অনেক দিন ধরে সিসিবিতে কিছু একটা লেখার তাগিদ বোধ করছি। কিন্তু ব্যস্ত আমেরিকান জীবনে সময় কোথায় একটু স্থির হয়ে বসে মনের মধ্যে ছড়ানো ছিটানো ভাবনাগুলো কাগজে কলমে তুলে ধরার? তবে গত সপ্তাহ থেকে আমার ব্যস্ততা কিছুটা কমেছে। ইউনিভার্সিটিতে কোয়ার্টারব্রেক আর ক্রিস্টমাসের ছুটি একসাথে পড়ায় বেশ বড়সড় একটা ছুটি পেয়েছি এবার। সকালে ৬টার সময়, সূর্য ওঠারও আগে আজকাল উঠতে হয়না। আর রাতে টাইম-টেবিল ধরে ১০টার মধ্যে ঘুমাতেও হচ্ছে না। সবকিছু মিলিয়ে জীবন বেশ ভালোই কাটছে আমার।
কি দিয়ে লেখা শুরু করবো ভাবতে গিয়ে মনে হলো আমেরিকায় আমার ইউনিভার্সিটি লাইফের প্রথম কোয়ার্টারের অভিজ্ঞতাটাই শেয়ার করি। গত ফল থেকে ক্যালিফোর্নিয়া
ষ্টেট ইউনিভার্সিটিতে মাষ্টার্স প্রোগ্রাম শুরু করেছি। আর সবার মত আমিও খুব এক্সাইটেড ছিলাম আমার নতুন ছাত্রজীবন নিয়ে। ক্যাম্পাস কেমন হবে, প্রফেসররা কেমন হবে, সর্বোপরি কারা আমার নতুন বন্ধু হবে এইসব ভেবে। অতঃপর আমার সব কৌতুহলের অবসান ঘটল ২২ সেপ্টেম্বর প্রথম ক্লাসে। ক্লাসটি ছিল Physical Anthropology and Anatomy। আমি যথারীতি ক্লাস শুরু হওয়ার আধঘন্টা আগেই ক্লাসরূমের গিয়ে উপস্থিত। প্রথম ক্লাস বলে কথা! কিছুক্ষণের মধ্যেই একে একে ছাত্রছাত্রীরা আসা শুরু করলো। যথাসময়ে প্রফেসর গিলবার্ট ক্লাসে ঢুকলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে বন্ধুমহলে কিছু আজব শব্দের প্রচলন ছিল, যেমন খুব সুন্দর অথবা অদ্ভুত কিংবা অন্যরকম কিছু দেখলে সবাই বলতাম ‘টাস্কি খাইছি’। সেদিনও ক্লাসে প্রফেসরকে দেখার পর পাশের ক্লাসমেটটিকে আমার খুব কানেকানে বলতে ইচ্ছে হচ্ছিল “মামা, টাস্কি খাইলাম রে…”।
প্রফেসর গিলবার্ট হাফহাতা একটা গেঞ্জির সাথে একটা হাফপ্যান্ট পড়ে ক্লাসে উপস্থিত! এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস সেই হাফপ্যান্টের ঝুল কোনভাবেই ৭/৮ ইঞ্চির বেশি হবেনা। শুধু তাই নয়, তার ঝাকড়া দোলানো কটকটে লাল কোকড়া চুলগুলো দেখে সবার প্রথম আমার মনে যে চিত্রটি ভেসে উঠলো সেটি ছিল আফ্রিকা এবং ব্রাজিলের গহীন জঙ্গলে আবিষ্কৃত ওরাং ওটাং নামের মানুষসদৃশ এক প্রানীর ছবি। ধরে নেওয়া হয়, আধূনিক সভ্য মানবজাতির পূর্বপুরুষ ছিল তারা। কিন্তু পরক্ষণেই তার কপালে তোলা রোদচশমা দেখে আমার বিভ্রম ভাংল যে তিনি আমাদের আধূনিক মানবগোত্রেরই একজন। ইন্ডিয়ানা-ব্লুমিংটনের মত প্রথমসারির একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট প্রফেসরের সেই
