১৯৯২ সালে ক্লাস সেভেনে কলেজে যোগদান করার পর একটামাত্র ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে স্টেজে ওঠার সুযোগ হয়েছিল। প্রাক্তন ইউএসএসআর ভেঙ্গে অনেকগুলো দেশে পরিণত হওয়ার ঘটনাটাই ছিল আমাদের হাউসের বিষয়বস্তু। আরও কয়েকজনের সাথে আমাকেও একটা পুরনো রেইনকোটে আবৃত করে দেয়া হলো। বড় ভাইদের কে যেন এসে কাজল দিয়ে একটা গোঁফ এঁকে দিলেন। ক্লাসমেট আরও কয়েকজনের সাথে আমি মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে রিনরিনে কন্ঠে “গেট ব্যাক গেট ব্যাক, রেড আর্মি গেট ব্যাক” স্লোগানসহ ১০/১৫ সেকেন্ডের মিছিল করলাম স্টেজের উপর। সেই সময় থেকেই মাথার মধ্যে স্থায়ী হয়ে থেকে গেল কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিসপ্লে বা সিএডি ব্যাপারটা ব্যাপক আয়োজনসমৃদ্ধ বেশ বড় কলেবরের আগ্রহ উদ্দীপক একটা ইভেন্ট।
ক্লাস এইটের সময়টাতে কি করেছিলাম খেয়াল নেই, তবে ক্লাস নাইনের সিএডি’র প্রস্তুতিকালীন সময়ে কোন এক ছুটির দিনে কমন রুমে ঢুকতেই কে যেন ডেকে একটা নির্মীয়মান চার্টের সামনে বসিয়ে দিল। কোনদিন না করা অনভ্যস্ত হাতে পেইন্টের কৌটায় তুলি ডুবিয়ে চার্টে ছোঁয়াতেই রুম্মান (১৯৯৩-১৯৯৯) একরকম হা হা করে উঠল। “সায়েদ ভাই, ওইটা রাইখা আপনে এদিক আসেন তো” বলে আমাকে নিয়ে বসিয়ে দিল আরেকটা নির্মীয়মান চার্টের সামনে। এখানের কাজ হলো ইংরেজি লেখার জন্য লম্বা স্কেল দিয়ে নির্দিষ্ট গ্যাপে গ্যাপে লাইন টানা। সেটা হয়ে যেতেই কে যেন হাতে ধরে শিখিয়ে দিলেন ব্লক করে কিভাবে ইংরেজি ক্যাপিট্যাল বর্ণমালা লিখতে হয়। বহুত মজা তো – অল্প একটু একটু পরিবর্তন করে একটার পর একটা বর্ণ তৈরী করা যায়। আমি এটাতে জমে গেলাম। সেদিন সারাদিন তো বটেই, সিএডি মঞ্চস্থ না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী দিনগুলোতে আমার ঠিকানা হলো কমনরুম। বড় বড় বক্স পেপারে লাইন টানা থেকে শুরু করে বিভিন্ন তথ্য স্থাপন, ইরেজারে ঘষে পেন্সিলের দাগ তোলা, সযত্ন পেইন্টে সেটাকে পরিপূর্ণ রূপ দেয়া এবং সর্বশেষে পারটেক্সের বোর্ডে স্থাপন করার কাজে রুম্মানের পাশাপাশি আমি হয়ে উঠলাম একজন কনফিডেন্ট কারিগর।
