হতচ্ছাড়া রেলটাই নাকি বাংলাদেশের সকল সমস্যার মূল কারণ। ওর তো আর কোন সময় জ্ঞান নেই। রাত বিরাতে বাড়ির পাশ দিয়ে হুশশ করে চলে যায় আর গভীর রাতে কর্তার ঘুম ভাঙলে মেজাজ থাকে গরম, তখন কর্তা-কর্ত্রী দুজনে একটু বেশী কাছে আসেন আর সেই সাথে ফি বছর নতুন অতিথির আগমন। বেড়ে যায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা। চারিদিকে কেবল মানুষ আর মানুষ! কেবল এই কারণে রেলের উপর সরকারের যত রাগ। তারা এদেশে রেলের আর প্রসার হতে দেবে না। বিশ্বাস হল না? নিচের ছবি গুলো দেখুন-
এই যে রেলের ছাদে করে শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রিয় মানুষের সাথে দেখা করার জন্য বাড়ি যায় এই সকল ছবি দেখলে তো দুগ্ধপোষ্য শিশুও বোঝে দিনে একটার জায়গায় দশটি রেল থাকলে মানুষের দুর্ভোগ কমে যাবে, শুধু বোঝে না আমাদের সরকার । কেন বোঝেনা জানেন? না বোঝার-
প্রধান আন্তর্জাতিক কারণ:
টয়োটা, হোন্ডা, মিতসুবিসি এই সব বাঘা বাঘা অটোমোবাইল কোম্পানির সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ীর সবথেকে বড় ক্রেতা কোন দেশ জানেন? জানেন, তাই না? ওদের সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ী কিনে আমাদের মধ্যবিত্তরা নিজেদের ডিসটিংগুইশড করতে পারছে হতচ্ছাড়া দরিদ্রদের কাছ থেকে । এই সুযোগ তো তারা লুফে নেবে এটা বুঝার জন্য টয়োটা, হোন্ডা, বা মিতসুবিসির সিইও হতে হয় না। ওয়ার্ল্ডব্যাংকে যারা সবচেয়ে বেশী চাঁদা দেয় জাপান তাদের অন্যতম, তাই যমুনা সেতুতে রেলের সংযোগ করার সময় কেউ কিছু না বললেও ওয়ার্ল্ডব্যাংক বলে বসে এটা অতি উচ্চবিলাসী স্বপ্ন। জাপান বড় দাতা দেশ, কিন্তু জাপান বড় দাতা দেশতো তার বড় বড় কোম্পানির দেয়া চাঁদায়।জাপান তো তার কর্পোরেট হাউস গুলোর লাভ দেখবেই। এদেশে কত কালভার্ট, সেতু, রাস্তা করার জন্য যে জাপান ঋণ সহায়তা দিছে তার শেষ নেই, কিন্তু মণে করার চেষ্টা করেন তো জাপান এদেশে রেলের উন্নয়নের জন্য কী সহায়তা দিছে । দোয়া করি জাপান এর কর্পোরেট হাউস গুলো রেলের বিজনেসে আসুক। ভাইরে আমাকে কেউ আবার জাপান বিদ্বেষী ভাইবেন না। জাপানিদের আমি ভীষণ ভালবাসি। বিশেষ করে কিমানো পরা জাপানি মেয়েদের। ইশ কি যে ইনোসেন্ট লাগে।
আসলে ‘আন্তর্জাতিক কারণ:’ কথাটা বলা কতটা ঠিক হোল কে জানে! আপনার বৌ যদি অন্য ছেলের হাত ধরে পালায় যায়, আর আপনি যদি বলে বেড়ান বৌ খারাপ, ছেলেটা বদ; মানুষ হয়তো আপনাকে সহানুভূতি জানাবে, কিন্তু আপনি যদি উপলব্ধি করেন আমি আরো কেয়ারিঙ হতে পারতাম, আই কুড বী মোর ম্যান এণাফ টু হোল্ড মাই লেইডী, তাহলে হয়তো আপনার আরো লাভ হতো। যাই হোক মূল কথায় ফিরে আসি, সব দেশই তার ব্যবসায়িদের সুবিধা দেখবে এটাই স্বাভাবিক, তাই জাপান/জারমানী চাইবে তার পুরনো গাড়ীগুলো এদেশের আরো পুরনো মরচে পড়া রাজনীতিবিদ ও শঠ ব্যবসায়িদের মাধ্যমে এদেশের মধ্যবিত্তদের কাছে বেচতে । এতে ওদের দোষের কিছু নেই । আমরা পারিনি, পারছিনা আমাদের প্রিয়তম দেশটাকে সাজাতে, বাচাতে।
প্রধান দেশীয় কারণঃ
সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ীর বিজনেস এদেশে করেন রাজনীতিবিদ ব্যবসায়িরা, যাদের টাকা এবং মাছেল দুটোই আছে। যেখানে শহরের মোট আয়তনের ২৫ ভাগ সড়ক পথ থাকার কথা সেখানে ৪ ভাগের ও কম সড়ক থাকার পরও সব সরকার সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ীর আমদানিতে উৎসাহ দিসে। এই শহরের মোট গাড়ীর ৯৭ ভাগই প্রাইভেট কার যাতে চড়েন এই শহরের মাত্র ৩ ভাগ লোক। উল্লেখ্য তারা সিএনজি সুবিধা পায়। অর্থাৎ ৩ ভাগ লোকের গড়িতে ব্যবহৃত হয় ৯৭ ভাগ সিএনজি। শুধুমাত্র পাবলিক ট্র্যান্সপোর্ট এর গাড়ীগুলো সিএনজি পাবে এমন নিয়ম করলে সিএনজি এর দাম অনেক কমে যেত, পাবলিক ট্র্যান্সপোর্ট এর ভাড়াও কমে যেত। ডিজেলের দামের কারনে অনেকেই গাড়ি কেনার আগে দ্বিতীয়বার ভাবতেন। জানি কথাগুলো ভদ্রলোকদের অনুকূলে হচ্ছে না। কিন্তু কিছু করার নেই। ভদ্রলকেরা যদি প্রয়োজনীয় রাস্তা বানিয়ে গাড়ি চালান, আমার কোন আপত্তি ধোপে টিকবে না। আমি মূলত লিখছি অযোগ্য পাবলিকের জন্য। যদি আনু মুহাম্মদের মত পাবলিক লাইব্রেরির সামনে গিয়ে পুলিশের বাড়ি খেয়ে মাথা ফাটানোর সাহস আমার থাকতো আমি তবে তাই করতাম।অভদ্র পাবলিকেরা যে তাদের গ্যাসের ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছেনা একথা ভদ্র পরিবেশে আলচনা করতামই না। ইস্, কালকে যদি শহরের সব আম পাব্লিক আইসা রাস্তায় রাস্তায় চিৎ হইয়া শুইয়া পড়ে আর চিৎকার করে বলে এই শহরের ৯৭ ভাগ আমরা, এই ৯৭ ভাগ রাস্তা দিয়া আমরা কাউরে জাইতে দিব না, আমরাও যাব না, আমরা এইখানে শুইয়া থাকুম। তোমরা আমগো মাইরা ফালাও। তোমরা আমাদের গ্যাস নিবা, রাস্তা নিবা আমরা আর কত ছাড় দিব। উন্নত পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট এর দাবিতে এইটা আমার একটা স্বপ্নের দৃশ্য।
সড়ক পথের পরিবহন রেলের চাইতে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা আর নাই বললাম, এবার আসুন তার পরিবেষ দূষণের কথায়। ভাবুনতো একটা রেল কতটা কম দূষণ করে একটা বাসের চেয়ে অনেক বেশী মানুষকে পরিবহন সেবা দিতে পারে। কষ্ট হচ্ছে ? লাভ নেই ! কারণ পরিবহন সমিতির চাঁদায় এদেশের যোগাযোগ মন্ত্রীরা দলের কাছ থেকে মন্ত্রিত্বের টিকিট কেনে। সেখানে আপনি আমি কে? আপনি কী জানেন ওয়ার্ল্ডব্যাংকের আনঅফিশিয়াল একটা সার্ভে থেকে জানা যায় যে, এদেশে প্রতিদিন সড়ক পরিবহন সেক্টরে মোট চাঁদার পরিমাণ প্রায় ১৫০ কোটি টাকা । যাত্রা পথে গাড়ি থামিয়ে ৫০ টাকা ছুড়ে মারার দৃশ্য মনে হয় আপনার অপরিচিত নয়। এই চাঁদাটা যায় ওই পথের/ওই এলাকার এমপি মহোদয়, পুলিশ সুপার, ডিছি সাহেব এবং অন্যান্য পাতি রাজনীতিবিদদের মাঝে। মানুষের নাগরিক অসুবিধাকে পুজি করে ওই সকল রাজনীতিবিদরা এখন বড় বড় প্রোজেক্ট করার কথা বলে আর পকেট ভারি করতে চায়।
