আজীজ সাহেবকে দেখে কখনও মনে হয় না তিনি পশ্চিম পাকিস্তানী। ততটা লম্বাও নন; ফর্সাও নন। যখন বাংলায় কথা বলেন, তখন তো সন্দেহের কিয়দংশও অবশিষ্ট রাখেন না। পুলিশের চাকরী নিয়ে সেই দেশভাগের আগ থেকে আব্দুল আজিজ ঢাকায়। এখন ‘৪৭। এতেই কিনা তিনি রীতিমত বাংলায় কথা বলেন! সহকর্মীরা তার এ গুণ দেখে ভেবে পান না, তার প্রমোশন না হয়ে থাকে কি করে?
কিন্তু আজীজ সাহেব জানেন,
ভালোবাসার বন্ধুত্ব-০৩
ভালোবাসার বন্ধুত্ব-০১
ভালোবাসার বন্ধুত্ব-০২
১০।
বাসায় এসে নীল লাঞ্চের পর শুয়ে বিশ্রাম করতে গেলো। কালকে থেকে আর এভাবে আরাম করা হবে না, তিন মাস। বাবা, মা আবার কই যেনো গেছে। প্রিয়াও গেছে পড়তে।
হঠাত গেটে যেনো কে কলিং বেল দিলো।
গেট খুলতে গিয়ে দেখে অনীতা।
নীলঃ প্রিয়া তো বাসায় নাই।
অনীতাঃ ভাইয়া ওর রুমে কালকে আমার একটা বই ফেলে গেছি।
ভালোবাসার বন্ধুত্ব-০২
ভালোবাসার বন্ধুত্ব-০১
৬।
এই নীল, উঠ তাড়াতাড়ি।
নীলঃ ও তুই, তোর আর কোনো কাজ নাই , সাত সকালে এসে আমার ঘুমটার বারোটা বাজালি।
তমালঃ পড়তে যাবি না? চল।
নীলঃ শালা, বস। আমি মুখ ধুয়ে আসি।
হাত, মুখ ধুয়ে কোনোরকমে নাস্তা করে বাসা থেকে বের হতে যাবে, তখন প্রিয়ার চিতকার।
“ভাইয়া সন্ধায় একটু কুইক আসিস”
নীলঃ কেনো?
ভালোবাসার বন্ধুত্ব-০১
১।
“কিরে নীল, প্রাইভেট পড়তে যাবি না?”
“দেখ, ছুটির আছে আর ৫ দিন, তারপর তো আবার সেই জেল খানাতেই যেতে হবে।একটু এনজয় করতে দে। এতো পড়ে কি হবে?”
“ঠিক আছে, তুই আড্ডা দে, আমি একটা চক্কর দিয়ে আসি।”
আকাশ গেলো পড়তে। ধুর আজকে পোলাপান আস্তে এতো দেরি করতেছে কেনো?কলেজে যাওয়ার আছে আর পাচ দিন। তারপর তো আবার সেই বন্দী জীবন। ইস,
সাঁঝের বেলায়
সিসিবি’র প্রথম গেটটুগেদারে কামরুলতপু ভাইয়ের আবদার ছিল এরকমঃ তুমি সবাইকে উৎসর্গ করে এটা-সেটা লিখছো, আমার জন্যে কবে লিখবা? সেদিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম ওনার নাম করে এই লেখাটা প্রকাশ করার। এটা গল্পাকারে হলেও মূলতঃ আমার ব্যক্তিগত কাহিনী, কলেজ বার্ষিকীতে প্রকাশ হয়েছিল। এখন সেটা দেখে দেখে টাইপ করতে হলো, আর সেকারণেই তপু ভাইকে ওয়েট করতে হলো এতগুলো দিন!
১…
আজ বিকেলে কলেজ থেকে বাসায় এসেছে কথন।
ভালবাসা এবং অন্তুর একটি দিন
-দেখ দেখ ঐ যে আসছে…
-কেমন ড্যাব ড্যাব করে তোর দিকে তাকায় দেখেছিস শাম্মী ?