সময়ের আবর্তে ক্লাস টুয়েলভে আমার ঘাড়ে এসে পড়ল হাউস কালচারাল প্রিফেক্টের দায়িত্ব। সিএডি’র নির্দিষ্ট সময় সীমার প্রায় মাসখানেক আগে হাউস মাস্টার আর দায়িত্বপ্রাপ্ত হাউস টিউটর জানতে চাইলেন আমি কোন বিষয়ের উপর ডিসপ্লেটা করতে চাই। গভীরভাবে না হলেও কলেজে প্রাপ্ত সংবাদপত্রের মাধ্যমে দুনিয়াদারীর টুকিটাকি খোঁজখবর ঠিকই পেতাম। তখন ক্ষমতার টানাপোড়েনে অস্থির ছিল কম্বোডিয়া। খুব বেশি চিন্তাভাবনা না করেই আমি সেটার পক্ষে মত দিলাম। আর বিনা বাক্য ব্যয়ে স্যাররা তা সমর্থনও করলেন। কয়েকটা সিএডি’র সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত থাকার কারণে হাউসে কি কি রিসোর্স আছে তা নখদর্পনে ছিল। বিগত কয়েক মাসের TIME, Newsweek, Asiaweek সহ অনেকগুলো বাংলা পত্রিকা পড়ে আউটলাইনটা দাঁড় করিয়ে ফেলে আর কি কি রিসোর্স লাগবে তা জানালাম হাউসকে। কলেজ প্রদত্ত রিসোর্সের পাশাপাশি হাউস বিনা প্রশ্নে সেগুলো সরবরাহ করল। মোটামুটি তিন সপ্তাহ হাতে থাকতে আমি আমার কর্মীবাহিনী নিয়ে শুরু করলাম “ব্যাপক আয়োজনসমৃদ্ধ বেশ বড় কলেবরের আগ্রহ উদ্দীপক ইভেন্ট”টার কাজ।
সিএডি’র স্টেজ ডেকোরেশনের একটা বড় অংশ কভার হয় দেশের প্রাথমিক সব তথ্যাবলী দিয়ে। কালবিলম্ব না করে দেশের পতাকা, আকার-আয়তন-সীমানা-জনসংখ্যা সম্পর্কিত তথ্যাবলী, জাতীয় ফুল-ফল-পাখি-পশু, টাইম লাইন ধরে ইতিহাস ইত্যাদি দিয়ে বড় বড় চার্ট বানানো হলো। বড় একটা এবং মাঝারি মাপের দুটো বোর্ড ছিল যা সব সময়ই মানচিত্র তৈরীর কাজে ব্যবহৃত হত। যথারীতি ম্যাপ তৈরী শুরু হলো – একটা রাজনৈতিক, আরেকটা ভৌগোলিক, তৃতীয়টা স্ট্যান্ডবাই। তসলিমের হাতের ছোঁয়ায় ম্যাপের পারফেকশন এলো শতভাগ। বর্তমানের সংঘাত নিয়ে তৈরী হলো আরও কিছু চার্ট। বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি বর্গের ছবি স্কেচ করা হলো বড় আর্ট পেপারে। কিছু কার্টুনও কপি করা হলো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো থেকে।
এসবের পাশাপাশি চলল ইতিহাস খনন। ইতিহাস ঘেঁটে বের করা হলো গৃহযুদ্ধের কথা, খেমাররুজদের শাসনামলে ঘটে যাওয়া রক্তাক্ত ঘটনাবলী – পলপটের নৃশংসতার কথা। নরোদম সিহানুকের উপর দিয়ে ক্ষমতা দখল নিয়ে দুই প্রধানমন্ত্রী রনরিধ ও হুনসেন এর মধ্যে জোর জবরদস্তি। আর শেষমেষ একজন কর্তৃক আরেকজনকে দাবড়ে দেশছাড়া করা। এই সব তথ্য ৫/৬ জনের স্ক্রিপ্টে আবদ্ধ করে ফেলল আসিব আর মোর্শেদ। ভালো ভালো স্পিকারদের দিয়ে পাখিপড়া করিয়ে নিয়ে একেবারে তৈরী করে ফেলল সিএডি’র জন্য।
