অনেকেই হয়তো জানেন না।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরে। ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেটের সপ্তম শ্রেণীর ক্যাডেট তাসনুবা আত্মহত্যা করেছে।
গার্লস ক্যাডেটের শিক্ষিকা দেলোয়ারা ম্যাডামের কাছে ফোন করে জানা গিয়েছে, বার্ষিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হবার কারনে মেয়েটি এই পথ বেছে নেয়। বাসা থেকে তার উপর ভালো ফলাফলের চাপ ছিল- সেই চাপ সইতে না পেরে সে আজীবনের জন্য চাপমুক্ত হবার পথ বেছে নিয়েছে।
আজকে দুপুরে তার লাশ ময়মনসিংহ হতে কুষ্টিয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কলেজের স্বাভাবিক কর্মকান্ড চলছে। তার পরিবারের প্রতি ক্যাডেট কলেজ ব্লগের পক্ষ থেকে সমবেদনা।
মনটাই খারাপ হয়ে গেল...আদরের ছোট্ট, অভিমানী, বোকা, আপুটির আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
কেন এমন হয়...??????
ছোট্ট বুকটার মাঝে না জানি কত কষ্ট নিয়ে চলে গেছে বোনটা...
আল্লাহ, অজানা, আদেখা আমার বোনটাকে তুমি জান্নাতবাসী কর...।
ব্লগের সকল ভাই বোনদের বলছি,
যারা সন্তানের বাবা-মা হয়েছেন তারা দয়া করে এর থেকে শিক্ষা গ্রহন করবেন আশা করি...
সবাই ভালো থাকুন।
অভিমানী আপুটাকে একবুক ভালবাসা...
খবরে দেখলাম,খুব কষ্ট লাগল।আমাদের পড়াশোনার সিস্টেমের আরো একটা দীনতা প্রকাশ পেল-যেখানে পড়াশোনার চাপে কাউকে আত্মহত্যার মত সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
এতক্ষনে নিশ্চয়ই আমাদের এই বোনটির মৃত্যু নিয়ে বাইরে নানারকম জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।ক্যাডেট কলেজের একটু সমালোচনার সুযোগ পেলে কেউ কখনো ছাড়ে বলে মনে পড়েনা।তারা হয়ত এই মর্মান্তিক খবরে ভেতরে ভেতরে খুশি হয়েছে।
আমার হারিয়ে যাওয়া আপুটার প্রতি ভালবাসা আর তার এই চলে যাওয়া নিয়ে যারা কাল্পনিক গল্প ছড়াবে তাদের প্রতি একমুখ থুতু।
হায় হায়, এই জন্যই ফোন করছিলি। আমি তো ভেবে কুল কিনারা করতে পারছিলাম না।
এ ধরণের ঘটনার কথা শুনলে কিছুই বলার থাকে না। বলার মতো কিছু খুঁজেও পাচ্ছি না। যে মারা গেছে তার না হয় একটা গতি হলো, কিন্তু তার আত্মীয় যারা বেঁচে আছেন তাদের কি হবে!
নাম জিজ্ঞেস কর তো তোর মামীকে...
হ্যা, নামটা জানা গেছে। তাসনুবা। ক্যাডেট নম্বর বা পুরো নাম অবশ্য জানতে পারি নাই।
আহ! মেয়েটা আমার ছেলের বয়সী। ওর জন্য একবুক আদর ছাড়া আর কিইবা দিতে পারি।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
কি বলবো বুঝতেছিনা। সিসিবিতে ঢুকেই এরকম একটা কষ্টের খবরে মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। আল্লাহ্ আপুটাকে দেখে রাখুন এবং পরিবারটিকে হেদায়েত করুন।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ইন্নালিল্লাহ ...
আল্লাহ তার মঙ্গল করুন ...
মাঝে মাঝে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়াকে অভিশপ্ত মনে হত। বাবা-মায়ের উচচাশার সীমাহীনতার কাছে অসহায় ছিলাম। ছুটি থেকে বাসায় আসলে রেজাল্ট কবে আসবে তার উত্তর দিতে দিতেই আমার বেশিরভাগ সময় কাটত।
কতনা অভিমান ছিল মেয়েটার?? কিছুটা মনে হয় বুঝতে পারি।
ঠিক হয়নি বোকা... কতজনকে কাঁদায় গেলি।
ক্যাডেট প্যারেন্টসদের আরো যত্নবান, চিন্তাশীল হওয়া উচিত।
আমার ছোট ভাই টেনে পড়ে।ওর মৃত্যু খবরটা যেন আমার কাছে আপন বোনের মতই লাগলো।
সস্তা সান্তনা দিতে চাই না ওর পরিবারের জন্য রেখে গেলাম সমবেদনা।
আর খোদা তুমি এই অবুঝ বোনটার সকল অপরাধ ক্ষমা করে তাকে জান্নাত বাসী কর।
এতো এক সর্বনাশা প্রাক্টিস শুরু হলো সব কলেজগুলোতে ~x( ।গতবছর RCC তে পলাশ এর আত্মহত্যার কারণও ছিল প্যারেন্টসদের চাপ।
আল্লাহ ওকে জান্নাতবাসী করুন।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
মেনে নিতে পারতেসিনা ব্যাপারটা। ক্যাডেটে চান্স পাওয়া একটা মেয়ে এমনিতেই ভাল ছাত্রী হওয়ার কথা, তাকে আবার অতিরিক্ত প্রেসারাইজ করার যুক্তি কি? ভাল্লাগেনা এইসব।
তাসনুবার লাশ দুপুড় ১২ টার দিকেই ময়মনসিং থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাড়ি কুষ্টিয়া। কুষ্টিয়াতে দাফনও হয়ে যাওয়ার কথা। কলেজের সবকিছুই শুনলাম নর্মাল চলছে। কোন ছুটি দেয়া হয়নি। অবশ্য কয়েকদিন পর কলেজ এমনিতেও ছুটি হয়ে যাচ্ছে।
তার পরিবারের সবাই এই ধাক্কা সামলে উঠুক, এই কামনা করি। এই ধাক্কা সামলে উঠা তাদের জন্য আরও কষ্টকর হবে, কারণ তারা নিজেদেরকেও এজন্য দায়ী মনে করবেন। তাদের বাকি জীবনটাই এই অপরাধের গ্লানি বয়ে বেড়াবেন।
ধন্যবাদ। পোস্টে আপডেট করে দিলাম।
পড়াশোনার চাপে কেউ আত্মহত্যা করবে, এটা আমার কিছুতেই বিশ্বাস হয় না। আমি নিশ্চিত, এরকম বানোয়াট কথা বলে প্রতিবারই মূল ঘটনা অন্য খাতে প্রবাহিত করা হয়। মহান আল্লাহ নিশ্চয়ই নাটের গুরুদের বিচার করবেন আর মেয়েটির পরিবারকে ধৈর্য ধরার ক্ষমতা দিবেন। আমিন।
কাব্য ভাই,কিছু মনে করবেন না।শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে এভাবে সরাসরি প্রশাসনকে দায়ী করাটা একটু কেমন জানি হয়ে গেলনা বস?
প্রতিবার? মানে ঠিক বুঝলামনা। আমার জানা মতে আগে কখনই এরকম হয়নি, আশা করি হবেও না। আর বিশ্বাস না হবার কোনোই কারন নেই কাব্য...মেয়েরা এমনিতেই অনেক অভিমানি হয়।
আল্লাহ তার আত্মাকে ক্ষমা করুক। কেন যে মেয়েগুলোই এরকম পাগলামি করে...
সরি ভাইয়া!! কাব্য ভাই লিখেছিলাম...কিন্তু কিভাবে জানি ডিলিট হয়ে গেছে!! সরি সরি, প্লিজ় মাইন্ড করেন না! 😕
কেনো এমন করলি রে পাগলী...???
মন টাই খারাপ হয়ে গেলরে ।
আল্লাহ তুমি এই অবুঝ মেয়েটার ভুলটুকু মাফ করে দিও...।
যেখানেই আছিস ভাল থাকিস...।
ছোটো বোনটার আত্মা শান্তি পাক।
কি আর বলব? ভাষা নেই, শব্দ নেই, বাক্য নেই।
আল্লাহ তোমাকে ভালো রাখুন।
Life is Mad.
আমাকে গতকাল রাতে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের বাংলার দীনেশ স্যার ফোনে এই কাহিনি জানান। যা আমি সাথে সাথে আলম ভাইয়ের পোস্টে জানিয়েছিলাম। সেই থেকে মনটা খুব খারাপ। আল্লাহ ওই অবুঝ শিশুটিকে জান্নাতবাসী করুক।
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
খুবই কষ্ট পেলাম, এত ছোট ছোটু বোনেরা যে কেন এই রকম করে বুঝি না।
হে আল্লাহ তুমি তাদের সকল পাপ ক্ষমা করে বেহেশত নসিব কর, আমিন।
তাসনুবা,
তীব্র প্রতিযোগ আর স্বার্থপরতার দুনিয়ায় যেই অভিমান নিয়ে তুমি বিদায় নিলে, মহান স্রষ্টা তার মুল্যায়ন করুক। তোমার অভিমান সব ফুল হয়ে যাক। সেই ফুল দিয়েই গভীর মমতায় কেউ বরণ করুক তোমায়, সেই অন্য ভুবনে।
পৃথিবীর মানুষগুলিকে তুমি ক্ষমা কর।.... আমাদের ক্ষমা কর
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
সরি, মাসরুফ ভাইয়া। আমার খুব ভুল হয়ে গেছে। আমাকে দয়া করে মাফ করে দিবেন। আশা করছি, এমন গুরুতর ভুল আর হবে না।
কাব্য ভাই,শুধু শুধু আপনার অল্টারনেট জুনিয়র একজনকে "আপনি" ডেকে তাকে কষ্ট দিচ্ছেন।আমি যে মন্তব্য করেছি তা ছোটভাইসুলভ অধিকারেই করেছি,আপনাকে আঘাত করার জন্যে দেইনি।হয়তো আপনি এমন অনেক কিছু দেখেছেন কলেজে যেটা আমি দেখিনি-আর তা থেকেই আপনার এই ক্ষোভের উদ্ভব।কলেজ অথরিটির প্রতি আমার যে খুব প্রেম আছে সেটা বলা যাবেনা-এদের কিছু কিছু লোকের প্রতি আমার রাগ যেতে অনেক দেরী আছে।আর সিলেটের ঘটনা তো আমার ক্যাডেট পরিচয়কে লজ্জাতে ফেলে দেয়।তারপরও বলি,সামিয়া আপুদের ব্যাচে পলেন আপু মারা যাবার পর যেসব নোংরা কথা ছড়ানো হয়েছে-তাসনুবা আপু মারা যাবার পর বাইরের মানুষজন ঠিক একই ধরণের কথা ছড়ানোর চেষ্টা করএছে আমার চোখের সামনেই।আমি এ কারণেই উপরের মন্তব্য করেছি-কোন সিনিয়র ভাইকে ক্ষমা করার মত ধৃষ্টতা দেখানো বা সে কথা চিন্তা করাও আমার পক্ষে অসম্ভব।
প্লিজ ভাইয়া আমার উপর রেগে থাকবেন না।আশা করি আমার বলতব্যক্স বুঝাতে পেরেছি।
আসলে আমিও এ কথাটাই বলতে চাছ্ছিলাম ভাইয়া। আমাদের পলেন যখন মারা গেল, কত রকমের অদ্ভুত কথাই না ছড়িয়েছিল! পরশুদিন রাতে যখন খবর টা শুনলাম, খালি মনে হছ্ছিল আমাদের ওই সময়টা যেরকম ভয়ঙ্কর ভাবে কেটেহে, এই ছোটো মেয়েগুলোর সাথেও কি তাই হবে?
আমি একটা ঘটনা উল্লেখ করতে চাই। অনেকের মনে হবে নিজের বাব মায়ের প্রশংসার খাতিরে আমি এই কমেন্ট করছি, কিন্তু তা না। আমি কমেন্টটা করছি যাতে, আমরা যারা পরবর্তিতে বাবা মা হব বা হয়েছি, তাদের দিয়ে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয়।
আমি ৮ম শ্রেনীর ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে ছুটিতে বাসায় আসি। আমার আব্বু আর আম্মু প্রশ্ন করে, আমি সাইন্স না আর্টস পেয়েছি। আমি বললাম যে আমি আর্টস পেয়েছি। তারা খুবই মন খারাপ করল, কারন তাদের ইচ্ছা ছিলো যে আমি ডাক্তার হব। সন্ধ্যায় আব্বু আমার রুমে আসলো এবং বলল, যে ভালো সে সব স্থানেই ভালো করতে পারে, তুমি কি বিশ্বাস কর যে তুমি ভালো? আমি বললাম জ্বি আব্বু। আব্বু বলল তাহলে তুমি মানবিক বিভাগে থেকেও ভাল করবে। সেই কথা, সেই প্রেরণা, সেই বিশ্বাস আজও আমার জীবনে ভালো কিছু করার পাথেও।
আমার মনে হয় বাবা মায়েরা যদি সন্তানের ওপর বিশ্বাস দেখান তবেই সন্তান তার প্রতিদান দিতে পারে। চাপিয়ে দিয়ে কিছুই করানো যায় না।
আমার আর্টস পাওয়ার চিঠী আসার পর আমার বাপ আমার লগে পুরা ছুটি তে একটা কথাও কয় নাই...মাঝে সাঝে খালি খাওনের সময় সামনে পাইলে কইত "হবি ত দারওয়ান নইলে চাকর " :(( :(( :((
কি আর কমু শার্লী...
তয় মোর বাপ সবকিছুর পরও :salute:
তা রেজয়ান তুই এখন কি হয়েছিস রে... 😉 😉
:)) :))
আল্লাহ আমাদের এই অভিমানী ছোট বোনটাকে শান্তিতে রাখুন।
আল্লাহ ওর সকল কষ্ট মুছে ওকে জান্নাতবাসী করুক।
মেয়েটা বড় বোকা ছিল, এরকম বোকামী যেন আর কেউ না করে।
কিছু বলার নাই...।
কষ্ট পাইলাম। কিন্তু এই ঘটনাটা এখনো পেপারে চোখে পড়ল না।
এটা কি খবরের কাগজে দিতে পারতো না? সবাই তো আর ব্লগ পড়ে না!!!
প্রথম আলো তে এসেছে। আমি দেখেছি, শেষ পাতায়।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কিছু বলার নাই. পিচ্চি আপুটা, এত অভিমানী কেনরে তুই?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
"কিছু বলার নাই. পিচ্চি আপুটা, এত অভিমানী কেনরে তুই?"
"ঠিক হয়নি বোকা… কতজনকে কাঁদায় গেলি।
ক্যাডেট প্যারেন্টসদের আরো যত্নবান, চিন্তাশীল হওয়া উচিত...."
"আল্লাহ, অজানা, অদেখা আমার বোনটাকে তুমি জান্নাতবাসী কর…।"
🙁 🙁