তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ১

বর্ষাকাল কিংবা বসন্তকাল কবিদের কাছে খুব রোমান্টিক মনে হলেও আমার কাছে চরম বিরক্তিকর।

প্রথমত, বর্ষা একটা নোংরা ঋতু। বৃষ্টি হয়ে রাস্তাঘাটে পানি জমে যায়, বাইরে বের হওয়াই দুস্কর। আর যদি সেটা এমন হয় যে রাস্তায় জমা পানি আর ড্রেনের পানি একাকার, তাহলে তো নোংরামির চুড়ান্ত। আর এখন তো মোবাইল ফোনের যুগ। বৃষ্টি থেকে দামি মোবাইল সেটটা বাঁচানোর জন্যেও কত রকম কাহিনী করা লাগে।

বিস্তারিত»

ভ্যাকেশনঃছুটি গল্পের ক্যাডেট কলেজ ভার্সন!

বালকদিগের সর্দার ক্যাডেট ফটিকের মাথায় চট করিয়া এক নতুন ভাবোদয় হইল!কক্ষে সপ্তম শ্রেণীর এক কনিষ্ঠ ক্যাডেট তাহার অধীনে ছিল;স্থির হইল,তাহাকে অভিনব কৌশলে শাস্তি দেওয়া হইবে!
ক্যাডেট কলেজে কনিষ্ঠদেরকে শাস্তি প্রদানের বিচিত্রসব কৌশল বিরাজমান!তাহার উদ্ভাবিত এই নতুন ধরণের শাস্তির আতিশয্যে উক্ত কনিষ্ঠের যে কতখানি বিরক্তিবোধ হইবে তাহা উপলব্ধি করিয়া ফটিক শিহরিত হইতে লাগিল!
প্রেপ হইতে ফিরিয়া ফটিক অপেক্ষা করিতে লাগিল!কিয়ৎকাল পরে মাখন নামের সেই কনিষ্ঠ বালক কক্ষে প্রবেশের অনুমতি চাইবার জন্যে দ্বারে আসিয়া দাড়াইয়া কহিল,মে আই কাম ইন প্লিজ!ফটিকের নেত্র উজ্জ্বল হইল,প্রবেশের অনুমতি দিয়া সে বালককে তাহার নিকটে আসিতে বলিল!বালক এমনিতেই ফটিকের নিদারুন অত্যাচারে জড়োসড়ো হইয়া থাকিত,তথাপি তাহার এইরূপ ডাকে এবং ফটিকের ঠোঁটের কোণে কেমন হাসি খেলা করিতেছে লক্ষ্য করিয়া আরো ভীত কাচুমাচু হইয়া ফটিকের সামনে আসিয়া দাড়াইল!ফটিকের হাসি মুছিয়া সেখানে গম্ভীর থমথমে ভাব চলিয়া আসিল!গলাটুকু আরো গম্ভীর করিয়া সে কহিল,আজ প্রেপে যাবার সময় রুম থেকে বেরোবার পারমিশন নাওনি কেন?মাখন হতভম্ব হইয়া গেল।মাগরিবের পর হাউজে আসিয়া অতিশয় দ্রুততার সহিত পোশাক পরিবর্তন করিয়া বাঁশি পড়িবার পূর্বের তাহাদের ফলইনে চলিয়া যাইতে হয়!গত সপ্তাহে এই নিয়ে ১০ মিনিট লং আপ আর ৫০ টা পুশ আপ দেবার পর আর কোনদিন অনুমতি নিতে ভুলে নাই!আজ এই ভুল করার প্রশ্নই আসে না!তাহার স্পষ্ট মনে আছে,আজো ইহার ব্যতিক্রম হয় নাই!কিন্তু ভাবিয়া দেখিল তর্ক করা বৃথা।অতএব চুপ থাকাকেই শ্রেয় ভাবিয়া অধোমুখে পদযুগলের পানে চাহিয়া রহিল!ফটিক আবার জিজ্ঞাসা করিল,পারমিশন নাও নি কেন?বালক এবারও চুপ!ফটিক আর নিজেকে ঢরিয়া রাখিতে পারিল না,মাখনের চুপ থাকাকে তাহার উপহাসের মতন বিঁধিল!অতএব তাহার গন্ডদেশে চপেটাঘাত করিয়া এইরূপ উদ্ধত আচরণের উপযুক্ত শাস্তি দিয়া দিল!চড় খাইয়া মাখন এইবার মুখ খুলিল,বলিল,ভাইয়া,আমি তো পারমিশন নিয়েছিলাম!ফটিক দেখিল অবস্থা বেগতিক,মাখন সত্যই বলিতেছে,চড় দেওয়া উচিত হয় নাই!আবার মনে ভাবিলসে তো পারমিশন না নেওয়ার জন্য শাস্তি দেয় নাই,তাহার প্রশ্নে নিরুত্তর থাকিয়া তাহাকে অধৈর্য্য করিবার অপরাধে অমন শাস্তি!