আমার দুঃখটা কোথায় জানেন? এই লেখাটা আপনি যখন পড়ছেন, আপনি তখন হয়তো কোন সিএনজি করা প্রাইভেট কারে করে আপনার ল্যাপটপের LED স্ক্রিনের নরম আলোয় চোখ বুলাচ্ছেন, অথবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে আইপ্যাডের টাচস্ক্রিনে ছোঁয়া দিচ্ছেন, নরম সিল্কের গাউন পরা কেউ আপনার দিকে এগিয়ে আসছে। আর শালার পাবলিক তো এই লেখা কোনোদিন পড়তে পারবে না। সেতো সারাদিন কামলা দিয়ে বাদুর ঝোলা হয়ে বাসে করে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরেই ঘুমায়ে পড়ছে। গভীর ঘুম! এমন সময় ওই হতচ্ছাড়া রেলটা বাড়ির পাশ দিয়ে হুঈষ করে চলে যায় আর গভীর রাতে কাচা ঘুম ভাঙলে মেজাজ থাকে গরম, তখন কর্তা-কর্ত্রী দুজনে একটু বেশী কাছে আসেন আর ফি বছর নতুন অতিথির আগমন। এই অত্তিথিদের কেউই আপনার ভবিষ্যৎ মালী, দারোয়ান, অথবা ডমেস্টিক হেল্প। হাহ্, ছোকড়া চাঁদ!
প্রথম... 😀
আপনার কথার সাথে একমত। তাই তো যমুনা সেতুতে রেল প্রথম ভ্রমণ ছিল সাকুল্যে চার ঘন্টার। মেয়র মিনু সাহেবের অনুরোধে সেই রেল এখন আসে ৬-৬,৫ ঘন্টায়।(রাজশাহী বাসীর কাছে শোনা)। অযথা রাস্তায় দারিয়ে রেল সময় নস্ট করে।
এই অবস্থা সারা বাংলাদেশই বিদ্যমান।
তবে আপনার কয়েকটি কথার সাথে একমত না।
১। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করে তার রেফারেন্স দেয়াটা যুক্তিসঙ্গত নয়।সেটাও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হতে পারে।
২। আর গাড়ির ব্যবসা পুরোটা রাজনীতিবিদরা করেন না বলে আমার মনে হয়।
অফটপিকঃ আপনিও কিন্তু কম্পিউটারের বোতাম চেপে লেকাটা লিখছেন। 😛
লেখা ভালো হয়েছে।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
তানভীর, অনেক ধন্যবাদ ভাই।
তোমার ১ম প্রশ্নের জন্য কিছু কথা (উত্তর না কিন্তু)-
ব্লগ আসলে সব কথা বলার জন্য কতটা জুতসুই কে জানে। ওয়ার্ল্ডব্যাংকের কথা বললে যখন, ওয়ার্ল্ডব্যাংক কিন্তু একটা টেবল মেইড অর্গানাইজেশন, আর বাংলাদেশ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে অর্জিত একটা আদর্শ/স্বপ্ন। ১৯৪৪ সালে ওয়ার্ল্ডব্যাংকের মাদার অর্গানাইজেশন IBRD তৈরি করা হইছিল ধ্বংস প্রাপ্ত ইউরোপের পুনর্গঠনের জন্য অর্থ সাহায্য দেবার উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ আমেরিকাতে তৈরি করা পণ্যের বাজার নিশ্চিত করার জন্যে। এখন তুমি যদি কোন কোম্পানির মালিক হও আর তোমার হাই স্যালারিড সিইও যদি তোমার কোম্পানির লাভের জন্য চেষ্টা করে তুমি কি তাকে অপরাধি বলবে, বলতে পারবে? ওয়ার্ল্ডব্যাংকে যারা আছেন তারা অনেক মেধাবী এবং যোগ্য। মনে কর ওয়ার্ল্ডব্যাংক কিছু নির্দিষ্ট দেশের হাই স্যালারিড সিইও। ওয়ার্ল্ডব্যাংক তো ওয়ার্ল্ডব্যাংকের কাজ করবে। ওয়ার্ল্ডব্যাংক তো উদ্দেশ্যপ্রদিতই। যাগগে, ওয়ার্ল্ডব্যাংকের ভুমিকাকে প্রশ্ন বিদ্ধ করার যে আসঙ্কা তুমি করেছ তার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে(এবং মুলত যোগ্যতা) আমার নেই। আমার প্রশ্ন ছিল আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের যোগ্যতা নিয়ে, যাদেরকে আমরা ভোট দিয়েছি, তাদের নিয়ে, যাদের হাতে আমরা দেশটা ছেড়ে দিয়ে নরম বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবছি ওরা কেন যে এত খারাপ তাদের নিয়ে। আসলে বোর্ড রুমে কিভাবে একজন কূটনীতিক, বা ইকনমিক হিটম্যান কিভাবে আমাদের প্লানারদের মগজ ধলাই করে সেই সব কথা বলতে গেলে লেখা অনেক জটিল হয়ে যাবে।আমাদের সৌভাগ্য যে আমাদেরই অনেক ক্যাডেট বড় ভাই এবং বন্ধুদের অনেকেই অইধরনের বোর্ডমিটিঙের থাকছেন। “Confession of an economic hit man” বইটার কথা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে। সময় পেলে পড়ে নিও। আমার এত সব বলার মূল উদ্দেশ্য হল এই যে, কিছু দুষ্টু লোকেরা জোট হয়ে অনেক ভাল মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে, অথচ ভাল মানুষেরা তা মেনে নিচ্ছে ।
