[প্রাককথাঃ বর্তমানের কবিতার পাঠক বর্তমানের কবিতার মতোই জটিল ও বিবিধ প্রকারের হয়ে উঠেছেন। কবিতা বিষয়টিকে নিয়ে অনেকের বিরক্তি, উপেক্ষা ও তাচ্ছিল্য আছে জানি। আমাদের কঠিন জীবনে কবিতার স্থান বা অবসর খুব কম। এজন্য মাঝে মাঝে কুণ্ঠাবোধ করি, কবিতার প্রতি অনপনেয় ভালোবাসার প্রকাশ সবার সামনে করতে কুণ্ঠা কাজ করে। আমার লেখার ভাষাকে বদলানোর চেষ্টা করছি কিছুদিন ধরে। সেই চেষ্টার চারাটিতে অনেকেই পড়ে ও মন্তব্য করে পানি ঢালছেন। আমি দেখতে পাচ্ছি সেটা আগ্রহে ও উৎসাহে লকলক করে বেড়ে উঠছে। আমার ভাল লাগছে। ভাল লাগা থেকে একটা কবিতা লিখলাম আজ…]
*
*
*
মনে হয় করতলে আছি…
রেখেছি বিমূঢ় শোক – পুরে মুঠোর ভিতর
প্রায় দু’মাস, এতদিনে এই শোকটুকু,
ফোঁটায় ফোঁটায় জমে ওঠা স্থিরচঞ্চল জল
হয়ে গেছে, মুঠোবন্দী করে রেখেছি, স্পর্শে
টের পাচ্ছি কোমল শোকের স্পন্দন – করতলে
নানাস্থানে যাই, কারো সাথে পরিচিত হলে
বিব্রতবোধ করে মুঠোহাত এগিয়ে দেই,
হাত মেলানোর প্রথাপালন দুষ্কর হয়ে পড়ে,
ব্যক্তিগত শোকের খবর কেন সদ্যপরিচিতকে দিব?
দৌড়ুতে দৌড়ুতে বাসে উঠি, সাবধানে
আমার কলার মুঠো পাকড়ে টেনে তোলে
কনডাক্টরের শক্ত বলীয়ান হাত – সে’যাত্রা বেঁচে যাই
ভাগ্যিস মুঠো খুলে শোকাংশ বিলিয়ে দেই নি বাসের হাতলে
বাসায় ফিরলে জামা খুলতে কষ্ট হয়, এক হাতে কষ্টেসৃষ্টে
খুলে নিতে পারি শার্টঃ বহিরাঙ্গের ধুলো ও কয়লা,
ঘরের মানুষেরা কিছু বলে না, মেনে নেয়
মুঠো করা হাত দেখে কিছুটা মূক ও অপরিচিত বনে যায়
এভাবে শোকের পালন এ’জনপদে বিরল
অনেকেই আগ্রহী হন, কৌতূহলে বেড়ালের মত
গা ঘেঁষে আসেন। হে একান্ত শোক আমার!
অজান্তেই আমাকে বিখ্যাত করে তুলছো,
আমি কৃতজ্ঞ আমি নতজানু তোমার সাহচর্যে,
অনেকের কাছে আমি আরাধ্য হয়ে উঠছি
মাঝে মাঝে তাই কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মুঠোর ঘ্রাণ নেই
গা শিউরে ওঠে এই অতলান্ত শোকস্পর্শে
বুঝিবা আমার হাতটুকু ধীরে ধীরে অবাস্তব হয়ে গেছে
কিংবা শোকটুকু মিলিয়ে গেছে বাষ্প হয়ে –
অ নে ক আ গে ই
আমি ভুলেভালে মুঠো বন্ধ করে ভ্রমে বুঁদ
শিওর হতে পারি না, ডিলেমার কর্কট ক্রমশ
মুঠোগামী আমি ভয়ে তাড়িয়ে দেই তাকে,
“ভাগ্ শালা জোচ্চর কনফিউশন, ভাগ্ এবেলা!
জারিজুরি করে শোকে ভাগ বসাবি,
জানি তোর দুরভিসন্ধির অলিগলি!”
প্রায়ই ভাবি এ’দুঃসহ ভার ফেলে দিব আজই
মুঠো খুলে ধুয়ে নিব কলের শীতল জলে
হাত মেলে দেখব কোন শোকের ছায়াও নেই
মনে হবে পুরোটাই মনের মস্ত এক ভুল ছিল
মনে হবে পৃথিবীতে আমার কোন শোক ছিল না
তারপর মনে হবে হয়তো ছিল কিছু কোনও এক কালে
ভুলে গেছি সেইসব একান্ত ব্যক্তিগত শোক
খামাখাই কবরের মতো স্মৃতিচিহ্নের দরকার নেই বলে
এই হাতটি নতুন পেয়েছি বলে মনে হবে আমার
তারপর পুরনো আটপৌরে হাত, সেই বন্ধ করা মুঠো
ও শোকসন্তপ্ত করতলের শোকে আমি আবারও মুঠো বন্ধ করে ফেলবো…
অসাধারণ লাগল। আমিও হাতের মুঠো খুলে দেখব নাকি? আসলেই হয়ত কোন দুঃখ নেই। সমস্তই মনের ভুল।
ইংরেজি শব্দের ব্যবহারের জন্য নয় , কেন যেন শিওর শব্দটিতে হোঁচট খেয়েছি। নিশ্চিত হতে পারি না... দিয়ে চমৎকার এগিয়ে যেতে পারত।
দোস্ত এই কবিতা অসাধারণ লাগল। একেবারে মনের কথাটা বের হল। এরকম কবিতা খুব ভাল লাগে যেটা নিজের ফিলিংস তুলে আনে।
কেমন আছিস রে।
দোস্ত, আমি আবার "নিশ্চিত" শব্দটায় হোঁচট খাচ্ছিলাম। মানে ঐ লাইনের তাল কেটে যাচ্ছিল। এজন্য শিওর লিখলাম। আরো ভালো শব্দ পেলে বদলে দিব। 🙂
তোর অনুভূতিটা হয়তো বুঝতে পারছি। আমি নিজেই আজকে বসে বসে ভাবছিলাম। দুঃখ, শোক, সন্তাপ, এগুলো আসলে তো এক ধরণের স্টেট-অফ-মাইন্ড। হয়তো গা ঝাড়া দিলে চলে যাবে, হয়তো ভুলে যেতে পারবো। ছোটখাট সুখ আর সাফল্য পেলেই সেগুলোকে বাড়িয়ে চড়িয়ে বাদবাকি সবকিছু ঢেকে ফেলতে পারবো...
বলতে ভুলে গেছি সরাসরি প্রিয়তে...