বিস্তারিত»

গল্পঃ কাঠের সেনাপতি

আব্বার সাথে রাশেদের আজ আশ্চর্য শত্রুতা। আজ সারাদিন, দিনমান। ছোট্ট চায়ের টেবলের দু’পাশে ওরা দু’জন ঠিক দুই যুযুধানের মতন দাবার গুটি নিয়ে বসে আছে সকাল থেকে। কখনও গালে হাত, কখনও বাঁকানো ভ্রু, কখনও চুপচাপ।
আব্বার অফিস ছুটি আজ, রাশেদের ইশকুলও তাই। ওদের সারা ঘরে ছুটির আমেজ এলিয়ে আছে, বসার ঘর থেকে রান্নাঘর, সেখান থেকে বারান্দায়, সবখানে। আপাতত শুধু ছুটি নেই দুজনের মাথার ভেতর, তুমুল তান্ডব তাতে,

বিস্তারিত»

গোধূলি কথন- ২

গোধূলি কথন- ১

১২/৩/২০০৪,

বিকেলবেলাটা আমার সবসময়ই প্রিয়। জানালার ফাঁক দিয়ে যখন সূর্যের শেষ সম্ভাষণটুকু আমার হাতের উপর এসে পড়ে, খুব ভালো লাগা একটা অনুভূতি হয়। একটা অজানা মিষ্টি আবেশে ছেয়ে যায় চারপাশে। অবশ্য আজকাল জানালার পাশে বসা হয়ে উঠেনা। ব্যস্ততা নয়, কায়িক অবসাদ আজকাল সে সুযোগ দেয় না। বিছানা থেকে একা একা বেশ কষ্ট হয়। তাই বিকেলটা এখন বালিশে মাথা ঠেকিয়েই কাটে।

বিস্তারিত»

তুমি আজ ভালোবাসোনি ………

সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরন – পুরোপুরি কল্পনা থেকে লেখা। বাস্তব কোনো চরিত্র বা ঘটনার সাথে মিল পেলে … কিছুই করার নেই।

——————————————-
আগের গল্প ——-

একজন অসুস্থ মানুষ

ও, আমি এবং আমরা ……
যেদিন আমার মৃত্যু হলো ……………
বলতে চাই … তোমাকেই চাই

—————————————————————-

ভার্সিটি জীবনের শেষ বছরে এসে সবাই কেমন যেন ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

বিস্তারিত»

মিতির

১.
অন্ধকারের যুবকেরা অন্ধকার খুঁজে ফেরে। মূলত জায়গাটা তাদের চেনাই। তবু তারা আরো রাত বাড়ার অপেক্ষায় থাকে। আরো অন্ধকারের অপেক্ষায় কিংবা গাঢ় অন্ধকারের অপেক্ষায়। যুবকদের যেকোন নামই হতে পারে। সুমন, বিল্টু কি মন্টু! নামে কি আসে যায়? তারা অন্ধকারের মানুষ। নামগুলোও তাই অন্ধকারেই থাকুক।

২.
মিতির চাইছিল না তবু দেরি হয়ে গেল। সে এসেছিল তার বাবু সোনার কাছে। ভারি দুষ্ট হয়েছে আজকাল।

বিস্তারিত»

বলতে চাই … তোমাকেই চাই

সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরন – পুরোপুরি কল্পনা থেকে লেখা। বাস্তব কোনো চরিত্র বা ঘটনার সাথে মিল পেলে … কিছুই করার নেই।

——————————————-
আগের গল্প ——-

একজন অসুস্থ মানুষ

ও, আমি এবং আমরা ……
যেদিন আমার মৃত্যু হলো ……………

মাঝরাতে কারেন্ট চলে গেলে ভ্যাপ্সা গরমে ঘুম ভেঙ্গে যায়। হঠাৎ অন্ধকারে জেগে উঠে মাথায় চিন্তা জাগে,

বিস্তারিত»

গোধূলি কথন -১

ভার্সিটি থেকে ফিরছি, বেশ ফুরফুরে মেজাজে। যাক আজকের পরীক্ষাটাও ভালো ভাবেই শেষ হয়েছে, এবার কয়েকদিনের জন্য ঘুম আর বাউন্ডুলেপনা। তওসিফ বলছিল জাফলং যাবার কথা, মন্দ হয় না। তিথিটা গেলে বোধহয় খুব জমতো, তবে মনে হয় না বাসা থেকে পারমিশন পাবে। এসব অগোছালো কথাবার্তা ভাবতে ভাবতেই বাসার গেটের সামনে কেবলি পৌঁছেছি, আরেব্বাপ এই ভেজাল আবার শুরু করলো কে !!! ছোট ভাইটা খুশি মনে পুরনো কাগজ, সংবাদপত্র,

বিস্তারিত»

