একটি কাল্পনিক গল্প


বাম হাতের বৃদ্ধাংগুল দিয়ে টেনে কপালের ঘামটা মাটিতে ঝরাল মতি মিয়া। টপাটপ করে ঘামগুলো জমিতে পড়ল। সেইদিকে তাকিয়ে থাকল সে। মুহূর্তে জমির মাটি তা শুষে নিল। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল সে সেদিকে। এভাবে তার কত ঘাম যে এই মাটি শুষে নিয়েছে তার কি কোন হিসেব আছে? হিসেব মেলাতে পারেনা সে। লাংগলের ফলাটাও একদম ক্ষয় হয়ে গিয়েছে। একটা নতুন ফলা কিনতে হবে। সামনের হাট বারে হাটে যেতে হবে তা কেনার জন্য।

বিস্তারিত»

যখন বাজলো গেমস এর বাঁশী (৪)


হাফটাইমে নীলদের দলের সবাইকে একটু বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। একটু ঠান্ডা খেয়ে রাশেদ, নীল আর সবুজ মাঝে বসে বাকিদেরকে গোল করে নিয়ে বসলো মাঠের এক পাশে। পা ছড়িয়ে বিশ্রাম করতে করতে সবুজ বললো- আর কোন গোল করতে দিমুনা মাইরি। ওর কন্ঠে অস্বাভাবিক দৃঢ়তা ছিল। রাশেদ সম্মতিসূচক মাথা নেড়ে বললো- নীল। একটা সুযোগ-একটা সুযোগ পাওয়া গেলে ঐটাকেই কাজে লাগাতে হবে রে। ৯০ মিনিটের খেলায় এইরকম একটা দুইটা সুযোগেই নির্ভর করে পুরা খেলার ভাগ্য।

বিস্তারিত»

যখন বাজলো গেমস এর বাঁশী (৩)

খেলার দিন সকাল থেকেই নীলদের দলের সবাই ভেতরে ভেতরে চাপা উত্তেজনা নিয়ে প্রতীক্ষায় থাকলো বিকালের। গত কাল ওরা কেবল ওয়ার্ম আপ করে ড্রিবলিং, ওয়াল পাসিং, অ্যাটাক- কাউন্টার অ্যাটাক, কর্ণার আর পেনাল্টি প্র্যাক্টিস করলো। শেষে ১০ মিনিট-১০ মিনিট করে ছোট গোল বারে খেলে অনুশীলন সেশন শেষ করে নিজেদের পরিকল্পনা গুলো আরেক দফা শানিয়ে নিল ওরা। তারপর আর একটি রাত ফুরাবার পালা।

রাশেদ ঘড়ি দেখলো।

বিস্তারিত»

মূল্য এক হাজার টাকা মাত্র

সকালের ঘুমটা ছুটলো হলের গেটম্যান এর চিল্লা-ফাল্লায়। ব্যাটা পারলে রুমের দরজা ভাইঙ্গা ফালায়! রাজিব ভাই, ও রাজিব ভাই, আপনার গেস্ট”….. শম্পা এসেছে। কোনোমতে চোখটা খুলে মোবাইল তুলে দেখলাম ১৭টা মিস্ড কল পড়ে আছে। সাইলেন্ট করে মরার মতো ঘুমিয়েছি। আজকে খবরই আছে।

শম্পাকে নিয়ে বাইরে বেরুনোর কথা। এদিকে পকেটে আছে মাত্র ১৪ টাকা। রুম মেট সুমনের কাছে ৩৫০ টাকা পাওনা আছে আজ প্রায় দু-সপ্তাহ ধরে।

বিস্তারিত»

অগ্নিদগ্ধ…!!!

লোকটার চাহনির মধ্যেই ভয়ানক কিছু ছিল। আমার দিকে তাকাতেই ঠাণ্ডা একটা শীতল স্রোত বয়ে গেল শরীরজুড়ে। ঢুলুঢুলু চোখ রক্তলাল হয়ে আছে…মুখে কালো কালো বসন্তের দাগগুলো কুৎসিত চেহারাটাকে আরো কুৎসিত করে তুলেছে…
ছোট্ট একটা ঘরের মধ্যে আছি আমরা দুই জন। পাশের ঘরে লোকজনের কথা-বার্তার শব্দ শোনা গেলেও খুব একটা ভরসা পেলাম না। এই লোকের হাত থেকে আমাকে কে বাঁচাবে???
পকেট থেকে দিয়াশলাই বের করতেই বুঝে গেলাম ওর অভিসন্ধি,

বিস্তারিত»

যখন বাজলো গেমস এর বাঁশী (২)