-ধুর ! কি যে বলিস না, ল্যাংড়া’র আবার শখ…
-হি হি হি…
-চল চল ক্লাসের ঘন্টা পড়েছে,
-চল ।
-অন্তু, জানালার বাইরে তাকিয়ে আছ কেন ?
জামাল স্যারের হুঙ্কারে সম্বিত ফিরে পায় অন্তু ।
-সামনে আসো…আবার হুঙ্কার ।
অনেকেই ফিক ফিক করে হাসছে,
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-৭ (শেষ পর্ব)
বৃষ্টিমুখর মিষ্টি ক্ষণে…
১.
রওশন বেগম শুয়ে পড়েছিলেন, হঠাৎ ঘুম ভাঙলো ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটায়। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, বেশি জোরে নয়, তবে খোলা জানালা গলে সবেগে ঢুকে পড়ছে দক্ষিনা বাতাস। পায়ের কাছ থেকে কাঁথাটা টেনে নিলেন গায়ে, হাল্কা শীত শীত লাগছে তাঁর, জানালাটা বন্ধ করা দরকার।
রওশন বেগম মশারী থেকে বেরিয়ে এলেন, লাইট জ্বালিয়ে জানালা আটকালেন। দেয়াল ঘড়িতে সবে ১টা বাজে, ছোট ছেলেটা হয়তো এখনো ঘুমোয়নি, বউদের রুমেও দেখে আসা দরকার।
ব্যাকআপ।
– বুঝলি! আমাদের সময় ফেসবুক ছিল না। আমরা ফটো দেখতাম পাতা উলটে। একটা ছবি তুলতে গেলেও অনেক ঝক্কি পোহাতে হতো। সে জন্যই বোধহয় একেকটা ছবি অমূল্য ছিল। এরকম পাতা উলটোতে গিয়েই তো তোর মাকে আমার খুঁজে পাওয়া। গল্পটা শুনবি নাকি?
– বলো না! কিন্তু একটা শর্ত আছে! ফেসবুককে খোঁচা দিতে পারবে না কিন্তু।
– হা হা হা। ধূর পাগলী, আমি ফেসবুককে খোঁচা দিলাম কই?
বিস্তারিত»সারপ্রাইজ
“স্যার,আজকে আর পড়ব না।”-মাথার দুইপাশে বেণী দুটো দুলিয়ে রিনরিনে গলায় বলে ওঠে তিশা।
রোহান তখন গোবেচারার মত তাকিয়ে বলে,” কিন্তু আরেকটা সরল যে বাকি ছিল।”
“ওটা আজকে থাক স্যার প্লিইইইজ।”
এবার হার মানল রোহান।ছাত্রীকে ছুটি দিয়ে দিল।উঠতে গিয়েও আবার বসে পড়ল।বলা ঠিক হবে কিনা বুঝে উঠতে পারছে না। আন্টি আবার কি মনে করে।ওর চেহারা দেখে স্মার্ট ছাত্রী বলে উঠল, “স্যার কি কিছু বলবেন?”
নীলা-৩য় পত্র
আবার শালা জ্যাম! শালার ঢাকা শহরের কবে যে উন্নতি হবে! ৩০ মিনিট ধরে নিউমার্কেটের জ্যামে আটকা আছি। হেঁটে গেলে এতক্ষণ ৪ বার টিএসসি যাওয়া-আসা করা যেত! পারলে যেতাম। কিন্তু রিকশায় ওর পাশে বসা হবে না। গতরাতে ভাল করে ঘুম হয়নি। হঠাৎ ফোন,ভাইব্রেশনে শুধু ফোন না,আশেপাশের সবকিছুই যেন ভাইব্রেট করছে! রাশেদ ফোন দিল নাতো! ওর হাতটা ছেড়ে দিয়ে পকেট থেকে ফোন বের করলাম।
বিস্তারিত»গল্প: কালকান্দি গ্রামের মেয়েরা।
( পুরনো লেখা। কিছুটা সংস্কার করা হয়েছে। দিতে কেমন যেন লাগে! তবুও দিলাম। সানাউল্লাহ ভাইয়ের “নারী দিবস” বিষয়ক পোস্ট পড়ে ভাবলাম এই লেখাটা পোস্ট করা যায়। আর পুরনো লেখা দিব না। আর ফাঁকিবাজি না। এই শেষ। 😀 )
কালকান্দি গ্রামের মেয়েরা চৌদ্দ বছর বয়েসে নারী হতো।
শেফু নামের মেয়েটা-
তেরো’র শেষ দিনেও রান্নাবাটি খেলায় ডালে লবণ কম দিয়েছিল বলে
আমরা যার কোঁকড়ানো চুলকে কাকের বাসা বলতাম।
নীলা-২য় পত্র
(পূর্ব প্রকাশিতের পর..)
