পুরুষকে নারী

akas

কাঁচের ঘরে শুই
আয়নাতে মুখ ধুই
তোমার পাঞ্জাবীতে
দ্বিধার হাতে ছুঁই

আমার হাতে দ্বিধা
তোমার হাতে মায়া
তোমার চোখের দিঘীয়
মেঘের অমল ছায়া

তোমার হাতঘড়িতে
এলার্ম বাজায় নূপুর
তোমার ডাকে ঘুঘু
একলা আকাশ দুপুর

মুখ নামিয়ে আনে
আমার কাধের পাশে
উদাস হাওয়ার টানে
দুঃখী দীর্ঘশ্বাসে

তোমার হাতের বশ
আমার কানের সোনা
তোমার লোমশ বুকে
মুখ ভেজাবো না

মুখ ভেজাবো জলে
মুখ ভেজাবো চাঁদে
রাখবো থুতনী আর
তোমার চওড়া কাঁধে

কাঁচের ঘরে শুই
আয়নাতে মুখ ধুই
তোমার পাঞ্জাবীতে
দ্বিধার হাতে ছুঁই

বিস্তারিত»

বন কাঁঠাল

[একটি ফাঁকিবাজি ছবি ব্লগ]

বন কাঁঠালের কথা ছোট বেলা থেকেই শুনেছি । কিন্তু দেখা পেলাম এত দিনে। পুঠিয়া ত্রিমোহিনী মোড়ে প্রতিদিন বিকালে ফল বিক্রি হয়। এক ফল বিক্রেতার ডালিতে নতুন এক ধরণের ফল দেখে আগ্রহ জন্মালো। তার কাছেই জানতে পারি কেউ কেউ ফলটাকে ডেউয়া বলে আবার কেউ বলে বন কাঁঠাল। তার নিজের বাড়ির ফল। পারভেজ ভাইয়ের মত জীবন্ত ফসিল হবার ইচ্ছা হল। তাই একটু খোজ খবর নিলাম।

বিস্তারিত»

বল ইন দি ফ্লাইট…


কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ; আন্তঃ ক্যাডেট কলেজ বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা- ২০০৬; ফাইনাল ম্যাচ।
মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ (ম ক ক) বনাম ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ ( ঝ ক ক)
স্কোর বোর্ডে মকক ৫৫ বনাম ঝকক ৫৭, স্টপ টাইম কীপারের হাতে স্টপ ওয়াচ এ সময় আছে মাত্র ১৫ সেকেন্ড। মেজর রাশিদ চিৎকার করে বলবেন, “টেক থ্রী পয়েন্ট শট। জাস্ট রিলিজ দি বল নাজের।“ অ্যাডজুট্যান্টের কথা অনুযায়ী থ্রী পয়েন্টের জন্য শট নিলেও তা রিং এ লেগে বেরিয়ে যেতেই রেফারী বাঁশি বাজিয়ে সময় সমাপ্তির ঘোষনা দিতেই ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের উৎফুল্ল দর্শকরা জয়ধ্বনি করতে করতে মাঠে প্রবেশ করে উল্লাসে মেতে উঠলো।

বিস্তারিত»

জেগে ওঠো বীর

জেগে ওঠো বীর
এসো এসো রণবীর!
ক্ষ্যাপা প্রলয়ে ভেঙ্গে ফেল আজ
জীর্ণ পাতার নীড়।
শত জননীর মহা ফরিয়াদ
গুমরে ফিরে বিদীর্ণ নাদ
ক্রন্দন ঢেউ উছলিছে বাধ-কল্লোল বারিধির,
কতকাল ঘুমাবে দামাল নিশ্চুপ গম্ভীর!
জেগে ওঠো দিকপাল
জিঞ্জির পায়ে নকশি কাঁথায়
কাটিয়েছ মহাকাল।
মহা ঝঞ্ঝায় ভেঙ্গে গেছে দ্বার
অমানিশায় খেয়া পারাপার
পিশাচের ফাঁদে কাঁদে হাহাকার তরঙ্গ উত্তাল,

বিস্তারিত»

ক্যাডেটতত্ত্ব (পার্সোনাল ভার্সন)

কোন ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটরা কেমন তা ভালোভাবে বুঝার জন্য আইসিসি কম্পিটিশন কিংবা বিএমএর কোনো বিকল্প নাই ।

দশটি কলেজ নিয়ে দশ রকম গল্প প্রচলিত ছিলো ।(তখনো এফজিসিসি আর জেজিসিসির জন্ম হয় নি )