আজব বেশভূষা এবং পারসোনালিটির প্রেজেন্টেশন আমাকে রীতিমত হতভম্ব করেছিল। শুধু তাই নয়, পুরো কোয়ার্টারে যতদিন আমি তার ক্লাস করেছি, কোনদিনই তার হাফপ্যান্টের ঝুল আর বাড়তে দেখিনি।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে প্রথম দিকে আমি ডঃ গিলবার্টের ক্লাসে খুব অস্বস্তিতে ভুগতাম। তার এই আজব বেশভূষা দেখে আমি প্রায়ই ভাবতাম যে তার মধ্যে কোন পার্সোনালিটি-ডিসওর্ডার আছে, কিংবা বছরের পর বছরে গবেষোপণার জন্য বনে বাদারে শিম্পাঞ্জী আর গরিলাদের মাঝে থাকতে থাকতে তার উপরও এদের আছর পড়েছে। কিন্তু যতই দিন যেতে থাকল, আমি ক্রমান্বয়ে আবিষ্কার করতে থাকলাম তার জ্ঞানের গভীরতা, শেখানোর সহজতর পদ্ধতি আর ছাত্রছাত্রীদের মনে তা’ চিরস্থায়ী করে রাখবার কলা-কৌশল। ছোটবেলা থেকে আমার একটা অভ্যাস ছিল ক্লাসে কোনকিছু বুঝতে না পারলে প্রশ্ন করা। প্রফেসর গিলবার্টের ক্লাসেও আমি বহুদিন বিভিন্ন বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করেছি। সত্যকথা বলতে, প্রত্যেকবারই তার চমকপ্রদ এবং যথার্থ উত্তরগুলো আমাকে মুগ্ধ করেছে। এবং আমার মনের মধ্যে তার সম্পর্কে গড়ে ওঠা নেতিবাচক ধারণাগুলোকে ভুল প্রমাণিত করেছে। তার ক্লাসে আমি ফিজিক্যাল এনথ্রপলোজী কতটুকু শিখেছি জানিনা। কিন্তু প্রাত্যহিক জীবনে আমরা সচরাচর যেসব ষ্টেরিওটাইপড ধারণা নিয়ে চলি সেগুলো যে কতখানি ভুল তা’ অনুধাবন করতে শিখেছি। যেমন, রাস্তাঘাটে, বাসে, ট্রেনে চলতে ফিরতে আফ্রিকান-আমেরিকান্দের আজগুবি পোষাক-আশাক এবং আচরণ দেখে আগে ভাবতাম এরা বোধহয় স্বাভাবগত কারণেই এমন। কিন্তু আমেরিকায় ওদের নির্যাতনের ইতিহাস এবং ওদের প্রতি Discrimination গুলো জানতে পাড়ায় ওদের প্রতি যে নেতিবাচিক ধারণগুলো ছিল, তা’ ভেঙ্গে গেছে। এখন আমি ওদেরকেও সাধারণ মানুষের মতোই মনে করি।
আমার আরেকটি ক্লাস ছিল Anthropology of Race and Racism.এক কথায় বর্ণ এবং বর্ণবাদ। বাংলাদেশে থাকতে যে ব্যাপারটি নিয়ে কোনদিন আমি মাথা ঘামাইনি সেই বিষয়টি যে আমেরিকান সমাজে এত গুরুত্বপূর্ন সেটা আমেরিকার মাটিতে প্রথম পা’ রেখেই বুঝেছি। নিউইয়র্কের jfk এয়ারপোর্ট এ বিশাল বড় এমিগ্রেশ্ন লাইনে দাঁড়িয়ে আছি হঠাত ইমিগ্রেশন অফিসার আমার পিছনের প্যাসেঞ্জারকে উদ্দেশ্য করে বলল-” the guy behind the brown lady”। এটা ছিল আমেরিকার মাটিতে আমার প্রথম racist অভিজ্ঞতা। খুব অবাক হলাম একজন সরকারী অফিসারের মুখ থেকে এমন একটা কমেন্ট শুনে। সত্যি কথা বলতে কি এর আগে বাংলাদেশে থাকতে আমার গায়ের বর্ণ যে বাদামি এটা আলাদা করে উপলব্ধি করি নাই। বাংলাদেশে আমি শ্যাম বর্ণ বলেই জানতাম যা কিনা শতকরা ৮০% বাংগালীর গায়ের রং। কিন্তু পৃথিবীর আরেক প্রান্তে গিয়ে আমার পরিচয় যে এত ভিন্ন বিষয়টি আমি সেদিন প্রথম jfk এয়ারপোর্ট এ আবিস্কার করলাম।
