গল্প: পদার্পণ

কাগজে বানানো খাম থেকে আমি মালতীদি’র বুকের গন্ধ নিতাম। অথচ মালতীদি আমার প্রেমিকা ছিলো না। যে নারীর জন্য প্রেমভাব থাকে- তার শরীরের ঘ্রাণ নেয়া হয়তো অপরাধ নয়। প্রত্যক্ষভাবে কিংবা অন্য কোনখান থেকে সে ঘ্রাণ নিলে হয়তো আর পাপ হয় না।

হিন্দুপাড়ার মালতীদি’র জন্য আমার মাঝে কোন প্রেমভাব ছিলো না।

“এই ট্যাপা, এদিকে শুনে যা তো একটু।” নিখিল স্যারের ঘর থেকে বের হয়ে যখন আমরা বাড়ির পথের দিকে তাকাই,

বিস্তারিত»

দীর্ঘবিরতি-মার্জনামূলক পোস্টঃ কবিতা

[ডিস্ক্লেইমারঃ এই একটা জিনিশই আমি ভাল পারি! 😉 ]
silhouettes-3
দ্বিচরণ

তোমাকে আমার ভাল লাগে
এই নির্দোষ বাক্যে কারো রাগ বা ক্ষোভ
হওয়ার কথা নয়, যদিও আমার সামনে বসে
তুমি ক্ষেপে ওঠো, ভীষণ সুন্দরভাবে
আমি দ্বিধায় পরিমাপ করি
রাগের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা, মাত্রাসমূহ

বিস্তারিত»

নীলা-৫ম পত্র

নীলা-৪র্থ পত্র
নীলা-৩য় পত্র
নীলা-২য় পত্র
নীলা

সত্য অনেক সময় অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় তা মেনে নেয়াও খুব কষ্টকর হয়ে পড়ে। মানুষের জীবন বড়ই বিচিত্র! কি থেকে যে কি হয়ে যায়,কেউ কিছু বলতে পারে না। কিছু হয়ে গেলে কারো কিছু করারও থাকে না। আর এর কোন নালিশ নেই,কোন প্রতিকার নেই,থাকে শুধু এক বুক হাহাকার।

বিস্তারিত»

নীলা-৪র্থ পত্র

নীলা-৩য় পত্র
নীলা-২য় পত্র
নীলা

(পূর্ব প্রকাশনার পর…)
এতদিনের ব্যাস্ততায় কাউকে কিছু জানাতে পারিনি। ২ সপ্তাহ আগে হঠাৎ খবর পাই,নীলা খুব অসুস্থ। প্রচন্ড মাথা ব্যাথা নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি। ক্লাস বাদ দিয়ে ছুটে যাই ঢাকায়। জরুরি বিভাগের বেডে শোয়া ওর ছোট্ট মুখখানা দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারিনা। ওর বেডের পাশে বসে জড়িয়ে ধরে ওকে।

বিস্তারিত»

মসজিদে মোবাইল বন্ধ রাখুন

১ম পর্ব
মাগরিবের নামাজের আযান হয়ে গেছে অনেকক্ষণ আগেই । হতদন্ত হয়ে অজু করে মসজিদে ঢুকেই দেখি মুসুল্লীরা ততক্ষণে রুকুতে চলে গেছেন । আমি যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি শরীক হলাম জামাআতে । সিজদায় গিয়ে হঠাৎ মনে হল “মোবাইলটা কি সুইচ অফ করেছি?”
আমি ঘামতে শুরু করলাম কারণ রিংটোন দেয়া ছিল হাই ভলিয়ম “তেরে নাম”

আমার তো নামাজ থেকে মন উঠে গেল ।

বিস্তারিত»

চায়ের দোকান

বট গাছ তলার বকশীর চায়ের দোকান টা বট গাছের মত পুরান না হলেও বয়স কিন্তু একদম কম না। তাই এর ইতিহাসও কম না। আজমল যেমন বলে ওর মা কে নাকি ওর বাবা জীবনে প্রথম দেখেছিল এই দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়া বালিকা স্কুলের রাস্তার ওপর। বকশীর ছেলে যেমন আমজাদ চেয়ারম্যান কে দেখিয়ে বলে- চেয়ারম্যান হইলে কি হইব! ভাল কইরাই তো চিনি, আগে কেমন পোংটা আছিল। এই দোকানে বইয়াই তো মাইয়া দেখত।

বিস্তারিত»

বারান্দায় একটি বিকেল আর এক কাপ চা।

আকাশদের বাসার বারান্দাটা খুব সুন্দর। সামনের দিকটা অনেকটা খোলা।
ইজি চেয়ারে শরীরটা এলিয়ে বসলে অনেকটা আকাশ দেখা যায়।
আর বাহারী কিছু ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো বারান্দায় বসলে মনে হয় কোন বাগানে বসে আছি যেন।
বাইরে না বেরুলে ছুটির দিনের বিকালে ওরা এখানে বসে খানিকটা সময় কাটায়। চা টা খায়।

এমন এক ছুটির দিনের বিকালে আকাশ বারান্দায় বসে ছিল।
এই মাত্র নীলিমা আকাশের জন্য চা নিয়ে এসেছে।

বিস্তারিত»

ফেল রেকর্ড

“ক্যাডেট কলেজে ছয় বছর থেকে যারা পাক্ষিকে ফেল করে নাই এই পোস্টটি তাদের জন্য নয়”
আমি সেই ক্যাডেট, যে প্রথম পাক্ষিকে অংকে ডাবল জিরো পেয়েও পরের পাক্ষিকে ২৪ পেয়েছিলাম :just:
ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়ার আগে আমি মোটেই খারাপ ছাত্র ছিলাম না । তাই বলে কিন্তু আমি কলেজকে দোষারুপ করছি না 😛 😛
আসলে সবসময় মজা করতে গিয়ে পড়াশুনা থেকে খানিকটা ছিটকে পড়েছিলাম ~x(

ছয় বছরে সেভেন ছাড়া প্রত্যেক ক্লাসের ফার্স্ট টার্ম ইন্ডে আমার ফেল করার বিরল রেকর্ড রয়েছে :just:
নতুন ক্লাসে উঠে আমি খুব ফুর্তিতে থাকতাম :tuski:
মনে হত সারা বছর কষ্ট করে কেবল নতুন ক্লাসে উঠলাম,

বিস্তারিত»

জাস্ট বৃক্ষ বন্দনা

ডিসক্লেইমার: এই গল্পের সকল চরিত্র :just: কাল্পনিক এবং সকল বৃক্ষই :just: কাল্পনিক বৃক্ষ। কেউ যদি বেশি জোশ নিয়া কারো সাথে কিছু মিলাইয়া ফেলেন তাইলে কিলাইয়া সেই ভুত ছাড়ানোর দায়িত্বও তার। আমি শুধু এই উপদেশটুকু বিলাইয়াই আপাতত ক্ষান্ত দিলাম‌‌‌‌‌‌‌‌‌।

বিস্তারিত»

কিছু দৃশ্য, যা গল্প হতে পারত

(একটা প্রেমের গল্পের প্লট ঘুরছিল মাথায়, আজকে সাইজে আনলাম, পড়ুন, মন্তব্য করুন এবং অন্যকে পড়তে ও মন্তব্যে উৎসাহীত করুন 😀 )

১।

সাব্বির স্যারের মাথার চুল গুলো একদম নরম পালকের মত, সিল্কি, অনেকটা বাচ্চাদের চুলের মত। স্যারের অভ্যাস ছিল বীজগনিতের অংক করার ফাঁকে ফাঁকে নিজের চুলে হাত বুলিয়ে দেয়া। এলোমেলো আগোছালো চুল গুলো এত সুন্দর লাগতো তখন, মনে হত চুলে আগুল চালিয়ে এলোমেলো করে দেই কাশফুলের মত করে।

বিস্তারিত»

হুম্‌ম, অবশেষে…!

তখন আকাশের ইঞ্জিনিয়ারিং এ চতুর্থ লেভেলের শেষ টার্ম চলছে।
ও খুব শখ করে একটা লাইটার কিনেছিল। ক্যাপ খুললেই বাজনা বাজে আর নীলচে একটু লাইট জ্বলে।

ও সিগারেট ছুঁয়েছে সেই ক্লাস নাইনে। শুরুটা স্বাদ নেয়ার অভিপ্রায়ে রোমাঞ্চকর অভিযান। তারপর সময়ের হাত ধরে এক সময় সে নিজেকে আবিষ্কার করলো মোটামুটি শেকলে বাধা ধুমপায়ী’র আদলে। শুরুতে লুকিয়ে লুকিয়ে অভিসার চলতো। খাবার পর এই একটু হেঁটে আসা টাইপ আর কি!