আজকে অন্য কোন কলেজ নিয়ে বলবো না, নিজের টা নিয়েই বলি । অন্য কলেজের তুলনায় আমাদের কলেজের ক্যাডেটরা কম মাস্তি করে । কেমন জানি, সবাই একটু ভাব নিয়ে থাকে ।

বিস্তারিত»

দেখা হয়নাই চক্ষু মেলিয়া, রাত্রি কাটিলো তাবু খাটাইয়া।

শনিবার সকাল সাড়ে আটটা। ল্যাপটপের সামনে বসে ঘুম তাড়াচ্ছি। সিড়িঘরে পায়ের আওয়াজ পেয়ে বুঝলাম ওরা বুঝি এলো। অমিত, ধ্রুব, সনেট, প্রিয়ম, ও নির্ঝর। আমার রুমমেট জোসেফের এমআইএসটির বড় ভাই ও তার বন্ধুবান্ধবের দল। মিশিগান আপার পেনিনসুলার প্রাকৃতিক নৈঃসর্গের সুনাম শুনে গাড়ি ভাড়া করে চলেই এল ইলিনয়ের দক্ষিণের রাজ্য ইন্ডিয়ানা থেকে। দুষ্ট মস্তিষ্ক আরেক দুষ্ট মস্তিষ্কের কথার তরঙ সহজেই ধরে ফেলে। আমার রুমে এসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে দু-চার মিনিটের পরিচয় পর্বের মাথায়ই নির্ঝর মার্লবোরোর প্যাকেট বের করে জিজ্ঞাসা করলো,

বিস্তারিত»

তোমার জন্য

তোমার জন্য, নতুন কোন মহাকাব্য লিখতে পারবো না,
ভালবেসে কোন প্রেমের কবিতা পড়ে শোনাতে পারি…

শীতের রাতে কাঁপতে কাঁপতে বারান্দায় দাড়িয়ে কথা বলতে পারবোনা মুঠোফোনে।
খুব বেশি হলে, কথা হবে ঘুম জড়ানো গলায়-
কম্বলের উষ্ণতায়।

বিউটি পার্লারের সামনে দাঁড়তে পারবো না এক কিংবা আধা ঘন্টা,
লাল টিপ আর খোলা চুলেই আমি খুশি; অনেক বেশি।

তোমার মন খারাপের রাতে জেগে থাকবো তোমার সাথে-
হিন্দি সিনেমা দেখতে বোলো না প্লিজ।

বিস্তারিত»

বিবর্তন

আজ আমি ভিষন বিভ্রান্ত
বিবর্তনবাদ কি মিথ্যা ?
একেবারে ফেলনা ?
কি বলে একাত্তর
কিংবা পঁচাত্তর ?
অন্তঃসত্ত্বা নারী
অবোধ শিশু
পিতার খুনে উল্লাসে
মেতে ওঠে দুপেয়ে
পশুর দল।
ওরা কি হায়েনা
বা হাঙ্গর নয়?
নরবেশী কিংবা বিবর্তিত!
যাদের রক্তবীজে
গজিয়ে উঠেছে
হাজারো বিষবৃক্ষ
স্থলে জলে অন্তরীক্ষে
সদম্ভ বিচরণ।

বিস্তারিত»

মুক্তিযুদ্ধে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
দুঃসহ এ বেদনার কণ্টক পথ বেয়ে
শোষণের নাগপাশ ছিঁড়লে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
যুগের নিষ্ঠুর বন্ধন হতে
মুক্তির এ বারতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
কৃষাণ-কৃষাণীর গানে গানে
পদ্মা-মেঘনার কলতানে
বাউলের একতারাতে
আনন্দ ঝংকারে
তোমাদের নাম ঝংকৃত হবে।

বিস্তারিত»

ধোঁকামী, …অতঃপর, সি.এম.এইচ ভ্রমণ

ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে আমি ছিলাম দুর্দান্ত ভাল ছাত্র। আমার স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল জাহাঙ্গীর স্যার(বহিষ্কার হওয়া এক্স-ক্যাডেট), আমাকে ‘অ্যাটম বোমা’ উপাধি দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, আমি এম্নিতে শান্ত, কিন্তু পরীক্ষার সময় সবাইরে ফাটায়ে ফেলি আর কি! ধারে কাছে কেউ থাকে না। তো এই আমি ক্যাডেট কলেজে আসার পর সম্পূর্ণ বদলে গেলাম। অ্যাটম বোমা থেকে খুব দ্রুত সাধারণ পটকা হয়ে গেলাম। ক্লাস সেভেন লাইফটা ৪ থেকে ১০ এর মধ্যেই পার করেছি।

