ওজন আলী।

সামনে একটা ওজন কিংবা ভর মাপার যন্ত্র। পেছনে একটা মানুষ। রাস্তার ঠিক এক কোণায়।
আমরা ডাকি ওজন আলী ভাই। পাড়াতুতো বন্ধু অয়ন খুব চেষ্টা করেছিল অন্য নামটি প্রচলন করতে। ওজন আলী না। এটা হবে ভর আলী।

আরে ব্যাটা, ওজন হতে হইলে তো মেশিনের সবগুলা সংখ্যারে নয় দশমিক আট দিয়ে গুণ করতে হবে- আর একক বলতে হবে নিউটন। এতদিন সায়েন্স পড়ে কী লাভটা…

বিস্তারিত»

কাঞ্চনদার গপ্পো: সাইবার ক্যাফে রহস্য।

“বোঝ্। পুরা দুইতলা জুড়ে সাইবার ক্যাফে, অথচ কোন কেবিনে কম্পিউটার নাই।”

কথাটা বলে কাঞ্চনদা হুস হুস করে কয়েকটা দম নেয়। জিহবার একপ্রান্ত হুসহুস করে নেয়া সে দমের ঠ্যালায় ঠোঁট ছেদ করে কিছুটা বেরিয়ে এসেছিল। জিহবা যথাস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে যেতে কাঞ্চনদা আমাদের দিকে চোখ বড় করে তাকায়। আমরা কাঞ্চনদাকে দম নেয়া এবং জিহবা ঠিক করার সময় দিই কয়েক মুহুর্ত। তারপর একসাথে চেঁচিয়ে উঠি।

বিস্তারিত»

ভোরের একটু আগে


রাত শেষ হয়ে আসছে ধীরে ধীরে। আকাশের দিকে তাকালে এখনও সময়টা আন্দাজ করা যায় না। আমি উঠে পড়ি। এপাশ ওপাশ অনেকক্ষণ তো হলো! বিছানাবালিশ ধীরে ধীরে উষ্ণ মনে হচ্ছে। আর কতোক্ষণ এভাবে গড়াগড়ি করা যায়?
আমি উঠে পড়ি। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি কিছু পরিষ্কার হয় না। তাও কী মনে করে তাকিয়েই থাকলাম। হালকা কুঁজো হয়ে বসলাম। আমি সবসময় এভাবে বসি। ছোটবেলায় নানী রেগে যেত,

বিস্তারিত»

বউ কথা কও

আজীজ সাহেবকে দেখে কখনও মনে হয় না তিনি পশ্চিম পাকিস্তানী। ততটা লম্বাও নন; ফর্সাও নন। যখন বাংলায় কথা বলেন, তখন তো সন্দেহের কিয়দংশও অবশিষ্ট রাখেন না। পুলিশের চাকরী নিয়ে সেই দেশভাগের আগ থেকে আব্দুল আজিজ ঢাকায়। এখন ‘৪৭। এতেই কিনা তিনি রীতিমত বাংলায় কথা বলেন! সহকর্মীরা তার এ গুণ দেখে ভেবে পান না, তার প্রমোশন না হয়ে থাকে কি করে?
কিন্তু আজীজ সাহেব জানেন,

বিস্তারিত»

ভালোবাসার বন্ধুত্ব-০৩

ভালোবাসার বন্ধুত্ব-০১
ভালোবাসার বন্ধুত্ব-০২
১০।
বাসায় এসে নীল লাঞ্চের পর শুয়ে বিশ্রাম করতে গেলো। কালকে থেকে আর এভাবে আরাম করা হবে না, তিন মাস। বাবা, মা আবার কই যেনো গেছে। প্রিয়াও গেছে পড়তে।
হঠাত গেটে যেনো কে কলিং বেল দিলো।
গেট খুলতে গিয়ে দেখে অনীতা।
নীলঃ প্রিয়া তো বাসায় নাই।
অনীতাঃ ভাইয়া ওর রুমে কালকে আমার একটা বই ফেলে গেছি।

