Mocha উইথ আ ‘k’ ফ্রম মিশিগান – ৪র্থ সংস্করণঃ তোমার শীতল স্পর্শে আমার ফ্রস্টবাইট।

অল্প লিনাক্স বিদ্যা কার্যকরী
লাইব্রেরীর তিনটি তলার মোট শ-খানেকের উপরে কম্পিউটারের সবগুলো কারো না কারো দখলে। শুধুমাত্র দ্বিতীয় তলার ৬টি কম্পিউটার খালি পড়ে আছে। অবাক হয়ে কাছে গিয়ে দেখি ছয়টি কম্পিউটারের স্টিকারে লিখা “লিনাক্স বুট অনলি।” চলচিত্রের বিখ্যাত ভিলেন প্রয়াত রাজিবের মত অট্টহাসি দেয়ার ইচ্ছা সংবরণ করে একটিতে বসে পড়লাম। আইন ও পলিসি সায়েন্সের ছাত্র হয়ে লিনাক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি ভালবাসাটা বেশখানিকটা “সমাজ বহির্ভূত” বলা চলে। কিন্তু আজ আমি ধন্য। একসময় উবুন্তু অনেকদিন ব্যবহার করেছি। এরপরে বন্ধু তারিকুল, ছোটভাই তুহিনের কথায় পা বাড়ালাম উবুন্তু ভিত্তিক লিনাক্স মিন্ট সিরিজের দিকে। ইদানিং কিছুটা বাধ্য হয়ে গেটস সাহেবের আট দশমিক এক নম্বর লোকাল বাসে চড়লেও ছোট মৃতপ্রায় পুরাতন ল্যাপটপটি বেঁচে আছে উবুন্তুভিত্তিক লিনাক্স মিন্ট ১৭ (সিনামন)-এর কল্যাণে। গুঁতোগুঁতি করে যতটুকু বুঝলাম এটি রেড হ্যাট ওয়ার্কস্টেশান ৬.৫ (সান্টিয়াগো)। মোটামুটি বৈচিত্র্যহীন একটি ইন্টারফেস। তবে বাঙলায় কিভাবে লিখবো সেটা চিন্তা করতে করতে খুঁজে বের করে কী-বোর্ড লে-আউটে গেলাম। প্রভাত বাঙলা কিব‌োর্ড যোগ করে নিয়ে শুরু করে দিলাম লিখা। ভিতরের কাহিনী জানি না তবে লিনাক্সে ইন্টারনেট স্পীড সবসময় অবিশ্বাস্য পর্যায়ের দ্রুতগামী হয়। আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে লিনাক্স ব্যবহার করি কারণ আমি জানি কম। একটি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের বারোটা বাজাতে হলে আপনার অনেক কিছু জানতে হবে। লিনাক্সের ক্ষেত্রেই সম্ভবত অল্পবিদ্যা তেমন ভয়ংকর নয়।