যাই হোক, আসা যাক আমার আসল গল্পে।- আমার Race and Racism কোর্সের প্রফেসর ছিলেন একজন এশিয়ান মহিলা, নাম Cngin Choar Sin। তার নাম এবং চেহারা দেখে তার আইডেন্টিটি বের করা খুবই মুশকিল। কোর্সটি নেবার আগে তার নাম দেখে আমার ধারণা হয়েছিল তিনি নিশ্চয়ই চাইনিজ অথবা জাপানীজ। কিন্তু ক্লাস করতে গিয়ে প্রথম দিনেই আমি কনফিউজড হয়ে গেলাম। যদিও তার চেহারা দেখতে চাইনিজদের মতো, কিন্তু গায়ের রঙ আমাদের মতো বাদামী। তিনি একই সাথে ইংরেজীর পাশাপাশি তাগালগ (ফিলিপাইনের ভাষা), তামিল, মালে, এবং চাইনিজ বলতে পারেন। একদিন ক্লাসে ষ্টুয়ার্ট হলের Old and New Identities পড়াচ্ছেন, আমি কৌতুহল দমাতে না পেরে তাকে জিজ্ঞাসা করেই বসলাম, তার আইডেন্টিটি কি? তিনি আমাকে যে উত্তর দিয়েছিলেন তা ছিলোঃ “I was born in Taiwan, but grew up at a Tamil neighborhood in Malaysia, and my father is a Chinese and my mother is a Malaysian Muslim. Now you decide what is my identity”. এখন আপনারাই বলুন আমি বা আমরা তাকে কিভাবে আইডেন্টিফাই করবো?
আমেরিকার স্বাধীনতার পর থেকেই এইদেশে আইডেন্টিটি, এথনিসিটি, ন্যাশনালিটি ব্যাপারগুলো নিয়ে অনেক আন্দোলন এবং লেখালেখি চলছে। এবং প্রফেসর নিং এর মত কনফিউজিং কেস এদেশে অগণিত। খোদ আমেরিকার সরকারও সেনসাসে এই ব্যাপারটাকে এখন পর্যন্ত স্পষ্টভাবে আলাদা করতে পারেনি। ডঃ নিং এর ক্লাসে আমার বিভিন্ন সহপাঠীদের মুখ থেকে তাদের রেস, এথনিসিটি, ন্যাশনালিটি নিয়ে বিভিন্ন সময় যেসব কনফিউশন তৈরী হয়, তা’ নিয়ে গল্প, আলোচনা এবং বিতর্ক শুনেছি। কখনো দেখতাম তারা একটা গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসতে পারতো, আবার কখনো পারতো না। কিন্তু যেদিন ক্লাস শেষ হলো, সেদিন মনে হয়েছে এই কোর্সটা শুধুমাত্র এন্থ্রোপলোজির ছাত্র-ছাত্রীদের ছাড়াও আর সকল গ্রাজুয়েট ছাত্রছাত্রীদের জন্যই বাধ্যতামূলক করা দরকার।
আমার আরেকটা কোর্স ছিল academic writing and publishing. প্রফেসর জেমস ব্রাডির তত্বাবধানে পুরো কোয়ার্টার জুড়ে আমাদেরকে গলদঘর্ম হতে হয়েছে মেইনষ্ট্রীম আমেরিকান লেখনী রপ্ত করতে। খোদ আমেরিকায় জন্ম নেওয়া এবং বড় হওয়া ছাত্রছাত্রীরা এই ক্লাসে নাকানি-চুবানি খেয়েছে। সেখানে সদ্য অভিবাসী আমার অবস্থা ছিলো আরো করূণ। প্রায় প্রতিটি এসাইনমেন্টে আমার লেখায় ডঃ ব্রাডি লালকালির অপারেশন চালাতো। আর প্রতিটি ক্লাসেই আমার মনে প্রশ্ন জেগেছে যে, আমি কি আদৌ ইংরেজী লেখা শিখেছিলাম? দিশেহারা আমি কোন কূলকিনারা না পেয়ে ছোটবেলায় ক্লাস নাইনের প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় ইংরেজীতে ৯১ পাওয়ার স্মৃতি দিয়ে মনকে স্বান্তনা দিতাম। সেদিন বেলাল স্যার বলেছিলেন তার পনের বছরের শিক্ষকতার জীবনে সেটাই ছিল সর্বোচ্চ নম্বর! অথচ আজ ডঃ ব্রাডির লালকালির দাপটে আমার এসাইনমেন্টের কালো শব্দগুলো রীতিমত মলিন হয়ে যায়। সবার এসসাইনমেন্ট যেখানে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ড্রাফটেই আপ্রুভ হতো, সেখানে আমার লাগল চার/পাঁচ ড্রাফট। উল্লেখ্য যে, এই ক্লাসে প্রতি সপ্তাহে দুইটা করে এসাইনমেণ্ট জমা দিতে হতো, যা’র কোনটাই সাত থেকে দশ পৃষ্ঠার কম নয়। আর আমার জন্য কষ্টের বোঝা ত’ ছিন এমনিতেই আরো তিনগুণ। আমার মনে হয়, ঢাবি’র চার বছরে যতখানি লিখেছিলাম, এই তিন মাসে তারও থেকে বেশি লিখাছি। এত কষ্টের পর গতপরশু ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে এই ক্লাসের গ্রেডটি ‘এ’ দেখে মনে হলো যে, ‘কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে’ কথাটি যে বলেছে সে আসলেই একটা জিনিয়াস।
সবশেষে একটা বিষয়ে যা’ না লেখলেই নয়। আমাদের অনেকের মনেই আমেরিকা সম্পর্কে নানা বিদ্বেষ, ঘৃণা জমে আছে। এবং সেসবের পেছনে হয়তো অনেক যৌক্তিক কারণও আছে। কিন্তু এখানকার শিক্ষার উচ্চমান নিয়ে আমার মনে হয় কারো মনে কোন সন্দেহ থাকা উচিত নয়। আমার গত এক কোয়ার্টারের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, এদের শিক্ষাব্যবস্থা খুবই বাস্তবমুখী এবং যুগুপোযোগী। সমসাময়িক বিষয়গুলোকে তারা পাঠ্যক্রমের মধ্যে নিয়ে এসেছে। ক্লাসরুমের পাঠদান পদ্ধতিও অনেক উন্নততর যেখানে শিক্ষকের সাথে ছাত্রের অনেক বেশি আলোচনার সুযোগ রয়েছে। এরফলে ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজস্ব মতামত গঠন করার এবং তা’ তুলে ধরার সুযোগ পায়, সার্বিকভাবে জীবনে সাফল্যের জন্য যেটা খুবই দরকারী।
আমেরিকার শিক্ষা নিয়ে অনেকের কাছেই শুনেছি তবে আপনার মত এরকম বিস্তারিত একটা লেখা পেয়ে ভাল লাগল।
সবার মোটিভেশন অনেক বাড়বে আশা করি।
অঃটঃ অনেকদিন পর ভাবী। রকিবের দোকানে এখন তালা তাই আপনাকে চা খাওয়াতে পারলাম না। এখন সিসিবিতেও ভেন্ডিং মেশিন। নিজে নিজে কেক-কুক খেয়ে ফেলেন
তপু ভাই , আপনার গল্প আমার জামাই এর কাছে শুনেছি...খুব ভালো লাগলো আপনার উৎসাহপূর্ন মন্তব্যটি পড়ে...আপনার পক্ষ হয়ে আমিই এক কাপ চা খেয়ে নিলাম... 😀
অভিজ্ঞতার বর্ণনা সুন্দর লিখেছেন। একটানা পড়ে ফেললাম। ঢাবিতে কোন ডিপার্টমেন্টে ছিলেন???
ধন্যবাদ শিশির ভাই...আমি সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলাম...
আমি ঢাবির অনুজীববিজ্ঞানে রিসার্চ করছি। আমার ল্যাবে দুইজন জুনিয়র রিসার্চ ফেলো আছে, একজনের নাম কানিজ ফাতিমা আরেকজন সুমাইয়া...। 🙂
hacha bolchen vaiya... ;))
অনভিপ্রেত কাকতালীয়...।। 😮
সুন্দর লেখা।
রকিব , :teacup: দে
উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ রবিন ভাই...
