছু মজার মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে । এগুলো শেয়ার করার জন্যই লিখছি :
আগের পর্ব এখানে :

ইন্ডিয়া ইমিগ্রেশন :
সম্ভবত: চেকিং এর সবচাইতে বেশি বাড়াবাড়ি দিল্লী এয়ারপোর্টে। দিল্লী এয়ারপোর্টে চেকিং এর এতস্তর যে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। কমসে কম চার/পাঁচবার চেকপয়েন্ট পার হতে হয়। জামা,জুতা, বেল্ট সব খুলতে হয়। দিল্লী ইমিগ্রেশনে এক বাচাল অফিসারের পাল্লায় পড়েছিলাম।

বিস্তারিত»

স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট

মিশন এলাকায় একই স্থানে আবদ্ধ থাকতে থাকতে এবং একই কাজ করতে করতে একঘেয়েমি চলে আসে। এটা কাটানোর জন্য যৎকিঞ্চিত বিনোদনের যা ব্যবস্থা আছে তাও অপ্রতুল মনে হয়। তারউপর আছে পরিবার পরিজন থেকে দূরে থাকার কষ্ট। এই সবকিছু মিলিয়ে একটা মানসিক ক্লান্তি আমাদের সবার উপর ভর করে বসে যেটাকে সহজভাবে “স্ট্রেস” বলে আখ্যায়িত করা হয়। আর এটাকে কমানোর জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপই “স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট”।

আমরা যে স্থানে থাকি সেটা “কারী কমপ্লেক্স”

বিস্তারিত»

রং বেরংয়ের ভুল

গোলাম মুরশিদ এইবার প্রথম আলোর ঈদ সংখ্যায় একটা প্রবন্ধ লিখেছেন, শিরোনাম – (অ) শিক্ষার ইতিকথা। আত্নজীবনী ধাচের এই লেখায় তিনি নিজেকে অকাট মূর্খ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। যাইহোক জ্ঞানী গুনীরা বিনয় দেখিয়ে অনেক কিছুই বলে কিন্তু তার সবই ধর্তব্য নয়। নিজের মূর্খতার প্রমাণ স্বরূপ তিনি লিখেছেন- এম, এ ক্লাসে যখন রবীন্দ্রনাথের ‘বিসর্জন’ পড়ানো হচ্ছিল তখন তিনি অবলীলায় লিখে গেছেন “বিষর্জন” । আবার তিনি বহু বছর পর সুদূর লন্ডনে গিয়ে বিবিসিতে নিজের একজন প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়ে স্বান্তনা পেয়েছিলেন।

বিস্তারিত»

আমরাই পারি বনাম আমরা পারিও

১। কলেজে ফল বলতে ম্যাক্সিমাম সময়-ই দিতো কলা। কালে-ভদ্রে অন্য ফল দিত। সেই রকম এক কালে-ভদ্রে লাঞ্চে ‘আম’ দিয়েছে। ডিউটি মাস্টার সেইদিন কেমিষ্ট্রির ম’আলি। তিনি আবার খুবই পরিপক্ক প্রোনান্সিয়েশানের সহিত ইংলিশে টক করতেন। ডাইনিং-এ ঢুকে তিনি বীকট শব্দে ঘন্টা বাজায়ে ঘোষনা দিলেন ‘জেন্টেলমেন, ম্যাংগো হ্যাজ বিন গিভেন। পার ম্যাংগো, ওয়ান ম্যান’।

২। ভূগোল ক্লাসে ফয়জুল হাসান স্যার কে ধরে রাখা যেত না। শুরু ভূগোলে হলেও তিনি কোথায় যে শেষ করতেন।

বিস্তারিত»

চানাচুর

বুড়ো লম্পট রিয়াদ সাহেব সত্তর বছর বয়সে কুড়ি বছরে এক সুন্দরী তরুণীকে বিয়ে করলেন।
বছর ঘুরতেই খোকা হলো তাদের।
হাসপাতালের নার্স মুচকি হেসে বললো, ‘বাহ রিয়াদ সাহেব, বেশ ফর্মে আছেন মনে হচ্ছে?’
রিয়াদ সাহেব গর্বিত হাসি দিয়ে বললেন, ‘পুরনো ইঞ্জিনটাকে চালু রাখলাম আর কি।’
আরো দুবছর পর আবার খুকি হলো তার।

বিস্তারিত»