নীলা-২য় পত্র

নীলা

(পূর্ব প্রকাশিতের পর..)
নীলা।দুইটা অক্ষরের ছোট্ট নাম।ওর চোখ আকাশের মতো নীল।তাই আদর করে আমি নীলা ডাকি।নীল আমার ফেভরিট কালার কিনা!ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ে।কিভাবে পরিচয়,আর একদিন বলব।

আমার হইছে এক জ্বালা!আমি সাইন্সের আর ও আর্টসের।আমি যখন তাকে “কার্শফস ভোল্টেজ ল” আর “কার্শফস কারেন্ট ল” বুঝাই,সে বলে”এই গুলার মধ্যে কোন রস আছে নাকি!এই নাও ‘মানব জমিন’”।ও ব্যাগ থেকে বই বের করে দেয়।”ও,ওই ব্যাটা তো ক্যারেক্টারলেস।কার না কার সাথে সম্পর্ক বাধাইছে।আবার কিনা পাহাড়ে যাইতে চায়।কত্ত বড় সাহস।এত জনরে ঘুরাইয়া শেষে কিনা চইলা যায়!”ওকে রাগাতেই এত আয়োজন।রাগলে ওকে খুব সুন্দর লাগে।

বিস্তারিত»

নীলা

“এই তুই আমার মাথায় মারলি ক্যান?”খাইছে!ক্ষেপছে!কিছুই করি নাই।খালি দুষ্টামি করে ওর মাথায় একটা চাটি মারছি।ধ্যাত,বিকালটাই আজ মাটি হয়ে গেল।খুব রাগলে ও তুই-তোকারি শুরু করে।

“আমি বলছি না,আমার মাথায় কখনো মারবে না!আমার মাথা ব্যাথা করে।”ওর সাইনোসাইটিস আছে জানতাম,কিন্তু দুষ্টামি করে চাটি মারার জন্য মাথা এত ব্যাথা করার কথা না,যার জন্য রেগে টং হতে হবে?

টিএসসির ক্যাফের পাশে দুজন পাশাপাশি বসে আছি।ওর হাতটা আমার হাতের মুঠোয় নিয়ে আদর করতে লাগলাম।যা রাগছে!বছরে খুব হলে তিন থেকে চার দিন নীলার সুন্দর মুখটা দেখতে পাই।দুজন বাংলাদেশের দুই প্রান্তে থাকি কিনা!এই সময়টুকু অভিমানে নষ্ট হোক চাই না।

বিস্তারিত»

তাই স্বপ্ন দেখব বলে…

পরীক্ষার শেষ হবার সাথে সাথেই বুয়েট একেবারে মৃতবৎ হয়ে গেল। ক্যাম্পাসে মানুষজন দেখা যায় না, হলগুলোতেও পোলাপানদের কিচির মিচির কম। টানা ছাপান্ন দিন একটানা ফাইট দিয়ে সবাই ক্লান্ত। মাথা থেকে সব কিছু ঝেড়ে ফেলার জন্য কেউ বেড়াতে গেলো…কেউ বা গেল ঘুমাতে নিজের আপন বাসায়। আমার কোনটাই করা হবে না।

ডিপার্টমেন্টাই এমন। শুধু মাত্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়েই একটু শান্তি। তখন কোন জমা থাকেনা। শান্তি মতো রাতগুলো ঘুমিয়ে কাটানো যায়।

বিস্তারিত»

কাঞ্চনদার গপ্পো: অন্তর্বাস দ্বন্দ্ব।

[যারা আগে পড়েছেন, তারা নিজগুণে ক্ষমা করবেন :D]

“কী বললে? ভাবীর হাতে কি?”

