সিমিকে নিয়ে এই ব্লগটি অনেকেই পড়েছেন। ওর জন্য খুব দ্রুত ৫০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। সিসিবির অনেকেই যথাসাধ্য করবেন বলে মন্তব্য করেছেন। আরও বেশ কিছু ব্লগে ক্যাম্পেইন করা হয়েছে। করা হচ্ছে মানব বন্ধন সহ আরও অনেক কিছু। কিন্তু একাউন্টে পড়ে আছে মাত্র ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। অথচ সময় ঘনিয়ে আসছে।
গতবছর আমার খুব প্রিয় একজন শিক্ষক মারা গিয়েছিলেন একই কারণে। টাকা তুলতে তুলতে বেশ দেরী হয়ে গিয়েছিল। সিমির ক্ষেত্রে তার পূনরাবৃত্তি হোক তা আমরা কেউই চাই না। এই জন্য একটা কার্যধারা ঠিক করা প্রয়োজন।
** সিসিবিতে অনেকে রয়েছেন, যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। কেউ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে, কেউ অন্যকোথাও। আপনারা দয়া করে আগামীকাল থেকে আপনার কলিগদের কাছ থেকে টাকা তোলা শুরু করুন। জোর করে চেপে ধরে একটা এমাউন্ট বলে দিবেন (১০০ হোক, পাঁচশ হোক)। সেই টাকা নিজের কাছে রাখুন। টাকার অংকটা যত বড় হয় ততই ভালো- মনে রাখবেন, প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকার মতো প্রয়োজন।
আগামী সাত দিনে কত টাকা তুলতে পারলেন, তার সংখ্যাটা মন্তব্য আকারে শেয়ার করুন। আপনার ফোন নং এবং ঠিকানা দিন- আমরা যেয়ে টাকা সংগ্রহ করে নিয়ে আসবো।
** এবার আসা যাক দেশের বিভিন্ন ইউনিতে যারা আছেন। ছাত্র হিসেবে আমরা আছি (যদিও অনেকেরই ভার্সিটি বন্ধ), শিক্ষক হিসেবে মাসরুফ ভাই আছেন, আছেন জুনায়েদ ভাই সহ আরও অনেকে। দয়া করে আপনার বন্ধুর মানিব্যাগ ছিনতাই করে সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সরিয়ে নিন, যদি না পান তাহলে পরের দিন আবার ধরুন। জুনিয়র হলে ক্যাডেট কলেজের সিনিয়রদের মতো হুকুম করুন টাকা দেওয়ার জন্য। সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই টাকা দিতেই হবে এমন ভাব ধরুন। (এই সিস্টেমে বাগ আছে, আইইউটি তে এক পোলা একবার আমারে পাঁচ টাকা দিসিলো অনুদান হিসেবে) তাই চেহারা দেখে একটা অংক দাবী করুন। কতটাকা দিতে হবে (১০০ না ২০০) সেইটা আপনার মুখ থেকে বের হলে সবচে ভালো হয়, তা হলে পোলাপান অল্পতে ফসকায়া যাওয়ার চেষ্টা করে।
মাসরুফ ভাই, আর যে এফ ম্যামের কাছ থেকে যদি ৫০০০ বাগাইতে না পারেন, তাহলে আপনারে আর সিসিবিতে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
** যে কোন ফান্ডিং এর একটা বিশাল অংশ আসে বিদেশ থেকে। আমাদের এখানেও অনেক প্রবাসী পাঠক আছে- তাদের সাহায্য প্রয়োজন সবচে বেশী। প্রবাসীরা কিভাবে টাকা পাঠাবেন?
টাকা পাঠানোর সিস্টেম কয়েকটা রয়েছে।
১। সুইফট কোড
২। ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়ন
৩। পে পাল পেজ।
সবগুলোই ইফেক্টটিভ। তবে সুবিধার জন্য আপনি সরাসরি টাকা পাঠান। এই জন্য আপনার সুইফট কোড লাগবে। সুইফট কোড দিয়ে টাকা পাঠালে টাকা দেশে পৌঁছাতে সময় লাগতে প্রায় এক সপ্তাহ। ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়ন সবচে দ্রুত, তবে ওরা চার্জ করে বেশী। পে পাল ঝামেলা- বিদেশের একজনকে দায়িত্ব নিতে হবে। এই অপসন আপাতত বাদ।
বিদেশীরা শুধু নিজেরাই টাকা পাঠাবেন না, আশে পাশে বন্ধু বান্ধদের বলুন- পারলে পুরো পঞ্চাশ লাখ একাই তুলে ফেলার চেষ্টা করুন। একটা মানুষের জীবনে বাঁচানো গেলে, কামের মতো একটা কাম হবে। 🙂
Md. Solaiman
Account No:002199335
Swift code: JANBBDDHTKD
Janata Bank Ltd.