বিস্তারিত»

ভালোবাসার বন্ধুত্ব-০২

ভালোবাসার বন্ধুত্ব-০১
৬।
এই নীল, উঠ তাড়াতাড়ি।
নীলঃ ও তুই, তোর আর কোনো কাজ নাই , সাত সকালে এসে আমার ঘুমটার বারোটা বাজালি।
তমালঃ পড়তে যাবি না? চল।
নীলঃ শালা, বস। আমি মুখ ধুয়ে আসি।
হাত, মুখ ধুয়ে কোনোরকমে নাস্তা করে বাসা থেকে বের হতে যাবে, তখন প্রিয়ার চিতকার।
“ভাইয়া সন্ধায় একটু কুইক আসিস”
নীলঃ কেনো?

বিস্তারিত»

ভালোবাসার বন্ধুত্ব-০১

১।
“কিরে নীল, প্রাইভেট পড়তে যাবি না?”
“দেখ, ছুটির আছে আর ৫ দিন, তারপর তো আবার সেই জেল খানাতেই যেতে হবে।একটু এনজয় করতে দে। এতো পড়ে কি হবে?”
“ঠিক আছে, তুই আড্ডা দে, আমি একটা চক্কর দিয়ে আসি।”
আকাশ গেলো পড়তে। ধুর আজকে পোলাপান আস্তে এতো দেরি করতেছে কেনো?কলেজে যাওয়ার আছে আর পাচ দিন। তারপর তো আবার সেই বন্দী জীবন। ইস,

বিস্তারিত»

সাঁঝের বেলায়

সিসিবি’র প্রথম গেটটুগেদারে কামরুলতপু ভাইয়ের আবদার ছিল এরকমঃ তুমি সবাইকে উৎসর্গ করে এটা-সেটা লিখছো, আমার জন্যে কবে লিখবা? সেদিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম ওনার নাম করে এই লেখাটা প্রকাশ করার। এটা গল্পাকারে হলেও মূলতঃ আমার ব্যক্তিগত কাহিনী, কলেজ বার্ষিকীতে প্রকাশ হয়েছিল। এখন সেটা দেখে দেখে টাইপ করতে হলো, আর সেকারণেই তপু ভাইকে ওয়েট করতে হলো এতগুলো দিন!

১…
আজ বিকেলে কলেজ থেকে বাসায় এসেছে কথন।

বিস্তারিত»

ভালবাসা এবং অন্তুর একটি দিন

-দেখ দেখ ঐ যে আসছে…
-কেমন ড্যাব ড্যাব করে তোর দিকে তাকায় দেখেছিস শাম্মী ?
-ধুর ! কি যে বলিস না, ল্যাংড়া’র আবার শখ…
-হি হি হি…
-চল চল ক্লাসের ঘন্টা পড়েছে,
-চল ।

-অন্তু, জানালার বাইরে তাকিয়ে আছ কেন ?
জামাল স্যারের হুঙ্কারে সম্বিত ফিরে পায় অন্তু ।
-সামনে আসো…আবার হুঙ্কার ।
অনেকেই ফিক ফিক করে হাসছে,

বিস্তারিত»

প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-৭ (শেষ পর্ব)

আগের পর্বগুলো –

পরদিন থেকে আমার চির পরিচিত দৈনন্দিন জীবন কেমন যেন পাল্টে যেতে শুরু করল। রাতে বিছানায় শুয়ে পড়ি তাড়াতাড়ি, সেই আগের সময়টাতেই। কিন্তু, চোখের পাতা দুটি যেন এক হতেই চায় না! জানালার পাশ দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকি আর ছাইপাশ চিন্তা করি। গভীর রাতে হয়ত ঘুমিয়ে পড়ি,

বিস্তারিত»