গত এক সপ্তাহ ধরে গলির মুখে সান্ধ্য আড্ডা বেশ জমে উঠছে। এর মূল কারণ অবশ্য কাঞ্চনদা। কাঞ্চনদা যোগ দেয়ার পর থেকে আড্ডায় জোরেশোরে খাওয়া দাওয়া চলছে। সিগারেটের প্যাকেট খালি না হতেই কাঞ্চনদা হাঁক পাড়ছে ” শামসু কাকা, পাঠিয়ে দ্যান আরেক প্যাকেট বেনসন!” আমরা বেদম হারে সিগারেট টানি আর কাঞ্চনদার মুখে গপপো শুনি।

বিস্তারিত»

প্রথম পোষ্টে প্রথম প্রেমের গল্প

ক্যাডেট কলেজ ব্লগে আমার আগমন খুবই খারাপ সময়ে।এসেছিলাম এক বন্ধুর কাছ থেকে খবর পেয়ে, কিন্তু এসেই দেখি সব খারাপ সংবাদ। লেখার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু এই দুঃসময়ে কি লিখব ভেবে পেলাম না। তাই কিছু কমেন্ট দিয়েই বাংলা লেখাটা প্র্যাকটিস করতে থাকলাম।

বিস্তারিত»

প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-৬

প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-১
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-২
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-৩
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-৪
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-৫

আমাকে আগের বারের মত আবার গ্রুপমেট হিসেবে পেয়ে স্বাতীর কি খুব খারাপ লেগেছিল? মনে হয় না! অন্যান্য ল্যাবগুলোতে যেখানে ৫ জনের গ্রুপ সেখানেও দেখা গেল আমরা দুইজন একসাথে পরে গেলাম।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন ! শেষ পর্ব।

আগের পর্ব গুলির জন্য এখানে দেখুন।


এখন বিকাল ৫’টা বাজে। আকাশ অফিস থেকে বাড়ী ফিরছে।
আজ দাদী’র আসার কথা। ওনার শরীরটা ক’দিন ধরে ভাল যাচ্ছে না। আকাশের বিয়ে’র কথা চলছে -জানতে পেরেই তিনি একদম অস্থির হয়ে উঠলেন ঢাকা আসবার জন্য। দাদীকে আনবার জন্য সকালে একটা মাইক্রোবাস পাঠানো হয়েছিল টাঙ্গাইলে।

আকাশ বাড়ীতে ঢুকেই বুঝতে পারে, পুরা বাড়ীতে একদম উৎসবের আমেজ চলে এসেছে।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন ! পঞ্চম পর্ব।

আগের পর্ব গুলির জন্য


আজ শুক্রবার। ক্যালেন্ডারে মার্চের প্রথম সপ্তাহ চলছে। ঝকঝকে একটা সকাল। ছুটির দিনের আয়েশী প্রাতঃরাশ শেষে, বারান্দায় বসে আকাশ খবরের কাগজ দেখছিলো। অধিকাংশ খবরই মনটা খারাপ করে দেয়। চারিদিকে অপরাধ, নৈরাজ্য, হতাশা, নিরাশা আর অজস্র লোক দেখানো কারবার। আসলে সঠিক জায়গায় সঠিক লোক সঠিক সময়ে থাকে না বলেই আমাদের আজ এই অবস্থা। আর দিন দিন এ অবস্থা অস্বচ্ছ হয়ে উঠছে…।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন ! চতুর্থ পর্ব।

প্রথম- তৃতীয় পর্ব


ক’দিন হলো, অফিসে কাজের চাপ বেড়েছে। আকাশে’র দুইটা প্রজেক্ট ফাইনাল অ্যাপ্রুভাল পেয়ে যাওয়ায় ও এখন পুরা দৌড়ের উপর আছে। প্রজেক্ট দু’টি হচ্ছে- ধানমন্ডিতে একটা তিন তালা বাড়ী আর বনানীতে একটি কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স। ব্যস্ততার যাতাকলে – পেরিয়ে গেল গোটা এক পক্ষ। এ সময়ের মধ্যে সেই বিশেষ দিনটি মনের আয়নায় যে আচড় কেটেছিল, ঐ দিকে তাকানোর আর সু্যোগ আকাশে’র হয়ে উঠলো না ।

বিস্তারিত»

সন্মন্ধ

(সাবধান বাণীঃ সিরিয়াস পোষ্টের ভীড়ে ইহা শুধুই একটি চানাচুর গল্প)
সময় , হায় সময় । দেখতে দেখতে কত দিন চলে গেল । এই মাত্র সেইদিন মনে হয় মেয়েটা জন্ম নিল আর এখন বিয়ের বয়স হয়ে গেল । কিন্তু কি আর করা যাবে আজ হোক কাল হোক মেয়ে কে তো একদিন বিয়ে দিতেই হবে । ঐদিন সরাফত বলল – চাচা আজিজ কন্ট্রাক্টর তো আপনার মেয়ের বিয়ে কথা বলতে চায় ।