নীল পরিকল্পনা করে ফেলল জেদের বশেই। ঠিক হলো- এই মাঠেই এই দলকেই হারাতে হবে খেলে। এবং তা করতে হবে যত দ্রুত করা যায় ততোই স্বস্তির হবে।

জগতে কেউ কেউ আছে যে একবার একটা নির্ধারন করে ফেললে তা সম্পূর্ণ না করা পর্যন্ত হাল ছাড়ে না। কিন্তু নীলের বয়সে ততটুকু আশা করা বাড়তি বলেই ঠেকা উচিৎ। তথাপি এই ছেলেটি কিন্তু সেইরকম অসাধ্যকে আয়ত্ত্বে আনতে বদ্ধ পরিকর হয়ে উঠলো।

বিস্তারিত»

যখন বাজলো গেমস এর বাঁশী (১)

কলেজে প্রতিদিন সবচেয়ে মজার সময় ছিল গেমস টাইম।
আমি ক্লাস এইটের পর থেকে বাস্কেটবল খেলা শুরু করছি। তার আগে ফুটবল এর গোলকীপার খেলতাম। আমার বন্ধু তাজুল সেই ক্লাস সেভেন থেকেই দুর্দান্ত ফুটবল খেলতো। ওর নেশা ছিল শট নেয়া আর আমার ওকে ঠেকিয়ে দেয়া। ছুটির দিন গুলোতে ও আর আমি খুব ভোরেই মাঠে যেয়ে এই প্র্যাকটিস করতাম। ওর রেইন বো / ব্যানানা শট গুলো ঠেকানো ছিল ঐ সময় আমার বিশাল চ্যালেঞ্জ।

বিস্তারিত»

একটি “প্রায়” প্রেমের গল্প

বলেন তো বাংলাদেশের প্রত্যেক টা মফস্বল শহরের মধ্যে মিল কোথায় ? এক কথায় এর উত্তর হচ্ছে সুন্দরী , প্রত্যেক মফস্বল শহরে এমন কিছু সুন্দরী মেয়ে থাকে যাদের জন্য পুরা শহর পাগল থাকে । একেবারে ক্লাস সেভেন এর পিচ্চি পুচকি থেকে বড় ধামড়া কেও বাদ থাকে না । এরা প্রতি মাসে পাওয়া নীল খামের চিঠি গুলো বিক্রি করে নাকি মাস শেষে কটকটি খায় । এদের বাসার সামনে সকাল সাতটা থেকে রাত বারটা পর্যন্ত শহরের ফাউল থেকে ভাল সব রকম পোলাপাইন টহল দেয় ।

বিস্তারিত»

শুধুই গল্প অথবা লেখা – ৩

পূর্ব প্রকাশের পর….
শুধুই লেখা অথবা গল্প -১

শুধুই লেখা অথবা গল্প -২

গল্পের এই বেলাতে মানব মানবীদের মাঝে প্রেম হয়ে গেলো বলে যদি কেউ মনে করেণ সেটা খুব সঠিক বলা যাবে না। কিন্তু সেই পথেই যাত্রা হচ্ছে তাদের এই কথাতে মানব বা মানবী কেউই আপত্তি তুলবে না। কিন্তু সেই পথে বাধা কী হতে পারে? অন্য কোন বস্তুগত বিষয় হলে মানবটি হিসাব কষতে বসে যে,

বিস্তারিত»

আজ সেই দিন…

পিস্তলটা রেখে ড্রয়ার বন্ধ করে দিলেন তিনি।

না… এভাবে তাকে ভোগানো যাবে না। মেরে ফেলা যাবে, তাতে সব কিছুর অবসান ঘটলেও সে ভুগবে না। তাকে কষ্ট দিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী অকল্পনীয় কষ্ট…

তিনি বেডরুমের আয়নার দিয়ে তাকিয়ে ধীরে ধীরে কলার এর বোতাম লাগানো শুরু করলেন। খুব ধীরে, অনাবশ্যক সতর্কতায়। বাড়ির পাশের রাস্তায় ততক্ষনে ছোট বাচ্চাদের দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়ে গিয়েছে।

বাচ্চাদের মধুর কলকাকলির শব্দে তিনি আরেকবার ক্যালেন্ডারের দিকে তাকান।

বিস্তারিত»