দারুন! তোমার কবিতার আমি কিন্তু নির্লজ্জ মুগ্ধ পাঠক। এইটাতে কোন সংকোচ কুন্ঠাবোধ নাই। বস্তুতঃ হিংসাই করি।
আজ হালকা দৌড়ের উপ্রে আছি। পরে ভালভাবে পড়ে আমার হয়ে আমিন বড় কমেন্ট করে যাবে [ও আমিন, পিলিজ ভাই! পিলিজ!]। 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ধন্যবাদ রাব্বী ভাই। নির্লজ্জ মুগ্ধ পাঠক বলে আমাকেই লজ্জায় ফেলে দিলেন। আমার এমন একটা ধারণা হয়েছে যে কবিতা একটু এলিট-গোছের শিল্প। আগে মনে করতাম কবিতাকে ভেঙে চুরে একেবারে সবার জন্য আমজনতা করে ফেলবো। কাঁথা-বালিশ-টেবিলক্লথ আর কি। পরে মনে হলো এভাবে ভাঙলে হয়তো সেটা আর কবিতাই হতে পারবে না। (আবার এটাও ঠিক যে কবিতা ঠিক কী রকম হইতে হয়, এটা কোন বিজ্ঞানীও ঠাহর করে বের করতে পারেন নি)।
এখন মনে মনে চেষ্টা করি খুব সহজ করে তুলতে, এটা সবচেয়ে কঠিন কাজ। হয়তো সহজ করতে করতে একটা সময়ে সেগুলো ফুলের মতো কবিতা হয়ে উঠবে! 🙂
এইয্যা, আমি তো বড়ো মন্তব্য করে ফেললাম। পরে আপনি ভালোভাবে পড়ে এর চাইতেও বড়ো মন্তব্য করবেন কিন্তু! [পিলিজ ভাই আমিনও করবে]
আন্দালিব, দেরি হয়ে গেল। কথা হলো, আমি একেবারেই কবিতার মানুষ না। কিন্তু যখন পড়ি তখন মনে হয় ভাল কবিতার মতো এমন নান্দনিক সৃষ্টি হয়তো আর দ্বিতীয়টা আর নাই। যাইহোক, পাঠক থাকুক আর নাই থাকুক, লিখতে থাকো। যারা পড়ার তারা ঠিকই পড়ে নিবে। আর বই প্রকাশিত হলে কিন্তু অটোগ্রাফসহ চাই!
আমার বন্ধুয়া বিহনে
সিনিয়র ব্যাচ মেট মিলে আমারে যে জাতে পাতে পঁচাইতাসে ( কপিরাইট : ফয়েজ ভাই) তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গেলাম।
কবিতার ব্যাপারে অবশ্য আমি ছুঁয়ে গেলো, দারুণ , ভাল্লাগছে টাইপের চাইতে লম্বা কমেন্ট করতে পারি না সময় নিয়েও পাছে আমার আসল অজ্ঞতা সবার সামনে বেরিয়ে পরে।
যাহোক বড় ভাই ব্যাচমেটরা যখন বলছে তাইলে কমেন্টে চুইংগাম টানি, হাজারো বছরে ধুঁকে আসা মানব সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে থাকা প্রলেতারিয়েত সমাজের যে বুভুক্ষ দুঃখ কঠিন বাস্তবতার চাদরে আটকে পড়ে মিইয়ে গিয়ে করতলীয় ছোট ঘুপচির মাঝে আপন বন্দিত্বের সীমাবদ্ধতা জেনে তার বহুরূপী ক্রমপরিবর্তিয়মান ধারার মাঝে গিয়ে অবস্থান পরিবর্তনের দ্বারা তীব্র আলোর মলিন অথচ ঝাঁঝালো ধারে আমাদেরকে উপহাস করে চলেছে, সেই করুণ উপহাসের অনিরুদ্ধ রূপটিকে নান্দনিক ছান্দিকতায় ফুটিয়ে তুলে আমাদের হাতের বর্ণ রেখাহীন করতলে আবদ্ধ করার এই প্রশংসনীয় প্রচেষ্টার জন্য বন্ধুবর আন্দালিবকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে বেগুণী ( লাল দিলাম না, তাইলে আবার হাউস ফিলিংসের ধোঁয়া তুলে কমেন্ট সাম্প্রদায়িকতায় দুষ্ট হবে) সালাম। (সম্পাদিত)
