গতকাল আমি আমার ছেলেকে নিয়ে লাইব্রেরি তে গল্পের বই কিনতে গিয়েছিলাম……
ছেলে একটার পর একটা গল্পের বই সিলেক্ট করে মোটামুটি একটা স্তুপ করে ফেলল এবং দোকানদারকেও হয়রান করে ফেলল বই খুঁজে বের করাতে করাতে …
আমি পাশ থেকে দাড়িয়ে দেখছিলাম পুরো সময়টা … ।
পুরোটা লাইব্রেরি কেবলই পাঠ্য পুস্তকে ভরা……তার আবার বেশির ভাগটাই বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড বই।
গল্পের বই খুব কম…… তাও আবার একদম পিছন দিকে ধূলায় অযত্নে ফেলে রাখা। মানে ওগুলো কেও কিনতেও আসেনা হয়তবা।
এর মাঝেই দু-চার জন বাচ্চা আসলো তাদের মা কিংবা বাবার সাথে বই কিনতে।
এসেই “অমুক গাইড বা তমুক গাইড”
ওদের চোখ যখন আমার ছেলের বেছে নেয়া বইগুলোর দিকে পড়ছিল ওরা যেন কি এক অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখছিল……
যার মানে হল……”এমন টাও হতে পারে ??”
কিন্তু সেই বিস্ময়ের আড়ালে আমি বাচ্চাগুলোর চোখেমুখে গল্পের বইগুলোর জন্যে যে আকুতি দেখছিলাম তা তাদের বাবা-মার চোখ এড়িয়ে যাচ্ছিল ।
আমরা নিজেরাই আমাদের শিশুদের শৈশবটাকে কেমন করে মানবিক গুণাবলী বিবর্জিত করে ফেলছি তা কি আমরা নিজেরাও জানি ??
একটা শিশু তার বেড়ে উঠার সময়টাতে যদি গল্পের বই পড়ে কল্পনার জগতে বিচরণ না করতে পারে সে কেমন করে বড় হয়ে মানবিক গুন নিজের ভিতর ধারন করবে ??
তার তখন শিক্ষকের গায়ে হাত তুলতে বাঁধবেনা …
তার তখন একটা মেয়েকে মাংস পিণ্ড ভেবে রেপ করতে বাঁধবেনা……
তার তখন ধর্মের নামে আর একজন মানুষের মাথা ফেলে দিতে বাঁধবেনা …
আমার ছেলের হাতে আমি যখন কাল রাতে স্কুল এর পড়া শেষে ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর টুকুনজিল বইটা দেখছিলাম আর ওকে চরম গোগ্রাসে সেটা পড়তে দেখছিলাম … আমার চোখে কেবলই সকালের বাচ্চাগুলোর মুখ ভেসে উঠছিল।
আহারে সোনা বাচ্চাগুলো আমার !!!!!!!
মন প্রান দিয়ে চাই …… জীবনে জীবিকা অর্জনের জন্যে যা কিছুই হও না কেন ……শুধু একটু মানুষ গুণের সত্যিকারের মানুষ হইয়ো ।
মা হিসেবে এর বেশি কিছু আমার চাওয়া নেই তোমাদের কাছে।
প্রথম লিখায়ই তো ফাটিয়ে দিয়েছো এক্কেবারে......
দারুন হয়েছে ভাবনাগুলো।
আর স্বাগতম তোমাকে আমাদের এই ব্লগের আপন ভুবনে...
থেকো কিন্তু নিয়মিত ভাবেই...