বিস্তারিত»

আমার রেজাল্ট

২০০৩ সালের কথা। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল দেবার দিন। বগুড়াতে বাসায় ছিলাম। তখনও ইন্টারনেটে ফল দেয়ার চল শুরু হয়নি। মোবাইল নেটওয়ার্কের প্রসারও তেমন হয়নি। সবাই নিজেদের রেজাল্ট জানতে তখন মাঞ্জা মেরে স্কুলের নোটিশ বোর্ডের সামনে ভিড় জমাত। আমার কলেজ রংপুরে হওয়ায় আমার সে সুযোগটা ছিল না। সবেধন নীলমণি টিএন্ডটি ফোনই ছিল যা ভরসা। কিন্তু সে সময় বাসায় ফোনটা নষ্ট। রেজাল্ট জানার একমাত্র উপায় বাবার অফিস থেকে ফোন করা।

বিস্তারিত»

ছেলে-ধরা

হয়তো আগেও সমস্যাটা ছিল সুপ্ত অবস্থায়, কিন্তু জিনাত বেগম এখন তা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছেন। বিশেষ করে আগের দিন শাকিলার বাসা থেকে ফিরে আসার পর থেকে। ফলাফল গতরাতের পুরোটাই কাটলো নির্ঘুম অবস্থায়। পরদিন সকালে উঠলো মাইগ্রেনের ব্যথা। অনিদ্রা আর মাইগ্রেন – একেবারে কান আর মাথা। একটা টানলে আরেকটা সুরসুর করে এগিয়ে আসে। সেই সাথে শুরু হবে আরও কিছু যন্ত্রণাদায়ক উপসর্গ। যেমন, খাবারের অরুচি, বমি বমি ভাব।

বিস্তারিত»

আহারে সোনালী দিন !

বেজোড় ক্যাডেট নাম্বার হলেও হিউম্যানিটিজে পড়ার সুবাদে সাড়াটা ক্যাডেট লাইফ বি ফর্মেই কাটাতে হয়েছে। মাঝে মাঝে তিন জনের জন্য ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহৃত ছোট্ট খুপড়িটিও বিশাল মাঠ মনে হত স্কেল আর কাগজ দিয়ে ক্রিকেট খেলার জন্য। ঘুমের জন্য ওই রুম টার চেয়ে শান্তির জায়গা মনে হয় নিজের হাউজের রুমটাও ছিল না। রাতে তো ঘুম আসে না, ঘুম আসে টিচার দেখলে। আর সেই সময়ে ওই ছোট্ট রুমটার বিকল্প আর কোথাও ছিল বলে মনে হয় না।

বিস্তারিত»

আষাঢ়ে নয়

শ্রাবণের খরা

আষাঢ়ে নয় আষাঢ়ে নয়
শাওন মাসের কথা,
রোদে পুড়ে ঘেমে নেয়ে
গর্মী ঘোরায় মাথা!
বর্ষাকালে ভিজলো কোথায় ?
গরম হল ছাতা !
খরার চোটে হলদে হল
সবুজ ধানের পাতা !
হালকা চাপের দখিন হাওয়া
সাগর থেকে এলে,
ভরবে তবেই উত্তরের
পুকুর ণই  জলে !

শ্রাবণী

চকোর হতে চাইছে এ মন
চল উড়ে যাই আকাশে !

বিস্তারিত»

বাঙ্গাল ইউটোপিয়াঃ জলে যন্ত্রণা

বানৌজা ফিরোজ কবীর। দেশীয় প্রকৌশলীদের তৈরী প্রথম ডুবোজাহাজ। সজীবের নেতৃত্বে একঝাঁক নিবেদিতপ্রাণ প্রকৌশলী তাদের মেধা মনন কাজে লাগিয়ে একবছরে তৈরী করেছে ডুবোজাহাজটি। বানৌজা ফিরোজ কবীর ছুটে চলেছে বঙ্গোপসাগরের শেষ সীমানার দিকে। নারিকেল জিঞ্জিরা পাশ কাটিয়ে যাবার সময় বাকা প্রধান এডমিরাল নেপোলিয়ন উজরাত একটু স্মৃতিকাতর হলেন। এখানে এসে অদম্য রাহিম ভাই দম হারিয়ে ফেলেছিলেন ডুবোস্রোতে। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্রোতটির নাম রাখা হয়েছে রাহিম ঘূর্ণী।

বিস্তারিত»