ঘরের অন্ধকার কোনা
কথা বলেই চলে;
কুয়াশার স্যাঁতস্যাঁতে স্বরে
চোখ বুজে গুটিসুটি মেরে পড়ে থাকি,
সে বলেই চলে, জল জঙ্গল,
বুনো হাস, নক্ষত্র আর মৃত্যুর গল্প
কুয়াশার মত জড়িয়ে ধরে
পৌঁছে যায় চামড়ার নিচে
অনবরত বলেতেই থাকে
আত্মা পুড়ে যায়
হাড়েরা পড়ে থাকে ধূলার মতন
ঘরের অন্ধকার কোনে …………
(শিরোনাম ডিপ্রেশন, বাংলায় বিষণ্ণতা … বিষণ্ণ কথাটার ভেতর একধরনের কোমল রোমান্টিসিজম কাজ করে কিন্তু ভয়াবহতাটা চোখে পড়ে না … এটা ব্যাক্তিগত মতামত যদিও আর এটা পূর্ব প্রকাশিত)
"ডিপ্রেশন" কিন্তু একটা ট্রিটেবল ও ম্যানেজেবল মানসিক রোগেরও নাম।
রোগাক্রান্ত অবস্থাটা যত ভয়াবহই হোক না কেন (সে তো জ্বর-জারি বা সর্দি-কাশির মত সাধারন দৈহিক রোগেও ভয়াবহ হাল হয় কখনো কখনো), তা নিয়ে কাব্য না করে চিকিতসকের সরনাপন্ন হওয়াটাই কি শ্রেয়তর অপশন না?
(কথাটা কি বেশী রুড শোনালো? তা মনে হলে খুবই দুঃখিত। তবে ঐ রুডনেসটা ইনটেন্ডেড। হয়তো রাতের গভিরতা বাড়ার সাথে এর কিছু একটা সম্পর্ক আছে...)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাই, অনেক ধন্যবাদ ...... লেখাটা কি ছুতে পেরেছে মনের কোনায়
ডিপ্রেশনের ছবিটা কি দাগ কাটলো মনের কোনায়।
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
নিজেই যে ডিপ্রেসড হয়ে আবোল-তাবোল বকা শুরু করলাম, তা কি ছোঁয়াছুঁয়ির যথেষ্ট প্রমান দেয় নাই?
জীবনে কখনো ডিপ্রেশনের মধ্য দিয়ে গেছে, এমন কারো কবিতাটা পড়া উচিত হবে না। সেই অনুভুতি ফিরে পেতে দেরী হবে না।
বর্ননা এতটাই সুলিখিত ও বাস্তব.....
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাই 😀 😀
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
ঘরের অন্ধকার কোনা যখন বলেই চলে, জল জঙ্গল, বুনো হাস, নক্ষত্র আর মৃত্যুর গল্প কুয়াশার মত পৌঁছে যায় চামড়ার নিচে ...
- আত্মমগ্ন অতল নিমজ্জনের এক আর্ত ছবি তখন চোখে ভাসে অনায়াসে ।
দৃশ্যপট খুব সহজেই তুলে আনে বিমর্ষ ও গভীরে নিমজ্জমান কোনো একটি মানুষের পোর্ট্রেট যার আত্মা পুড়ে যাচ্ছে আর হাড়েরা পড়ে থাকে পরিত্যাক্ত ধুলার মতোন ...
ধন্যবাদ লুৎফুল ভাই ............
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
বিষাদের কবিতা ভালো লাগেনা, কিন্তু ডিপ্রেশন মনে ধরেছে। চমৎকার
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
সাইদুল ভাই ... ধন্যবাদ 🙂
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
এটা ঠিক যে ডিপ্রেশনের ভয়াবহতাটা বিষন্নতায় বা বিমর্ষতায় দেখা দেয় না। আর এটাও ঠিক যে কবিতার শেষ স্তবকে ডিপ্রেশনের ভয়াবহতা ভূমিকম্পের মত নাড়িয়ে গেলো!
খায়রুল ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ ...
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
সহমত খায়রুল ভাই ।
বিষাদের এ ভার অসহ। সিম্পলি অসহ
তোমার ডিপ্রেশনের লেখা পড়ে আমার দা ইয়েলো ওয়ালপেপার গল্পের কথা মনে পড়ে গেল, অরূপ দাদা!
চিকিৎসক স্বামীটি তার মানসিক অসুস্থ স্ত্রীটিকে নিয়ে হাওয়া বদল করতে গেছেন শহর থেকে বহু দূরে। ডাক্তার সেখানে গিয়েও ব্যস্ত হয়ে পরলেন জাগতিক কাজেকমর্ে। ভদ্রমহিলা দিনমান একাকী দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকেন আর মাঝে মাঝে পাতার পর পাতা লিখে চলেন কত কী! এক সময়ে তার মনে হতে থাকে রুমের ঐ ইয়েলো ওয়ালপেপারের পেছনে আসলে একটি মেয়ে বন্দী হয়ে আছে! গল্পের শেষে দেখতে পাই মেয়েটি পাগলের মত ওয়ালপেপার ছিড়ে বন্দী মেয়েটিকে মুক্ত করে!
চমৎকার! :clap: