ভাঁজবিহীন সময়ের গল্প

আমরা কিছু সময়কে পুরনো কাঁপড়ের ভাঁজে লুকিয়ে রাখি। সেসব সময়ের রং চাররঙা খবরের কাগজের মত জ্বলজ্বলে ছিলো হয়তো একসময়। অনেকদিন কাপড়ের ভাঁজে থাকতে থাকতে সেসব সময়ের গায়ে সেলাইয়ের দাগগুলো স্পষ্ট হয়। সুতোর গন্ধ তীব্র হয়। রংসমূহ ধীরে ধীরে খয়েরি ও বাদামি হয়ে উঠতে থাকে। মনের ভুলে কেউ এসে ড্রয়ার থেকে কাপড়টা বের করে নেয়, আর তখনই তার ভেতর থেকে ভাঁজবিহীন সময়ের পাতাটা ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ে যায়।

বিস্তারিত»

সিসিবি’টা গল্প: টোকা।

(মজার জন্য লেখা। ফাজলামি করে লেখা। কেউ সিরিয়াসলি নিবেন না আশা করি।)
এক:

চিত্রনায়িকা কুয়েলিকা তার ছিপছিপে দেহে হাসির ঝলক তুলতে তুলতে বলে, “যাহ, কামরুল ভাই!”

পরিচালক কামরুল হাসান জর্দা দেয়া পান মুখে পুরে দিয়ে বিড়ি ধরান। আয়েশ করে একটা টান দিয়ে বলেন, “আরে চিন্তার কিছু নাই। ছেলে আমার ছোট ভাইয়ের মত। ভেরি গুড বয়। এইএইসসিতে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে।”

কুয়েলিকার মুখ লজ্জায় লাল হয়।

বিস্তারিত»

অপ রূপ কথা

[একটা রূপকথার গল্প লিখতে চেয়েছিলাম। সেটা লেখার জন্য ভাবতে গিয়ে ভাবলাম ছোটবেলায় কার থেকে আমি রূপকথা শুনেছি। ভেবে দেখলাম আমাকে কেউ গল্প শোনায় নি ছোটবেলায়। নিজে নিজেই গল্পের বই পড়ার আগ পর্যন্ত তাই গল্প শোনা হয়নি আমার। কিন্তু রাতে কেও গল্প শোনাচ্ছে কখনো বা ভূতের কখনো বা রাজপুত্র-কন্যাদের সে ফিলিংসই আলাদা। সেরকম ফিলিংস এর জন্য একটা রূপকথা শোনার গল্প লেখতে গিয়ে দেখি একটা যা-তা লেখা হয়েছে।

বিস্তারিত»

ফেরারী

আবীরের একসময় নিজের জন্য অফুরন্ত সময় ছিল।তখন বিকেলে বুড়িগঙ্গার তীরে বেনসনের প্যাকেট নিয়ে বসে যেত। রাত নিঝুম হওয়া
পর্যন্ত চলত সিগারেটে অগ্নি সংযোগ।কখনো বা খালি পায়ে হাটাহাটি করত সংসদের সামনের রাস্তার,কৃষ্ণচূড়ার ফুল ঝরা লাল গালিচায়।তখন জীবনের স্বাদটা সত্যিই অন্যরকম ছিল।এখন আর নিজের করে সময় বের করা হয়ে ওঠেনা।সারাদিন অফিস তারপর সংসারের টুকিটাকি কাজ করতে করেত মধ্যরাত
তারপর পরের দিনের জন্য ঘুমিয়ে পড়া।আবীর একটু পাশ ফিরে শোয়.পুরোন অভ্যাস মত হাতঘড়ি দেখে।রেডিয়ামের জ্বলজ্বলে কাটাটা জানিয়ে দেয় রাত পৌনে চারটা।পুরো বাসা নিঃস্তব্ধ।পাশের বস্তিতে একটা বাচ্চা কেদে ওঠে।ঢাকার অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে।আবাসিক এলাকায় রঙহীন বাসা আজকাল দেখা যায়না বললেই চলে।কিন্তু এই বস্তিগুলো আর তার ভিতরের মানুষগুলোর জীবন সংগ্রাম একই রকম আছে,আদিম অকৃত্রিম।