হিংরেজী
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির জন্য ক্যাফেতে বসে আছি। দূরের টিভিতে লীগ পর্যায়ের ফুটবল চলছে। সামনে বসা গুটিকয়েক ছেলেপেলে। মোটামুটি নিশ্চিত দক্ষিণ এশিয়ার (ভারত) হবে। নিরামিষাশী হবার চেষ্টা করছি। মার্কিনি লেনটিলস ও স্প্লিট পি দিয়ে ঘন ডাল বানিয়েছি। সাথে আছে সিদ্ধ ব্রকলি। ব্রকলি আলসেমির কারণে কড়াইতে না ভেজপ মাইক্রোওয়েভেই সই। হঠাৎ বেশ জোরালো কন্ঠে হিন্দী কানে ভেসে এলো। সাধারণত প্রতিবেশীদের দুই ভাষা, যথাক্রমেঃ হিন্দী ও উর্দু, আমি বুঝি না। যতটুক বুঝি সেটা না বোঝার ভান করে থাকি। কিন্তু এবারের হিন্দীটা কেমন জানি কানে বাঁধলো। কান সজাগ করতে যেটা বুঝলাম সেটা সম্ভবত অনেকেই বুঝবেন। রেডিও স্টেশনের রেডিও জকিদের বাঙলা-ইংরেজীর মিশেলে কথা যেরকম শোনায়, এই মেয়ের হিন্দীটা ঠিক তেমনই হিংরেজী শোনাচ্ছিল। প্রয়োজনের চাইতে বেশী ইংরেজী শব্দের ব্যবহার। শুদ্ধ উচ্চারণ কোনটি তা জানা নেই তবে কেন জানি মনে হচ্ছে র-ড় এর প্রচুর ভুল প্রয়োগ হচ্ছে। পার্থক্যটি আরো স্পষ্ট হলো যখন আরো দুইতিনজন কথ্য/আঞ্চলিক হিন্দী ভাষাভাষী এসে সেখানে যোগ দিল। বড় দেয়ালের ওপারে বসা ছিল ওরা। চেহারায়, পোষাকে মানুষ বোঝা দায় তারপরেও দেখতে চাইছিলাম এই দুই ধরনের হিন্দী ভাষাভাষীর পোষাকে, চেহারায় পার্থক্য আছে কিনা। সন্ধ্যায় মধ্যপ্রদেশের ভারতীয় সহকর্মীকে জিজ্ঞাসা করলাম এই ব্যাপারে। সে বললো ইংরেজী মাধ্যমে যারা পড়েছে এবং মেগাসিটির ধর্নাঢ্য পরিবারে যাদের জন্ম তারা সাধারণত ওভাবে হিন্দী বলা শেখে। হয়তো ওর মন্তব্যটি ঢালাও হয়ে গিয়েছে কিন্তু আমিও খানিকটা ওরকমই চিন্তা করেছিলাম।

প্রথম প্রেমের মত, প্রথম কবিতা এসে বলে, চুলায় ভাত পুড়ে গেল
পৃথিবীতে সবচাইতে বিপদজনক মানুষ হলো নতুন প্রেমে বিশেষ করে প্রথম প্রেমে পড়া মানুষ। কারণটা নিচের চিত্রে দেখুনঃ
Untitled

হিমশীতল চাদরে ঢাকা মার্কিন সাম্রাজ্য এবং “ক্লাইটমেট ডিনায়ার্স” নামক উজবুকেরা, ফিচারিং বেকুব হাতির দল
গতকাল কোলবেয়ার রিপোর্ট দেখছিলাম। গতবছরের মত এবছরও ভয়াবহ তুষারপাত ও শৈত্যপ্রবাহ আঘাত হেনেছে মার্কিন রাজ্যগুলোতে। এবারে আরো নির্মমতার পরিচয় দিয়েছে প্রকৃতি। দুর্ঘটনা ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ জন। মার্কিন গণমাধ্যম গত বছর নামটা দিয়েছিল পোলার ভরটেক্স। আবহাওয়া ও জলবায়ুবিদ্যা থেকে নামটি ধার করা। বুঝে করেছিলো কিনা জানি না। কিন্তু ভোগবাদী মার্কিন জনগণের দরকার নতুন মোড়ক, নতুন আকর্ষণ। তাই পোলার ভরটেক্সের নাম পরিবর্তন হয়ে এবছর এলো পোলার প্লাঞ্জ। ফক্স নিউজ ও তার সমমনা সাঙ্গপাঙ্গরা তোতাপাখির মত গত দুদিন ধরে “পোলার প্লাঞ্জ” শব্দটি জপে যাচ্ছে। যাহা নারিকেল তাহাই কোকোনাট। অথচ আবহাওয়াবিদরা এবছরের বিনা মেঘে তুষারপাতের কারণ হিসেবে দায়ী করছেন লেক ইফেক্ট তুষার ঝড়, পোলার ভরটেক্সের বাৎসরিক ভ্রমণ, গিট্টু লেগে যাওয়া জেট স্ট্রিম, এবং এক ভয়াল টাইফুনকে। মাঝে দিয়ে মার্কিন মূল্লুকের হাতিসমাজ ও “ক্লাইমেট ডিনায়ার্স” নামক তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা নতুন করে উজবুকি দেখানোর সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে তারপর উজবুকিতে ফেরত আসছি। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি হলো জলবায়ু পরিবর্তনের একটি অংশ মাত্র। এটি একটি বিশ্বব্যাপী প্রক্রিয়া। বৈজ্ঞানিকরা ইতমধ্যেই প্রায় শতভাগ নিশ্চিত হয়েছেন যে এর পেছনে প্রাকৃতিক কারণগুলো ছাপিয়ে মূল কারণ হলো মনুষ্য সৃষ্ট কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মেথেইনসহ অন্যান্য গ্রীন হাউজ গ্যাস। উৎসের উদাহরণ হিসেবে বলা যায়ঃ কলকারখানা, কয়লা, তেল, গ্যাস খনি, তেলচালিত যানবাহন ইত্যাদি। বিশ্বের সার্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় অতিপ্রাকৃত আবহাওয়ার উপস্থিতিই হলো জলবায়ু পরিবর্তন। সময়ের আগে শীত, গ্রীষ্ম, অপ্রতুল বৃষ্টি ও আর্দ্রতা কিংবা প্রয়োজনের অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এগুলোই জলবায়ু পরিবর্তন যা গ্রীন হাউস গ্যাসের মাত্রাধিক্যের কারণে ঘটছে। এরকম ঘটতেই থাকবে এবং এক এক বছর এক এক রকমের অতিপ্রাকৃত আবহাওয়ার মুখোমুখি হবে দেশগুলো। এবার আসি উজবুকি কারবারে। আমি আগে বাঙলাদেশের রাজনীতিবিদদের সময়ে অসময়ে করা মন্তব্য নিয়ে খুব হতাশ থাকতাম। মানুষ এত স্থুল ও ভোঁতা মস্তিষ্কের হয় কিভাবে? গত আড়াই বছর মার্কিন মূল্লুকে থাকা ও এদেশের রাজনীতিবিদদের কথাবার্তা শোনার পরে ইদানিং আমি আমার দেশের রাজনীতিবিদদের নিয়ে গর্ব বোধ করি। প্রতিদিন কেউ না কেউ কিছু না কিছু বলছেই যা শুনলে হাসতেও ইচ্ছা হয় না। হাসিরও যোগ্য নয়। উদাঃ ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্টের কাউবয় সেনেটর টেড ক্রুজের নেট নিউট্রালিটি বিষয়ক মন্তব্য। এদিকে হাতিরপালের সাঙ্গপাঙ্গরা সুযোগ পেয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা লেজেগোবরে করে ফেলছে।

বজ্রসহ তুষার কখনো কি দেখেছেন?
গতকাল রাতে কাজ হতে বের হয়ে বাসার উদ্দেশ্যে হাঁটা দিলাম। রাত বাজে আটটা। ঘুটঘুটে অন্ধকার। সাথে হাত মিলিয়েছে মাঝারি আকারের লেক ইফেক্ট স্নো স্টর্ম। হেডফোন কানে পরার আগেই মনে হলো অন্ধকারে আলোর ঝলকানি দেখলাম পশ্চিম আকাশে। তার একটু পরেই কর্কশ শব্দে বাজ পড়ার শব্দ। সাথে চলছে দুর্দান্ত বাতাস। এও কি সম্ভব? এটার নাম কি? যেন ভাবনাগুলো শুনতে পেল পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া কোন এক স্থানীয় ছাত্র। আসলে ওভাবে হা করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকাটা চোখে পড়াই স্বাভাবিক। “It’s called a thunder snow. Just like thunder storm…but not so common in other areas.” হুম যাক প্রকৃতির কেরামতির তালিকায় থাকা এই ঘটনাটিও দেখা হয়ে গেল।