দিনে ক্লাস টাইমে চলে লাইব্রেরি ওয়ার্ক আর ব্রেন স্টর্মিং। রাতে প্রেপের পর ক্যাজুয়াল ড্রেস পড়ে চলে যাই কমন রুমে। সেখানে রাত গভীর করে কাজ চলে। বারোটা সাড়ে বারোটা বাজলেই জুনিয়রদের (আফসোস, এই পোলাপান সবগুলোর নাম এখন মনে নেই) মুড়ি চানাচুর খাইয়ে ছেড়ে দিই। জেগে থাকি আমি, তসলিম, রুম্মানসহ হাতে গোনা কয়েকজন। রংচং মেখে একাকার হয়ে ভূত বনে যাই। হাউস ক্যাসেট প্লেয়ারে একই ক্যাসেট ঘুরে ফিরে বাজতে থাকে। রাত আড়াইটা বাজলে কমনরুমে আমি শুধু নিজেকেই আবিস্কার করি। নাইট ডিউটি মাস্টার আবু সাঈদ বিশ্বাস স্যার স্নেহভরে বলে যান, “কি সায়েদ ঘুমুবে না? সকালে পিটি আছে”। আমি বলি, “এই তো স্যার, আর একটু”। তারপরও মিনিটের কাঁটা কেমন করে যেন পুরো ৩৬০ ডিগ্রীর বেশি ঘুরে যায় – আমার ‘আর একটু’ শেষ হয় না। কি আশ্চর্য, সকালে পিটির সময়ে এতটুকু ক্লান্তি বোধ হয় না।
এক এক করে চলে আসে ডিসপ্লে’র জন্য নির্ধারিত দিন। ডিসপ্লে’র আগের রাত্রে সমস্ত বোর্ড, চার্ট, ম্যাপ নিয়ে গেলাম অডিটোরিয়ামে। স্টেজে সাজিয়ে স্যারদের সহায়তায় দূর থেকে মেপে দেখলাম পারস্পরিক অবস্থান। পরদিন যাতে অল্প সময়ে কোনরকম কনফিউশন ছাড়া সাজানো যায় তাই এখন এই কষ্টটুকু করা। পরদিন আমাদের টার্ন ছিল দ্বিতীয় বা তৃতীয়তে। আধা ঘন্টার মধ্যে আগের হাউসের ডেকোরেশন সরিয়ে নিজেদেরটা দিয়ে স্টেজ সাজানোর সময় এই রিহার্সালটা খুব ফলদায়ক প্রমাণিত হয়েছিল।
যেই ছবি দেখে মাটির হাড়ি দিয়ে রেপ্লিকা বানানোর অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম।
সিএডি’র মাঝখানে নাটিকার মতোন অংশগুলো সত্যিই চিত্তাকর্ষক। পলপটের সময়ে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকান্ড, বর্তমান সময়ের বৌদ্ধ ভিক্ষুদের শান্তি মিছিল অভিনীত হলো স্টেজে। কোন একটা পত্রিকায় কম্বোডিয়ার রাজধানীতে রক্ষিত একটা ম্যাপের ছবি দেখেছিলাম। পলপটের শাসনামলে নিহত হতভাগ্যদের মাথার খুলি ব্যবহার করে বানানো হয়েছিল সেটা। সেইটা কপি করলাম মাটির হাড়ি রং করে ৮’ X ৪’ বোর্ডে সাজিয়ে। সাদা খুলিতে কালো নাক চোখের গহবরে স্টেজের আলোর ঝলকানি দেখার মতোন হয়েছিল। সুমন নামে ক্লাস