হ্যান্স অ্যানডারসনের “রাজার নতুন জামা” গল্পটা তো অবশ্যই পড়েছ। ওই যে পিচ্চি ছেলেটা যে প্রথম স্ববিস্ময়ে চিৎকার করে উঠেছিলো -
“এই যা! রাজা দেখি ন্যাংটা-পুটু ”
আমাদের এখন অনেক পিচ্চি ছেলে দরকার। যারা চিৎকার করে আমাদের নেতাদের যেয়ে বলবে “এই যা! তোমরা দেখি ন্যাংটা-পুটু ”
২য় প্রশ্নের জন্য কিছু কথাঃ
গাড়ীর ব্যবসা পুরটাই রাজনীতিবিদরা করে কিনা তোমার ভাবনা আসলেই সঠিক। ঢাকা শহরে যাদের শোরুম আছে তারা কিন্তু আমার আলুচনার গাড়ী ব্যবসায়ী নয়। তারা অবশ্যই গাড়ীর ব্যবসায়ী । তবে আমরা আলুচনায় ধরছি তাঁদের যারা কয়েকটা মাদার ভেসেলে করে ৫০,০০০ থেকে ৮০,০০০ লটের গাড়ী নিয়ে আসে।
ভাল থেক, দরদ দিয়ে পড়েছ এই জন্য ধন্যবাদ। আমার আসলে চেষ্টাটাই ছিল যত কম রেফারেন্স দিয়ে সহজে বলা যায়।
শামীম মুরাদ
মনের দুঃখ মনে চাইপা রাইখা যে পথ চলি.........।। ভাইরে দিল খুইলা কই... ভাল লাগেনা। এইদেশরে লইয়া কোন কিছু ভাবতে আর ভাল লাগে না। অযোগ্য মানুষ চালায় এইদেশ। অসুস্থ প্রতিযোগিতা। যোগ্য লোকের আওনের কোন উপায় নাই.........
কারন যোগ্য মানুষেরা যে মনের দুঃখ মনে চাইপা রাইখা একলা একলা পথ চলে । আর অযোগ্য মানুষেরা সব একজোট হয়ে সেই সুযোগে দেশ চালায়তেছে।ভাল থেকো শিশির...
শামীম মুরাদ
lets try to get connected and connect people......
চমৎকার বিশ্লেষণ! কিন্তু এরম অভিযোগের পেছনে রেফারেন্স দেয়া উচিৎ ছিল, নইলে ঠিক বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে না।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণটাতে অতিশয় মজা পাইলাম 😀
এটা করার আগে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে, নতুবা অন্যান্য আর সকল কথার মত এটাও তত্বকথাই রয়ে যাবে। সাধারণ স্তরের পাবলিক ইচ্ছা করে গাড়ি কিনে না।
আহাহা...সবাই যদি এভাবেই ভাবত 😛
ডিয়ার সামিয়া আপু, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি কিন্তু আমার গত লেখাটায় ঢাকা শহরে ২০০০ ডাবল ডেকার নামানোর ক্ষুদ্র একটা দাবি জানিয়ে রেখেছিলাম। আশা করি যখন তোমরা অনেক বড় বড় প্ল্যানার হবে তখন হয়ত গরীবের এই দাবী পাত্তা পাবে।
শামীম মুরাদ
মুরাদ,
হালকা মেজাজে সমস্যাটা এবং তার কারণ এর থেকে ভালো করে আর কিভাবে প্রকাশ করা জায় আমার জানা নেই। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ নিয়ে যে মস্করাটা করলি, জব্বর হয়েছে।
আর হ্যাঁ, রেফারেন্সের ভারে লেখাটাকে ভারাক্তান্ত না করার জন্য লেখায় পাঁচতারা।
@মাহমুদুল (২০০০-০৬),
বিশ্বব্যাংকের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করে রেফারেন্স দেওয়া কেনো যুক্তিযুক্ত নয় মনে করলে তা' কি আরেকটু বিশদে বলবে?
প্রাইভেট কারের ব্যবসার সাথে রাজনীতিবিদদের সংযোগের জন্য কার-ব্যবসায়ীদেরকে সরাসরি রাজনীতিতে নামতে হবে বলে কেন মনে করছো তারও একটা ব্যাখ্যা থাকা দরকার।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের এমন চরিত্রের কথা আমরা সবাই জানি। তাই আমাদের দেশের পাটজাত পন্য উতপাদন বন্ধ করার পরামর্শ দেয় আর ভারতে পাতজাত পন্যের উতপাদন বাড়ানোর জন্য ঋন দেয়া হয়।এমন অভিযোগ ও আছে যে, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক,আই এম এফ সহ এমনকি জাতিসঙ্ঘও গোটা পৃথিবীর উপর পশ্চিমা বিশ্বের ছড়ি ঘোরানোর কিছু শোষন মূলক অবকাঠামো মাত্র।
এটি কিন্তু সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির পায়তারাও হতে পারে।যেহেতু তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তাই বলেছি একটি লেখার মধ্যেই তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করে আবার তাদের
আনঅফিশিয়াল (ওয়ার্ল্ড বাঙ্কের প্রকাশিত তথ্য আনঅফিশিয়াল হয় কিভাবে?) তথ্য রেফারেন্স হিসেবে দেয়াটা যুক্তিসঙ্গত নয় বেলে মনে করি।(অন্তত একই লেখার মধ্যে)
এইটির সাথে আমি একমত না।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
যদি চকলেট খাওয়াও তাইলে কমু ক্যামনে আনফিসিয়াল তথ্য পাওয়া যায়। তখন তুমিও এরকম হুদাই চামে ভাব নিতে পারবা
শামীম মুরাদ
মাহমুদ থেঙ্কু দোস্তো (সম্পাদিত)
শামীম মুরাদ
মুরো, ভালো লেখা প্রসব করেছিস। :clap:
ক্ষমতাসীন গাড়ীর ব্যবসায়ীরা যদি রেলের দুর্দশার পেছনে একটা কারন হয়ে থাকে, আর তাদের উপদ্রব থেকে বাঁচা যদি কঠিনই হয়ে থাকে, তাহলে একটা আপাতঃ সমাধান হতে পারে রেলওয়েকে আরো প্রাইভেটাইজেশন করে ঐসব ব্যবসায়ীদের সেই ব্যবসার সু্যোগ দেয়া।
ক্যাডেট মহান
ও-৭০২
সিসিআর
থেঙ্কু দোস্তো 🙂 🙂
দোস্তো, আমরাও তাই চাই, ওরা টাকা বানাক কিন্তু তার মাধ্যমটা যেন হয় জনগনের একটু সস্তি । তুই তো parmananently head damaged, [PHD] ক্লাবের মেম্বার হচ্ছিস, জায়গা মত আওয়াজ দিস। :party:
শামীম মুরাদ
মন্ত্রীদের ই তো দেশ । আমরা আর কি?
আমরা জনগণ, আম আদমী, ম্যাংগো পিপল, ভোটার...
সমস্যা নিয়ে যা বললেন নতুন আর কি বলবো। আমার ধারণা, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট মানে ট্রেন, বাস, নৌ-পরিবহন যদি ঠিকমতো পরিচালনা না করা হয় এবং গুরুত্ব সহকারে অগ্রাধিকার না দেওয়া হয় তাহলে কাজের কাজ কিছুই হবে না কখনো।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অর্থায়নের কথা বললেন সেটাও ঠিক যে দেশের বিনিয়োগ বা ব্যবসায়িক স্বার্থ যেখানে তারা সেখানেই অর্থায়ন করে। আর আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সেই মতো পলিসি মেকিং জন্য চাপ প্রয়োগ করে। চুরিদারি এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করে পাবলিকের জন্য ভাল কিছু করা আমাদের অভ্যাসে নাই। সুতরাং রাতারাতি কিছু পরিবর্তন হবে, তা হবার না।
ট্রেনের ছবিটা সাংঘাতিক এবং ভয়ংকর! যদিও এসব দেখতে দেখতে সয়ে গিয়েছে। মুরাদ ভাই, লিখতে থাকেন। ইস্যুভিত্তিক লেখালেখি জিনিসটার একটা গুরুত্ব অবশ্যই আছে। রাতারাতি কিছু না হলেও, মতামত গঠন করে।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
রাব্বী, তোমার এই উৎসাহ দেয়ার ধরনটা এত সুন্দর আর পরিনত !
থেঙ্কু ভাই 🙂
শামীম মুরাদ
:clap:
মুরাদ ভাই, চমৎকার বিশ্লেষনধর্মী একটা লেখা। আমি নিজেও এ নিয়ে অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম, বিশেষ করে নিজে ঢাকা-চট্টগ্রাম জার্নি শুরু করার পর থেকে। বাস জার্নির থেকে অনেক বেশি আরামদায়ক, সাশ্রয়ী এবং কম সময়ের ট্রেনে জার্নি করার আশায় টিকিটের জন্য রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়। এরকম জনপ্রিয় একটা যোগাযোগ ব্যবস্থা কি করে অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয় তা মাথায় আসে না। পন্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
থেঙ্কু ভাই 🙂
সারি নদী দেখার ইচ্ছে আসে। তোমার ফটুক দেখে ইচ্ছেটা জাগসে। যাই হোক এই মাসে একটা সিলেট ট্যুর হওয়ার সম্ভাবনা আসে। দেখাযাক কি হয়। ভাল থেক।
শামীম মুরাদ
সময় থাকতে দেখে আসেন ভাইয়া, কোথায় জানি পড়লাম ভারত সারি নদিতেও বাঁধের পরিকল্পনা করছে... 🙁
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আচ্ছা ভারত থেকে বাংলাদেশে নদী আসছে কয়টা? মোট ৫৪ টা না? কোনটার মুখে বাঁধ আর কোনটার মুখে নেই, এইটা নিয়ে একটা লেখা দিয়ে দাও না!
শামীম মুরাদ
দুঃখিত ভাইয়া, এ ব্যাপারে কোন কিছু জানা নেই 🙁
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:thumbup:
মুরাদ, দোস্ত ভালইতো লিখেছিস। আসলেই অনেক ভাল। তোর কি মনে পড়ে, আমরা যখন ক্লাস সেভেনে ফুটবল খেলতাম তখন দুই গোলকিপার ছাড়া বাকি সবাই যেখানে বল সেখানে থাকতাম। কিন্তু ক্লাস টেনে যখন খেলতাম তখন কিন্তু ছড়িয়ে-ছিটিয়েই খেলতাম। খেলাটাও ভাল হত।
চালিয়ে যা, সবাই আসল কথাটা বলার মত করে বলতে পারে না।
হুম, মনে আছে। আমাদের হাউজে লম্বা কেও ছিলনা তাই বাস্কেতবলে তোরা আমাদের তোপের উপর রাখতি, তবে ফুতবলে আমরা তোদেরকে হালি খানিক গোল না দিয়ে মাঠ থেকে আসতাম না। মাহমুদ, ধিমান আর আমার তৈরি ডিফেন্সের নাম ছিল চীনের প্রাচীর । সেই প্রাচীর তোরা কেউ পার হতে পারতি না। আর আমাদের ৫ ফিট আরাফাত তোদের ৬’ফিট মোস্তাফিজের স্ম্যাশ ঠ্যাকাইআ ভলিবলে বেস্ট প্লেয়ার হইছিল। আহ্, sometimes, it really feel good to go down the memory line. B-)
শামীম মুরাদ
মুরাদ, ভিন্ন ধরণের বিষয় নিয়ে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছ, ভালো লাগলো।
তবে কয়েকটা পয়েন্ট:
১. ঢালাওভাবে এডিবি, বিশ্বব্যাংককে গালি দেওয়া একটা ফ্যাশন। ওরা সব ভালো করে বলি না। তবে সব খারাপ করে তাও বলি না। বিদ্যুৎ খাতে কিছুটা হলেও চুরি কমেছে এদের কারণে। ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরেছে আইএমএফের কারণে। ওদের চাপ না হলে তো আমরা কিছু করি না। ঠেলার নাম বাবাজি কে না জানে!
২. রেল নিয়ে রাজনীতিবিদরা শুধু কথামালাই সাজিয়েছে, কাজের কাজ কিছু করেনি। ব্যয় কমানো, কম পরিবেশ দুষণ, বেশি যাত্রী ও পণ্য বহন ক্ষমতা আছে এই বাহনের। এই খাতে এডিবি দীর্ঘদিন টাকা দিতে চেয়েছে, উন্নয়নের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু কোনো সরকার আগ্রহী হয়নি, সড়ক পরিবহন ব্যবসায়ী চক্রের চাপে। সত্য যে সড়ক পরিবহন ব্যবসায় রাজনীতিবিদ, পুলিশ-সেনা কর্মকর্তা অনেকেই যুক্ত। আর চাঁদাবাজির ভাগ তো পুলিশ আর রাজনীতিবিদরাই খেয়ে যাচ্ছে। রেলে তো সে সুযোগ থাকবে না!
৩. পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বা ম্যাস ট্রানজিট ইস্যুটা এনেছো। কিন্তু যুক্তিযুক্ত কোনো সমাধান দিতে পারোনি। যে দেশে মানুষ কম, রাস্তা বেশি সে দেশে বাস, ডাবল ডেকার ঠিক আছে। কিন্তু ঢাকার মতো শহরে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের নামে ২০০০ ডাবল ডেকার নামালে কী অরাজকতা হবে ভাবতে পারছো? অথচ তোমার দাবি ওইটাই। মনোরেল, স্কাই ট্রেন প্রধান বিকল্প হতে পারে। পাশাপাশি এইসব হাজার হাজার লক্কর ঝক্কর মিনিবাস উঠিয়ে শহরটাকে ৪/৫টি অঞ্চলে ভাগ করে, হিসাব করে বড় বাস ও ডাবল ডেকার পরিকল্পনা মতো নামাতে হবে। কোনো বাস স্ট্যান্ডে এক সময়ে একটার বেশি বাস দাঁড়াতে পারবে না। পেছনের বাস আসার আগে আগে সামনের বাস জায়গা ছেড়ে যাবে। অর্থাৎ ম্যাস ট্রানজিট লাগবেই। পাশাপাশি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থায় কঠোর শৃঙ্খলা আনতে হবে।
৪. ম্যাস ট্রানজিট ও পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা চালু এবং নিরাপদ হলে মানুষ প্রাইভেট কার কেনা কমাবে। ঢাকায় প্রাইভেট কার বাড়ার আরো একটা বড় কারণ নিরাপত্তা। নিজের আছে বলে বলছি না। এটাই বাস্তবতা। আমার ছেলে স্কুল বা কলেজে কিভাবে যাবে? আমার এলাকা থেকে কোনো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট তো ওর স্কুল পর্যন্ত নেই। সব শৃঙ্খলা আনতে পারলে প্রাইভেট কার ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার অনেক পদ্ধতি আছে। উচ্চ কর, টোল, কার পার্ক ফি, জ্বালানির মূল্য বাড়ানো- সবই সম্ভব।
৫. তবে এসব নিয়ে করবে আর ভাববেটা কে? স্কাইরেলের প্রস্তাবিত রুটে আপত্তি জানিয়েছে বিমান বাহিনী! কারণ কী? পুরনো বিমানবন্দর নাকি তাহলে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে! কে বলবে শহরের মাঝখান থেকে প্রায় পরিত্যক্ত এই বিমানবন্দর সরাও। রাজেন্দ্রপুরে তো বিমানবাহিনীর জায়গা আছে। ওটাকে ব্যবহার করো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আগে ::salute:: দিয়ে নেই । ভাইয়া কি যে ভাল লাগলো, আপনার চোখে লেখাটা পড়ল বলে।
ভাইয়া, আমিও আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। আমি কিন্তু কোথাও তাদের কোন ভুলকে হাইলাইট করছি না। আমার মূল উদ্দেশ্য আমরা/আমাদের রাজনীতিবিদরা যে গন মানুষের ট্র্যান্সপোর্ট, বা বড় করে বললে নাগরিক সুবিধার ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে চরম ভাবে ব্যর্থ এবং এর সমধান করার ক্ষেত্রেও স্বপ্ন দেখার মত কিছু করতে পারেনি/পারছেনা সেটা হাইলাইট করা।