উত্তরের শীতল হাওয়ায় আমি সান্টা ক্লস এদিকে মা জননীর দুশ্চিন্তা
কফির কাপে প্রথম চুমুক দেয়ার মাঝেই মায়ের মিসড কল। চমৎকার টাইমিং। আজকে ভার্সিটি যাবো না। একটু গল্প করি। ফোন করতেই প্রথম কথা, “টিভিতে দেখাচ্ছে খুব নাকি ঠান্ডা ও বরফ পড়ছে। লোকজন নাকি মারা গিয়েছে?” নাহ এবার আর রসিকতা করার সুযোগ রইলো না, এই এলাকার প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে ধরে ফেলেছেন; ধন্যবাদ পোলার ভরটেক্স ও বাঙলাদেশের অতি উৎসাহী গণমাধ্যম। গত বছর আমেরিকার ইস্টকোস্টে হারিকেন স্যান্ডি আঘাত হানার পরে মা চিন্তিত হয়ে পড়লে বলেছিলাম, “আমি হারিকেন থেকে প্রায় বারোশ কিলোমিটার দূরে অন্ধকারে বসে আছি।” রসিকতা ধরা পড়ায় বকা শুনেছিলাম। আজকে বললাম, “মা সতর্ক আছি, দোয়া করো। রাস্তায় হাঁটাটাই একটু অসুবিধা। মনে হয় বালির উপরে হাঁটছি। বাতাসটাও মাঝেমাঝে খুব জ্বালাতন করে। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চায়। তবে যারা গাড়ি চালায় তাদের জন্য বিপদ বেশী।” তারপরে আরো কিছুক্ষণ চললো তুলনামূলক আবহাওয়া প্রতিবেদন। এখনো মায়ের বিশ্বাস হয় না গত আড়াইটি বছর একবারো অসুস্থ হতে হয়নি আমার। মানুষের সুস্থ জীবনের জন্য বিশুদ্ধ বায়ু কতটা জরুরী এটা আসলে বিশুদ্ধ বায়ুতে বসবাস না করলে বোঝার উপায় নেই।

১,৭১৪ বার দেখা হয়েছে

১০ টি মন্তব্য : “Mocha উইথ আ ‘k’ ফ্রম মিশিগান – ৪র্থ সংস্করণঃ তোমার শীতল স্পর্শে আমার ফ্রস্টবাইট।”

  1. মুজিব (১৯৮৬-৯২)

    :clap: :clap:

    আইন ও পলিসি সায়েন্সের ছাত্র হয়ে লিনাক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি ভালবাসাটা বেশখানিকটা “সমাজ বহির্ভূত” বলা চলে

    আজকাল এটাকে আর বেয়াদবি হিসাবে গণ্য করা হয় না। লিনাক্স আজকাল আর সেই আমাদের আমলের লিনাক্স নাইরে ভাই! এখন আর লিনাক্স-মেশিন ইউজ করতে কোন বিদ্যার দরকার পরে না। আমার একটা পুরানো ল্যাপটপের উইন-ভিস্তা ধ্বংস হয়ে যাবার পরে 'ধুত্তোরি ছাই' বলে সেটাতে উবুন্তু লাগিয়ে দিলাম। তারপরে সেটি আমার মেয়ে গোধূলিকে গিফট করে দিলাম। তখন সে ছিল পাঁচ বছরের শিশু। কোন প্রকার ট্রেনিং ছাড়াই সে গত দু বছর ধরে দিব্যি সেটা ব্যবহার করে আসছে!

    আমাদের এখানে গত বছর এক ফোঁটা তুষারপাত হয়নি, এবছর এখনও কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, জীবন মরুময় 🙁 🙁


    গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      যাক ছেলে মেয়েকে শিশুকাল থেকে লিনাক্স ধরিয়ে দেবার একটা বুদ্ধি পাওয়া গেল। তবে কিছু বিদ্যা জানি যেটা আমার না জানলেও চলতো। ঐটুক আগ্রহ নিশ্চিত সমাজ বহির্ভূত! 😀 😀

      এই মার্কিন দেশের ক্লাইমেট ডিনায়ার্সরা কান্নাকাটি করে কিসের গ্লোবাল ওয়ার্মিং ঠান্ডায় জমে গেলাম। তাদের দোস্ত বন্ধু যুক্তরাজ্যে যে শীতকালের দেখা নাই এইটা তাদের মাথায় আসে না। আসলেও স্বীকার করে না। কিসব যে নমুনা দেখি খবরে। হাহাহাহাহাহ! বিনোদন!


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    লিনাক্স, উবুন্টু, মিন্ট ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে মনে মনে অনেক আগ্রহ থাকলেও কখনোই ব্যবহার করা হয়ে ওঠেনি। উইন্ডোজ ই ভরসা। 🙁

    আমাদের এফএম জগতের শুরু হয়েছিল ভারত থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে আসা আড়জেদের দিয়ে, তাই মিল খুঁজে পাওয়া যেতেই পারে 😉

    প্রথম প্রেমের ব্যাপারে আমাদের কাঞ্চন ভাই এই বিশেষ বানী দিয়ে গেছেন

    জন স্টুয়ার্ট, কোলবার্ট, বিল মাহেরদের কল্যানে আম্রিকার পলিটিশিয়ানদের যে চেহারার সাথে পরিচিত হয়েছি তাতে মাঝে মাঝে আমারো আমাদের দেশের নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা চলে আসে।

    থাণদার ক্যাটস দেখছি, You Know nothing জন স্নো কেউ দেখছি (গেম অফ থ্রোন্স রেফারেন্স 😉 ) কিন্তু থান্ডার স্নো দেখা হবে না মনে হয় এই জীবনে 🙁

    বিশুদ্ধ বাতাস একটু বেশিই ভাল লাগে, এতটাই যে ঢাকা গেলেও হাস্ফাঁস শুরু হয়ে যায়।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      আমার আজব জিনিস ভালো লাগে। যদিও মুজিব ভাই যেটা বললেন, লিনাক্স এখন আর আজব নাই। মূলধারায় আসার জন্য আরেকটু টেকাটুকা লাগবে, মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি লাগবে। তাইলেই লাইনে এসে যাবে।

      আমাদের এফএম জগতের শুরু হয়েছিল ভারত থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে আসা আড়জেদের দিয়ে, তাই মিল খুঁজে পাওয়া যেতেই পারে

      এইটা জানতাম না। এখন অনেক কিছুই অনেক পরিষ্কার লাগছে! 😕

      গুরু কাঞ্চনের গানটা (যদিও কাঞ্চনের কন্ঠে গাওয়া নয়) অনেকদিন পর শুনলাম। ধন্যবাদ!

      সঠিক। এই তিন কমেডিয়ানের কারণে আমেরিকানরা দম নিতে পারে।

      থান্ডার স্নো আসলেই এক পিনিক বস্তু! মাথায় ঠিক রেজিস্টার করতে চায় না।

      ঢাকায় থাকতে চাই না ভাই। কেউ যদি চাকুরী দিয়া কইতো যাও চিপায় গিয়ে পড়ে থাকো, আমি লাফাইতে লাফাইতে চলে যেতাম। বিশুদ্ধ বাতাস আমার কাছে এখন অনেক জরুরী। 🙁


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
  3. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    যথার্থ জার্নাল হয়েছে।
    আর ওই টাইটেলের কল্যাণে গানটা শুনছি ইউটিউবে। আ হা, কী সুন্দর গান।
    সাবধানে থেকো এই আবহাওয়ার সময়। আমার এদিকে এখনো এত খারাপ নয় অবস্থা। এখানে তোমার ওপেন দাওয়াত।
    সিরিজটা আমার খুব ভাল লাগছে। এটা দিয়ে তোমার জীবনযাপনকে ছুঁতে পারা যাচ্ছে।

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      ধন্যবাদ নূপুরদা। সিরিজ শুরু করবো না করে শুরু করে দিলাম। ভালই লাগছে। সাবধানেই আছি। এই শহরে আর ২৯দিন আছি। তারপরেই পাল তুলে ভেসে যাব দক্ষিণের রাজ্যে। 😀


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।