বিস্তারিত»

তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৮

তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৫ | | | | তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৬
তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৪ | | | | তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৭
তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৩
তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ২
তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে –

বিস্তারিত»

আমার

মাঝে মাঝে ভাবি জীবনটা অনেক ছোট। এই ছোট জীবনে কেন এত কষ্ট আসে। কি ক্ষতি ছিল যদি জীবনে শুধু সুখ থাকত। আমার আশে পাশে সবাই ভাবে আমি অনেক কষ্টে আছি। সত্যি বলছি আমি একটুও কষ্টে নাই।তবে মাঝে মাঝে ভাবি এমনতো হবার কথা ছিলনা।
আমার এক স্যার বলেছিলেন জীবনটা হল পাশার দানের মত যা হওয়া দরকার তা হয়না। আসলেই তাই কত স্বপ্ন ছিল,থাক ওসব কথা।

বিস্তারিত»

সভ্যতা

১.
পূবের আকাশ রক্তাভ। সূর্য উঠি উঠি।দূরে প্যারেড পিটির মৃদু আওয়াজ । এটা নবীন অফিসারদের ট্রেনিং এরিয়া। মেজর সাহেব বেড়িয়েছিলেন প্রাতঃভ্রমণে। ইদানিং ভূড়িটা একটু বেড়েই যাচ্ছে বুঝি! সকালের মৃদু হন্ঠনটাকে তাই লঘু দৌড়ে রূপান্তরের চেষ্টায় আছেন।

তবে আজকের দৌড়টা বোধকরি একটু বেশিই হয়ে থাকবে। বেশ ঘাম ঝরেছে। এখন বেশ হাপাচ্ছেনও। আজ নাভর্টা একটু বেশিই সচল। অবচেতন মন আজ বড় উত্তেজিত। চেতন মনের কাছে সে খবর হয়ত নেই।

বিস্তারিত»

মীথবাজিঃ সিসিফাস ২

আজকাল ডে-লাইট সেভিঙয়ের কারণে বেলা বোঝা যায় না। আমরা, যারা এই বিষুবের কাছাকাছি বাস করে অভ্যস্ত, আমাদের কাছে ছয়টা মানে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা এসে যাওয়া। ধীরে ধীরে আলো কমে আসা। জুলাই মানে বর্ষাকাল, আকাশে গুমগুমে মেঘ বা ঝিরঝির বৃষ্টিতে আরো আগে থেকেই আঁধার ঘনিয়ে আসে। কিন্তু আজকে কাচের দেয়ালে তৈরি অফিস থেকে বের হয়ে সুমনের মনেই হয় না যে ছয়টা বাজে! বাইরে ঝকঝকে রোদ। বাতাস হুটোপুটি খেলছে।

বিস্তারিত»

তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৭

[অনেকদিন পর বিরতি দেওয়া সিরিজে একটু তেল ভরলাম। বিশেষ চাপে আছি। তাই লেখা নিয়মিত না। প্রেশার রিলিজ হলে আবার নিয়মিত হব ইনশাল্লাহ]

তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৫ | | | | তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৬
তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৪
তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৩
তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে –

বিস্তারিত»

কর্ণের কথা (মিথলজি)

চারিদিক আলো করে ধীরে ধীরে সূর্য উঠছে, ভোর হওয়ার সময়টা রাধেয়র ভীষণ পছন্দের । আজও প্রাচীন বটগাছটার নীচে বসে সূর্যোদয় দেখছিল সে । কি বিপুল বিক্রমে রাতের অন্ধকারকে দূরে হঠিয়ে সূর্যের আগমন ! প্রতিদিন দেখে তবু মুগ্ধতা কাটেনা । খুব আপন মনে হয়, মনে হয় সূর্যের মতো সেও যদি সব অন্ধকারকে জয় করতে পারত । এসব আবোল-তাবোল ভাবছে আর তার প্রিয় ধনুকটাতে হাত বুলাচ্ছে রাধেয় ।

বিস্তারিত»

মীথবাজিঃ সিসিফাস ১

[কামরুল তপু (‘০২) ও রায়হান আবীর (‘০৫) এর দেখাদেখি আমিও! 😀 ]
=====================================
থানাটোসের ঘুম ভেঙেছে সেই ভোরে। সকালে দাঁত মাজতে মাজতে সে দেয়ালে সেঁটে রাখা লিস্টি দেখছিল। মুখ ভর্তি ফেনা থু করে ফেলে দিয়ে কুলি করতে করতে সে শিডিউল মিলিয়ে নেয়। সকালে কয়েকজনের আত্মা তুলে রাখতে হবে। এটা তেমন কোন ব্যাপার না, সকালে সবাই গভীর ঘুমে ডুবে থাকে। খুব সহজেই কাজ সারা যায়।

বিস্তারিত»

রম্য গল্প: বচনামৃত

ডিসক্লেইমার: ঘটনা খুবই খারাপ। আবার একটা গল্প লিখছি। শুধু তাই না, ব্লগে দেওয়ারও সাহস করতাছি। আবারও বলি এইটা কাল্পনিক গল্প।

আজমল হায়দার কথা বলতে ভালবাসেন। ২৭ বছর চাকরি করেছেন। সচিব ছিলেন তিনটি মন্ত্রণালয়ের। তখন কথা শোনার অনেক মানুষ ছিল। আজমল হায়দার কথা বলতেন আর বাকিরা শুনতেন।

কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন। ঘড়ি ধরে টানা ৪০ মিনিট কথা বলতে হতো। ক্লান্ত হতেন না আজমল হায়দার।

বিস্তারিত»

খাসির লেগ রোস্ট আর কামরুল ভাইয়ের জন্মদিন উদযাপনঃ ছবি ব্লগ

এই ব্লগের কামরুল ভাইরে আমি বড়ই ভালা পাই। উনার জন্মদিনের পোস্ট সময়ের দুই দিন আগে দিয়া এই ব্লগে যেই ডিস্টিং ডিস্টিং ঠা ঠা হইছিল সেইটার রেশ ধইরাই অনেক দিন ধইরা ঝিমায় থাকা সিসিবি বেশ চাঙ্গা হইয়া উঠছিল। আমার ইজ্জতের ফালুদা তথা ঘটি বাটি চাটি করার পরেও উনি কথা রাখছিলেন-সবাইরে স্টার কাবাবে “যেমন খুশি খাও” করাইছিলেন। সিসিবির একটা বিশাল অংশ সেইদিন জমায়া খাইছিল-প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে নতুন জামাই সামী আর তার “ইয়ে”

বিস্তারিত»

নীলা – ৬ষ্ঠ পত্র

নীলা-৫ম পত্র
নীলা-৪র্থ পত্র
নীলা-৩য় পত্র
নীলা-২য় পত্র
নীলা

আমার চোখে তুমি ঘুম হয়ে আছ
আমি জেগে উঠতে চাই না
আর প্রতি মুহূর্তে তুমি একমাত্র সত্য…..

সময়ের পাতায় লিখে চলা আমার কবিতাগুলো কেন যেন অন্ধকারে মিশে যায়, ছায়ার প্রতিচ্ছবি হয়ে হারিয়ে যায় কৃষ্ণগহ্বরে….নীলা নামের উচ্ছ্বল মেয়েটি আমার জীবনে আসার পর কষ্টগুলোর রক্তাক্ত আলিঙ্গন থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম।

বিস্তারিত»

কালো টাকা কিংবা ফ্ল্যাট

ডিসক্লেইমার কেমনে দেয়: ২৫ বছর আগে গল্প লেখে একটা পুরস্কার পেয়েছিলাম। তখন আমি ক্যাডেট কলেজে পড়ি। খুলনা বিভাগে প্রথম হয়েছিলাম। সেইটাই ছিল আমার লেখা শেষ গল্প।সামু ব্লগে অনেকেই উসকাচ্ছিল গল্প লিখতে। আমিও ফাঁদে পা দিলাম। কেন যেন আগ্রহ হল রম্য গল্প লেখার। তবে এই গল্পটা ঠিক রম্য গল্প না। আবার রম্য গল্পও বলা যায়। কিছু হইলো কিনা বুঝতাছি না……….ভয়ে আছি

আয়নালুল হকের উত্থান বিস্ময়কর।

বিস্তারিত»