আলো

১.
বাবুপুরা গ্রামের হাফ কিলো দক্ষিণে রেল লাইনটা সোজা পূর্ব থেকে পশ্চিমের দিগন্তে মিশেছে যেন। এই গ্রামের দু’তিন ক্রোশের মধ্যেও কোন স্টেশন নেই। তবু জোছনা রেল লাইনের পাশে বসে ট্রেনের অপেক্ষায় আছে। চারদিকের অন্ধকার এখানো কাটেনি। তবে পূবের আকাশ ফর্সা হয়ে আসছে। ট্রেন আসতে সেই আটটা বাজবে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে সে রাজী আছে। তবে এর মধ্যেই তার বাবা আজীজ চেয়ারম্যান টের পেয়ে যাবেন যে,

বিস্তারিত»

তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ৫

তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ৪
তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ৩
তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ২
তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ১

ভার্সিটির সবচেয়ে কোলাহলমুখর জায়গা হল ক্যান্টিন। পুরো ক্যাম্পাসে মনে হয় তুলনা করলে সবচেয়ে বেশি হৈচৈ এখানেই হয়। এক গ্রুপ বসে চা-সিঙ্গাড়া খাচ্ছে, কেউ কেউ ক্রিকেটের গল্প করছে, কোন সংঘ হয়তো তাদের কার্যকলাপের ফিরিস্তি নিয়ে মিটিং বসিয়েছে নাস্তার টেবিলেই।

বিস্তারিত»

আমার ডাক্তার হওয়ার গল্প

আসলে সিসিবিতে অনেকেই খুব ভাল লিখেন । মাহমুদ ভাইয়ের ব্লগ পড়লে তো আমার লিখতেই ইচ্ছে করে না । আর আমি পিচ্চি তো । তবুও কিছু কিছু ঘটনা প্রায়ই মনের মধ্যে উকিঝুকি দেয় ।

কলেজে থাকাকালীন সময়ে দেখতাম সবাই ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ ব্যস্ত ।
আমি আবার অংকে একটু দূ্র্বল আর তাই ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিং করার চিন্তা মাথা থেকে তাড়ালাম ।
মেডিকেল কোচিং করার জন্য ভর্তি হলাম রেটিনাতে ।

বিস্তারিত»

ব্যালেন্স ট্রান্সফার

১৬ অক্টোবর ২০০৮
আমি তখন ঢাকাতে নাখালপাড়া কমিউনিটি সেন্টার এর সামনের বিল্ডিংয়ে সাত তলায় থাকি । রেটিনাতে মেডিকেল কোচিং করছিলাম ।
রাত তখন প্রায় পৌনে একটা, , ,
আমার বন্ধু নওফেল এর কাছ থেকে একটি এসএমএস আসলো ।
“দোস্ত একটু কল করতে পারবি ?”
আমি কল করে কি ব্যাপার জানতে চাইলাম ।
নওফেলঃ “তোর মোবাইল থেকে দশ টাকা পাঠাতে পারবি ?”

বিস্তারিত»

তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ৪

তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ৩
তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ২
তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ১

আজ ইউনিভার্সিটির পিকনিক। সকাল বেলা রিপোর্ট করতে হবে ঘাটে। বিশাল দু’টি লঞ্চ ভাড়া করা হয়েছে। নদীপথে ট্রিপ, সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। জিনিসপত্র গুছিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছি। মোড়ের সামনে ডিপার্টমেন্টের এক বন্ধু অপেক্ষা করছে, একটু আগে তার ফোন এল। একসাথে যাব। হেঁটে হেঁটে খানিকটা গিয়ে দোকান থেকে এক প্যাকেট বেনসন কিনে রিকশা ঠিক করলাম।

বিস্তারিত»

