কোন ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটরা কেমন তা ভালোভাবে বুঝার জন্য আইসিসি কম্পিটিশন কিংবা বিএমএর কোনো বিকল্প নাই ।
দশটি কলেজ নিয়ে দশ রকম গল্প প্রচলিত ছিলো ।(তখনো এফজিসিসি আর জেজিসিসির জন্ম হয় নি )
আজকে অন্য কোন কলেজ নিয়ে বলবো না, নিজের টা নিয়েই বলি । অন্য কলেজের তুলনায় আমাদের কলেজের ক্যাডেটরা কম মাস্তি করে । কেমন জানি, সবাই একটু ভাব নিয়ে থাকে । একটু বেশি সিরিয়াস । নাক উচা স্বভাবের ।
এরকম অনেক অদ্ভুদ আর অবাক করা নালিশ আমাদের বিরুদ্ধে । আমি এর কোনটাই অস্বীকার কিংবা এসবের বিপক্ষে যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করবো না ।
সিসিআর এর এক ফ্রেন্ড আমাকে কলেজ নিয়ে এই রকম এটাক করলে আমি তাকে একটা উদাহরণ দিতে বলেছিলাম ।
তোরা ২০০৫ এর আইসিসিএইচএম এ প্রোপার মার্চ করে গ্রাউন্ডে ঢুকছিলি ।
তো ???
আর কোনো কলেজ তো ঢুকে নাই ।
এতে প্রবলেমটা কই !!!
ওর জন্য আমরা বকা খাইছিলাম ।
ব্যাপারগুলো চিন্তা করলে সত্যি অনেক মজা লাগে ।
গড়ে আমাদের কলেজ থেকে সবচেয়ে কম ক্যাডেট আর্মিতে আসে । কেন আসে তা আমি নিজেও জানি না । হয়ত প্রায়শই বিএমএ ক্যাডেটদের দেখতে দেখতে ফ্যাসিনেশনটা কমে আসে । কিন্তু এর ভুক্তভোগী আমি নিজেও । মিলিটারী ট্রেনিং এর সময় সবার প্রতি কোর্সে ১০/১৫ জন কলেজ ভাই ছিল, আর আমাদের ছিল ২/৩ জন !!!
প্রতিটা ক্যাডেট কলেজের প্রচলিত নিজস্ব কিছু রীতিনীতি থাকে । এরপরও কিছু কিছু ব্যাপারে সবার চিন্তা ভাবনা পুরোপুরি এক । গত রিইউনিয়নে কলেজে গিয়েছিলাম । ২০০০ সালের আমি আর তখনকার ক্লাস সেভেনদের চিন্তাভাবনা কিংবা মানসিকতায় খুব একটা পার্থক্য বের করতে পারি নি ।
বেল্ট/টাই লুজ করে পরা, চুল/চিপ বড় রাখা, বৃহস্পতিবারের রাইজিং স্টারটা সবার আগে চুরি করে নিজেদের রুমে নিয়ে যাওয়া, স্যারদের টিজ করা, স্টাফদের পাত্তা না দেয়া, হাঊজ বেয়ারারকে ম্যানেজ করে খাবার আনানো, ডাব চুরি করা, পিটি/প্যারেডে লেট করা, কলেজ পালানো ……..এইসবের ভিত্তিতে আমাদের কিছু প্রিয় সিনিয়র ছিলো, হয়ত আমরাও ছিলাম ।
আর এই ক্যাডেটীয় ট্র্যাডিশনগুলো যুগ যুগ ধরে চলে আসছে । এইসবের ক্ষেত্রে কোন এমসিসি, জেসিসি কিংবা বিসিসি নাই, এখানে শুধুই সিসি …।
অবাক লাগে যখন ভাবি, মিলিটারী একাডেমির দুই বছরের কম্প্রেসড, ভিগোরাস কিংবা রিগোরাস ট্রেনিংও কাউকে ক্যাডেট বানাতে পারে না । যখন ১০ বছর সার্ভিস লেন্থের এক মেজরকে তার সিনিয়র জিজ্ঞেস করে, আর ইউ ক্যাডেট অর সিভিল ???
জিনিসটা ভালোই লাগে । এই ভালোলাগার কোনো পরিমাপ নেই ।
কোন প্রকার রুলস, রেগুলেশন, ডিসিপ্লিন কিংবা ট্রেনিং দিয়ে ক্যাডেটকে সংজ্ঞায়িত করা যায় না । অনেক কষ্টের মাঝেও ছোট ছোট আনন্দগুলো ভাগাভাগি কিংবা বন্ধুর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা দিয়ে হয়ত একে হাল্কাভাবে অনুধাবন করা সম্ভব ।
ক্যাডেটতত্ত্ব ভাল্লাগছে।
এই ব্লগে প্রথম হতে পেরে আরো ভাল্লাগছে।
[ক্যাডেট ১২ বছরে যেরকম, ৭২এও সেই একই রকম 😛 ]
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
একদম মনের কথা। (সম্পাদিত)
Life is Mad.
সায়েদ ভাই, আরেকটা টুশকী সিরিজ হবে নাকি? 😀 আপনার পুরান লেখা গুলো আর কত পড়ব ভাই?
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
ভাল লাগলো :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
থ্যাংকস, মাহমুদ ভাই, রাজীব ভাই, সায়েদ ভাই এবং আহসান ভাই । 🙂 🙂 🙂
Coming together is a beginning; keeping together is progress; working together is success..
একটা মজার কাহিনী কই, আমার দোস্ত (ভুইলাই গেসিলাম আমাদের ব্যাচ এখন মেজর) নূরের কাছে শোনা। ও তখন ঢাকার কোন এক বড় অফিসারের (পদবী ভুইলা গেসি) এডিসি। কোন এক মিটিং এ সব জিওসিরা আসছে। ব্রেকে আড্ডা চলতেসে। সম্ভবত তখন সিংহভাগ জিওসি এক্স-ক্যাডেট। কথা প্রসংগে একজন জিজ্ঞাসা করলো, 'আপনি কোন কলেজের?' পাশের আরেকজন উত্তর দিলো "আরে ও আমার কোর্সের। সিভিল।" তখন সেই "সিভিল" জিওসি বিমর্ষ হইয়া উত্তর দিলো "ফৌজে চাকরী কইরা মেজর জেনারেল পর্যন্ত হইয়া গেলাম কিন্তু গায়ে থেইকা সিভিল নামটা মুছতে পারলাম না। হায়রে ক্যাডেট কলেজ।"
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
:)) :)) :)) :)) :)) :)) , মোকাব্বির ভাই
Coming together is a beginning; keeping together is progress; working together is success..
:thumbup:
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.