সেভেনের একটা ছেলে বাবার চাকুরীর সুবাদে জন্মের পর থেকে ক্লাস সিক্স পর্যন্ত লিবিয়ায় থেকেছিল। সেই সূত্রে ও আরবী জানত মাতৃভাষার মতোই। গল্পের গরুকে নদীতে নামানোর মতোন করে আমরা কম্বোডিয়ার ক্রাইসিসের সাথে ওপেকের (OPEC) সম্পর্ক বের করলাম। বক্তাদের কোন একজন ইনট্রোডিউস করিয়ে দিলে জোব্বাজাব্বা পরা সুমন (ওপেকের আরবী ভাষাভাষী মুখপাত্র) স্টেজে এসে পরিস্কার আরবীতে কম্বোডিয়াকে নিজস্ব ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার পরামর্শ দেয়। তা না হলে ওপেক কি কি করবে তাও আলোকপাত করে। অভূতপূর্ব কিছু একটা দেখে তালিতে তালিতে মুখর হয় পুরো অডিটোরিয়াম।
সবকিছু ঠিক মতোন শেষ হয়। আর আমাকে অবাক করে দিয়ে যখন শেষ বক্তা তার উপসংহার টানে ঠিক তখনই ঢং করে বিশ মিনিট সময়ের শেষ ঘন্টাটা বাজে। তখন হুঁশ হয় যে আমি কখনোই টাইম ধরে রিহার্সালের কথা চিন্তাও করিনি!! কি ভাগ্য সেটা ঠিক ঠিক লেগে গেছে।
অনেক কিছু আমরা আমাদের কল্পনা শক্তির জোরে তৈরী করে নিয়েছিলাম। বেশ কয়েকদিন পর “দ্যা কিলিং ফিল্ডস” নামের মুভিটা দেখার সুযোগ হলো কলেজে বসেই। দেখলাম আর আফসোস করলাম, ইস্, এই মুভিটা যদি সিএডি’র আগে আমার হাতে আসত তাহলে কতই না ভালো হতো। যেসব জিনিস কল্পনা করে নিয়েছিলাম সেগুলো হয় তো আরো পারফেকশন নিয়ে করতে পারতাম। তবে আমাদের সেই কল্পনা শক্তি বহুত গর্বের বিষয়। সেই কল্পনার দৌড় আছে বলেই না এত এত স্মৃতি ক্যাডেট কলেজকে ঘিরে। সেই স্মৃতি আছে বলেই না ক্যাডেট কলেজে অতিক্রান্ত সময় আমার শ্রেষ্ঠ সময়।
কলেজের এই কার্যক্রমগুলা পার্সোনাল ডেভলপমেন্টে খুব বড় অবদান রাখে বলেই আমার ধারণা।
যথারীতি ভালো লেখা সায়েদ ভাই। 🙂
কোন সন্দেহ নাই।
ধন্যবাদ।
Life is Mad.
চমৎকার বিষয়ে'র উপর অসাধারণ উপস্থাপনা.
(অফটপিকঃ
ক্যাম্নে, কি ??)
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
থ্যাংকস :shy: ।
ক্লাস সেভেনে তো গলা ভাইঙ্গা সারে নাই 😛 😛 । তখনও বাচ্চাই তো।
Life is Mad.
সায়েদের চিকি নাম্বারটা জানি কত?
=)) =))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
সায়েদ ভাইয়ের পিছনে ২৬ জন ছিলো। 😉 😉 😉
তোগো সব কয়টারে খাইছি.............।
Life is Mad.
ম-র-তু-জা ভাআআআআআইইইইইইইইইইই x-( x-( x-( x-( x-( ।
Life is Mad.
ইয়ে মানে,আমি শুনি নাই 😀
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বোধহয় স্টেজ কম্পিটিশনের রাজা। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয়, আমাদের কলেজে প্রথমে এটা ছিল না। আমরা ক্লাস সেভেন থেকে টেন পর্যন্ত এই কম্পিটিশন পাইনি। প্রিন্সিপাল রফিকুল ইসলাম অবশেষে এটা শুরু করেন। ইলেভেনে আমাদের পোলাপানরা কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স করে। যথারীতি সেখানে আমার কোন অংশই ছিল না। আর আমাদের হাউজে ভাঙন চলছিলো। এন্টি-হাউজ আর হাউজ পার্টির মনোমালিন্যে কম্পিটিশনগুলা যথাস্তু। এই কম্পিটিশনেও আমরা যথারীতি থার্ড (সেকেন্ডও হইবার পারে) হইছিলাম। আমাদের হাউজের বিষয় ছিল ইরাক যুদ্ধ- অর্থাৎ আমেরিকার ইরাক আক্রমণ। গুয়ানতানামো বে'র একটা সিন খুব সুন্দর করছিলো পোলাপানরা। তবে সব মিলায় যেই সেই। গুলাগুলির আওয়াজ খুব খেলনা খেলনা লাগতেছিল।
তবে প্রশংসা করার মতো ছিল ফজলুল হক হাউজেরটা। তাদের বিষয় ছিল অলিম্পিক গেম্স। এফএইচ এর পোলাপানরা আসলেই ফাটায়া ফেলছিল। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, উপস্থাপনা, অভিনয় সব মিলায়া অসাধারণ। তারা অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চায়িত করছিলো। সারা গায়ে সাদা রং মেখে গ্রিক দেবদেবীদের মতো সেজেছিল। খুবই ক্রিয়েটিভ।
প্রথমে আমরা সবাই বিরক্ত ছিলাম। নতুন কোনকিছুকেই ঠিকমতো গ্রহণ করার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু কম্পিটিশনটা সেইরকম জমার পর সবাই পরের বছরের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের জন্য অপেক্ষা করতে শুরু করলো।
দ্য কিলিং ফিল্ড্স সিনেমাটা দেখতে হবে। উইকি ঘেটে দেখলাম এই ডিরেক্টরের একটা সিনেমা দেখছি। কামরুল ভাইয়ের কাছ থেকে ডিভিডি এনে কয়েক দিন আগে "দ্য মিশন" সিনেমাটা দেখছিলাম। দ্য মিশন আর দ্য কিলিং ফিল্ড্স দুই সিনেমার পরিচালকই রোলান্ড জফ। দ্য মিশন খুব ভাল লাগছিল। সেই জোশেই দ্য কিলিং ফিল্ড্স দেখার ইচ্ছা জাগলো।
এই অপেক্ষা করাতে পারাটাই সিএডি'র সবচেয়ে বড় সাকসেস।
এই দলে আরও আছে নাটক প্রতিযোগিতা। দেখি সামনে নাটক নিয়ে লিখব।
"দ্যা কিলিং ফিল্ডস" আমার দেখা খুব ভালো একটা মুভি (মেজর ম্যাক্সের অবদান)।
Life is Mad.
তুমি তো শুধু ষ্টিয়ারিং ধইরা বইসা নাই মামা, সাথে এক্সিলেটরেও চাপ দিছ 😉 । টুশকির :tuski: রেশ শেষ হইতে না হইতেই আরেকখান জবর লেখা :guitar:
সাবাস বন্ধু, চালায়া যাও, এক্সিলেটরেও পা রাখ। আমরা তোমার গাড়ির পেসেঞ্জার। তালিয়া চলতেই থাকবে :clap: :clap:
লেখাটার উপস্থাপনা ভাল লাগল। কিপ ইট আপ :thumbup: :thumbup: :thumbup:
থ্যাংকস মামা।
Life is Mad.
সায়েদ ভাই দিলেনতো মনটা খারাপ কইরা। 🙁 কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিসপ্লে যে কোনো কম্পিটিশন থেকে আলাদা। এতো কষ্ট আর কোনো কম্পিটিশনে হয় না। এতো মজাও অন্য কোনো কম্পিটিশনে হয় বলে আমার মনে হয় না। আমার সৌভাগ্য যে ক্লাশ ৭ থেকে শুরু করে ক্লাশ ১২ পর্যন্ত সকল কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিসপ্লেতে অংশগ্রহন করতে পেরেছি। বহুত কথা মনে করাইয়া দিলেন :(( :(( :((
বস জটিল হইছে :thumbup: :thumbup:
কেন যে আপনাগো মত লিখবার পারি না ~x( ~x( ~x(
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
ওয়াও.......হিংসা করার মতোন ব্যাপার।
কোনদিন ট্রাই দিছ? না ট্রাই দিয়া কানলে কিছুই হবে না...বুজছো? এক কাজ কর - কলেজে শেষ ২৪ ঘন্টা লিখে ফেল। আমাকে মেইল করে দাও আমি দেখে দিবখন। কুইক 🙂 ।
Life is Mad.