ভ্যাকেশনঃছুটি গল্পের ক্যাডেট কলেজ ভার্সন-২

ভ্যাকেশনঃছুটি গল্পের ক্যাডেট কলেজ ভার্সন-১

এইভাবে একদিন কাটিয়া গেল!ফটিক সারাবেলা মন মরা হইয়া ছিল!খুবই চুপচাপ যাহা তাহার চরিত্রের পুরোপুরি ব্যতিক্রম!ক্লাসমেটরা সকলেই কাহিনী জানিত তাই কেহ তাহাকে ঘাটাইতে গেল না।পরের রাত্রিতে প্রেপ হইতে আসিবার পথে ফটিককে হাউজ বেয়ারা খবর দিল,আপনাকে স্যার ডাকছেন!ফটিক রুমে আসিয়া টাই খুলিয়া বিষণ্ণ মনে হাউজ অফিস পানে চলিল!হাউজ অফিসে তখন অন্য সব হাউজ টিউটররা উপস্থিত!সকলেই কৌতুহলী চোখে ফটিকের দিকে চাহিয়া আছে!ফটিক গিয়া হাউজ মাস্টার স্যারের সামনে দাড়াইল!হাউজ অফিসে তখন পিনপতন নীরবতা!শেষ পর্যন্ত হাউজ মাস্টার স্যারই মুখ খুলিলেন,বলিলেন,আমরা তোমার সব কাজ পর্যবেক্ষন করে দেখলাম,তুমি রুম লিডার হওয়ার অযোগ্য!ছোটদের সাথে থাকার যোগ্য তুমি নও!তাদের তোমার কাছ থেকে শিখার কিছুই নেই!তাই তোমাকে সিনিয়রদের রুমে পাঠানো হচ্ছে!সেখানে থেকে তুমি সিনিয়রদের থেকে কিছু শিখতে পারো কিনা দেখো!

বিস্তারিত»

তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ৩

তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ২
তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ১

“কেন?”

তার কাছ থেকে এই ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে, এমনটি ভেবে আমি প্রস্তুত থাকা স্বত্ত্বেও তার প্রশ্ন করার ভঙ্গিমাতে আমি অপ্রস্তুত। একটা জুতসই উত্তর খুঁজে বের করা দরকার। কোন মেয়ের সামনে এমন উদ্ভট সিচুয়েশনে আগে পড়িনি। আজ আমার এ কি হল? আমার মাথা কাজ করছে না কেন??

বিস্তারিত»

আজ কাজলের বিয়ে ………

সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরন – প্রায় কাল্পনিক।

——————————————-
আগের গল্প ——-

একজন অসুস্থ মানুষ

ও, আমি এবং আমরা ……
যেদিন আমার মৃত্যু হলো ……………
বলতে চাই … তোমাকেই চাই
তুমি আজ ভালোবাসোনি ………
—————————————————————-

সকাল থেকেই পিসির সামনে বসে আছি, পিসির এডিটরে খোলা একটা কোড আর আমার মাথার মধ্যে খোলা কয়েক হাজার রকমের চিন্তার ফাইল।

বিস্তারিত»

তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ২

তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ১

একেবারে সাদা… ধবধবে সাদা… টিভিতে যেসব বিজ্ঞাপন দেখায় তার চেয়েও মনে হয় সাদা একটা পোষাকে এক তরুনী আমাদের সামনে দিয়ে হেঁটে একটু ব্যবধানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, রিক্সার জন্য অপেক্ষামান। ধাক্কাটা ওর কাছ থেকেই খেয়েছি। শারীরিক ভাবে সে এতটা সমর্থ নয় যে আমাকে ধাক্কা মেরে বসিয়ে দিবে, এ ধাক্কা মনস্তাত্বিক। এ্যাঞ্জেল এসে মানুষের সামনে দেখা দিলে মনে হয় মানুষ এই মাপের একটা ধাক্কা খেতো।

বিস্তারিত»

গোধু্লি কথন – ৩

গোধু্লি কথন – ১
গোধু্লি কথন – ২

২৯/৩/২০০৪,

এ’কদিন কলম ধরতে একটুও ইচ্ছে করেনি। আসলে ডাইরী লেখাটা আমার ধাতে নেই। অনেকে কিভাবে যে রুটিন মেনে প্রতিদিনের দিনলিপি টুকে রাখে এটা আজো আমার বোধগম্য হয়নি, হবেও না। সম্ভবত আমি বেশ অগোছালো ধরনের।

শুনেছি মারা যাবা আগে মানুষের মাঝে নাকি অদ্ভুত সব ভাবনা কাজ করে,

বিস্তারিত»

তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ১

বর্ষাকাল কিংবা বসন্তকাল কবিদের কাছে খুব রোমান্টিক মনে হলেও আমার কাছে চরম বিরক্তিকর।

প্রথমত, বর্ষা একটা নোংরা ঋতু। বৃষ্টি হয়ে রাস্তাঘাটে পানি জমে যায়, বাইরে বের হওয়াই দুস্কর। আর যদি সেটা এমন হয় যে রাস্তায় জমা পানি আর ড্রেনের পানি একাকার, তাহলে তো নোংরামির চুড়ান্ত। আর এখন তো মোবাইল ফোনের যুগ। বৃষ্টি থেকে দামি মোবাইল সেটটা বাঁচানোর জন্যেও কত রকম কাহিনী করা লাগে।

বিস্তারিত»

ভ্যাকেশনঃছুটি গল্পের ক্যাডেট কলেজ ভার্সন!

বালকদিগের সর্দার ক্যাডেট ফটিকের মাথায় চট করিয়া এক নতুন ভাবোদয় হইল!কক্ষে সপ্তম শ্রেণীর এক কনিষ্ঠ ক্যাডেট তাহার অধীনে ছিল;স্থির হইল,তাহাকে অভিনব কৌশলে শাস্তি দেওয়া হইবে!
ক্যাডেট কলেজে কনিষ্ঠদেরকে শাস্তি প্রদানের বিচিত্রসব কৌশল বিরাজমান!তাহার উদ্ভাবিত এই নতুন ধরণের শাস্তির আতিশয্যে উক্ত কনিষ্ঠের যে কতখানি বিরক্তিবোধ হইবে তাহা উপলব্ধি করিয়া ফটিক শিহরিত হইতে লাগিল!
প্রেপ হইতে ফিরিয়া ফটিক অপেক্ষা করিতে লাগিল!কিয়ৎকাল পরে মাখন নামের সেই কনিষ্ঠ বালক কক্ষে প্রবেশের অনুমতি চাইবার জন্যে দ্বারে আসিয়া দাড়াইয়া কহিল,মে আই কাম ইন প্লিজ!ফটিকের নেত্র উজ্জ্বল হইল,প্রবেশের অনুমতি দিয়া সে বালককে তাহার নিকটে আসিতে বলিল!বালক এমনিতেই ফটিকের নিদারুন অত্যাচারে জড়োসড়ো হইয়া থাকিত,তথাপি তাহার এইরূপ ডাকে এবং ফটিকের ঠোঁটের কোণে কেমন হাসি খেলা করিতেছে লক্ষ্য করিয়া আরো ভীত কাচুমাচু হইয়া ফটিকের সামনে আসিয়া দাড়াইল!ফটিকের হাসি মুছিয়া সেখানে গম্ভীর থমথমে ভাব চলিয়া আসিল!গলাটুকু আরো গম্ভীর করিয়া সে কহিল,আজ প্রেপে যাবার সময় রুম থেকে বেরোবার পারমিশন নাওনি কেন?মাখন হতভম্ব হইয়া গেল।মাগরিবের পর হাউজে আসিয়া অতিশয় দ্রুততার সহিত পোশাক পরিবর্তন করিয়া বাঁশি পড়িবার পূর্বের তাহাদের ফলইনে চলিয়া যাইতে হয়!গত সপ্তাহে এই নিয়ে ১০ মিনিট লং আপ আর ৫০ টা পুশ আপ দেবার পর আর কোনদিন অনুমতি নিতে ভুলে নাই!আজ এই ভুল করার প্রশ্নই আসে না!তাহার স্পষ্ট মনে আছে,আজো ইহার ব্যতিক্রম হয় নাই!কিন্তু ভাবিয়া দেখিল তর্ক করা বৃথা।অতএব চুপ থাকাকেই শ্রেয় ভাবিয়া অধোমুখে পদযুগলের পানে চাহিয়া রহিল!ফটিক আবার জিজ্ঞাসা করিল,পারমিশন নাও নি কেন?বালক এবারও চুপ!ফটিক আর নিজেকে ঢরিয়া রাখিতে পারিল না,মাখনের চুপ থাকাকে তাহার উপহাসের মতন বিঁধিল!অতএব তাহার গন্ডদেশে চপেটাঘাত করিয়া এইরূপ উদ্ধত আচরণের উপযুক্ত শাস্তি দিয়া দিল!চড় খাইয়া মাখন এইবার মুখ খুলিল,বলিল,ভাইয়া,আমি তো পারমিশন নিয়েছিলাম!ফটিক দেখিল অবস্থা বেগতিক,মাখন সত্যই বলিতেছে,চড় দেওয়া উচিত হয় নাই!আবার মনে ভাবিলসে তো পারমিশন না নেওয়ার জন্য শাস্তি দেয় নাই,তাহার প্রশ্নে নিরুত্তর থাকিয়া তাহাকে অধৈর্য্য করিবার অপরাধে অমন শাস্তি!

বিস্তারিত»

গল্পঃ কাঠের সেনাপতি

আব্বার সাথে রাশেদের আজ আশ্চর্য শত্রুতা। আজ সারাদিন, দিনমান। ছোট্ট চায়ের টেবলের দু’পাশে ওরা দু’জন ঠিক দুই যুযুধানের মতন দাবার গুটি নিয়ে বসে আছে সকাল থেকে। কখনও গালে হাত, কখনও বাঁকানো ভ্রু, কখনও চুপচাপ।
আব্বার অফিস ছুটি আজ, রাশেদের ইশকুলও তাই। ওদের সারা ঘরে ছুটির আমেজ এলিয়ে আছে, বসার ঘর থেকে রান্নাঘর, সেখান থেকে বারান্দায়, সবখানে। আপাতত শুধু ছুটি নেই দুজনের মাথার ভেতর, তুমুল তান্ডব তাতে,

বিস্তারিত»

গোধূলি কথন- ২

গোধূলি কথন- ১

১২/৩/২০০৪,

বিকেলবেলাটা আমার সবসময়ই প্রিয়। জানালার ফাঁক দিয়ে যখন সূর্যের শেষ সম্ভাষণটুকু আমার হাতের উপর এসে পড়ে, খুব ভালো লাগা একটা অনুভূতি হয়। একটা অজানা মিষ্টি আবেশে ছেয়ে যায় চারপাশে। অবশ্য আজকাল জানালার পাশে বসা হয়ে উঠেনা। ব্যস্ততা নয়, কায়িক অবসাদ আজকাল সে সুযোগ দেয় না। বিছানা থেকে একা একা বেশ কষ্ট হয়। তাই বিকেলটা এখন বালিশে মাথা ঠেকিয়েই কাটে।

বিস্তারিত»

তুমি আজ ভালোবাসোনি ………

সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরন – পুরোপুরি কল্পনা থেকে লেখা। বাস্তব কোনো চরিত্র বা ঘটনার সাথে মিল পেলে … কিছুই করার নেই।

——————————————-
আগের গল্প ——-

একজন অসুস্থ মানুষ

ও, আমি এবং আমরা ……
যেদিন আমার মৃত্যু হলো ……………
বলতে চাই … তোমাকেই চাই

—————————————————————-

ভার্সিটি জীবনের শেষ বছরে এসে সবাই কেমন যেন ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

বিস্তারিত»