মেজর মশিউর কি আর নেই? কদিন আগে সাইফের পোস্টে ওর অসুস্থতার খবর পড়েছিলাম। আজ (২৯ নভেম্বর, ২০০৮) ইত্তেফাকের ৪-এর পাতায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার জানানো শোক শ্রদ্ধার সংবাদ পড়ে আর সিসিবিতে এ সম্পর্কে কোনো তথ্য না পেয়ে রীতিমতো বিভ্রান্ত। কামনা করি মশিউর ভালো থাকুক। কিন্তু প্রকৃত তথ্যটা কিভাবে জানা যাবে?
২১ টি মন্তব্য : “মেজর মশিউর : ভালোবাসা নিও ভাই”
মন্তব্য করুন
সাইফের পোস্ট থেকে যতটুকু জানলাম মশিউর কুমিল্লার ১০ম ইন্টেকের।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ইত্তেফাকের খবর
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
লাভলু ভাই
এই মাত্র নিশ্চিত হলাম। গত পরশুদিন মশিউর ভাই আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন।
আমি যতটুকু জানি আজ রাতে তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার কথা।
তার আত্মার শান্তি হউক।
খুব মন খারাপ। তাই আর কিছু লিখতে পারছি না।
একই দিনে এরকম দুইটা খবর!
মনটা ভেঙ্গে গেলো একেবারে।
আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, উনাদের জন্য।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
🙁
মশিউরকে কখনো দেখিনি, চিনিনা। তবু কেমন একটা কষ্ট। ছোট ভাইইতো।
না ফেরার দেশে চলে যাওয়া মশিউর, ভালোবাসা নিও ভাই।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাল থাকুক মশিউর ভাইইয়ের বিদেহী আত্মা
মশিউর ভাইএর রুহ এর মাগফেরাত কামনা করছি...আমিন ।
একই দিনে দুইটা এরকম খবর...নাহ ,ভাল্লাগে না । 🙁
সানাউল্লাহ ভাই,
মশিউরের বাবা গিয়েছিলেন সাউথ আফ্রিকা তে। ওকে কৃত্রিমভাবে বাচিয়ে রাখা হয়েছিল। পৃথিবীর বিভিন্ন হাসপাতাল যখন ওর অপারেশন কিংবা কেমো করাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তখন উপায় না দেখে ওর শরীর থেকে ওর বাবার সম্মতিক্রমে সকল যন্ত্রপাতি খুলে নেয়া হয়েছে।
মশিউর যেদিন অসুস্থ হয়েছে, সেদিন জ্ঞান হারানোর কিছু আগে মোবাইলে ওর জীবনের শেষ এসএমএস পাঠিয়েছিল ভাবীকে। এসএমএস টা ছিল এরকম,
"খুব আশা ছিল, তুমি আর আমি বুড়ো-বুড়ি হবো। আমাদের মেয়েকে যেদিন বিয়ে দেব, সেদিন আমরা দু'জন গলা জড়িয়ে অনেক কাঁদবো। কিন্তু সেটা মনে হয় আর হলোনা......।"
চোখ জ্বালা করছে...
যে যায়, তার কি হয় জানিনা, যাদের রেখে যায় তাদের ক্যামন লাগে সেটা জানি ...
ভাবী, পিচ্চিকে আল্লাহ দ্রুত শোক কাটিয়ে উঠার ক্ষমতা দিক।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
উদ্ধৃতিটা পরে আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলাম না। একই দিনে এইরকম ২ টা খবর............ 🙁
.................
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
dhur, office e bose kannau kora jai na thik moto
🙁
দুনিয়াটার কি যে হইলো ...
আল্লাহ উনার মঙ্গল করুন।
এমআইএসটি'তে থাকাকালীন একটা এ্যাক্সিডেন্টে মশিউর স্যারের এক পা ভেঙ্গে গিয়েছিল। চার পাঁচটা স্টেইনলেস স্টিলের রড পা থেকে মাংস ভেদ করে বের করে রাখা হয়েছিল। দূর থেকে দেখেই ভয়ংকর লাগত। তিনি হুইল চেয়ারে করে মুভ করতেন, পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড করতেন। খুব কষ্ট পেয়েছেন সেসময়।
দীর্ঘশ্বাস আর দীর্ঘশ্বাস.....বড় অসহায় লাগছে।
আল্লাহ তাকে শান্তিতে রাখুন...তার পরিবারকে শোক সইবার শক্তি দিন।
Life is Mad.
ধ্যাৎ হইলটা কি আর ভাল্লাগে না
আল্লাহ মশিউর ভাইকে জান্নাতবাসী করুক।
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
আমরা কি মানুষ নাকি অন্য কিছু। একদিনে এতটা কষ্ট কিভাবে সহ্য হয়?
প্রার্থনা ছাড়া এখন আমাদের আর কিইবা করার আছে!
যাকে কোনদিন দেখিনি, তার জন্য এত কান্না পায় কেন? ইদানিং কি যেন হয়েছে,
We all are coming, today or tomorrow.
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না