ছোট বেলায় তখনকার সময়ের একমাত্র সম্বল বিটিভিতে দেখা ধারাবাহিক নাটকগুলোর মধ্যে প্রথম সবচেয়ে পুরনো যে নাটকটি কথা মনে আছে সেটা হলো বহুব্রীহি, এর আগে প্রচারিত আরো দু একটা নাটকের নাম আর দু একটা দৃশ্যের কথা মনে পড়লেও সেটা ঠিক স্মৃতির পর্যায়ে পড়ে না। যেমন সকাল সন্ধ্যা আর এইসব দিন রাত্রি, এর মধ্যে কোন একটার মূল চরিত্রে ছিল পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় আর আফরোজা বানু, সেটার কিছু দৃশ্যের কথা মনে আছে। বহুব্রীহি ছিল এক কথায় দম ফাটানো হাসির নাটক, ইন্টারনেটের কল্যানে কয়েক বছর আগে আবারো সে নাটক দেখার সুযোগ পেয়ে সেটা হাত ছাড়া করিনি, দেখলাম এত বছরেও আমার কাছে এর হাস্যরস একটুকুও কমেনি, বরং আগে অনেক কিছুই না বুঝে হাসতাম এবার বুঝে আরো বেশি হাসি পেয়েছে। অনেকদিন পর্যন্ত সেটা আমার হার্ড ড্রাইভে ছিল, কিছুদিন পরপরই দেখতাম আর মন খুলে হাসতাম।
বহুব্রীহি যখন দেখি তখন আমার নাট্য পরিচালক বিষয় সম্পর্কেই কোন ধারনা ছিল না, তাই জানা হয়নি সেটা কার নাটক ছিল। এর কিছু বছর পর শুরু হলো বাকের ভাইয়ের ‘কোথায় কেউ নেই’। আমার মতে এখন পর্যন্ত আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি নাটক। আর কোন টিভি নাটকের এরকম পোস্টার বিক্রি হয়েছিল কিনা আমার জানা নেই, তখন আরেকটি জিনিষ প্রচলিত ছিল সেটা হলো ভিউকার্ড। পোস্টার কেনার মত সামর্থ্য না থাকলেও বাকের, মজনু আর বদির বেশ কিছু ভিউকার্ডের মালিক হয়েছিলাম। আর বাকের ভাইয়ের মুক্তির দাবীতে মিছিল আমাদের দেশের নাটকের ইতিহাসে মনে হয় অনন্য ঘটনা। এ নাটক দেখার সময় জেনেছিলাম যে এটা হুমায়ূন নামেও কেউ একজনের বানানো নাটক আর তখন নাটকের এক হুমায়ুনকেই চিনতাম, সেটি ছিল হুমায়ূন ফরিদি। সে কারনে আমি ধরেই নিয়েছিলাম এটা হুমায়ুন ফরীদির তৈরি করা নাটক। হুমায়ূন আহমেদ বলে আলাদা একজন ব্যক্তিত্ব যে আছে সেটা আমার জানতে আরো কিছুদিন সময় লেগে গিয়েছিল।
তখন মাত্র গল্পের বই পড়া শুরু করেছি, জন্মদিনে কাজিনের কাছ থেকে উপহার পেয়েছিলাম সেবা প্রকাশনীর ‘গোয়েন্দা রাজু’ সিরিজের দুটি বই।আমার এখন পর্যন্ত পাওয়া সেরা জন্মদিনের উপহার যার মাধ্যমে আমার সেবা প্রকাশনীর সাথে পরিচয় হয়েছিল। সেই থেকে ডুবে গেলাম সেবার ভুবনে, গোয়েন্দা রাজু থেকে তিন গোয়েন্দা, রেজা-সুজা। ৯১ কি ৯২ সালের ঘটনা, তখন পর্যন্ত শুধু পেপার ব্যাকই পড়ছি, হার্ড কভারের বইগুলো ছিল আমার কাছে বড়দের বই। এর মাঝে আমার হাতে আসলো ‘সূর্যের দিন’, হার্ড কভারের একটা বই লেখক হুমায়ূন আহমেদ। দুর্দান্ত একটা কিশোর উপন্যাস, প্রথম পড়া বলে কিনা জানি না, তবে সেটা এখন পর্যন্ত আমার পড়া সেরা কিশোর উপন্যাস। সেই প্রথম চিনলাম লেখক হুমায়ূন আহমেদকে। এরপরে তার আরো বই পড়ার ইচ্ছে জাগলেও অনেকদিন সে সুযোগ হয়নি, কারন যে লাইব্রেরি থেকে ২০ টাকা জমা রেখে বই প্রতি ২ টাকা দিয়ে সেবার বই ভাড়া নিয়ে পড়তাম সেখানে হুমায়ূন আহমেদের বই রাখে না। আর আশেপাশের সমবয়সী কাজিন বা বন্ধুদের কাছেও সে বই ছিল না। হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়ার জন্য আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে কলেজে যাওয়া পর্যন্ত। সেখানে গিয়ে পাল্লা দিয়ে গোগ্রাসে গিলেছি তার বইগুলো। কিন্তু এক সময় অরুচি ধরে গেল, কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কখনো হয়নি যে হাতের কাছে তার বই পেয়ে না পড়ে রেখে দিয়েছি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হতাশ করেছে।
আমার নিজের বই পড়ার আওতা বেশ সীমিত, তাই আমাদের দেশের জনপ্রিয় দু একজন লেখক বাদে অন্য কারো সাথে তার লেখা তুলনা করার সুযোগ আমার হয়নি। সে কারনে হয়তো তার কথিত বানিজ্যিকিকরনের পরেও লেখক হিসেবে সে আমার চোখে সে কখনোই সেরকম নীচে নামেনি। কিন্তু শেষ দিকে এসে তার নাটক আর নয় নম্বর বিপদ সংকেতের মত সিনেমা আমাকে রীতিমত অত্যাচার করেছে। সেই সাথে তার ব্যক্তিগত জীবনের কাহিনী মিশে তার প্রতি আমার কেমন যেন একটা নীতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছিল, তার কোন খবরই আর আমার কাছে গুরুত্ব পেত না, অনেকটা এন্টি হুমায়ূন ধরনের ব্যাপার, আশেপাশের অনেকের মাঝেই এ ব্যাপারটা দেখেছি।
কিন্তু সর্বশেষ যেভাবে হুমায়ূন আহমেদ খবরে এলেন সেটা আমাকে কেমন যেন একটা ধাক্কা দিল। এমনিতেই ক্যানসার শব্দটার প্রতি আমার কেমন যেন একটা ভীতি আছে। সেটার শুরু মনে হয় ছোট বেলা থেকে নাটক সিনেমায় শুধুমাত্র এই রোগেই মানুষ মারা যেতে দেখে। হুমায়ূন আহমেদ এ রোগে আক্রান্ত শুনেই কেন যেন তার প্রতি যত নেতিবাচক চিন্তাগুলো ছিল সেগুলো মুছে প্রথম দিকের চিন্তা ভাবনা গুলো ফিরে এলো।
হুমায়ূন আহমেদের লেখা শেষের দিকে এসে কতটুকু নষ্ট হয়েছে সে ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না, সেরকম সাহিত্য জ্ঞান আমার নেই, আমি হাতের কাছে যখন হাতের কাছে যা পেয়েছি তাই পড়েছি, কিছু ভাল লেগেছে, কিছু লাগেই। অনেক ক্ষেত্রে ভাল বা খারাপ লাগার কারনও বলতে পারবো না, হুমায়ূন আহমেদের আমার পড়া শেষের দিকের লেখা গুলো বেশির ভাগই আমার কাছে খারাপ লেগেছে, আর নাটক সিনেমার কথা তো আগেই বললাম। তবে সেগুলোর কারনে আমাদের সাহিত্য জগতে তার অবস্থান কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা বিচার করা আমার পক্ষে সম্ভব না। তবে সেবার কাজি আনোয়ার হোসেনের মত সেও আমাদের দেশে পাঠক তৈরির পথিকৃৎ, প্রচুর পাঠক আমি দেখেছি যাদের শুধু হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের কারনেই পাঠের অভ্যাস বজায় আছে।
এখন একান্ত ভাবে আশা করছি সে সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ হয়ে উঠবেন, আর নিজ জীবনে এরকম একটা ক্রান্তিকাল পেরিয়ে তার চানাচুর স্বাদের লেখা, নাটক ইত্যাদি ছেড়ে আগের রূপে ফিরে আসবেন, ফিরে আসবেন সূর্যের দিনের, বহুব্রীহির বা কোথাও কেউ নেই এর হুমায়ূন আহমেদ হয়ে।
ফিরে আসুন হুমায়ূন আহমেদ
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
'পুতুল'- দিয়ে হু আ'র সাথে পরিচয়, এরপর জন্মদিনে মামা কিনে দেন সূর্যের দিন। এই দুটো বই আমি অন্তত বার পঁচিশেক পড়েছি। আর আমারো প্রথম মনে পড়ার মতো নাটক ছিল "বহুব্রীহি"। মজার ব্যাপার হলো, মায়ের বইয়ের লাইব্রেরী ঘাঁটতে গিয়ে উপন্যাসটাই খুঁজে পাই; ক্লাশ টু'তে তখন। এরপর এটা প্রায় মুখস্ত করে ফেলি, যদিও না বুঝেই পড়া হতো তখন- আমার কাছে নাটকের স্মৃতি থেকে উপন্যাসের লাইনগুলো তাই বেশি উজ্জ্বল। তুই রাজাকার বলে ঘরে চেঁচা্তাম মাঝে মধ্যে। এরপর ক্লাশ ফোরে থাকতে আব্বু কিশোর উপন্যাস কিনে দেন। বলতে গেলে এখন অনেক বড় হয়ে যাবে। 🙁
আমি বলবো বাংলাদেশের আধুনিককালের লেখকদের মধ্যে হুমায়ূন আহমে্দ নিঃসন্দেহে প্রথম সারির (যদিো তার শেষদিকের উপন্যাসগুলো অনেকটাই একঘেঁয়ে এবং সস্তা গোছের মনে হতো)।
ফিরে আসুন হুমায়ূন আহমে্দ- এই কামনাই রইলো।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আমাদের হাউজ লাইব্রেরীতে বহুব্রীহি উপন্যাস ছিল, সেটা বহুদিন আমার বালিশের পাশে ছিল। প্রায়ই উলটে পালটে পড়া হতো, বহুবার।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
হুমায়ূন আহমেদের জন্য শুভকামনা।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
এক জন মানুষকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা থাকবেই।
তবুও একজন হুমায়ূন আহমে্দ যা লিখেছেন বা করেছেন তা বাংলাদেশের সাহিত্যে খুব কম লোকই করেছে। তার সর্বশেষ পড়া বইটা ''বাদশাহ নামদার অনেক ভালো লেগেছে।
হুমায়ূন আহমেদ দ্রুত সুস্থ হন এই কামনা করি!
এভাবে লিখেছ কেন, উনি কি মৃত্যু শয্যায় নাকি? আমি যতটুকু জানি, ব্যাপার তো সিরিয়াস কিছু না, শুনেছি অপারেশনটাও লাগবে না।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই, ক্যান্সার জিনিষটা সম্পর্কে আমার একটা ভীতি আছে... তবে অপারেশন লাগবে না শুনে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলাম, আপাতত নাকি কেমো দিবে। সেটার ফলাফল দেখে পরবর্তী চিকিৎসা করবে বলে শুনেছি।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
হূমায়ুন আহমেদ আমার প্রিয় রাইটার দের একজন,
ওনার বিভিন্ন ধরণের গল্প, উপন্যাস, নাটক এবং সিনেমার ফ্যান আমি, তবে ইদানিং তার নাটক,উপন্যাস সব কিছুর মান আগের মত নাই।
আর তাকে আমি রাইটার হিসেবে পছন্দ করি, তার পারিবারিক জীবন নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নাই, সেটা নিতান্তই তার পারসোনাল ব্যাপার।
উনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাক সেই দোয়া রাখি।
ক্লাস সেভেনের প্রথম টার্ম এর শেষে আমার গাইড বলল হাউস লাইব্রেরির জন্য প্রত্যেককে দুইটা করে বই নিয়ে আসতে হবে।আমার ভাগে পড়েছিল “ইরিনা” আর “দারুচিনি দ্বীপ”, আমি ঐ দুইটা ছাড়া আর দুইতা বই নিয়েছিলাম যাতে ভাইয়া অনেক খুশি হয়। পরে দেখলাম কলেজ লাইব্রেরিতে অনেক গল্পের বই থাকলেও হুমাউন আহমেদের প্রায় সব আনকোরা বই হাউস লাইব্রেরিতেই থাকতো। আফটার লাঞ্চ থেকে আফটার নুন প্রেপের আগের সময়টা ছিল ঐ সব পড়ার সময়। আমাদের ফয়সল হাউস লাইব্রেরীতে আবিষ্কার করল সেই কলকাতার কোন লেখকের বিখ্যাত “মিস নৈনিতাল” নামক বইটা, যাতে পেন্সিলে আন্ডারলাইন করা অনেক ইম্পরটেন্ট লাইন ছিল।আহারে আমার কৈশোরের সেই অপার মুগ্ধ হবার ক্ষমতার, আর স্বপ্ন দেখার দিনগুলি!
