১) এম আই স্যার। ফিজিক্স dpt. শুধু নাম্বার দিয়ে যোগ করে দিতেন। আমাদের রাকেশ ভাই একবার বেশি আন্সার করে ৪০ এ পেয়েছিলেন ৪৩।স্যার সেটা মার্কশিটে তুলেও দিয়েছিলেন।স্যার হয়ত ভেবেছিলেন ভাল পরীক্ষা দিয়েছে তাই বেশী নাম্বার পেয়েছে।
২) গোলাম সারোয়ার স্যার। ম্যাথ dpt. স্যার খুবই ভাল লোক। খাতা দেখার সময় কোনো অঙ্ক সম্মানজনক গ্যাপ রেখে একাধিক বার করলেও স্যার ধরতে পারতেন না এবং নাম্বার দিয়ে দিতেন। আমরা যারা আর্টস এ ছিলাম তারা প্রতিবার ই পাশ করার জন্য কোনো না কোনো অঙ্ক দুই বার করে দিয়ে আসতাম। আমাদের রেজওয়ান একবার দেখল ও শুধু দুইটা অঙ্ক পারে এবং ও যুগান্তকারী সিধ্যান্ত নিয়ে দুইটা অঙ্কই বারবার করে ফেলল খাতায়।স্যার খাতা দিতে আসল।সবাই নাম্বার পেলো রেজওয়ান পেলো মাইর।
৩) মোস্তাক হোসেন স্যার। ম্যাথ dpt.স্যার দুটা কারনে কলেজে বিখ্যাত ছিলেন,এক তার চকচকে টাক আর দুই তার চড়। চড় মারার আগে স্যার তার ঘড়িটা খুলতেন তারপর যাকে মারবেন তার হাতে দিতেন। একবার চারুকলা পরীক্ষায় গার্ড। হাবিব আর মফিজুর আগে পরে সিট। পূর্ব চুক্তি অনুযায়ী মফিজুরের ছবিটা হাবিবের আঁকিয়ে দেয়ার কথা।হাবিবের খাতায় হাবিব আঁকছে আর দেড় ঘন্টায় মফিজুর এঁকেছে শুধু গরুর কান। হঠাৎ স্যার দেখলেন পেছনে যাওয়ার সময় শুধু যে গরুর কান ছিল সামনে এসে দেখেন সেই গরু মাঠে চড়ছে,ঘাস খাচ্ছে,গরুর জন্য গ্রামও আঁকা হয়ে গেছে। স্যার বুঝলেন ঘটনাটা কি।দুই জন কে দাড় করালেন কানে ধরে,তারপর স্যারের ঘড়িটা খুলে মফিজুরের হাতে দিলেন।
৪) মোস্তাক স্যারের ক্লাস । স্যার ক্লাস নিচ্ছেন। সালাউদ্দিন ভাই সামনের সিটে বসে ক্লাস করছেন। ইমরান ভাই কড়িডর দিয়ে যাওয়ার সময় সালাউদ্দিন ভাইকে একটা বকুল ফল (আমাদের একাডেমী ব্লকে ওঠার সিড়ির কাছে বকুল গাছ ছিল) দিয়ে ঢিল মারল। যেটা সালাউদ্দিন ভাইকে মিস করে তার ডেস্কে বাউন্স করে স্যারের টাকে গিয়ে লাগল।ঘটনার প্রত্যক্ষদরশী ইমরান ভাই আস্তে করে তার ফর্মে গিয়ে বসে পরল। স্যার পিছন ঘুরে দেখলেন সালাউদ্দিন ভাই তার দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে আছে। স্যার তার সামনে আসলেন ঘড়ি টা খুলে তার হাতে দিলেন।
৫) নাদিরা ইয়াসমিন ম্যাডাম। বাংলা dpt. ম্যাডাম মারদাঙ্গা সুন্দরী ছিলেন।আর ক্যাডেট কলেজের মত ভ্যাটিক্যান সিটি তে ম্যাডাম ই এক মাত্র রক্ত মাংসের নারী যাকে আমরা বাস্তবে দেখতে পেতাম। বাকিদের দেখতাম টিভি আর ছবিতে। তো ম্যাডাম এক দিন ক্লাস নিচ্ছেন পেছন থেকে রেজওয়ান শব্দ করল। ম্যাডাম প্রথমে চক ছুড়ে মারলেন রেজওয়ান ক্যাচ ধরল,রাগে ম্যাডাম ডাস্টার ছুড়ে মারলেন ও ওটাও ক্যাচ ধরল।ম্যাডাম আর পারলেন না।রেজওয়ানের দিকে দৌড়ে আসলেন, রেজওয়ানও দৌড়।ফর্মে টম এন্ডে জেরী শুরু হল, সামনে রেজওয়ান পিছে ম্যাডাম দৌড়াচ্ছেন। ওকে ধরতে না পেরে ম্যাডাম হাফাতে হাফাতে চলে গেলেন।লাস্ট পিরিয়ডে আসলেন নায়ক সাইফুল আলম স্যার(নাদিরা ম্যাডামের হাজবেন্ড)। ভিলেনকে ধোলাই হল। ক্লাস শেষ পর ডাইনিং হলের সামনে আমরা দাঁড়িয়ে আছি।ম্যাডাম বাসায় যাচ্ছে,রেজওয়ান ম্যাডামের সামনে গিয়া বলল “স্যার মারছে। এখন আপনি খুশি?”