বৃষ্টিমুখর মিষ্টি ক্ষণে…

১.
রওশন বেগম শুয়ে পড়েছিলেন, হঠাৎ ঘুম ভাঙলো ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটায়। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, বেশি জোরে নয়, তবে খোলা জানালা গলে সবেগে ঢুকে পড়ছে দক্ষিনা বাতাস। পায়ের কাছ থেকে কাঁথাটা টেনে নিলেন গায়ে, হাল্কা শীত শীত লাগছে তাঁর, জানালাটা বন্ধ করা দরকার।
রওশন বেগম মশারী থেকে বেরিয়ে এলেন, লাইট জ্বালিয়ে জানালা আটকালেন। দেয়াল ঘড়িতে সবে ১টা বাজে, ছোট ছেলেটা হয়তো এখনো ঘুমোয়নি, বউদের রুমেও দেখে আসা দরকার।

বিস্তারিত»

ব্যাকআপ।

– বুঝলি! আমাদের সময় ফেসবুক ছিল না। আমরা ফটো দেখতাম পাতা উলটে। একটা ছবি তুলতে গেলেও অনেক ঝক্কি পোহাতে হতো। সে জন্যই বোধহয় একেকটা ছবি অমূল্য ছিল। এরকম পাতা উলটোতে গিয়েই তো তোর মাকে আমার খুঁজে পাওয়া। গল্পটা শুনবি নাকি?

– বলো না! কিন্তু একটা শর্ত আছে! ফেসবুককে খোঁচা দিতে পারবে না কিন্তু।

– হা হা হা। ধূর পাগলী, আমি ফেসবুককে খোঁচা দিলাম কই?

বিস্তারিত»

সারপ্রাইজ

“স্যার,আজকে আর পড়ব না।”-মাথার দুইপাশে বেণী দুটো দুলিয়ে রিনরিনে গলায় বলে ওঠে তিশা।
রোহান তখন গোবেচারার মত তাকিয়ে বলে,” কিন্তু আরেকটা সরল যে বাকি ছিল।”
“ওটা আজকে থাক স্যার প্লিইইইজ।”
এবার হার মানল রোহান।ছাত্রীকে ছুটি দিয়ে দিল।উঠতে গিয়েও আবার বসে পড়ল।বলা ঠিক হবে কিনা বুঝে উঠতে পারছে না। আন্টি আবার কি মনে করে।ওর চেহারা দেখে স্মার্ট ছাত্রী বলে উঠল, “স্যার কি কিছু বলবেন?”

বিস্তারিত»

নীলা-৩য় পত্র

নীলা
নীলা-২য় পত্র

আবার শালা জ্যাম! শালার ঢাকা শহরের কবে যে উন্নতি হবে! ৩০ মিনিট ধরে নিউমার্কেটের জ্যামে আটকা আছি। হেঁটে গেলে এতক্ষণ ৪ বার টিএসসি যাওয়া-আসা করা যেত! পারলে যেতাম। কিন্তু রিকশায় ওর পাশে বসা হবে না। গতরাতে ভাল করে ঘুম হয়নি। হঠাৎ ফোন,ভাইব্রেশনে শুধু ফোন না,আশেপাশের সবকিছুই যেন ভাইব্রেট করছে! রাশেদ ফোন দিল নাতো! ওর হাতটা ছেড়ে দিয়ে পকেট থেকে ফোন বের করলাম।

বিস্তারিত»

গল্প: কালকান্দি গ্রামের মেয়েরা।

( পুরনো লেখা। কিছুটা সংস্কার করা হয়েছে। দিতে কেমন যেন লাগে! তবুও দিলাম। সানাউল্লাহ ভাইয়ের “নারী দিবস” বিষয়ক পোস্ট পড়ে ভাবলাম এই লেখাটা পোস্ট করা যায়। আর পুরনো লেখা দিব না। আর ফাঁকিবাজি না। এই শেষ। 😀 )

কালকান্দি গ্রামের মেয়েরা চৌদ্দ বছর বয়েসে নারী হতো।

শেফু নামের মেয়েটা-
তেরো’র শেষ দিনেও রান্নাবাটি খেলায় ডালে লবণ কম দিয়েছিল বলে
আমরা যার কোঁকড়ানো চুলকে কাকের বাসা বলতাম।

বিস্তারিত»