বিস্তারিত»

প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-৫

প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-১
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-২
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-৩
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-৪

রেজাল্ট দেয়ার দিনটি চলেই আসল। আমি আবার ঘুমকাতুরে মানুষ। আয়েস করে সকালের ঘুমটা দিয়ে ব্রেকফাস্ট করে রেজাল্ট আনতে গিয়ে কয়েকটা ক্লাসমেটকে খুঁজে পেলাম। আবার কয়েকটাকে দেখলাম রেজাল্ট নিয়ে হাসিমুখে বের হয়ে আসছে। নিশ্চয়ই ভাল করেছে, নাইলে এই দিনে তো এত হাসি বের হওয়ার কথা না!

বিস্তারিত»

প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-৪

প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-১
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-২
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-৩

রবিবার থার্ড পিরিয়ডের পর আমি আর স্বাতী চলে গেলাম লাইব্রেরীতে। ঐদিন আর ক্লাস ছিলনা। সাথে করে ল্যাব সংক্রান্ত কিছু নোটসও নিয়ে গেলাম যাতে বুঝতে পারে আমি কিছুটা প্রিপারেশন নিয়ে এসেছি। লাইব্রেরীতে জানালার পাশটায় যেখানে আলো বেশী ওখানে গিয়ে বসলাম, মুখোমুখি। প্রথম ল্যাব থেকে পড়াগুলো বুঝানো শুরু করল স্বাতী।

বিস্তারিত»

তোমায় কিছু বলার ছিল

আজ আমি বলবোই। গত তিনদিন ধরে ভেবেছি কয়েকবার এই নিয়ে, ঘুরে ফিরে একটাই জবাব এসেছে- আমাকে বলতেই হবে।

বারবার একটা দুরাশঙ্কায় মন কুকড়ে যাচ্ছে। ‘না’ শব্দটার সাথে আমার আজন্ম বৈরীতা, সেটা যেই বলুক না কেন। তারপরো এক অক্ষরের এই ক্ষুদ্র শব্দটা মাঝে মাঝেই জীবনকে ভীষনভাবে নাড়া দিয়ে গেছে। আজ যদি ওর মুখ থেকেও না শুনতে হয়, তবে ভার্সিটিতে থাকার কোন ইচ্ছে বা কারণ আর অবশিষ্ট থাকবে না।

বিস্তারিত»

প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-৩

প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-১
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-২

দুইজনের ছোট্ট একটা গ্রুপ। আর বাকীদেরও ঠিক তাই। কেমিস্ট্রি কোনকালেই আমার প্রিয় বিষয় ছিলনা, ল্যাবগুলো তো না-ই! পিপেট, ব্যুরেট, বীকার, টেস্টটিউব, রাসায়নিক দ্রবণ- এইসব জড় পদার্থের প্রতি উৎসাহের কোন কারণ আছে কিনা আমার জানা নাই, আর কারণ থাকলেই বা আমার কি! প্রথম ল্যাবে স্যার কি কি জানি ইন্সট্রাকশন দিলেন, বুঝলাম না বা বুঝার চেষ্টা করলাম না।

বিস্তারিত»

ভূত দর্শন!

(হাবিজাবি পোস্টের সাথে বোনাস হিসাবে একটা গল্প দিলাম। হাবিজাবি গপপো 😀 ) পরপর দুইটা পোস্ট দেয়ার জন্য ক্ষমা চাই 🙂 )

যখনকার ঘটনা বলছি তখন আমার বয়েস সাতাশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্সটা শেষ করে চাকরিতে ঢুকেছি। কলাবাগানের মোড়ে এখন যে বড় মার্কেটটা উঠেছে তার সামনেই অফিস। অফিস মানে একটা কাঠের চেয়ার আর একটা টেবিল। নতুন চাকুরি জীবন। একটা উত্তেজনা কাজ করত সবসময়। মাসের শুরুতে মাইনে নিয়ে নাকের সামনে ধরতে অন্যরকম একটা আনন্দ হতো।

বিস্তারিত»