নারে ভাই না :no: :no: :no: মাপ করেন =((
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
সায়েদ ভাই, কেলাস সেভেনে আমার সাইজের কারণে কিলিনটন সাজানো হইছিল-পরে জুনায়েদ ভাই(৩১তম)ওই রোলে অভিনয় করেন ।তখনো মনিকা লিউন্সকি কেস হয়নাই মনে হয়-কিন্তু অল্প কয়দিন পরে যখন হইল-আর পায় কে!আমারে আমার দোস্তরা আর জুনায়েদ ভাইরে উনার দোস্তরা "মনিকার জামাই" কইয়া ক্ষ্যাপানো শুরু করল।মান ইজ্জতের পুরা ফালুদা!জুনায়েদ ভাইয়ের নাম হইল কিলিনটন সিনিয়র আর আমার নাম হইল কিলিনটন জুনিয়র।আমাদের ১ ব্যাচ জুনিয়র রউফ ছিল পারফেক্ট আরবি স্পীকার-সুমনের মতই।
আপনেরে হিংসা কইরা লাভ নাই-এই জন্মে আপনের ধারে কাছে পৌঁছানোর আশা সেই টুশকির আমল থছাইড়া দিছি।তাই এই ল্যাখা পইড়া আফসুস হৈতাছে না,বরং ছুডু ভাই(মতান্তরে ভাগ্নে) হিসাবে গর্ব হইতাছে।
চল চল চল
সায়েদ ভাই(অথবা মামা) বস!
রউফ স্যার বি এম এ তেও এই আরবী দিয়া স্টেজ এ ফাটাইসিলেন...বস একটা মাল ।
আর সায়েদ ভাই...যথারীতি এবারের লেখাটাও ভাল হয়েছে । একই সাথে বিভিন্ন রকম লেখার স্বাদ পাচ্ছি আপনার কাছ থেকে... :clap: :clap: :clap: :clap:
রউফের সাথে পরিচিত হবার অপেক্ষায় থাকলাম।
থ্যাংকস ব্রাদার।
Life is Mad.
মাস্ফ্যু কিলিনটনও আছিল 😀 :)) 😀 😛 ??
"জাস্ট কিলিনটন" :khekz: :khekz: ।
Life is Mad.
“জাস্ট কিলিনটন” :khekz: :khekz:
বস্,
আবু সাইদ স্যার....
কমন রুমে লাইটস্ আউটের পর কাজ করতে দিতেন??
অবাক হলাম খুব...
তাকে VP + principal হিসেবে পেয়েছিলাম শেষ দেড় বছর...
সেই দুঃসহ,অমানবিক,আশ্চর্যকর "শৃংখলা" নামক শৃংখলের কথা ভাবলে আজও গা শিউরে উঠে....
আপনার স্মৃতিচারণে উনার ব্যবহারটা আমাদের কল্পনারও অতীত....
আর..........নিঃসন্দেহে আপনার লেখনী দারুন মর্মস্পর্শী ও চমৎকার...
ধন্যবাদ......
:thumbup:
আবু সাঈদ বিশ্বাস স্যারের সাথে আমার এরকম বেশ কয়েকটা ছোট ছোট হৃদয়স্পর্শী ঘটনা আছে। স্যারের সাথে দেখা সাক্ষাতের বেশিরভাগটা হতো বায়োলজীর বদৌলতে - তার বাইরে নয়। তোমাদের ঐখানের বর্ণনা শুনে খারাপই লাগছে।
থ্যাকংস ব্রাদার।
Life is Mad.