দ্বন্দ্ব

-ভাইয়া তুই কি বের হচ্ছিস?
-কেন কিছু বলবি আপু। আয়নায় শার্ট ঠিক করতে করতেই বললাম।
-তোর সাথে আজ বের হব ঠিক করেছিলাম বিকেলে।
আমার এই জমজ বোনটা কখনো আমাকে কিছু বললে আমি না করতে পারি না কিন্তু আজ আমার এমন একটা কাজ যে সেটাও বাদ দেয়া যাচ্ছে না কি যে করি।

বিস্তারিত»

যেদিন আমার মৃত্যু হলো ……………

সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরন – জাতি, ধর্ম, বর্ণ, মত – কাউকে আঘাত দিতে লিখিনি। আঘাত পেলে ক্ষমা করে দেবেন। এটা আমি আমার কল্পনা থেকে লিখেছি, এই চরিত্রগুলো বাস্তব নয়। কেউ যদি চরিত্র বা ঘটনার মধ্যে বাস্তব কিছু খুজে পান, সেটাকে পাঠকের কল্পনাশক্তির বিশালত্ব হিসেবে গন্য করা হবে।
—————
আগের গল্প ——-
একজন অসুস্থ মানুষ
ও, আমি এবং আমরা ……

প্রতিদিন ঘুম থকে উঠে সবাই একটা ছক করে নেয়,

বিস্তারিত»

সারমেয় পূরাণ

খাঁন বাহাদুর গণি সাহেব, বিশাল ভূ-সম্পত্তির মালিক, অগাধ প্রতিপত্তি। তার বাবার বাবা ইংরেজ দের জমানায় খাঁন বাহাদুর খেতাব পেয়েছিলেন, সেই থেকে বংশানূক্রমিক ভাবে তারা খাঁন বাহাদুর নামেই পরিচিত। দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মাঝেও এলাকায় গণি সাহেবের কথাই আইন। সালিশ-বিচার আচারে গণি সাহেবের কথাই চুড়ান্ত। নায়েব গোমস্তা পাইক এখনো তার বিঘার পর বিঘা জমি দেখাশোনা করে, বর্গাদারদের কাছ থেকে ধান-চাল আদায় করে। সবমিলিয়ে খাঁন সাহেবের এলাকাটা যেন মধ্যযুগের কোন থমকে থাকা প্রতিচ্ছবি।

বিস্তারিত»

দু মুঠো ভাত

(গল্পের বিষয় এবং চরিত্র সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক। কারো নাম বা বিষয়ের সাথে আংশিক বা পুরোপুরিভাবে মিল থাকলে সেটা নিতান্তই অনিচ্ছাকৃত এবং তার জন্যে অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।)

ক্রাচ জোড়া নিয়ে মুখ থুবড়ে ড্রেনের ভেতর পড়ে গেলো মফিজ। ঠোঁটের ওপরের কিছু অংশ কেটে বেরিয়ে এলো গাঢ় লাল তরল পুষ্টিহীন রক্ত। সামনের ওপরের দুটো দাঁতও বোধ করি ভেঙ্গে গেছে। জিহবার আগায় সেখানটায় ফাঁকা হয়ে গেছে বুঝতে পারলো সে।

বিস্তারিত»

স্বপ্নভঙ্গের কথন

অনেকক্ষন একনাগারে ঝিম মেরে বসে থাকার পর মাথা তুলল ছেলেটি। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠে দাড়ালো সে। ডানে বামে তাকিয়ে একবার তাকিয়ে দেখে নিল। পার্কটিতে এই সাত সকালেই মানুষজনের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে। আরেকটি দীর্ঘ ক্লান্তিকর দিনের শুরু হল। পাশের বেঞ্চটিতে বুড়োমতন একটি লোক তার নাতিকে নিয়ে বসে বাদাম খাচ্ছে। সেদিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইল ছেলেটা, কি যেন চিন্তা করল, তারপর জ্বলে ধুসর বিবর্ন হয়ে যাওয়া জিন্সটাকে একটা ঝারা দিয়ে ধীরে ধীরে হাটা শুরু করল সে।

বিস্তারিত»

ও, আমি এবং আমরা ……

সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরন – জাতি, ধর্ম, বর্ণ, মত – কাউকে আঘাত দিতে লিখিনি। আঘাত পেলে ক্ষমা করে দেবেন। এটা আমি আমার কল্পনা থেকে লিখেছি, এই চরিত্রগুলো বাস্তব নয়।

আগের গল্প … একজন অসুস্থ মানুষ

ক্লাশ ১২ এর শেষ ছুটি। কেমিস্ট্রি পড়া শেষ করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। কিছুক্ষন আগে মোটামুটি ভালো একটা বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। ফার্মগেটের মোড়ের সিনেমা হলটার সামনে দিয়ে যাবার সময় দেখি এক লোক,

বিস্তারিত»