বিস্তারিত»

আশার কাছে খোলা চিঠি

দিনবদলের হাওয়াঃ ক্যাডেট কলেজে প্রেমপত্র
“মেয়েটির সৌজন্যে একটি চিঠি লিখেছিলাম কিন্তু আজো সেটা পোস্ট করা হয় নি”
এর পর থেকে শুরু করছি…
ব্লগের শিরোনামটি মাসরুফ ভাইয়ের দেওয়া । আমি আর পরিবর্তন করার দুঃসাহস দেখাই নি । হাজার হলেও বড় ভাই 😀
আদনান ভাই, তানভীর ভাই, মাসরুফ ভাই, রকিব ভাই এবং মাহমুদ ভাই এর নির্দেশে আমার পোস্ট না করা চিঠির অজুহাতগুলো লিখছি :-B

আমি ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার পর থেকেই চিঠি লিখতে এবং পেতে খুব ভাল লাগত ।

বিস্তারিত»

দিনবদলের হাওয়াঃ ক্যাডেট কলেজে প্রেমপত্র

আমি তখন ক্লাস সেভেনে । এক ফ্রেন্ডের কাছে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স দেখে কি মনে করে যেন স্কুল কুইজটা পুরণ করে পাঠিয়ে দিলাম :-B
একরাতে প্রেপের পর সানি ভাই আমাকে বললেন যে আমার একটি পার্সেল আছে । পার্সেল খুলে দেখলাম কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০০২ সালের আগস্ট সংখ্যা । প্রথমে ভেবেছিলাম আব্বু হয়ত বাসা থেকে পাঠিয়েছে । পরবর্তীতে ১০ জন কুইজ বিজয়ীদের তালিকায় নিজের নামটি ১ নাম্বারে দেখে কতটা আনন্দিত এবং বিস্মিত হয়েছিলাম সেটা আমার স্পষ্ট মনে আছে :dreamy:
ক্লাস সেভেন থেকে টেন পর্যন্ত মোট ২৯ বার কুইজ বিজয়ী হয়েছি :clap:
এর মধ্যে ২০০৪ সাল মানে ক্লাস নাইন খুবই ভাল কেটেছে :hug:
যেহেতু প্রায় মাসেই একটি কমন নাম কুইজ বিজয়ীদের তালিকায় থাকত সেহেতু আমি বেশ পরিচিতি লাভ করেছিলাম অচিরেই :shy:
তারপর থেকে শুরু হল আমার চিঠি আসা :chup:

দিনবদলের হাওয়ায় এখন তো সব কলেজেই মোবাইল ফোন দেয়া হয়েছে ।

বিস্তারিত»

গোল্লাছোটঃ এক্স-ক্যাডেট বনাম ভিপি স্যার

বাসায় খুব বোরিং সময় কাটছিল 🙁
কোন কাজ নেই, শুধু খাওয়া, ঘুম আর টিভি দেখা ~x(
জোবায়ের ফোন করে জিজ্ঞাসা করল আমি কলেজে যাব কিনা । আমার মনটা নেচে উঠল কারণ এর চেয়ে মজার আর কি হতে পারে :guitar:
আমি ভাবলাম কলেজে গিয়ে সবার সাথে দেখা করে সার্টিফিকেটগুলো নিয়ে আসি । প্রায় ১১ মাস পর কলেজে যাচ্ছি, বেশ ফুর্তিতেই ছিলাম :tuski:
রাজশাহী শহর আমার বেশ ভাল লাগে কারণ এটি অনেক গোছানো :boss:

২৮ মে ২০০৯
সকাল আটটায় চিরচেনা সেই পদ্মাপাড়ে আসলাম :awesome:
ঝলমলে রোদ আর পদ্মার বুকে বয়ে চলেছে ছোট ছোট নৌকা ।

বিস্তারিত»

গণ সমাচার

এই পোস্টটি দেয়ার আগে গণ শব্দটি নিয়ে অনেকক্ষণ ভাবলাম :-B
সিনিয়র ক্লাসের সব ক্যাডেট যখন জুনিয়র ক্লাসের সব ক্যাডেটকে একটি নির্দিষ্ট কারণে ধোলাই করে তখন তাকে আমাদের কলেজে গণ বলে :chup:
অন্য কলেজে এটাকে কি বলে সেটা নিয়েই চিন্তা করছিলাম :-/
নাম যেটাই হোক কাজ তো একটাই । গণ হল গণধোলাই এর সংক্ষিপ্ত রুপ ।

সবেমাত্র ক্লাস নাইনে উঠেছি আর তাই রক্ত গরম ।

বিস্তারিত»