আখ্যায়িকা – ২

এর সাথে আখ্যায়িকা -১ এর কোন সম্পর্ক নেই।

****উৎসর্গ তাদের যারা বৃষ্টি ভালোবাসেন কিংবা বাসেন না।

কিছুটা বিস্ময় আর কিছুটা বিরক্তি নিয়ে রিক্সাওয়ালা তাকিয়ে আছে তুষারের দিকে।ভরদুপুরে কেউ ঘন্টা হিসাবে রিক্সায় উঠতে পারে তা বোধ করি তার জানা নেই।কিংবা আছে অবশ্যই কিন্তু তা যুগলবন্দী যুবক আর যুবতী। এমনিভাবে একা একা ভর দুপুরে কারো যদি ঘন্টা ধরে রিক্সা ভ্রমনের শখ চাপে তার মস্তিষ্কের সুস্থতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করাও বিচিত্র নয়।রিক্সাওয়ালার বিরক্তির কারণ বুঝেই কিনা তুষার বলল,মামা আপনার যত আস্তে ইচ্ছা চালাবেন।আর দুঘন্টায় আপনার যা রোজকার হত তাই পাবেন।এরপর রিক্সাওয়ালার রাজি না হয়ে উপায় নেই।

বিস্তারিত»

গল্পঃ সহোদর-মায়া

আমার জ্ঞান থাকতে থাকতেই ধারালো চাপাতির কোপে ডান হাঁটু থেকে আলাদা করে ফেলল আমার পা-টাকে। রমিজ। রমিজ আর সোবহান। সোবহানের পাশে আরো কেউ ছিল (মনে পড়ছে না)। রমিজের হাতে চাপাতিটা ধরা ছিল। কোপানোর ঠিক আগে ঝিকিয়ে ওঠা আলোয় দেখেছি রমিজের হাতের শিরাগুলো ফুলে উঠছে। সাঁ–ঝুপ! একটা শব্দের পরে আমি টের পাই পা আলাদা হয়ে গেছে। কাটাপ্রান্তে লাল লাল মাংস আর রক্ত। মোড়ের দোকানে পিজা বলে যা বিক্রি হয় পনেরো টাকায়,

বিস্তারিত»

আখ্যায়িকা ( সতর্কীকরণ: একটি আঁতলামি ধর্মী পোস্ট) -১

** সামুতে আমার একেবারে প্রথমদিকে লেখা একটি পোস্ট।

সন্ধ্যা নেমে এসেছে অনেক আগেই।ঢাকার কোন এক রাস্তায় হাটছে নিলয়।নিসঃঙ্গতা উপভোগ করতে শিখেছে সে ছোটবেলা থেকেই।তার একান্ত নিজঃস্ব মূহুর্তগুলো কাটে নিঃসঙ্গতায়।টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে চারদিকে।কিন্তু তা তার হাটার স্পৃহা মোটেই কমাতে পারছে না।অর্থহীন বিষন্নতায় ছেয়ে আছে তার মন।কোন এক অজানা কিছু হারাবার আশায় না জানা কিছু পাবার নেশায় তা সে ঠিক বলতে পারে না।শুধু সে জানে তাকে ছুটে চলতে হবে এ পথ ধরে।

বিস্তারিত»

জন্মদাতা

শালার মেজাজ টা কেমন লাগে , ভার্সিটির বাস টা মিস করলাম । সকালটাই লস দিয়ে শুরু, ফাউ ফাউ দশ টাকা খরচ হয়ে গেল। এদিকে টিউটোরিয়ালে যাই না দেখে স্যার ডাকছে, বেটা আবার কথা বলা শুরু করলে ঘন্টা তিনেকের আগে থামতে পারে না । ওদিকে মিতুর সাথে বারটায় টিএসসিতে দেখা করার কথা, মনে হয় না সম্ভব । ঝামেলা, মিতুও আবার মোবাইল বন্ধ রাখছে । শেষে আবার ফোন কইরা রাগ ভাঙ্গাতে হবে ।

বিস্তারিত»

শান্তির মা বাড়ি ফিরে গেলেন

শান্তির মা এই বাড়ি ছেড়ে গেছেন। দু’দুটো বছর আদরে-শাসনে বাড়ির সবাইকে আগলে রেখেছিলেন তিনি। পানি-বিদ্যুৎ যেমন, না থাকলে চলে না; শান্তির মা ছিলেন তেমনি- এই বাড়ির হৃদপিন্ড। গোটা পরিবারকে সচল রেখেছিলেন তিনি।

বাড়িতে তখন একজন কাজের লোকের ভীষণ প্রয়োজন। সকালের নাস্তা ঠিকমতো হয় না, রান্নার লোক নেই। ব্যবহার করা পেটিকোট, শাড়ি, ব্লাউজ থেকে শুরু করে বিছানার চাদর, আন্ডারওয়্যারের স্তুপ জমেছে দিনের পর দিনে।

বিস্তারিত»