এই জন্যেই শুরুতে বলছিলাম - কবিতার পাঠক। বর্তমানে তারা বড়ই ভয়ানক। :no:
সত্যি কইলাম দোস্ত কবিতার ব্যাপারে বিরক্তি উপেক্ষা তাচ্ছিল্য কোনটাই নাই , খালি সম্পা দিত বইলাই দিলাম 🙂 🙂
সাধু এবং সুম্মা আমিন 😀
আমার বন্ধুয়া বিহনে
বাই দ্যা ওয়ে কবিতা আসলেই ভাল্লাগছে ।
এইটা ১০০% সিরিয়াস কমেন্ট।
সিরিয়াসলি, :hug: :hatsoff:
ভাল লাগল। :clap: :clap: :clap:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
শোক মুছে গেলে কার না ভালো লাগে? 🙂
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আহমদ ভাই। :hatsoff:
তোমার শব্দ চয়ন অসাধারন, আগেই বলেছি। ভাল লাগলো সহজবোধ্য ভাবের জন্য, তোমার লেখায় এটা নতুন। নিজেকে বদলাচ্ছো, এটা নিশ্চয়ই তোমাকে লেখার ব্যাপারে আরও পরিনত করবো।
আমি কবিতাজ্ঞ নই কোন, অন্তঃমিল বুঝি না, সনেট মনে হয় একটা বাহুল্য ব্যাপার, কবিতার মাঝে এর খুব বেশী প্রয়োজন নেই, এটা না থাকলে খুব একটা ক্ষতি হত না কবিতার। তাই আমার মন্তব্যকে সিরিয়াসলি নেবার কোন কারন নেই ভেবে বলছি, আমার মনে হয়েছে তোমার এই কবিতা অনেক বেশী ডিটেইল। পাঠকের ভাবনার অবকাশ নেই তেমন। 🙂
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
মন্তব্য তো অনেক উপকার করে ফয়েজ ভাই। আমি গুরুত্ব দিয়েই নিচ্ছি, ভাল লাগছে আপনার এমন ডিটেইলে বলা। কবিতাটা বর্ণনাধর্মী। এজন্য হয়তো পাঠকের ভাবনার অবকাশ নেই। এটা একটা কবিতার কাঠামো আগেই ঠিক করে দিচ্ছি আমি, যেন একটা গল্প বলছি, ঘটনা বা বিষয় আগে থেকেই ঠিক করা। পাঠক এখানে শ্রোতা কিংবা দর্শক হতে পারবেন। কবিতায় সাধারণত পাঠকের জন্য অনেক কল্পনার বা ভাবনা-চিন্তার অবকাশ থাকে। কিন্তু এখানে যেহেতু গল্পের ঢঙে বলছি, সেজন্য ঐ জায়গাটা নাই।
আপনার কমেন্টে লাভ হলো। এখন ভাবছি একই ঘটনা ও বিষয়কে কীভাবে ভেঙেচুরে আরেকটা কবিতা লেখা যায়, যেটায় পাঠকের হাতে চিন্তার সুতো ধরিয়ে দেয়া যাবে। 🙂
🙁 এমনিতেই মন ভয়াবহ খারাপ.......কবিতা পড়ে মন আরও খারাপ লাগছে..... 🙁
মন খারাপ করো না। হয়তো মন খারাপ বলে কবিতাটা কেবল শোকের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে তোমাকে। পরে মন ভাল অবস্থায় পড়ে দেখো, তখন মনে হবে এটা আনন্দের কবিতা। 🙂
ফিরে ফিরে পড়ছি।
আরো পরে এসে মন্তব্য দিয়ে যাবো হয়তো।
ঠিক ঠিক শব্দগুলোকে খুঁজে পাচ্ছো ঠিক সময়ে এটা একটা বিশাল ব্যাপার।
অবশ্যই দিবেন, নূপুর ভাই। আরো মন্তব্যের আশায় রইলাম।
এটা বেশ সৌভাগ্য যে ঠিক ঠিক শব্দ খুঁজে পাচ্ছি। মাঝে পাচ্ছিলাম না বলে অনেক কিছু লিখতে পারি নি। 🙁
কবিতাটা বুঝতে আসলেই কোনো গাইড বই লাগলো না আন্দালিব! সত্যিই উপভোগ করেছি। এভাবেই ভাবা যায়? আরো লিখো না কেন?
"মুক্তির পর গেরিলা' নিয়ে একটা ব্লগ লেখার কথা দিয়েছিলে, মনে আছে?
