চার্চ, শুঁড়িখানা ও অশনির সংকেত

গল্পটা মোটামুটি এরকম – একদিন এক চার্চের ঠিক সামনেই একটা শুঁড়িখানা চালু হল। এহেন দুষ্কর্মে ক্ষুব্ধ হয়ে চার্চের পাদ্রি-পুরুতগন দিন রাত ওই শুঁড়িখানার বিরুদ্ধে ঈশ্বরের কাছে নালিশ দিয়ে প্রার্থনা করতে লাগলেন। তাঁদের লাগাতার বদ-দোয়ার কারনেই হোক কিংবা নিছক কাকতালীয়ভাবেই হোক, কয়েকদিন পরেই বজ্রপাত হয়ে শুঁড়িখানাটি পুড়ে ধ্বংস হয়ে যায়। তখন শুঁড়িখানার মালিক আদালতে গিয়ে চার্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিল। সে বলল, শুঁড়িখানার বিরুদ্ধে এই চার্চের পাদ্রি-পুরুতদের প্রার্থনার কারনেই সেটি ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিস্তারিত»

সিসিবি জমজমাট!

সিসিবি আবার জমে উঠছে, উঠেছে।

আমার অনেক ভাল্লাগছে!

(এইটা মনে হয় একটা পরমাণু ব্লগ হয়ে গেল)

বিস্তারিত»

জীবনের মানে…………………

জীবনের মানে
————-
————-
কথাঃ বাপ্পী খান
সুর-সংগীতঃ আইউব বাচ্চু
শিল্পী-ব্যান্ডঃ এল.আর.বি
এ্যালবামঃ ডাবল এ্যালবাম (১৯৯২)
——————————-
——————————–

জীবনের মানে আমি পাইনিতো খুঁজে,
আমার দুচোখ তাই অভিধান খোঁজে।
আমি সারাদিন যারে কাছে পাই,
জানতে চেয়ে পাইনা জবাব ফিরে চলে যাই।

একদিন দেখা হলো সময়ের সাথে,
একটি প্রশ্ন আমি রেখেছিনু তারে।

বিস্তারিত»

চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম

এবারের ঈদ ছিল আমার জন্য ঘুমানোর ঈদ। চাকরীর বিড়ম্বনায় ভোর পাঁচটায় দিন শুরু করে তারপর প্রায় পুরোদিনই ঘুমিয়ে কেটেছে। ঈদের পরের দিন বেশ অপ্রত্যাশিতভাবে ছুটি পেয়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি করে ছুটলাম বাস কাউন্টারে। উদ্দেশ্য প্রথম যে বাস পাবো সেটা চড়েই ঢাকায় যাত্রা। ভাগ্যে মিললো এমন এক বাস যার সড়ক পথেই উড়িয়ে নিয়ে যাবার বিশেষ সুনাম(?) আছে। শেষবার এই বাসে চড়েছিলাম প্রায় ১০ বছর আগে, সেবারো ঈদের পরের দিন,

বিস্তারিত»

জাতিসঙ্ঘে ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাংলায় ভাষণ দেয়া উচিত

ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিঃ মোদী এবার জাতিসঙ্ঘে হিন্দিতে ভাষণ দিয়েছেন। উপমহাদেশের একটি অন্যতম ভাষাকে বিশ্বসমাজে তুলে ধরার জন্য আমি তাঁকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল হিন্দিতে কেন? বাংলায় কেন নয়?
ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য দিয়ে একটি রাষ্ট্রের নিজস্ব আইডেন্টিটি তৈরি হয়। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকেরই উচিত যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে তাঁদের সেই আইডেন্টিটি গুলোকে সমুন্নত করা। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি আছে ভাষা সম্পর্কিত, যেমন, রাষ্ট্রভাষা,

বিস্তারিত»

কিসমত মাড়িয়া মসজিদ

কিসমত মাড়িয়া মসজিদ

ঢাকা রাজশাহী মহাসড়কের পাশে শিবপুর বাজার। রাজশাহী শহর থেকে দূরত্ব প্রায় ২৫ কিমি। শিবপুর বাজারের উত্তর দিকের রাস্তায় কিলো পাঁচেক গেলে পালি বাজার। পালি বাজার থেকে কিলো দুয়েক উত্তর পশ্চিমে কিসমত মাড়িয়া মসজিদ। মুঘল আমলের এই স্থাপনাটি রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের কিসমত মাড়িয়া গ্রামে অবস্থিত। মসজিদটির চারপাশে ফসলের ক্ষেত আর বাগান। ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী তারিখে মসজিদটি দেখি।

বিস্তারিত»

আমার বন্ধু লুবনা

কলেজে থাকাকালীন সময়ে আমি কখনই লুবনার প্রিয় বন্ধু ছিলাম না। লুবনা বরং আমাকে মারতো সময় সুযোগ পেলে। মার্চ পাস্ট করে একাডেমিক ব্লকে যাচ্ছি তো লুবনা আমার অক্সফোরড শু খুলে দিলো লাথি মেরে। সাইডে বসে জুতো পরছি, ও এমন একটা লুক দিল যে মনে হতো দেখিস একদিন আমিও… সেই একদিন কখনোই আসে নাই ক্যাডেট কলেজে থাকাকালীন সময়ে। অনেক কারিগরী করে দুই ইঞ্চির একটা বিনুনি করলাম চুলে,

বিস্তারিত»

আলাপনঃ দুই

– বাবার পাঞ্জাবীর নীচে ন্যাপথলিনের সুবাস মাখা একটি বাজুবন্দ সযতনে রাখা আছে এখনো। মায়ের স্মৃতির এই গয়নাটি ঘুমোয় অনন্তের ঘুম আর আমি অনন্ত তৃষ্ণা নিয়ে অপেক্ষা করি তোমার। চায়ের আড্ডায় চকিতে কোন হরিণ চোখে চোখ পড়তেই মনে হতো আহা! এই কি সেই মেয়েগো, যাকে খুঁজে ফিরছি আজন্মকাল?

– একই শহরের আলো হাওয়ায়, একই রোদ জল, রংধনু আর ছুটে যাওয়া তারাদের দেখেই আমাদের বেড়ে ওঠা,

বিস্তারিত»

ঈদ মুবারক (অনুব্লগ)

৪ অক্টোবর ২০১৪। বেলা ৩টা। বাড়ি যাবার জন্য অটো ঠিক করতে বের হচ্ছি । দরজা খুলতেই দেখি, জুতোজোড়া হাওয়া। বাড়ি যাবার আগেই কুরবানি হয়ে গেছে। অগত্যা স্যান্ডেল পায়ে বের হওয়া। বার্মা থেকে আগত এই পাদুকা যুগল অং সান সুকীর মত দীর্ঘ সংগ্রামে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত। রাজপথে সারমেয়দলের কার্তিকপূর্ব বেহায়াপনা আর সদন্ত গর্জন। চৌদ্দ হুলের হলাহলশংকামুক্তার্থে ত্রস্ত পদচারণ।অতঃপর কুড়ি কদমদৈর্ঘ্য অতিক্রমের পূর্বেই পটপট শব্দে পাদুকাযুগলের প্রতিবাদী আত্মহনন।

বিস্তারিত»

একরাতে – মিশিগানের পথে

ওই দ্যাখো,
হাইওয়ের শেষে
চাঁদের হঠাৎ উল্লম্ফন!
বুনো ঝাড় আর
দুর্বিনীত-লজ্‌ঝরে ট্রাকের
গা বেয়ে আকাশে
উঠে আসে
একটিমাত্র লাফে’

বিস্তৃত পথ তখন নদী হয়ে গেলে
হরিণেরাও
ত্রস্ত থাকেনা আর।
দী-ঈ-র্ঘ দী-ঈ-র্ঘ পায়
জলাভূমি ঠেলে
এপার ওপার করার
দুর্মর বাসনায়
তাদের চন্দ্রাহত চোখ
খানিক
জুলজুল করে উঠেই –

বিস্তারিত»

টুকরো কবিতা ও গান অথবা জীবন থেকে কেঁটে নেয়া ফ্রেম

আমি তোমার দূরে থাকি কাছে আসবো বলে

অনেকবারের চেষ্টাতেও কখনও তার কথা বলা যায় নি। হয়তো আসলে বলবার মত তেমন কিছু ছিলও না। তার মৃদু সঞ্চারণের পাশে বিকেলের বয়ে চলা দেখেছি প্রতিনিয়তই। এর বেশি কখনও বলতে পারতাম? রবীন্দ্রনাথের গল্পের নায়িকাদের মত বিশেষত্ব তার নেই এই কথা অবশ্য বলা যায়। তারপরেও সে আমার নজরে এসেছিল মূলত তার নির্লিপ্ততার জন্য। তার মধ্যে এক ধরণের পাগলামি ছিল।

বিস্তারিত»

আহ, হিপোক্রেসি!

ব্যক্তিগত ভাবে মানুষের যে দোষগুলিকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করি তার তালিকায় হিপোক্রেসি একদম উপরের দিকেই থাকবে, সে কারনে সব সময় চেষ্টা করে এসেছি নিজেকে এর মুক্ত রাখতে এবং এই দোষে দোষান্তিত মানুষদের থেকে দূরে থাকতে। কিন্তু এর কোনটিই শতভাগ অর্জন করা সম্ভব হয়নি। নিজে হিপোক্রেসি মুক্ত থাকার আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, কিছুটা হয়ত সফল ও হয়েছি কিন্তু হিপোক্রেটদের থেকে দূরে থাকার প্রচেষ্টায় রীতিমত ব্যর্থ। বাস্তব জীবনে বিভিন্ন অনিবার্য কারনে অনেক হিপোক্রেটদের সাথেই হাসি মুখে কথা বলতে হয় আর ভার্চুয়াল জগতে বন্ধু তালিকায় ছাকনি চালাতে চালাতে ঠগ বাছতে গা উজাড় হবার উপক্রম হলেও খোমাখাতা হিপোক্রেসি ভরপুর।

বিস্তারিত»

আলাপনঃ এক

– এই চুপ! কথা নয় একটিও! শুষে নিতে দাও তোমার গোলাপ ঠোঁটের রঙ

– আহা! যেন খাও নি কখনো! আজই যেন তোমার প্রথম পাঠ?

– খেয়েছি, কিন্তু প্রতিবারই তোমার ঠোঁট নতুন মনে হয়। কখনো শ্রীমঙ্গলের কমলালেবুর মত রসে ভরা, আবার কখনোবা ক্লেমেন্টাইনের মত, আলাদা এক একটা কোষ যেন সযত্নে মোড়া সোনালী রাংতায়। মাধুরী, কী আছে বলো তোমার ঐ ট্যাঞ্জারিন ঠোঁটে?

বিস্তারিত»

একটি স্বপ্ন দৃশ্য

ধান খেতের পাশে ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর। রোয়াকে মাদুর পেতে ভাত খেতে দিয়েছ তুমি। সামনে দস্তরখানায় গরম বিরুই চালের ভাত। ধোঁয়া উঠছে। সাথের আয়োজন সামান্যই। টেংরা মাছের ঝোল জলপাই দিয়ে। বৈলর হাটের লাল লাল জাম আলুর ঝাল ঝাল ভর্তা। ছোট একটা পিরিচে আছে কালো জিরা ভর্তাও। আমি বললাম,

তুমি খাবা না? তুমিও বহ আমার লগে।

কিছু না বলে তুমি একটা তালের পাখা নিয়ে হাওয়া করতে বসলে।

বিস্তারিত»