Mohammodpur,corporate branch,Dhak
** মিডিয়া কাভারেজ দরকার। এই ক্ষেত্রে সানাউল্লাহ ভাইয়ের সহায়তা কাম্য। রেডিও, সংবাদ মাধ্যম, সব জায়গায়।
সিসিবি থেকেই আসুন আমরা বিরাট একটা অংক তুলে ফেলি। তবে খুব দ্রুত। আপাতত এই টুকুই। সবাই ভালো থাকুন।
আমার ব্লগের সুশান্তকে বলে দেখ না, সে অনেক অনলাইন ক্যাম্পেইন চালাইছে। তার পে পাল একাউন্টও আছে। সুইফট কোড দিয়া টাকা পাঠাইলে এরা অত্যাধিক চার্জ করে।
হুম!!
ভাইয়া এই ব্যাপারটা একটু দেখবেন। আমার ব্লগের কারও সাথে আমার খাতির নেই। সুশান্ত দা' কে যদি বলা হয়, তাহলে তার দায়িত্ব নিতে হবে টাকা তোলার এবং তা দেশে পাঠানোর। আমি সচলের কয়েকজনের সাথে কথা বললাম- পে পালের ব্যাপারে কেউ সাহায্য করতে পারলো না।
তবে ফয়সল ভাইয়ের সময় আমার ব্লগ থেকে সাহায্য করা হয়েছিল জানি।
আমার আসলে সুশান্ত দার সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় নাই। তার উপর আবার আমারে ফেসবুকে ফ্রেন্ডস ইনভাইটেশন পাঠাইছিল, অভদ্রের মতো ইগনোরও করছি।
কিন্তু তার পে পাল একাউন্ট প্রায়ই এইসব কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে বলেই জানি।
ফেসবুকে একটা মেসেজ দিছি। একটু কষ্ট কইরা দেখবা?
শিক্ষক হিসেবে মাসরুফ ভাই আছেন
তথ্যগত বিশাল একটা ভুল করলি(ইয়ে মানে দেখে আমার খুব একটা খারাপ লাগেনাই)।
আমি শিক্ষক নই,গ্র্যাজুয়েট(টিচিং) এসিস্ট্যান্ট।নামটা গালভরা হইলেও নসুতে আমার স্ট্যাটাস ক্যান্টিনের মামাদের চেয়ে মাত্র ইঞ্চিখানেক কম-বেশি।
শিক্ষক হইতে হইলে নর্থ আমেরিকান মাস্টার্স ডিগ্রি লাগবো,সেইটা দেরী আছে 🙁 🙁
শিক্ষকের ব্যাপারটা যেহেতু চোখে পড়ছে তাহলে এইটাও আর যে এফ ম্যামের কাছ থেকে যদি ৫০০০ বাগাইতে না পারেন, তাহলে আপনারে আর সিসিবিতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ত চোখে পড়ছে তাই না?
আপনি ছাত্র শিক্ষক সবার কাছ থেকে ইয়েবা কেনার পয়সা থেকে কিছু কিছু করে তোলা শুরু করেন।
আবার গ্যাঁড়াইলি।নাম হইব ইয়াবা,ইয়েবা না 😀
অভ্যাস নাই তো তাই। আপনারা তো ঝানু পাব্লিক 😉 😉
আর রায়হান,আরজে এফ ম্যামের কাছ থিকা ওইরকম কিছু চাইতে গেলে বিনিময়ে আমারে দিয়া বেশরিয়তী কাজ করায় নেওয়ার চান্স আছে।সেই রিস্কে না গিয়া গত মাসে পাওয়া নিজের পে-চেক থিকাই আমার সাধ্যমত ব্যবস্থা করুম।
শুধু আপনি না, পোলাপানকে ধরেন- যা উঠাতে পারা যায়। সবাই মিলে আটঘাট মিলে নামলে পঞ্চাশ লাখ কোন ব্যাপার না।
বেশয়তী কাজের দায়িত্বটা কি আমারে দেয়া যায়? 😉
আমি টাকা নিয়া আইতাছি।
আপাতত মেসেঞ্জারে আয়।
আমি আইতাসি ২৫ তারিখ...দেখি কি করা যায়...আল্লাহ ভরসা... :boss: :boss: :boss:
বোল্ড এটেম্প্ট। অবশ্যই সাথে আছি।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
সুদান থেকে টাকা পাঠানো ঘোরতর ঝামেলা'র ব্যাপার। ঈদের দিন পোস্টটা দেখেই একবার চেস্টা করে বিফল হয়েছি। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশটাতে নামেমাত্র ব্যাংক থাকলেও ...
তবুও শেষ চেস্টা হিসেবে 'খার্তুম' থেকে কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা দেখতে হবে। আমি আছি ... আবার দেরি না হয়ে যায়।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
তাইফুর ভাই, আপনার কোন বন্ধুকে বলুন আপনার হয়ে টাকাটা দিয়ে দিতে। সুদানী কোন সুন্দরীর পাল্লায় না পড়লে আপনি তো দেশে ফিরবেনই, তখন দিয়ে দিতে পারবেন। 🙂
হুম এইটা ভালো বুদ্ধি।
রায়হান, ব্লগার আরিফ ভাইকে ধর (আরিফ জেবতিক) উনাকে দিয়ে একটা পোষ্ট দিতে পার কিনা আমার ব্লগে দেখ। আমার ধারনা আরিফ ভাই পোষ্ট দিলে আমার ব্লগে অন লাইন এক্যাউন্ট চালু হবে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আচ্ছা ভাইয়া।