৬) মেস মিটিং।এর ভিতর এক সময় ভাইস প্রিন্সিপাল ফরহাদ উদ্দিন স্যার ইংলিস ডিনারের মেনু নিয়ে বলতে শুরু করলেন।স্যার বললেন “মুরগির দুধ ক্যাডেটডদের বেশি করে দেয়া হোক।”সবাই জায়গায় হ্যাং।মুরগির দুধটা আবার কি জিনিস?মেস ওআইসি বিষয়টা ধরতে পেরে বললেন স্যার”মুরগির স্যুপ তো দেয়া হয়।” ভিপি স্যার বললেন “সেটাই তো বলছি যে মুরগির দুধ বেশি করে দিবেন।” তারপরের ইংলিস ডিনারের সময় ডাইনিংহলে গিয়েই শুরু হল “মুরগির দুধ কই?” “আমাদের মুরগির দুধ দেয়া হয় নাই কেন?”
১ম। এহন কেউ অনলাইন থাহে না, ফাস্ট হওয়ার মজা আর আগের মত নাই।
:khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
- ব্যাপক মজা পাইলাম
:just: :gulli2: :pira:
:just: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: :goragori: :goragori: :goragori:
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
:khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
চমৎকার।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
=)) =)) =)) :pira: :pira: :pira:
=))
ভাই আছেন কেমন?
মোর্শেদ_(৯৮-০৪)পাবনা ক্যাডেট কলেজ
=)) :)) :khekz: :goragori: :clap: :clap: :clap:
হা হা হা, দারুণ মজা পাইলাম :))
=)) =))
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
😀 😀 :pira:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
মজা পাইতেসি খুবই এই সিরিজটাতে... 😀
:boss: :dreamy: 😀 :)) :)) :)) :)) :)) :clap: :clap: :duel: :duel: :duel: :duel: কোপায়ে দিছেন ভাই ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: :thumbup: :pira: পিসিসি জিন্দাবাদ ::salute::
সারোয়ার
“স্যার মারছে। এখন আপনি খুশি?”
ইসসস কি রোমাণ্টিক প্যাথেটিক--
:just: কোপা :duel: :gulli2:
😀 😀 😀 😀 শেষ। হগগোলতেরে ধইন্ন্যবাদ। আর লিখাম না এই সিরিজ। অহন জেগুলান কাহিনি মনে আসে সেগুলান একটু সেন্সরড।অইগুলান মনে রাখছি। বড় হইলে লিখুম। 😀 😀 😀 😀
মোর্শেদ_(৯৮-০৪)পাবনা ক্যাডেট কলেজ
মোর্শেদ ভাই, চরম হইতেছিল। থামায়েন না, চালায়া যান। অঃটঃ নাদিরা ম্যাডাম ক্লাস সেভেন আর এইটে আমাদের ফর্ম মাস্টার ছিলেন।
রঞ্জনা আমি আর আসবো না...
::salute:: ::salute:: : :))
“মুরগির দুধ ক্যাডেটডদের বেশি করে দেয়া হোক।”......।।
:khekz: :khekz: :khekz:
স্যারকে আমার ভালোই লাগতো......। জেন্টালমেন টিচার। পরীক্ষার হলে গল্প শুরু করে দিতেন ঃ)। (সম্পাদিত)
নাহ ......আপনের লেখা পরতে গেলে কার কাছ থেইক্কা দাত আর পেট ধার করা লাগব............... 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 =)) =)) =)) =)) =)) =)) রাইতের এই অবস্থায় আমারে কেউ দেখলে ঠিকই ভাবব যে আমারে ভুতে ধরছে............ :)) :)) :)) :)) :)) :)) :)) :)) 😀 😀 😀 😀 😀 =)) =)) =)) =)) =)) =))
😀 😀 😀 😀 এখান থাইক্কা দাঁত গুলা খুইলা নেন।
মোর্শেদ_(৯৮-০৪)পাবনা ক্যাডেট কলেজ
ভাই দারুন লাগল......
=)) =)) =)) =)) =)) :pira:
খেয়া (২০০৬-২০১১)
বেটা আমি গিয়ে মার্ক কমায়ে আনছিলাম, তয় বুঝিনাই যে আমার মার্ক কমায়ে ৪০ এ ৩৮ দিবে, ৪০ না!
তোর এই ধারাবিবরনীর অনেক ঘটনা দেখি আমাদের ব্যাচের!
হ ভাই, অনেক লেখাই আপনাগো ব্যাচের। এই প্রচারনার জন্য আমারে কিছু টাকা পয়সা দেয়ার ব্যাবস্থা করেন। আর কত নাম্বার একজাক্টলি দিছল এটা জরুরী কি? ঘটনাটা তো ঘটছে।
মোর্শেদ_(৯৮-০৪)পাবনা ক্যাডেট কলেজ
“স্যার মারছে। এখন আপনি খুশি?”
স্যার ঘড়িটা খুলে..................
::salute::
যেমন আছি, তেমনই ভালো।