নীলা।দুইটা অক্ষরের ছোট্ট নাম।ওর চোখ আকাশের মতো নীল।তাই আদর করে আমি নীলা ডাকি।নীল আমার ফেভরিট কালার কিনা!ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ে।কিভাবে পরিচয়,আর একদিন বলব।
আমার হইছে এক জ্বালা!আমি সাইন্সের আর ও আর্টসের।আমি যখন তাকে “কার্শফস ভোল্টেজ ল” আর “কার্শফস কারেন্ট ল” বুঝাই,সে বলে”এই গুলার মধ্যে কোন রস আছে নাকি!এই নাও ‘মানব জমিন’”।ও ব্যাগ থেকে বই বের করে দেয়।”ও,ওই ব্যাটা তো ক্যারেক্টারলেস।কার না কার সাথে সম্পর্ক বাধাইছে।আবার কিনা পাহাড়ে যাইতে চায়।কত্ত বড় সাহস।এত জনরে ঘুরাইয়া শেষে কিনা চইলা যায়!”ওকে রাগাতেই এত আয়োজন।রাগলে ওকে খুব সুন্দর লাগে।
বিস্তারিত»নীলা
“এই তুই আমার মাথায় মারলি ক্যান?”খাইছে!ক্ষেপছে!কিছুই করি নাই।খালি দুষ্টামি করে ওর মাথায় একটা চাটি মারছি।ধ্যাত,বিকালটাই আজ মাটি হয়ে গেল।খুব রাগলে ও তুই-তোকারি শুরু করে।
“আমি বলছি না,আমার মাথায় কখনো মারবে না!আমার মাথা ব্যাথা করে।”ওর সাইনোসাইটিস আছে জানতাম,কিন্তু দুষ্টামি করে চাটি মারার জন্য মাথা এত ব্যাথা করার কথা না,যার জন্য রেগে টং হতে হবে?
টিএসসির ক্যাফের পাশে দুজন পাশাপাশি বসে আছি।ওর হাতটা আমার হাতের মুঠোয় নিয়ে আদর করতে লাগলাম।যা রাগছে!বছরে খুব হলে তিন থেকে চার দিন নীলার সুন্দর মুখটা দেখতে পাই।দুজন বাংলাদেশের দুই প্রান্তে থাকি কিনা!এই সময়টুকু অভিমানে নষ্ট হোক চাই না।
বিস্তারিত»তাই স্বপ্ন দেখব বলে…
পরীক্ষার শেষ হবার সাথে সাথেই বুয়েট একেবারে মৃতবৎ হয়ে গেল। ক্যাম্পাসে মানুষজন দেখা যায় না, হলগুলোতেও পোলাপানদের কিচির মিচির কম। টানা ছাপান্ন দিন একটানা ফাইট দিয়ে সবাই ক্লান্ত। মাথা থেকে সব কিছু ঝেড়ে ফেলার জন্য কেউ বেড়াতে গেলো…কেউ বা গেল ঘুমাতে নিজের আপন বাসায়। আমার কোনটাই করা হবে না।
ডিপার্টমেন্টাই এমন। শুধু মাত্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়েই একটু শান্তি। তখন কোন জমা থাকেনা। শান্তি মতো রাতগুলো ঘুমিয়ে কাটানো যায়।
বিস্তারিত»