এই কম্পিটিশনটা আমাদের চার হাউসই পুরা যুদ্ধ হিসাবে নিত 😀 কামলা দিছি প্রচুর হাউসের হইয়া 🙂 আর আসল ডিসপ্লের সময় পুরা সাজ সাজ রব পড়ে যেত। সায়েদের লেখাটা পইড়া পুরাই ফিরা গেলাম ঐ দিনগুলাতে :dreamy:
আমাগো আরবী জানা পোলাপাইন না থাকাতে একবার এই অধমরে ইয়াসির আরাফাত সাইজা জাতিসংঘ না কুন খানে জানি আরবীতে ভাষণ দিতে হইছিলো :-B (ইয়াসির আরাফাত আরবী কইতও কিনা কে জানে 😀 ) আহারে কি মধুর দিনছিলো সেইসব :shy:
দোস্ত থ্যাংকস এরকম একটা লেখা আর দ্য কিলিং ফিল্ডস্ ছবিটার কথা জানানোর জন্য। এইটা দেখা ছাড়া এখন শান্তি পামুনা মনে হয় 🙂
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ইয়াসির আরাফাত??
আমাদের কলেজে কে কে জানি শেখ হাসিনা খালেদা জিয়া সাজছিলো 😛 😀 😛 ।
"দ্যা কিলিং ফিল্ডস" মুভিটার শেষে যখন অভিনেতা অভিনেত্রীদের নাম দেখায় তখন ব্যাক গ্রাউন্ডে একটা গান বাজতে থাকে। গানটা কার, টাইটেল কি আমাকে পারলে জানাস তো (লেনন বা ডিলান কারও হবে)। একবার শুনেই খুব ভালো লাগছিল।
Life is Mad.
ভাইয়া, ইয়াদনান শেখ হাসিনা সাজছিলো
😀 😀 😛 😀
Life is Mad.
😛 😛 😀 😛 🙂 🙂
Life is Mad.
কন কি ইয়াদনান ভাই শেখ হাসিনা সাজছিলো =)) =)) =)) =))
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
ইয়াদনান ভাই কি ১৯৯৭ - ২০০৩ ব্যাচের?
সায়েদ ভাই, চমৎকার করে লিখেছেন। আপনার বর্ণনা পড়ে কলেজের দিনগুলো মনে পড়ে গেল!
সুন্দর একটা লেখার জন্য আপনাকে :salute:
তোমাকেও ধন্যবাদ ভাই।
Life is Mad.
সায়েদ ভাই, এজ ইউজুয়াল, চমৎকার লেখা।
আগের জন্মে আপনে নিশ্চয়ই লেখক আছিলেন।
🙂
www.tareqnurulhasan.com
উরি বাবা......বলে কি 😮 ???
Life is Mad.
আর এই জন্মে ?? 😮
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
এই জন্মে "সায়েদ ভাই" 😀
সায়েদ ভাই,
আপ্নে যে অতি উচ্চ মানের লেখক তাতে আমার কোন সন্দেহ নাই। সিএডির সেই দিন গুলো যেন চোখের সামনে ভাসছে।
এই সিএডি তে প্রচুর কামলা দিসিলাম। চার্ট তো বানাইসিই, ছবি ও আঁকছিলাম, প্লেন বানানো হইছিল ২টা (১৯৯৮ এ খুব সম্ভবত)।
সারারাত জাইগা এত কামলা দিলাম আর আপ্নে আমার কথা উল্লেখ করলেন না??? মনে বড়ই দুষ্ক পাইলাম। 🙁
দুষ্ক দূর করতে আরেকটা টুশকি ছাড়েন।
(আমিও টুশকি লেখপো :-B )
ওম্মম্ম, কারে যেন এরশাদ বানাইছিলাম একবার, মনেও নাই।
আমি হইছিলাম ইরাকি যোদ্ধা একবার, কেলাস এইটে মনে হয়, ইরানিগুলারে মাইরা নিজেও মইরা গেলাম ষ্টেজের উপর, দুম কইরা।
উরে সায়েদ, কত কথা মনে পড়িল যে, হাফ হাফ, আধা আধা
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না