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
বাই দ্যা ওয়ে, তোমার হাত কাঁচা নাকি পাকা, সেটা নিয়ে আমি আর মন্তব্য করলাম না।
সেই বিষয়ে আমাদের যারা বিশেষজ্ঞ আছে, তাঁরাই বলুক।
আমি অধীর অপেক্ষায় থাকলাম ওঁদের বক্তব্য শোনার জন্য।
নাও দ্যা ফ্লোর ইজ ওপেন টু রিকগনাইজ হার এক্সপ্রশন "কাঁচা হাতের প্রথম লেখা……" এজ এন এটেম্পট টু বী হাম্বল ওনলি।
সত্যিকারের কাঁচা না কি, বিনয়ের কাঁচা.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাই আপনি সত্যিকার এর একজন শিক্ষক ...... ফাঁকিবাজ স্টুডেন্ট কে আক্ষরিক অর্থেই ঘাড় মুড়িয়ে কেমন করে পড়া আদায় করে নিতে হয় সেটা কেঊ আপনাকে দেখে শিখুক ।
পারিনা...... পারছিনা...... পারবোনা ...... আমার শত অজুহাত কে এক তুড়িতে কেমন করে হাওয়ায় উড়িয়ে ঠিক-ই ছোটবোন টাকে নিয়ে এলেন ব্লগ এর জগতে।
মাথার উপর এরকম বড় ভাই পেলে জীবনের অনেক না 'পারা' যে মুহূর্তেই 'পারি' তে পরিণত হয়,তা এখন আমার চেয়ে আর কে বেশি জানে ???
😀 😀 😀
যাক, একজন তো অন্তত সেটা বুঝেছে!!!
হয়তো একদিন অন্যরাও সেটা বুঝবে......
আশায় আশায় থাকলাম... 😉 😉 😉
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:hatsoff: :hatsoff:
সিসিবিতে সুস্বাগতম! আশাকরি এখন থেকে আরো লেখা নিয়মিত দেখতে পাবো এখানে।
লেখার বিষয়বস্তু চয়ন ভালো হয়েছে।
ধন্যবাদ খায়রুল ভাই............ আমি চেষ্টা করবো নিয়মিত হাজিরা দিতে।
🙂 🙂 🙂 🙂
সিসিবিতে সুস্বাগতম, ঝুমুর!
এমজিসিসির বোনদের দেখলেই আপন আপন লাগে আমার। আমাদের সাথেই থেকো।
মাচ লাভ, আপু!
জী আপু, আমি নিয়মিতই ছিলাম তবে পাঠক হিসেবে।
পারভেজ ভাই এর উথসাহে শেষ পর্যন্ত লেখালেখি তেও আসা। কিন্তু এই হলো আমার দশা... সঠিক বানানে inspiration এর বাংলা লিখতে পারলাম কই ??? 🙁 🙁 🙁
"কাঁচা হাতের প্রথম লেখা..." ভাল লেগেছে।
আরও বেশী ভাল লেগেছে পাকা হাতে ছেলে মানুষ করছ দেখে।
অনিয়মিত পাঠকের পক্ষ থেকে ব্লগে স্বাগতম!
ধন্যবাদ সাদিক ভাই, দোয়া করবেন যেন মানুষ করার এই প্রচেষ্টা সফল হয়।
ডিগ্রীধারী শিক্ষিত /সো কলড প্রতিষ্ঠিত বড়লোক / লেবাস ধারী ধার্মিক হওয়ার চেয়ে মানবিক মানুষ হওয়াটা যে অনেক বেশি জরুরী আজকের দিনে তা যেন বুজতে পারে ওরা।
ছোট কিন্তু সুন্দর কথা।
ব্লগে স্বাগতম।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কাঁচা হাতের পাকা লেখা খুব ভাল লাগলো। চালিয়ে যাও সমানে :thumbup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
সুন্দর লেখা, সাবলীল হাত- খুব ভালো লাগল। বিষয়টা যুগের দাবী- যদিও গল্পের বই বা "আউট বই" পড়া আমাদের কালের গার্জেনরাও ভালো চোখে দেখতেন না। তবুও- এই বিরাট জগতের সাথে পরিচয় আর কল্পনার মাঠে ঘোড়া ছুটিয়ে দেবার জন্য গল্পের বই আর শিশু কিশোরদের ম্যাগাজিন গুলির ভুমিকা তাঁরাও আস্বীকার করতেন না। আজকাল গার্জেন সমাজ যেভাবে প্লে গ্রুপের বাচ্চাদের নিয়ে প্রতিযোগীতায় নামে তাতে আমি রীতিমত ভীত।
আরো লেখা চাই।
আপা,
সিসিবিতে স্বাগতম।
অনেক দিন আগে আপনাদের ব্যাচের নুপুর আপা এখানে কিছুদিন রেগুলার ছিলেন। পরে হাওয়া হয়ে গেলেন।
আশা করি আপনি নিয়মিত থাকবেন! 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