ভাইয়া, মনোরেলের কথা বললেন। থাইল্যান্ডে এবং মালয়শিয়াতে মনোরেল দেখার সুযোগ হয়েছিলো। ঢাকার যে পপুলেশন ডেনসিটি তাতে স্কাইরেল বা মনোরেলের কথা ভাবা উচিত ছিলো কমপক্ষে আর দশ বছর আগে। আর ডিছিপ্লিনের কথা বলেছেন, ব্যাংককে কোন ট্যাক্সি ক্যাবওয়ালা কখনই জিজ্ঞাসা করতে পারেনা আপনি কোথায় যাবেন। আপনি হাত উচু করলে তারা গাড়ি থামাবে এবং আপনি গাড়িতে উঠে তাকে বলবেন যে আপনি কোথায় যাবেন। পুরা ১৫ দিনে আমি মাত্র একটা ট্যাক্সি ক্যাবস্টপ দেখেছি, তাও লুম্ফিনি পার্কের মতো বড় পার্কের পাশে। অন্য সব জায়গাতে সব ট্যাক্সি মুভিং।
আর এখনো কেন ডিসেন্ট্রালাইজেশান হইতেছে না এটা কে বলবে? গারমেন্টস গুলা এবং আরো অনেক শ্রমঘন শিল্প কি ঢাকার বাইরে নেয়া যায় না? ঢাকা শহরের মাঝখানে ক্যান্টনমেন্ট রাখার কোন যুক্তি কি আর অবশিষ্ট আছে? রাজার গার্ড দেয়ার জন্য কি এত পাইক পেয়াদা লাগে? যারা যোগ্য মানুষ তারা গলফ খেলবেন এতে আমার কোন দুঃখ নেই । কিন্তু তারা কি ঢাকার বাইরে গিয়ে গলফ খেলতে পারেন না? কুর্মিটোলা গলফক্লাবের পাশ দিয়ে বাসের হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে ঝুলে জাওয়া মানুষটার জন্য আমদের কি কোন সহানুভতি থাকবে না?
ইউনিভার্সিটিতে থাকার সময় পাকিস্তানের কাছে আমাদের Reparation কত এইটা খুব জানার চেষ্টা করতাম । আর এখন আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে থেকে শ্রমঘণ্টা নষ্ট হওয়ার ফলে আমাদের জাতিয় অর্থনীতিতে এর ক্ষতির পরিমান কত? এটা হয়ত আমরা হিসাব করতে পারব চেষ্টা করলে? কিন্তু কোনদিনও কি হিসাব করতে পারব যে কত শত যুবকের স্বপ্ন হারায় যায় এই ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে পড়ে? মনস্ততাতিক ভাবে ইরিটেট থাকার কারনে আমরা কত ক্রিয়েটিভ আইডিয়া ভুলে যাই? কত শত বৃদ্ধ বাবা হুড়হুড়ি করে বাড়ি ফেরর চেষ্টা করে আহত হয় ?
শামীম মুরাদ
ভাইয়া, আমি আপনার এই বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি না, তবে আপনার এই দৃষ্টিভঙ্গির সাথে পুরাই দ্বিমত। লক্ষপ্রানের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশে বিদ্যুৎ চুরি ঠেকানোর জন্য কেন এডিবির জন্য অপেক্ষা করতে হল, ব্যাঙ্কিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কেন আইএমএফের কথা বলতে হবে? সুদানে হুতু, তুতসিদের গণ্ডগোল থামাতে ন্যাটর দরকার পড়লে, আমারা ওদের বর্বর উপজাতি বলি। স্বাধীন দেশে বিদ্যুৎ চুরি কেন ঠেকান গেল না? জানিনা আমাদের প্রকৃত স্বাধীনতা কবে হবে?
কোথাও ভুল ভ্রান্তি হলে অবশ্যই শুধরে দিবেন। আর আপনার রওশন ইয়াজদানীর লেখাটার জন্য আবার ::salute:: দিয়ে শেষ করছি।
শামীম মুরাদ
মুরাদ,
আমরা সভ্য জাতি কে বলছে? যারা গণপিটুনি দিয়ে মানুষ মেরে সুখ পাই, যারা বিচারর ছাড়াই মানুষ হত্যা করি এবং তার গায়ে অপরাধীর তকমা এটে দেই, যারা মেয়েদের মুখে-শরীরে এসিড মারি- তারা সভ্য বলে দাবি করে কি করে? আমাদের নির্বাচন করতে দলের বাইরের লোক লাগে, দুই দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনার জন্য সুদূর অষ্ট্রেলিয়া থেকে মধ্যস্থতাকারী ডেকে আনি তো আমরাই!!
তোমার-আমার কথা তো সরকার শোনে না, ওরা বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইএমএফ-এর হুমকি-ধামকিকে প্রেমিক বা প্রেমিকার "আই লাভ য়ু"-র মতো মধুর কথা মনে করে!!
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"