১।
যখনকার সময়ের কথা বলছি, তখন ‘ফিট ইতনা মাস্ত, নো এ্যাডজাষ্ট’ আন্ডি বাজারে অতটা এ্যাভেইলেবল ছিল না। সারাদিন আন্ডি এ্যাডজাষ্ট করতে করতে কারও কারও নামই হইয়ে গেলো ‘স্ক্র্যাচার’। লাইভ অভিনয় ব্যাতিত ‘স্ক্র্যাচার’এর অভুতপুর্ব স্ক্র্যাচিং টেকনিক বর্ণনা করা ডিফিকাল্ট। তিনি ক্লাস চলাকালিন সময় পুরোটাই ব্যাস্ত থাকতেন ওই কাজে। কখনও পকেটে হাত দিয়া, কখনও ফুটবল খেলার আগে ওয়ার্ম-আপ করিবার ভংগিতে হাটু ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া, কখনও বা সরল মনে লোকলজ্জা বা ক্যাডেটলজ্জা ভুলে ফ্রি-ফ্র্যাঙ্ক হাত চালাইয়া। কথিত আছে, তার কোন প্যান্টের পকেটেই ভিতরের কাপড়টি ছিলো না। তিনি নিজেই নাকি সযতনে অস্ত্রপাচার করে পকেটের কাপড় ফেলে দিতেন।
‘টেকনিক্যাল স্ক্র্যাচার’ হিসেবে তিনি ক্ষ্যাতির শীর্ষে আরোহন করেন কলেজ অডিটরিয়ামের কুচকানো কার্পেট সোজা করবার ছলে আপন-কর্ম সাধন করে।
২।
ভোজন-রসিক একজন খুব উৎসাহ নিয়ে ডিউটি মাষ্টার হইতেন। ডাইনিং হলে ঢুকে তিনি মেনুতে গরুর মাংস দেখে মেসওয়েটারকে ডেকে বললেন ‘আপাজ, তুমি জানোনা আমি গোমাংস কাই না?? তুমি আমার জন্য মুরগী মাংস নিয়া আস’ আফাজ ভাই মুরগীর মাংস এনে দিয়ে যখন গোমাংসের বাটিটা তুলে নিয়ে যাচ্ছিল তখন তিনি বললেন ‘আপাজ ওটা রেকে যাও, আমি ওটাও কাবো’ তিনি পড়ানোর সময়ও নানান ওছিলায় খাদ্য এবং খাবারের ইজতেমাল করতেন। তার করা প্রশ্নপত্রে মিনিমাম তিনটা ট্রান্সলেশান থাকতো খাদ্য বিষয়ক।
তিনি ক্লাসে চেইন ট্রান্সলেশান করাইতেন ‘আমি বাত কাই’ ‘আমি সাদা বাত কাই’ ‘আমি সাদা বাত তরকারি দিয়ে কাই’ ‘আমি সাদা বাত তরকারি দিয়ে মাকাই মাকাই কাই’ ………… ।
“এ হাংরি ম্যান ইজ অলওয়েজ এ্যাংরি” ছিল তার সবচেয়ে প্রিয় বাক্য।
আইলা!!!
প্রথমটা পড়ে ব্যাটিং করার সময় টেন্ডুল্কারের একটু পর পর 'এডজাস্ট' করার কথা মনে পরে গেল... :khekz:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
তাইফুর ভাইতো ফাটাইয়া ফালাইতেছেন। পুরা ধমাধম মাস্ত কালান্দার পোস্ট ছাড়তেছেন, একের পর এক।
হাসতে হাসতে পিরা গেলাম। :goragori: :goragori:
চলছে চলবে। থামানোর নাম নিলে কিন্তু মাইর আছে কপালে। আমি না,আপনার সিনিয়র আছে অনেক, তাদের দিয়া মাইর দেওয়ামু। :gulli2: :goragori:
নতুন একটা সিরিজ করার দাবি জানাই।
তাইফুর ভাই অসাধারন হইছে। হাসতে হাসতে পেট ফাইটা যাইতাছে। :)) =)) :goragori: :goragori: :khekz:
:khekz: :khekz:
তাইফুর বাজি, তুমি কই ছিলা এতদিন, আহা মনটা জুইড়া যাইতেছে তোমারে দেইখ্যা।
আমাগো এক দোস্ত আছিলো, সব গুলা প্যান্টের চেইনের একপাশে কালো দাগ পড়ি গ্যাছিলো আডজাষ্ট করতে করতে। ধুপি ভাই ধুইয়াও তুলতে পারে নাই।
আহারে, পকেটের কাপড় ফালায়া দেওয়ার বুদ্ধিটা আপনার দোস্তের থাকলে ধুপির কষ্ট কমতো।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
হাসতে হাসতে আমার গালের কাটা বড় হয়ে গেসে =)) =)) =))
তুরন্তাজ হইছে :gulli: ।
Life is Mad.
:khekz: :khekz:
ভাই থাইমেন না... সিরুম ...সিরুম
দোস্ত, পুরা ফাট্টা ফাট্টি হইতাছে। কাহিনি আর লেখার স্টাইল দুইটাই সেইরকম মামা। =)) =))
হাসতে হাসতে পুরা মাথা খারাপ অবস্থা :boss: :boss:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:gulti: :gulti: :goragori: :khekz:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
আপনার স্ক্র্যাচার নাকি পরে গার্লস এ গেসিলো শুনসি … কি ঘটাইসে আল্লাহ ই যানে।
আতিক স্যার একবার আমাদের মাহাবুব (ঐ সময় সে ঘুমাচ্ছিল) কে ট্রান্সলেশন জিজ্ঞাসা করসিলো – আলু বলে অন্ধকার তুমি বরু কালু … - উত্তর ও দিসে সেই রকম – potato says to dark …
:khekz: :khekz: :khekz:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
=)) =)) :))
:khekz: :gulti: :khekz: :gulti:
কালু'র ইংরাজি কি হইবো :-B বহুভাষাবিদ জুনা রে দরকার :dreamy:
:khekz: :khekz: :khekz:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:goragori: :goragori: :goragori: :khekz: :khekz: :khekz:
এই ভোজন রসিক কি আইনুল হুদা আতিক স্যার নাকি?
জোশিলা তাইফুর ভাইকে আবার দেক্তে চাই x-( x-( x-( x-(
স্ক্র্যাচিংকে আমরা বলতাম "ইয়ো-ইয়ো" খেলা। 😀
উনি তো তাইলে কিংবদন্তী। 😀 😀
খুব মজা পাইলাম তাইফুর ভাই।