ভাবী আপনার প্রথম লেখায় সেই যে রবিন ভি কে টিকেট পাঠাবেন বলেছিলেন উনি তো সেদিন থেকে ব্যাগ গুছায় বসে আছে। এর মধ্যে উনি অনেক দেশ ঘুরে ফেলেছে কিন্তু ওই ব্যাগে হাত দেয়নি। আপনার টিকেট কি পৌঁছাইছে ? 😉
রবিন ভি আপনি নিশ্চয়ই এই কমেন্ট পড়বেন না :frontroll:
তপু ভাইয়া...আমি এত সহজে কোনো কিছু ভুলি না...কিন্তু ঘুরে ফিরে আপানি আবার সেই পিক টাইমে টিকিট পাঠানোর কথা মনে করিয়ে দিলেন :(( ...এখন তোহ ক্রিসমাস টাইম। সব টিকিটের দাম এমনিতেই আকাশ ছোঁইয়া। এদিকে আবার আমারা দুইজনেই student মানুষ 🙁 মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ :((
তার থেকে বরং রবিন ভাই আরো কিছুদিন ধরে ভাল করে ব্যাগ টা গোছাতে থাক...।
ব্যাগ গোছানোই আছে। খালি ডেট দেন।
😛
😛 😛
এতদিন পরে আবার ভাইদের প্রতি ভালবাসায় আসল কেন? লেখার ট্যাগে গাছের নাম?? নাকি সন্ধি ছিল আশে পাশে।
সন্ধি আমার পাশে আসবে কেমনে?...আমি তো আছি সাত সমুদ্র তের নদীর পাড়ে...ভেবে দেখলাম দুইটা গাছ ভাই থাকতে শুধুমাত্র রংপুর এর হয়ে লেখাটা নাইনসাফি হচ্ছে
আমেরিকা তো টিকেই আছে ইউনিভার্সিটি গুলোর জন্য।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ভাইয়া,
দোওয়া করবেন যেন ইউনিভার্সিটিতে আমিও টিকে থাকতে পারি 🙂
চমৎকার লিখেছেন সুমাইয়া। জরুরী কাজ বাদ দিয়ে, আপনার লেখাটা একটানে পড়লাম। আসলে দেশের বাইরে না গেলে বহির্বিশ্বকে জানা যায়না, উপরন্তু বহির্বিশ্ব সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা থেকে যায়। বিদেশে যাওয়ার আগে আমিও অনেক ভুল ধারণা পোষণ করতাম। Travel widens outlook. তাই যারা দেশের বাইরে আছেন বা ছিলেন তাদের উচিৎ সেই সব দেশ সম্পর্কে বেশী বেশী লেখা যাতে সবাই বস্তুনিস্ঠ চিত্র পেতে পারে।
ন্যাশনাল বা রেশিয়াল আইডেনটিটিটা আসলে জরুরী কিছু না। 'জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে, সে জাতির নাম মানব জাতি।' যেকোন ধর্মেই দেখবেন, জাতি-বর্ণের কোন ভেদাভেদ নেই।'সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
ভাইয়া খুব ভাল একটা কথা বলেছেন আপ্নি...ভ্রমন আসলেই মানুষের জগৎকে প্রসারিত করে...ধন্যবাদ আপনার উৎসাহপূর্ন মন্তব্যটির জন্য 🙂
'হের ডক্টর এ্যগার' এর কথা মনে পরে গেল।অর্থনীতিতে 'নোবেলের' কাছাকাছি যতটা উপরে উঠা সম্ভব, উনি তার সবটুকুই উঠেছেন।আমাদের সমস্ঠিক অর্থনীতি, মুদ্রা সঞ্চলন ইত্যাদি পড়াতেন।
প্রথম দৃষ্টিতে উসকো-খোশকো চুল- দাড়ির এক 'হাফ পাগলই' মনে হবে। ওঁর জ্ঞ্যানের গভীরতায়,সহজ উপস্থাপনায় আমরা প্রতিটি ছাত্র ছাত্রী শুধু spell bound হয়ে বসে থাকতাম।
জার্মানির বেশ কয়েকজন অতি উচ্চ শ্রেণীর অর্থনীতিবিদ শিক্ষক হিসাবে পেয়ে নিজেকে যেমন ধন্য মনে করি তেমনি, যে সব ভাগ্যবান ভাইবোনেরা সে রকম সুযোগ পেয়ে গর্বিত, পরবর্তীতে দেশের কথা না ভুলে যত টুকু সম্ভব ঋণ শোধে সচেষ্ট হবেন, এই কামনায়।
আর সুন্দর লিখার জন্যে অভিনন্দন! - আজিজ।
Smile n live, help let others do!
আজিজ ভাইয়া...অনেক ধন্যবাদ আপনার উৎসাহের জন্য। আমার অভিজ্ঞতাও অনেকটা আপনার মতই! University of Indiana blooming ton থেকে primatology তেহ pHd করে আসার পরোড্র dr gilbert এর পারসনালিটি প্রেসেন্টসন রীতিমতো আজিব..এবং কনফিউসিং (সম্পাদিত)
এ্যানথ্রোপলোজি কেমন লাগছে? কোন পার্থক্য মনে হচ্ছে?
এ্যানথ্রোপলোজির অনেক প্রফেসরের লাইফ স্টাইল এবং রিজনিংয়ের ধরণ খানিকটা ইনফরমাল এবং আনকনভেনশনাল হয়। এটা আমার মজাই লাগে।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
রাব্বী ভাইয়া...এ্যানথ্রোপলোজি ভালই লাগছে...।পার্থক্য তো অনেক আছে ,কিন্ত আমার কাছে এ্যানথ্রোপলোজিকে বেশী বাস্তবমুখী মনে হয়েছে...। আর আপনার পরের কন্তব্যটির সাথেও আমি একমত... এদের রিজনিংয়ের ধরণ আসলেই খানিকটা ইনফরমাল এবং আনকনভেনশনাল
সুমাইয়া খুব ভাল লেখা। তোমার সাথে আমিও তোমার ক্লাসে ঘুরে আসতে পারলাম। আমেরিকাতে লেখাপড়া করার সময় আমিও মুগ্ধ হয়েছিলাম এদের পদ্ধতি দেখে। এখন বাচ্চাদের যখন পড়াই বা ওদের স্কুলে ভলেন্টিয়ারিং করার সময় এদের স্কুল পদ্ধতি দেখে আরো মুগ্ধ হচ্ছি। তবে আমেরিকা এখন খুবই আতংকিত। ওরা চায়নার স্কুল পদ্ধতি খুব বিশ্লেষণ করছে। বাচ্চাদের ক্লাসগুলোতে লে-ব্যাক ভাবটা কমিয়ে এখন আরও প্রেসার দেওয়ার কথা ভাবছে।
আবারো বলছি তোমার লেখাটা খুব ভাল হয়েছে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ওয়াহিদা আপু, চাইনার স্কুল ব্যবস্থা এবং বাচ্চাদের উপর বাবা মায়ের দেয়া প্রেসার এর এর কাহিনী নিয়ে খুব সুন্দর একটা বই পড়েছিলাম, "tiger mom"...!আসলে প্রেসার না দিলে কিছুই হয় না...এবং এর পজিটিভ প্রভাব অবশ্যই আছে....আপু আপনার উৎসাহ পেয়ে খুব এ ভালো লাগে... 🙂
গতকাল পোস্টটা পড়ে নিয়েছিলাম একটানে, মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনি।
এরই মধ্যে আপনার প্রোফাইল ছবি দেখি রঙিন হয়ে গেলো! আমার অবশ্য সাদকালোটাই ভালো লাগছিলো, ফটোগ্রাফার কে? মাহমুদ?
ঝরঝরে লেখা। এনথ্রোপোলজি পড়ার অনেক শখ ছিলো, এখন অবশ্য স্কুলকেন্দ্রিক কোন পড়াশোনাই আর ভালো লাগেনা। 🙁
তবে অমন পাগলালুকিং প্রফেসরের পাল্লায় পড়লে বিদ্যার্জন নিঃসন্দেহে আনন্দময় হয়ে উঠতো। আপনার আনন্দময় পাঠশালা আরো আনন্দময় হোক।
vaia...onnek dhonnobad apanar comment er jonno..i am actually out of reach to my laptop thats why couldn,t write any Bangla comment.... 🙁
দারুন লাগলো ভাবী, অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ, আশা করি সামনে আরো লেখা পাব 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
(সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
dhonnobad vaia....eccha ache aro lekhar 🙂
লেখাটা ভাল লাগছে ভাবী
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
🙂
কিছুদিন আগে চাইনিজ এক ইন্জিনিয়ারের সাথে কথা হয়েছিল। তার মূল লেখাপড়া বেইজিং ইউনিভার্সিটিতে, আবার আমেরিকাতেও লেখাপড়া করেছেন। চাইনিজ এডুকেশন এবং এ্যামেরিকান এডুকেশনের বিস্তর ফারাকের কথা তিনি আমাকে বললেন। এর মধ্যা একটি হলো, চীনের পড়ালেখা পরীক্ষা নির্ভর, আর আমেরিকার পড়ালেখা জ্ঞান নির্ভর।
ভাল লিখেছিস। 🙂 কিন্তু লেখা পড়ে তো আমরিকা আইতে মুন চাই... 😛
😀 😀 😀 choila ay (সম্পাদিত)
লেখাটা পড়ে অনেক ভাল লাগল। অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
thank you vaia 🙂
:clap: :clap: :clap: