কথারা বুক পকেট থেকে সন্তর্পণে
এগুচ্ছিলো নিকটবর্তী কণ্ঠস্বরের পানে ।
দিকচিহ্ন ছিল না জানা ।
গন্তব্যের ঠিকানা
তা ও না …
বাহানা,
তবু সে শব্দের শরীরে সাজাবে ভাবনা,
বাতাসের গায়ে আঁচড় কেটে কয়খানা
রেখে যাবে চিহ্ন দ্যোতনা,
আর কিচ্ছু না ।
ওখানে কখনও এক বাক্স দেশলাই
দিয়েছিল ক্ষোভ জ্বালাই জ্বালাই ।
একবার আধ প্যাকেট কড়কড়ে সিগারেট
বুকের মধ্যে এনেছিল হাসফাঁস ক্যাবারেট ।
তামাক আর আফটার শেভের গন্ধ মাখা
এক খানা কলম যাওয়া আসায় মগ্ন রাখা
সখ্যতায় খুব দেখিয়েছিল স্বপ্ন, মন ডুবিয়ে
বর্ণমালায় সাজবে কাগজ জুড়ে, উচ্চারণের চিবুক ছুঁয়ে ।
কাপের গায়ে জড়ানো আঙুলের আলিঙ্গনে
চায়ের উষ্ণতা মাপতে মাপতে কি করে অনায়াসে
জেনে গেছে না বলা অযুত কথারা, কোন ক্ষণে
সাহচর্যের খামখেয়ালী অনুরণে উচাটন, কাঁদে-হাসে !
জানেনি ঝুম বর্ষায় এতোটা হেঁটেও কেনো
ভেজেনি স্মৃতির খাতার একটাও পাতা এই এখনো !
কি করে পরিব্রাজক কথার মিছিল এতো কাছে
ফেলে গন্তব্য আজো দেয়নি ধরা বোলের ছাঁচে …
এভাবে পেরুলে প্রহর কখন পড়বে শ্যাওলা
শব্দের প্রবাল পাথর জুড়ে !
কখন ফসিল গুহার ভেতর আমার কথার জ্বালা
দেবে এক টুকরো আগুন ছুঁড়ে !
পাখীর ডানায় ভর করা ক্লান্তি,
দু’চোখ ভরা অনায়াস ভ্রান্তি,
বলে যাবে কানে কানে আমার বিশ্বাস
পাথরের বুকে গুঁজে এক নীরব দীর্ঘশ্বাস
আমার কষ্টের ছবি কতটা পান্ডুর
সুখের রঙধনু কতোটা চুড় চুড় !
কথোপকথনের চঞ্চূতে বাঁধা অমল তৃষ্ণা জুড়ে
কতোটা কষ্ট অমন নীরবতা, সংক্রান্তি ধারণ করে !
[ ১৩ জুলাই ২০১২ ]
:boss: :boss: :boss:
অনেক ধন্যবাদ নূপুর ।
কবিতার শুরুর পাঁচ পংক্তি আর শেষের চার পংক্তি অনবদ্য হয়েছে।
অনুপ্রাণিত হলাম অনেক । খায়রুল আহসান ভাই ।
লুৎফুল ভাই,
এ যে প্রেমের বোল!
দে দোল দে দোল!
'শব্দের মিছিলে
কি তুমি ছিলে
কাল?' -
স্ফূটে বলে ওঠে
সেলফোন;
সে কোন্
পুরান দিনের
উদগ্রীব কথারা
মাথা পেতে
নিয়েছে সংক্ষেপ -
হা, একতারা দোতারা
হয়েছে রিংটোন,
রোমান্স মানে
ফেস বুকে
দু-চার খেপ
কথামালা ফসিল হবে না তো কি,
ঝুম বরষায় একযুগ হেঁটেও
এতটুকু ভেজেনা স্মৃতি!
"ঝুম বরষায় একযুগ হেঁটেও
এতটুকু ভেজেনা স্মৃতি!" - চমৎকার!
স্মৃতিঘেরাটোপের সুরক্ষিত দুর্গে যে তার অবস্থান।
আর এতোটাই যতনে বুকের গভীরে তার বাস ... তাকে কি করে ছোঁয় ঝুম বর্ষা জল !!
🙂
একেবারে সিটি স্ক্যান !
আবেগ আর অভিমানের ক্যানভাস এই কবিতাটা ।
আর সেই সাথে আছে হন্তারক স্মৃতির উপস্থিতি ।
🙂 🙂
তোমার মন্তব্যের প্রথম দু'লাইনের ছন্দ আমার পুরোনো দু'-তিনটা কবিতার একটা গুচ্ছের কথা মনে করিয়ে দিলো ।
অনেকট সরল এবং কারো কাছে হয়তো কাঁচাও লাগতে পারে ... ছন্দবৃত্তের ।
দেখি বের করে দেবো কখনো এখানে (সিসিবিতে) ।
আমার এ তাৎক্ষণিক মন্তব্যকে কবিতা বলবো সে দু:সাহস নেই লুৎফুল ভাই!
এ শুধু এক মুগ্ধ পাঠপ্রতিক্রিয়া
কবিতার জন্ম কিভাবে হয় তা যেন কিছুটা আঁচ করা গেল :boss:
হয়ে সব সত্যের উন্মোচন ... বন্ধু বেড়ে বলেছো ...
কড়া!!!!
ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক
😀
ফেসবুকে যা বলেছিলাম, তাই আবার বলি -
"অনেকগুলো ডাইমেনশন দেখলাম যেন......"
কোনটার সাথে থাকি আর কোনটাকে ছাড়ি, সেরকম একটা ডাইলেমা খুজে পেলাম।
কবি আসলে যা ই বোঝাক, পাঠক হিসাবে এইটাই আমার বুঝ......
ঠিক হোক বা ভুল, কার কি আর এসে গেল তাতে???
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
বটে । এক গুচ্ছ দৃশ্যপট তো আছেই এখানে ।
আর পাঠকের সকল ব্যাখ্যাই মূলত পাঠক ব্যক্তিটির আপন ভাবনা ও বোধের উপর নির্ভরশীল ।
🙂 🙂 (সম্পাদিত)