আহসান, হুমাউনের কথা তুলে কৈশোরের দিনগুলি মনে করে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
হিমু, বড় মামা, নান্দাইলের ইউনুস, রানু, শুভ্র, রহিমার মা, বাকের ভাই, মিছির আলি এত সব গ্রেট ক্যারেক্টার যার, তিনি নিঃসন্দেহে গ্রেট। যদিও কিছু বাণিজ্যিক লেখা তিনি লিখেছেন, তবে সেটা মনে হয় যতোটা নিজের জন্য তার চেয়ে বেশি প্রকাশকের জন্য।
শামীম মুরাদ
ধন্যবাদ মুরাদ ভাই, আসলেই হুমায়ূন আহমেদ আমাদেরকে দূর্দান্ত কিছু ক্যারেক্টার উপহার দিয়েছেন।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
পুতুল দিয়ে হুমায়ুন আহমেদ কে চেনা শুরু......সেও বহু বহু বছর আগে......আমি নিজে একজন সিরিয়াস ধরনের পাঠক। বই পড়ার নেশা বুঝ হবার পর থেকেই। তবে ইন্টারনেট আর চাকরীর ব্যস্ততায় বেশ ভাটা পড়েছে এই সৃষ্টিশীল মননে। ছোটবেলার পাঠ্যবইয়ে পাঠকের মৃত্যু গল্পের মতো। তারপরও বইকে কাছ'ছাড়া করতে দেই না। হুমায়ুনের হিমু আমাকে এখনো হিমু হবার একটা ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালাতে প্রলুব্ধ করে। হয়তো সেই বয়সে আর ফিরে যেতে পারবোনা। কিন্তু মনের খোরাক বইয়ের প্রতি লালসা আবার চাগিয়ে দেয়ার জন্য ফিরে আসুক হুমায়ুন এটা অবশ্যই কামনা করি।
সুযোগ পেলে কোনও একদিন নির্ঘাত হিমু হয়ে যাবো...
আমার নিজের কখনো হিমু হতে ইচ্ছে করেনি, তবে ওর কত একজন বড়লোক খালা পাবার জন্য সবসময়ই আফসোস ছিল 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
হুমায়ূন আহমেদের মন্ত্রমুগ্ধ এক পাঠক আমি। ছোটবেলার সেই বাকের ভাইকে এখনো মনে পড়ে। কলেজে গিয়ে পেলাম হুমায়ূন সাম্রাজ্যের খোজ। কত যে বই পড়েছি!
সুস্থ হয়ে উঠুন হুমায়ূন আহমেদ, এই কামনাই করি।
আকাশ - তুমি এর আগে কোন অভ্র স্পেল চেকারের কথা বলেছিলে বুঝতে পারিনি। এবার ডাউনলোড করে ব্যবহার করছি। বেশ কাজের। ধন্যবাদ।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ধন্যবাদ আপু, অভ্রর স্পেল চেকার আসলেই কাজের।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
"অপেক্ষা" ... আমার পড়া হুমায়ুন আহমেদ-এর অন্যতম চমৎকার একটি উপন্যাস। অনেক আগে টিনএজ বয়সে পড়েছি, এখনো কিছু কিছু সিকুয়েন্স চোখে ভাসে (আমি আবার উপন্যাস পড়ার সময় সেটা সিনেমার মত ভিজুয়ালাইজ করি কি না!)
হূমায়ুন আহমেদের সহজ ভাবে কিছু বলাটা পাঠককে লেখার সাথে মিশিয়ে নেয়। ওনার লেখার স্টাইল নিঃসন্দেহে সুন্দর, অন্তত ছিল। পেপারে পেপারে এ সম্বন্ধে লেখা পড়ে মনে হলো তিনি যথেষ্ঠ শক্ত আছেন। আশা করা যায় তিনি সারভাইভার হবেন। অসংখ্য ভক্তের শুভকামনা তার সাথে আছে।
আহসান ভাই, আপনার লেখাটাও কিন্তু কম সাবলীল হয়নি 🙂 অনেক আগের হূমায়ুন আহমেদকে ফিরে পেলাম আপনার লেখায়। (সম্পাদিত)
ধন্যবাদ সামিয়া 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আসলে আমি হুমায়ুন আহমেদ এর অশেশ ভক্ত