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
লাবলু ভাই, খুব দুঃখিত আর লজ্জিত যে এর মধ্যে এতোদিন গেল অথচ লেখাটা পেন্ডিং পড়ে আছে! 🙁
আমি চেষ্টা করবো তাড়াতাড়ি শেষ করে পোস্ট করার। (আসলে সব কথা বলে ফেলেছি আর আগে লিখে ফেলেছি যে, এজন্য ভাষা সংকটে ভুগছি বলে পড়ে আছে কাজটা)
আমারো এমন হতো। কবিতা নিয়ে, প্রিয় কবি নিয়ে উচ্চকিত হয়ে উঠেই ফের মিইয়ে যেতাম আশপাশের সবার নিরুত্তাপ বিমূঢ় আর অনুকম্পা মেশানো দৃষ্টি উপলব্ধি করতে পেরে।কৈশোর বা সদ্যযৌবনে এমনটা হতো।
একটা সময় পর, প্রতিবারই মনে হয়েছে কবিতার প্রতি এই নিঃশর্ত দুর্বলতা (কি ক'রে কখন এমনটা হয়ে গেলো সেটা বুঝে উঠতে পারিনি)-টুকুই আমার সম্পত্তি। আর কিছু নয়।আর কিছু সঞ্চয় করা হয়নি তো।
কিন্তু প্রতিদিনের জীবনে জীবনপাত করতে গিয়ে কবিতাতে বুঁদ হয়ে থাকাটা কি যে বৈপরীত্যের, কি বলবো। কবিতাকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে কাজগুলোকে সেরে নিতে হয়, এভাবে কতদিন দূরে দূরে সরে গেছি কবিতা থেকে। মনে হয়েছে আর বুঝি কবিতা ফিরে এলোনা জীবনে। খুব সুবোধ্য কবিতাসমূহও এত দুষ্পাঠ্য মনে হতে থাকে, সাংকেতিক মনে হয় : প্রতিদিনের জীবনের সংগে কবিতার দূরত্বটুকু একটা খাদের মতো তাকিয়ে থাকে। এরি মধ্যে কি অলৌকিকভাবে কোনো কোন দিন ( ঘুমের থেকে উঠেই হয়তো বা) ওই খাদটুকু মিলিয়ে গিয়ে পড়ে থাকে সার্জিকাল একটা মিহি দাগ।
সেসব দিনে পড়বও বলে তোমার কত লেখা রেখে দিয়েছি! সবদিন ফিরে গিয়ে পড়া হয় না যদিও।
এই লেখাটা লিখতে গিয়ে একটা স্বতঃস্ফুর্ততার মধ্য দিয়ে গেছো সেটা বেশ স্পষ্ট। ভাবনাগুলোকে অবাধে চরে বেড়াতে দিয়েছো, শাসন না করেই বোধ হয় দেখতে চেয়েছো কতটা দূরে যেতে পারে তারা, কি কি শব্দ খুঁজে নিয়ে ফিরে আসে। তাই কি?
তোমার এই স্ফুর্তির ব্যাপারটা আমি খুব উপভোগ করলাম। যদিও তোমার দুরূহ, শাসিত শব্দবন্ধসমূহেরই বেশি ভক্ত আমি।
লেখাটা যত এগিয়েছে, তত শামসুর রাহমানের ছাপ চোখে পড়লো, বোধ হয় প্রবল নাগরিক টোনের কারণে।
আসলে, এইটুকু স্পেসে, লিখে ঠিক নিজেকে বোঝানো যায়না। একটা কবিতা ক্যাম্প টাইপ করা গেলে একসাথে, বেশ হতো। কি বলো।
আপনার কমেন্টটা খুব ভালো লাগলো নূপুর ভাই! এমন একটা কমেন্ট পেলে কবিতা নিয়ে হাহুতাশ ফুরুৎ করে উড়ে চলে যায়! 🙂
একটা কবিতা ক্যাম্প করা গেলে তো দুর্দান্ত হতো। কিন্তু আপনি তো দেশেই নাই। আসলে আওয়াজ দিয়েন। অবশ্যই কবিতালাপ হবে! 🙂
ভাই দারুন হইসে :clap: